বেয়ারস্টোর শতকে ভালো সংগ্রহ ইংল্যান্ডের

বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে ওঠার জন্য নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে জয়ের বিকল্প নেই স্বাগতিকদের। এমন একটা ম্যাচে উড়ন্ত সূচনা পেয়েও শেষদিকে কিউই বোলারদের দাপটে আর সংগ্রহটা তেমন বড় হয়নি বৃটিশদের। অথচ জনি বেয়ারস্টো আর জেসন রয় যেভাবে শুরু করেছিলেন, তাতে চোখ বুজেই বলে দেয়া যাচ্ছিল তিনশ’ ছাড়ানো বড় স্কোর গড়তে যাচ্ছে ইংল্যান্ড। বেয়ারস্টোর সেঞ্চুরির পর এই ধারণা আরও বদ্ধমূল হয়। কিন্তু তখন থেকেই ম্যাচে ফেরে কিউইরা। বল হাতে ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠেন ট্রেন্ট বোল্ট, জেমস নিশামরা। যে কারণে তিনশ’ পার করলেও নির্ধারিত ৫০ ওভার শেষে ইংলিশদের সংগ্রহ দাঁড়ায় ৮ উইকেটে ৩০৫ রান।

ঘরের মাঠের পরিচিত কন্ডিশনে আয়োজিত বিশ্বকাপের ম্যাচগুলোতে ইংল্যান্ড দল বাড়তি সুবিধা পাবে-এটাই স্বাভাবিক। বাস্তবতা বলছে হয় শুরুতে, না হয় মাঝের ওভারগুলোতেই ইংলিশ ব্যাটিং ডিপার্টমেন্ট খেই হারাচ্ছে। দলটার বর্তমান ব্যাটিং লাইন আপের যে সামর্থ্য, তাতে করে এবারের আসরে খেলা প্রতিটা দলের বিপক্ষেই তিনশ’ থেকে সাড়ে তিনশ’ রান জমা করা ইংলিশদের পক্ষে আহামরি কিছু নয়। কিন্তু, নার্ভাসনেস কাটছে না কোনভাবেই। চেস্টার লি স্ট্রিটের ব্যাটিং সহায়ক উইকেটে টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে ইংলিশদের উড়ন্ত সূচনা এনে দেন দুই ওপেনার জনি বেয়ারস্টো ও জেসন রয়। ওপেনিং জুটিতে তরতর করে ওঠে ১২৩ রান। ৬১ বলে ৮ বাউন্ডারিতে ৬০ রান করা জেসন রয়কে স্যান্টনারের তালুবন্দী করে এই জুটি ভাঙেন জেমস নিশাম। ৪৬ বলে হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেওয়া বেয়ারস্টো এগিয়ে যান তিন অংকের পথে। কিউই বোলারদের তুলোধুনো করে সেঞ্চুরি তুলে নেন ৯৫ বলে। তার সঙ্গী জো রুটকে (২৪) টম লাথামের গ্লাভসবন্দি করান ট্রেন্ট বোল্ট।

সেঞ্চুরির পর বেয়ারস্টোর ইনিংসটা বেশিদূর যায়নি। ৯৯ বলে ১৫ বাউন্ডারি ও ১ ছক্কায় ১০৬ রান তুলে জিমি নিশামের বলে বোল্ড হয়ে যান এই ওপেনার। কিউই বোলাররা চেপে ধরে পরবর্তী ব্যাটসম্যানদের। বোল্টের দ্বিতীয় শিকার হয়ে জস বাটলার ফেরেন ১১ রানে। অল-রাউন্ডার বেন স্টোকস গতকাল বড় স্কোর গড়তে পারেননি। মিচেল স্যান্টনারের শিকার হয়েছেন ১১ রানে। ক্রিস ওকসকে দ্বিতীয় শিকারে পরিণত করেন জিমি নিশাম। অধিনায়ক এউইন মরগানকে (৪২) প্যাভিলিয়নে ফেরত পাঠান স্যান্টনার। শেষ দিকে লিয়াম প্লাংকেটের অপরাজিত ১৫ আর আদিল রশিদের (১৬) ব্যাটে ৫০ ওভারে ৮ উইকেটে ৩০৫ রান তোলে ইংলিশরা।

কিউই বোলারদের মধ্যে ট্রেন্ট বোল্ট, জিমি নিশাম ও ম্যাট হেনরি দুটো করে উইকেটের পতন ঘটান।

সংক্ষিপ্ত স্কোর : মইংল্যান্ড: ৫০ ওভারে ৩০৫/৮ (রয় ৬০, বেয়ারস্টো ১০৬, রুট ২৪, বাটলার ১১, মর্গ্যান ৪২, স্টোকস ১১, ওকস ৪, প্লানকেট ১৫*, রশিদ ১৬, আর্চার ১*; স্যান্টনার ১০-০-৬৫-১, বোল্ট ১০-০-৫৬-২, সাউদি ৯-০-৭০-১, হেনরি ১০-০-৫৪-২, ডি গ্র্যান্ডহোম ১-০-১১-০, নিশাম ১০-১-৪১-২)।

