তিন বিসিএসের ফলাফল শীঘ্রই প্রকাশ

শীঘ্রই ৩৭তম বিসিএসে নন-ক্যাডারে আরও নিয়োগের সুপারিশ, ৩৮তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষার ফল প্রকাশ ও ৪০তম বিসিএসের প্রিলিমিনারি পরীক্ষার ফল প্রকাশ হচ্ছে। গতকাল পিএসসির বোর্ড সভায় এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। একই সঙ্গে ৩৮তম বিসিএসে ১৩৬টি পদও বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত নিয়েছে সংস্থাটি। এছাড়া আজকালের মধ্যে ৩৭তম বিসিএসে নন-ক্যাডারে নিয়োগের সুপারিশ করছে পিএসসি।

এদিকে খাতা মূল্যায়নে আরও স্বচ্ছতা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে প্রথমবারের মতো দ্বিতীয় ও তৃতীয় পরীক্ষকের প্রয়োগ হওয়া ৩৮ বিসিএসের লিখিত পরীক্ষার ফল প্রকাশ হতে যাচ্ছে। প্রায় এক বছর আগে ৩৮তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষা নেয়া হলেও এর ফল প্রকাশ করতে পারেনি পিএসসি। প্রথমবারের মতো ৩৮তম বিসিএসের খাতা দ্বিতীয় ও তৃতীয় শিক্ষকের মাধ্যমে মূল্যায়ন করা হচ্ছে। এজন্য এই বিসিএসের লিখিত পরীক্ষার ফল প্রকাশে আরও কিছুদিন বিলম্ব হচ্ছে।

সরকারি কর্মকমিশনের একাধিক সদস্য ও কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের নির্দেশনা অনুযায়ী খাতা মূল্যায়নে নতুন এ উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। কারণ হিসেবে কর্মকর্তারা বলছেন, অনেক সময় পরীক্ষকের ভুলে বা অসাবধানতায় শিক্ষার্থীরা তাদের খাতার সঠিক মূল্যায়ল থেকে বঞ্চিত হয়। এজন্য এবার তৃতীয় পরীক্ষক রাখা হচ্ছে। ৩৮তম লিখিত পরীক্ষা থেকে এই নিয়ম কার্যকর হয়েছে।

এর আগে পিএসসিতে সবসময় একজন পরীক্ষক লিখিত পরীক্ষার খাতা মূল্যায়ন করতেন। কিন্তু ৩৮তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষার প্রতিটি খাতা দুজন পরীক্ষক মূল্যায়ন করছেন। এই দুই পরীক্ষকের প্রদত্ত নম্বরের ব্যবধান যদি ২০ শতাংশের বেশি হলে তৃতীয় পরীক্ষকের কাছে খাতা পাঠায় পিএসসি। ফলে পরীক্ষার্থীদের মেধা যথাযথভাবে মূল্যায়ন হওয়ার একটি সুন্দর পথ তৈরি হয়েছে বলে মনে করছেন সংস্থাটি।

৩৮তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষার ফল প্রকাশে বিলম্বের কারণ জানতে চাইলে পিএসসির চেয়ারম্যান ড. মোহাম্মদ সাদিক সংবাদকে বলেছেন, এবারই প্রথম তৃতীয় পরীক্ষক খাতা দেখছেন। এমনিতেই দুজন পরীক্ষক খাতা দেখতে সময় একটু বেশি লাগে। আর এবার তিনজন দেখছেন। এজন্য ফল প্রকাশে সময় একটু বেশি লাগছে। বর্তমানে মূল্যায়ন কার্যক্রম প্রায় শেষপর্যায়ে রয়েছে। আমরা আশা করছি, খুব দ্রুত ফল প্রকাশ করা সম্ভব হবে।

পিএসসির সদস্য অধ্যাপক ড. আবদুল জব্বার খান সংবাদকে বলেছেন, ‘পিএসসি কাজ করছে স্বচ্ছতার সঙ্গে ফল প্রকাশের লক্ষ্য নিয়ে। চাকরিপ্রার্থীদের স্বার্থের কথা চিন্তা করে একের পর এক পরীক্ষা ও ফল প্রকাশের যথাসাধ্য চেষ্টা করছেন কমিশনের সবাই। যার সুফলও পাচ্ছে চাকরি প্রার্থীরা।

