মার্কিন নীতির কারণেই ইরান পাল্টা ব্যবস্থা নিয়েছে

চীন

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সর্বোচ্চ চাপ প্রয়োগের নীতির কারণেই পাল্টা ব্যবস্থা হিসেবে ২০১৫ সালের পরমাণু সমঝোতার কিছু ধারা বাস্তবায়নের প্রতিশ্রুতি থেকে ইরান সরে এসেছে বলে মনে করছে চীন। বহুপক্ষীয় পরমাণু সমঝোতা থেকে গত বছর যুক্তরাষ্ট্রকে বের করে নেন ট্রাম্প। এএফপি।

এক প্রতিবেদনে বলা হয়, রাজধানী বেইজিংয়ে চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র গেং শোয়াং গত মঙ্গলবার সাংবাদিকদের বলেন, আমরা এর আগে বহুবার বলেছি, যুক্তরাষ্ট্রের সর্বোচ্চ চাপ প্রয়োগের নীতিই বর্তমান সংকটের মূল কারণ। তিনি বলেন, পরমাণু সমঝোতা বিষয়ে ইরান যে পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে, এতে দুঃখ প্রকাশ করেছে চীন। তবে একই সঙ্গে চীন এও মনে করে- পরিস্থিতির যাতে আরও অবনতি না হয়, এ জন্য সবপক্ষকে দীর্ঘ মেয়াদে ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি পোষণ করতে ধৈর্য ধারণ করতে হবে। এর পাশাপাশি পরমাণু সমঝোতা পুরোপুরি বাস্তবায়নের ওপরও গুরুত্ব দিতে হবে। ইরানের সঙ্গে চীনসহ যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, রাশিয়া ও জার্মানি পরমাণু সমঝোতায় সই করে ২০১৫ সালে।

এদিকে ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোহাম্মাদ জাভেদ জারিফ গত সোমবার জানান, তার দেশ ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণে মুজদের সীমা বাড়িয়েছে। ২০১৫ সালে সই হওয়া পরমাণু সমঝোতার ২৬ ও ৩৬ নম্বর ধারা অনুসারে ৬ জাতিগোষ্ঠীর কোন পক্ষ চুক্তি লঙ্ঘন করল, ইরান ওই সীমা মানতে বাধ্য থাকবে না।

ইরান ওই দুই ধারা মোতাবেকই এমন পদক্ষেপ নিয়েছে। ওই ধারায় বলা হয়েছে, ইরান ৩০০ কেজি পর্যন্ত সমৃদ্ধ ইউরেনিয়াম মজুদ করতে পারবে।

বৃহস্পতিবার, ০৪ জুলাই ২০১৯ , ২০ আষাঢ় ১৪২৫, ৩০ শাওয়াল ১৪৪০

মার্কিন নীতির কারণেই ইরান পাল্টা ব্যবস্থা নিয়েছে

চীন

সংবাদ ডেস্ক

image

গেং শোয়াং

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সর্বোচ্চ চাপ প্রয়োগের নীতির কারণেই পাল্টা ব্যবস্থা হিসেবে ২০১৫ সালের পরমাণু সমঝোতার কিছু ধারা বাস্তবায়নের প্রতিশ্রুতি থেকে ইরান সরে এসেছে বলে মনে করছে চীন। বহুপক্ষীয় পরমাণু সমঝোতা থেকে গত বছর যুক্তরাষ্ট্রকে বের করে নেন ট্রাম্প। এএফপি।

এক প্রতিবেদনে বলা হয়, রাজধানী বেইজিংয়ে চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র গেং শোয়াং গত মঙ্গলবার সাংবাদিকদের বলেন, আমরা এর আগে বহুবার বলেছি, যুক্তরাষ্ট্রের সর্বোচ্চ চাপ প্রয়োগের নীতিই বর্তমান সংকটের মূল কারণ। তিনি বলেন, পরমাণু সমঝোতা বিষয়ে ইরান যে পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে, এতে দুঃখ প্রকাশ করেছে চীন। তবে একই সঙ্গে চীন এও মনে করে- পরিস্থিতির যাতে আরও অবনতি না হয়, এ জন্য সবপক্ষকে দীর্ঘ মেয়াদে ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি পোষণ করতে ধৈর্য ধারণ করতে হবে। এর পাশাপাশি পরমাণু সমঝোতা পুরোপুরি বাস্তবায়নের ওপরও গুরুত্ব দিতে হবে। ইরানের সঙ্গে চীনসহ যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, রাশিয়া ও জার্মানি পরমাণু সমঝোতায় সই করে ২০১৫ সালে।

এদিকে ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোহাম্মাদ জাভেদ জারিফ গত সোমবার জানান, তার দেশ ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণে মুজদের সীমা বাড়িয়েছে। ২০১৫ সালে সই হওয়া পরমাণু সমঝোতার ২৬ ও ৩৬ নম্বর ধারা অনুসারে ৬ জাতিগোষ্ঠীর কোন পক্ষ চুক্তি লঙ্ঘন করল, ইরান ওই সীমা মানতে বাধ্য থাকবে না।

ইরান ওই দুই ধারা মোতাবেকই এমন পদক্ষেপ নিয়েছে। ওই ধারায় বলা হয়েছে, ইরান ৩০০ কেজি পর্যন্ত সমৃদ্ধ ইউরেনিয়াম মজুদ করতে পারবে।