বৃহস্পতিবার, ০৪ জুলাই ২০১৯ , ২০ আষাঢ় ১৪২৫, ৩০ শাওয়াল ১৪৪০

বেয়ারস্টোর শতকে ভালো সংগ্রহ ইংল্যান্ডের

বিশেষ প্রতিনিধি

image

সেঞ্চুরির পর বেয়ারস্টোরের উল্লাস

বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে ওঠার জন্য নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে জয়ের বিকল্প নেই স্বাগতিকদের। এমন একটা ম্যাচে উড়ন্ত সূচনা পেয়েও শেষদিকে কিউই বোলারদের দাপটে আর সংগ্রহটা তেমন বড় হয়নি বৃটিশদের। অথচ জনি বেয়ারস্টো আর জেসন রয় যেভাবে শুরু করেছিলেন, তাতে চোখ বুজেই বলে দেয়া যাচ্ছিল তিনশ’ ছাড়ানো বড় স্কোর গড়তে যাচ্ছে ইংল্যান্ড। বেয়ারস্টোর সেঞ্চুরির পর এই ধারণা আরও বদ্ধমূল হয়। কিন্তু তখন থেকেই ম্যাচে ফেরে কিউইরা। বল হাতে ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠেন ট্রেন্ট বোল্ট, জেমস নিশামরা। যে কারণে তিনশ’ পার করলেও নির্ধারিত ৫০ ওভার শেষে ইংলিশদের সংগ্রহ দাঁড়ায় ৮ উইকেটে ৩০৫ রান।

ঘরের মাঠের পরিচিত কন্ডিশনে আয়োজিত বিশ্বকাপের ম্যাচগুলোতে ইংল্যান্ড দল বাড়তি সুবিধা পাবে-এটাই স্বাভাবিক। বাস্তবতা বলছে হয় শুরুতে, না হয় মাঝের ওভারগুলোতেই ইংলিশ ব্যাটিং ডিপার্টমেন্ট খেই হারাচ্ছে। দলটার বর্তমান ব্যাটিং লাইন আপের যে সামর্থ্য, তাতে করে এবারের আসরে খেলা প্রতিটা দলের বিপক্ষেই তিনশ’ থেকে সাড়ে তিনশ’ রান জমা করা ইংলিশদের পক্ষে আহামরি কিছু নয়। কিন্তু, নার্ভাসনেস কাটছে না কোনভাবেই। চেস্টার লি স্ট্রিটের ব্যাটিং সহায়ক উইকেটে টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে ইংলিশদের উড়ন্ত সূচনা এনে দেন দুই ওপেনার জনি বেয়ারস্টো ও জেসন রয়। ওপেনিং জুটিতে তরতর করে ওঠে ১২৩ রান। ৬১ বলে ৮ বাউন্ডারিতে ৬০ রান করা জেসন রয়কে স্যান্টনারের তালুবন্দী করে এই জুটি ভাঙেন জেমস নিশাম। ৪৬ বলে হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেওয়া বেয়ারস্টো এগিয়ে যান তিন অংকের পথে। কিউই বোলারদের তুলোধুনো করে সেঞ্চুরি তুলে নেন ৯৫ বলে। তার সঙ্গী জো রুটকে (২৪) টম লাথামের গ্লাভসবন্দি করান ট্রেন্ট বোল্ট।

সেঞ্চুরির পর বেয়ারস্টোর ইনিংসটা বেশিদূর যায়নি। ৯৯ বলে ১৫ বাউন্ডারি ও ১ ছক্কায় ১০৬ রান তুলে জিমি নিশামের বলে বোল্ড হয়ে যান এই ওপেনার। কিউই বোলাররা চেপে ধরে পরবর্তী ব্যাটসম্যানদের। বোল্টের দ্বিতীয় শিকার হয়ে জস বাটলার ফেরেন ১১ রানে। অল-রাউন্ডার বেন স্টোকস গতকাল বড় স্কোর গড়তে পারেননি। মিচেল স্যান্টনারের শিকার হয়েছেন ১১ রানে। ক্রিস ওকসকে দ্বিতীয় শিকারে পরিণত করেন জিমি নিশাম। অধিনায়ক এউইন মরগানকে (৪২) প্যাভিলিয়নে ফেরত পাঠান স্যান্টনার। শেষ দিকে লিয়াম প্লাংকেটের অপরাজিত ১৫ আর আদিল রশিদের (১৬) ব্যাটে ৫০ ওভারে ৮ উইকেটে ৩০৫ রান তোলে ইংলিশরা।

কিউই বোলারদের মধ্যে ট্রেন্ট বোল্ট, জিমি নিশাম ও ম্যাট হেনরি দুটো করে উইকেটের পতন ঘটান।

সংক্ষিপ্ত স্কোর : মইংল্যান্ড: ৫০ ওভারে ৩০৫/৮ (রয় ৬০, বেয়ারস্টো ১০৬, রুট ২৪, বাটলার ১১, মর্গ্যান ৪২, স্টোকস ১১, ওকস ৪, প্লানকেট ১৫*, রশিদ ১৬, আর্চার ১*; স্যান্টনার ১০-০-৬৫-১, বোল্ট ১০-০-৫৬-২, সাউদি ৯-০-৭০-১, হেনরি ১০-০-৫৪-২, ডি গ্র্যান্ডহোম ১-০-১১-০, নিশাম ১০-১-৪১-২)।