এবার ৩৮তম বিসিএসে যেভাবে খাতা মূল্যায়ন হচ্ছে, এটা যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত অভিহিত করে তিনি বলেন, এটি একটি পরীক্ষার্থীবান্ধব উদ্যোগ। এর ফলে চাকরিপ্রার্থীরা তার খাতার ১০০ ভাগ সঠিক মূল্যায়নও পাবেন, যা বিসিএসে প্রথমবারের মতো প্রয়োগ করা হচ্ছে। এর ফলে সামান্য একটি দেরি হলেও সবচেয়ে বেশি লাভবান হবেন চাকরিপ্রার্থীরা।

৩৮তম বিসিএসে পদ বাড়ছে :

৩৮তম বিসিএসে পদ বৃদ্ধির বিষয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে চূড়ান্ত প্রস্তাব পিএসসির কাছে পৌঁছেছে। ৩৮তম বিসিএসে ১৩৬টি পদ বাড়ছে বলে পিএসসি সূত্রে জানা গেছে। এর ফলে এই বিসিএসে ১৩৬ জন বেশি নিয়োগ পাবেন। এর মধ্যে পররাষ্ট্র ক্যাডারে ৮টি, পরিবার পরিকল্পনায় ১০টি, গণপূর্তে (সিভিল) ৩৯টি ও মেকানিক্যালে ২৬টি, সড়ক ও জনপথে (সিভিল) ১৪টি ও মেকানিক্যালে ৪টি এবং ডাকে ৮টি পদ বেড়েছে বলে জনপ্রশাসন সূত্রে জানা গেছে।

কর্ম কমিশন সূত্র জানায়, ৩৮তম বিসিএসের মাধ্যমে জনপ্রশাসনে দুই হাজার ২৪ জন ক্যাডার কর্মকর্তা নিয়োগ করা হবে। এর মধ্যে প্রশাসন ক্যাডারের ৩০০টি, পুলিশ ক্যাডারের ১০০টি পদসহ সাধারণ ক্যাডারে মোট ৫২০টি, কারিগরি ও পেশাগত ক্যাডারে ৫৪৯টি, বিসিএস সাধারণ শিক্ষা ক্যাডারে ৯৫৫টি পদ থাকছে। তবে নতুন সিদ্ধান্ত অনুসারে পদ বেড়ে মোট দুই হাজার ১৬০ জন নিয়োগ পাবে।

৩৮তম বিসিএসের প্রিলিমিনারি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয় ২০১৭ সালের ২৯ ডিসেম্বর। আর এই বিসিএসের লিখিত পরীক্ষা শেষ হয় গত বছরের ১৩ আগস্ট। সাধারণত পরীক্ষা শেষ হওয়ার প্রায় দুই মাসের মধ্যে এর ফল প্রকাশ করা হয়। ৩৮তম বিসিএসে তিন লাখ ৮৯ হাজার ৪৬৮ জন প্রার্থী আবেদন করে।

৩৭তম বিসিএসে নন-ক্যাডারে নিয়োগ :

গতকাল পিএসসির কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বেশকিছু নিয়োগ পরীক্ষার বিষয়ে ইতিমধ্যেই টাইফ্রেম নির্ধারণ করেছে কমিশন। এছাড়া ৩৭ বিসিএসে যারা ক্যাডার পদ পাননি তাদের মধ্য থেকে প্রথম শ্রেণীর নন-ক্যাডার পদে আরও নিয়োগ দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।

পিএসসির একজন সদস্য জানিয়েছেন, চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে পিএসসি কাজ করছে স্বচ্ছতার সঙ্গে ফল প্রকাশের লক্ষ্য নিয়ে। চাকরিপ্রার্থীদের স্বার্থের কথা চিন্তা করে একের পর এক পরীক্ষা ও ফল প্রকাশের যথাসাধ্য চেষ্টা করছেন কমিশনের সবাই।

চেয়ারম্যান আরও বলেন, লিখিত পরীক্ষার প্রতিটি খাতা দুজন পরীক্ষক মূল্যায়ন করছেন। তাদের নম্বরের ব্যবধান ২০ শতাংশের বেশি হলে তৃতীয় পরীক্ষকের কাছে খাতা পাঠানো হয়। এর ফলে পরীক্ষার্থীদের মেধা যথাযথভাবে মূল্যায়িত হবে।

