ছালমা খাতুনের মা চায়না বেগমকে পুলিশে ধরেছে। দারোগা বলেছেন ৫০ হাজার টাকায় দিলে ছাড়া পাবে। না হলে যেতে হবে জেলখানায়। মাকে ছাড়াতে হবে তাই নিজের গহনা বন্ধক রেখে দারোগাকে ৩০ হাজার টাকা দিয়েছিলাম। তারপরও ষড়যন্ত্রমূলক মামলায় দিয়ে মাকে মাত্র ১৩ মাস বয়সী কোলের শিশুসহ পাঠানো হলো জেল হাজতে। ঘটনাটি ঘটেছে ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ থানায়। কথাগুলো বললেন আটক চায়না বেগমের মেয়ে ছালমা খাতুন।
আটক চায়না বেগমের স্বামী আব্দুস সালাম ও তার পরিবাবের সদস্যদের ভাষ্য, শহরের ব্রিকফিল্ড এলাকায় তারা বসবাস করেন। রোববার সকালে তিনি গৃহস্থালীর কাজ করছিলেন। এ সময় প্রতিবেশি সেলিমের পুত্র ঈমনসহ ১০-১২ জন যুবক তার বাড়িতে প্রবেশ করে। তারা বাড়ি সংলগ্ন প্রতিবেশী শিল্পী খাতেুনের চালের ওপরে থাকা ৪ বোতল ফেনসিডিল বের করে চায়না খাতুনকে ধরে পুলিশে দেয়। পরে তারা থানাতে গেলে এস আই দেলোয়ার ৫০ হাজার টাকা ঘুষ দাবি করে। দরকষাকষির এক পর্যায়ে চায়না বেগমের মেয়ে ছালমা খাতুন তার গলার ২টি চেইন ও ২টি কানের দুল বাজারে একটি স্বর্ণের দোকানে ৩০ হাজার টাকা বন্ধক রেখে রোববার সকাল সাড়ে ১১টার দিকে থানাতে গিয়ে এস আই দেলোয়ার হোসেনকে ওই ৩০ হাজার টাকা দেন। এ সময় পুলিশ আটক চায়নাকে দুপুরের পর ছেড়ে দেয়ার আশ্বাস দিলেও তাকে না ছেড়ে সোমবার সকালে চায়না বেগমকে ১৩ মাসের শিশুসহ আদালতে প্রেরণ করে। এ বিষয়ে থানার এস আই দেলোয়ার হোসেন আসামি ছাড়তে টাকা নেবার বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, আটক চায়না বেগম একজন পুরাতন মাদক ব্যাবসায়ী। জনতা মাদকসহ থানায় সোপর্দ করায় তাকে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। কালীগঞ্জ থানার ওসি ইউনুচ আলী জানান, এস আই দেলোয়ার কোন আসামির পরিবারের কাছে থেকে টাকা নিয়েছেন এমন খবর তিনি জানেন না। তবে, তদন্তপূর্বক দোষী সাব্যস্ত হলে এস আই দেলোয়ারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিবেন বলে বলে তিনি আশ্বস্ত করেন।
বৃহস্পতিবার, ০৪ জুলাই ২০১৯ , ২০ আষাঢ় ১৪২৫, ৩০ শাওয়াল ১৪৪০
প্রতিনিধি, কালীগঞ্জ (ঝিনাইদহ)
ছালমা খাতুনের মা চায়না বেগমকে পুলিশে ধরেছে। দারোগা বলেছেন ৫০ হাজার টাকায় দিলে ছাড়া পাবে। না হলে যেতে হবে জেলখানায়। মাকে ছাড়াতে হবে তাই নিজের গহনা বন্ধক রেখে দারোগাকে ৩০ হাজার টাকা দিয়েছিলাম। তারপরও ষড়যন্ত্রমূলক মামলায় দিয়ে মাকে মাত্র ১৩ মাস বয়সী কোলের শিশুসহ পাঠানো হলো জেল হাজতে। ঘটনাটি ঘটেছে ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ থানায়। কথাগুলো বললেন আটক চায়না বেগমের মেয়ে ছালমা খাতুন।
আটক চায়না বেগমের স্বামী আব্দুস সালাম ও তার পরিবাবের সদস্যদের ভাষ্য, শহরের ব্রিকফিল্ড এলাকায় তারা বসবাস করেন। রোববার সকালে তিনি গৃহস্থালীর কাজ করছিলেন। এ সময় প্রতিবেশি সেলিমের পুত্র ঈমনসহ ১০-১২ জন যুবক তার বাড়িতে প্রবেশ করে। তারা বাড়ি সংলগ্ন প্রতিবেশী শিল্পী খাতেুনের চালের ওপরে থাকা ৪ বোতল ফেনসিডিল বের করে চায়না খাতুনকে ধরে পুলিশে দেয়। পরে তারা থানাতে গেলে এস আই দেলোয়ার ৫০ হাজার টাকা ঘুষ দাবি করে। দরকষাকষির এক পর্যায়ে চায়না বেগমের মেয়ে ছালমা খাতুন তার গলার ২টি চেইন ও ২টি কানের দুল বাজারে একটি স্বর্ণের দোকানে ৩০ হাজার টাকা বন্ধক রেখে রোববার সকাল সাড়ে ১১টার দিকে থানাতে গিয়ে এস আই দেলোয়ার হোসেনকে ওই ৩০ হাজার টাকা দেন। এ সময় পুলিশ আটক চায়নাকে দুপুরের পর ছেড়ে দেয়ার আশ্বাস দিলেও তাকে না ছেড়ে সোমবার সকালে চায়না বেগমকে ১৩ মাসের শিশুসহ আদালতে প্রেরণ করে। এ বিষয়ে থানার এস আই দেলোয়ার হোসেন আসামি ছাড়তে টাকা নেবার বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, আটক চায়না বেগম একজন পুরাতন মাদক ব্যাবসায়ী। জনতা মাদকসহ থানায় সোপর্দ করায় তাকে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। কালীগঞ্জ থানার ওসি ইউনুচ আলী জানান, এস আই দেলোয়ার কোন আসামির পরিবারের কাছে থেকে টাকা নিয়েছেন এমন খবর তিনি জানেন না। তবে, তদন্তপূর্বক দোষী সাব্যস্ত হলে এস আই দেলোয়ারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিবেন বলে বলে তিনি আশ্বস্ত করেন।