ক্যাডার পদ না পেলেও যাতে সর্বোচ্চসংখ্যক নন-ক্যাডার পদে চাকরি পান সেজন্য উদ্যোগী হয়েছে কমিশন। এরই অংশ হিসেবে ৩৭তম বিসিএস থেকে এক দফায় নন-ক্যাডার পদে নিয়োগের সুপারিশের পর এবার আরেক দফায় প্রথম শ্রেণীর নিয়োগের সুপারিশ করা হচ্ছে। আজকালের মধ্যেই আরও অন্তত ১০০ জন প্রথম শ্রেণীর নন-ক্যাডার পদেও জন্য সুপারিশ করা হবে।

এ ব্যাপারে পিএসসি চেয়ারম্যান ড. মোহাম্মদ সাদিক বলেন, ৩৭তম বিসিএস থেকে আমরা ইতিমধ্যে নন-ক্যাডারে এক দফা নিয়োগের সুপারিশ করেছি। এই বিসিএস থেকে এখন আমরা আরেক দফা নন-ক্যাডারে নিয়োগের জন্য সুপারিশ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।

এদিকে ৪০তম বিসিএসের প্রিলিমিনারি পরীক্ষার ফলও প্রকাশ করা হবে আসন্ন ঈদুল আজহার আগেই। গত ৩ মে অনুষ্ঠিত হয় ৪০তম বিসিএসের প্রিলিমিনারি পরীক্ষা। এই পরীক্ষায় নিবন্ধিত পরীক্ষার্থী ছিলেন বিবিএসের ইতিহাসে রেকর্ডসংখ্যক চার লাখ ১০ হাজার ৯৬৩ জন। কেন্দ্রে উপস্থিত ছিল তিন লাখ ২৭ হাজার ৫২৫ জন। অনুপস্থিত ছিল ৮৩ হাজার ৪৩৮ জন। উপস্থিতির হার শতকরা ৭৯ দশমিক ৭০ শতাংশ।

৪০তম বিসিএসে মোট এক হাজার ৯০৩ জন ক্যাডার নিয়োগ দেয়া হবে। তবে এই সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। ক্যাডার অনুসারে প্রশাসনে ২০০, পুলিশে ৭২, পররাষ্ট্রে ২৫, করে ২৪, শুল্ক আবগারিতে ৩২ ও শিক্ষা ক্যাডারে প্রায় ৮০০ জন নিয়োগ দেয়ার কথা।

সোমবার, ০১ জুলাই ২০১৯ , ১৭ আষাঢ় ১৪২৫, ২৭ শাওয়াল ১৪৪০

তিন বিসিএসের ফলাফল শীঘ্রই প্রকাশ

রাকিব উদ্দিন

শীঘ্রই ৩৭তম বিসিএসে নন-ক্যাডারে আরও নিয়োগের সুপারিশ, ৩৮তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষার ফল প্রকাশ ও ৪০তম বিসিএসের প্রিলিমিনারি পরীক্ষার ফল প্রকাশ হচ্ছে। গতকাল পিএসসির বোর্ড সভায় এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। একই সঙ্গে ৩৮তম বিসিএসে ১৩৬টি পদও বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত নিয়েছে সংস্থাটি। এছাড়া আজকালের মধ্যে ৩৭তম বিসিএসে নন-ক্যাডারে নিয়োগের সুপারিশ করছে পিএসসি।

এদিকে খাতা মূল্যায়নে আরও স্বচ্ছতা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে প্রথমবারের মতো দ্বিতীয় ও তৃতীয় পরীক্ষকের প্রয়োগ হওয়া ৩৮ বিসিএসের লিখিত পরীক্ষার ফল প্রকাশ হতে যাচ্ছে। প্রায় এক বছর আগে ৩৮তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষা নেয়া হলেও এর ফল প্রকাশ করতে পারেনি পিএসসি। প্রথমবারের মতো ৩৮তম বিসিএসের খাতা দ্বিতীয় ও তৃতীয় শিক্ষকের মাধ্যমে মূল্যায়ন করা হচ্ছে। এজন্য এই বিসিএসের লিখিত পরীক্ষার ফল প্রকাশে আরও কিছুদিন বিলম্ব হচ্ছে।

সরকারি কর্মকমিশনের একাধিক সদস্য ও কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের নির্দেশনা অনুযায়ী খাতা মূল্যায়নে নতুন এ উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। কারণ হিসেবে কর্মকর্তারা বলছেন, অনেক সময় পরীক্ষকের ভুলে বা অসাবধানতায় শিক্ষার্থীরা তাদের খাতার সঠিক মূল্যায়ল থেকে বঞ্চিত হয়। এজন্য এবার তৃতীয় পরীক্ষক রাখা হচ্ছে। ৩৮তম লিখিত পরীক্ষা থেকে এই নিয়ম কার্যকর হয়েছে।

এর আগে পিএসসিতে সবসময় একজন পরীক্ষক লিখিত পরীক্ষার খাতা মূল্যায়ন করতেন। কিন্তু ৩৮তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষার প্রতিটি খাতা দুজন পরীক্ষক মূল্যায়ন করছেন। এই দুই পরীক্ষকের প্রদত্ত নম্বরের ব্যবধান যদি ২০ শতাংশের বেশি হলে তৃতীয় পরীক্ষকের কাছে খাতা পাঠায় পিএসসি। ফলে পরীক্ষার্থীদের মেধা যথাযথভাবে মূল্যায়ন হওয়ার একটি সুন্দর পথ তৈরি হয়েছে বলে মনে করছেন সংস্থাটি।

৩৮তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষার ফল প্রকাশে বিলম্বের কারণ জানতে চাইলে পিএসসির চেয়ারম্যান ড. মোহাম্মদ সাদিক সংবাদকে বলেছেন, এবারই প্রথম তৃতীয় পরীক্ষক খাতা দেখছেন। এমনিতেই দুজন পরীক্ষক খাতা দেখতে সময় একটু বেশি লাগে। আর এবার তিনজন দেখছেন। এজন্য ফল প্রকাশে সময় একটু বেশি লাগছে। বর্তমানে মূল্যায়ন কার্যক্রম প্রায় শেষপর্যায়ে রয়েছে। আমরা আশা করছি, খুব দ্রুত ফল প্রকাশ করা সম্ভব হবে।

পিএসসির সদস্য অধ্যাপক ড. আবদুল জব্বার খান সংবাদকে বলেছেন, ‘পিএসসি কাজ করছে স্বচ্ছতার সঙ্গে ফল প্রকাশের লক্ষ্য নিয়ে। চাকরিপ্রার্থীদের স্বার্থের কথা চিন্তা করে একের পর এক পরীক্ষা ও ফল প্রকাশের যথাসাধ্য চেষ্টা করছেন কমিশনের সবাই। যার সুফলও পাচ্ছে চাকরি প্রার্থীরা।

এবার ৩৮তম বিসিএসে যেভাবে খাতা মূল্যায়ন হচ্ছে, এটা যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত অভিহিত করে তিনি বলেন, এটি একটি পরীক্ষার্থীবান্ধব উদ্যোগ। এর ফলে চাকরিপ্রার্থীরা তার খাতার ১০০ ভাগ সঠিক মূল্যায়নও পাবেন, যা বিসিএসে প্রথমবারের মতো প্রয়োগ করা হচ্ছে। এর ফলে সামান্য একটি দেরি হলেও সবচেয়ে বেশি লাভবান হবেন চাকরিপ্রার্থীরা।

৩৮তম বিসিএসে পদ বাড়ছে :

৩৮তম বিসিএসে পদ বৃদ্ধির বিষয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে চূড়ান্ত প্রস্তাব পিএসসির কাছে পৌঁছেছে। ৩৮তম বিসিএসে ১৩৬টি পদ বাড়ছে বলে পিএসসি সূত্রে জানা গেছে। এর ফলে এই বিসিএসে ১৩৬ জন বেশি নিয়োগ পাবেন। এর মধ্যে পররাষ্ট্র ক্যাডারে ৮টি, পরিবার পরিকল্পনায় ১০টি, গণপূর্তে (সিভিল) ৩৯টি ও মেকানিক্যালে ২৬টি, সড়ক ও জনপথে (সিভিল) ১৪টি ও মেকানিক্যালে ৪টি এবং ডাকে ৮টি পদ বেড়েছে বলে জনপ্রশাসন সূত্রে জানা গেছে।

কর্ম কমিশন সূত্র জানায়, ৩৮তম বিসিএসের মাধ্যমে জনপ্রশাসনে দুই হাজার ২৪ জন ক্যাডার কর্মকর্তা নিয়োগ করা হবে। এর মধ্যে প্রশাসন ক্যাডারের ৩০০টি, পুলিশ ক্যাডারের ১০০টি পদসহ সাধারণ ক্যাডারে মোট ৫২০টি, কারিগরি ও পেশাগত ক্যাডারে ৫৪৯টি, বিসিএস সাধারণ শিক্ষা ক্যাডারে ৯৫৫টি পদ থাকছে। তবে নতুন সিদ্ধান্ত অনুসারে পদ বেড়ে মোট দুই হাজার ১৬০ জন নিয়োগ পাবে।

৩৮তম বিসিএসের প্রিলিমিনারি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয় ২০১৭ সালের ২৯ ডিসেম্বর। আর এই বিসিএসের লিখিত পরীক্ষা শেষ হয় গত বছরের ১৩ আগস্ট। সাধারণত পরীক্ষা শেষ হওয়ার প্রায় দুই মাসের মধ্যে এর ফল প্রকাশ করা হয়। ৩৮তম বিসিএসে তিন লাখ ৮৯ হাজার ৪৬৮ জন প্রার্থী আবেদন করে।

৩৭তম বিসিএসে নন-ক্যাডারে নিয়োগ :

গতকাল পিএসসির কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বেশকিছু নিয়োগ পরীক্ষার বিষয়ে ইতিমধ্যেই টাইফ্রেম নির্ধারণ করেছে কমিশন। এছাড়া ৩৭ বিসিএসে যারা ক্যাডার পদ পাননি তাদের মধ্য থেকে প্রথম শ্রেণীর নন-ক্যাডার পদে আরও নিয়োগ দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।

পিএসসির একজন সদস্য জানিয়েছেন, চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে পিএসসি কাজ করছে স্বচ্ছতার সঙ্গে ফল প্রকাশের লক্ষ্য নিয়ে। চাকরিপ্রার্থীদের স্বার্থের কথা চিন্তা করে একের পর এক পরীক্ষা ও ফল প্রকাশের যথাসাধ্য চেষ্টা করছেন কমিশনের সবাই।

চেয়ারম্যান আরও বলেন, লিখিত পরীক্ষার প্রতিটি খাতা দুজন পরীক্ষক মূল্যায়ন করছেন। তাদের নম্বরের ব্যবধান ২০ শতাংশের বেশি হলে তৃতীয় পরীক্ষকের কাছে খাতা পাঠানো হয়। এর ফলে পরীক্ষার্থীদের মেধা যথাযথভাবে মূল্যায়িত হবে।

ক্যাডার পদ না পেলেও যাতে সর্বোচ্চসংখ্যক নন-ক্যাডার পদে চাকরি পান সেজন্য উদ্যোগী হয়েছে কমিশন। এরই অংশ হিসেবে ৩৭তম বিসিএস থেকে এক দফায় নন-ক্যাডার পদে নিয়োগের সুপারিশের পর এবার আরেক দফায় প্রথম শ্রেণীর নিয়োগের সুপারিশ করা হচ্ছে। আজকালের মধ্যেই আরও অন্তত ১০০ জন প্রথম শ্রেণীর নন-ক্যাডার পদেও জন্য সুপারিশ করা হবে।

এ ব্যাপারে পিএসসি চেয়ারম্যান ড. মোহাম্মদ সাদিক বলেন, ৩৭তম বিসিএস থেকে আমরা ইতিমধ্যে নন-ক্যাডারে এক দফা নিয়োগের সুপারিশ করেছি। এই বিসিএস থেকে এখন আমরা আরেক দফা নন-ক্যাডারে নিয়োগের জন্য সুপারিশ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।

এদিকে ৪০তম বিসিএসের প্রিলিমিনারি পরীক্ষার ফলও প্রকাশ করা হবে আসন্ন ঈদুল আজহার আগেই। গত ৩ মে অনুষ্ঠিত হয় ৪০তম বিসিএসের প্রিলিমিনারি পরীক্ষা। এই পরীক্ষায় নিবন্ধিত পরীক্ষার্থী ছিলেন বিবিএসের ইতিহাসে রেকর্ডসংখ্যক চার লাখ ১০ হাজার ৯৬৩ জন। কেন্দ্রে উপস্থিত ছিল তিন লাখ ২৭ হাজার ৫২৫ জন। অনুপস্থিত ছিল ৮৩ হাজার ৪৩৮ জন। উপস্থিতির হার শতকরা ৭৯ দশমিক ৭০ শতাংশ।

৪০তম বিসিএসে মোট এক হাজার ৯০৩ জন ক্যাডার নিয়োগ দেয়া হবে। তবে এই সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। ক্যাডার অনুসারে প্রশাসনে ২০০, পুলিশে ৭২, পররাষ্ট্রে ২৫, করে ২৪, শুল্ক আবগারিতে ৩২ ও শিক্ষা ক্যাডারে প্রায় ৮০০ জন নিয়োগ দেয়ার কথা।