২৫ জুলাই থেকে সরাসরি ট্রেন চলাচল শুরু

রেলমন্ত্রী

বেনাপোল-ঢাকা সরাসরি ট্রেন চলাচল ২৫ জুলাই থেকে চালু হচ্ছে বলে জানালেন রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন। বুধবার বিকালে বেনাপোল রেলস্টেশন পরিদর্শন শেষে তিনি সাংবাদিকদের এ কথা জানান। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঢাকা থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ট্রেন চলাচলের উদ্বোধন করবেন বলেও তিনি জানান।

ঢাকার সঙ্গে রেল যোগাযোগ চালু হলে ব্যবসা-বাণিজ্যের পাশাপাশি পাসপোর্ট যাত্রী যাতায়াতের ব্যাপক সুবিধা হবে। প্রতিদিন দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে ভারতে ছয় হাজার থেকে সাত হাজার পাসপোর্টযাত্রী যাতায়াত করে থাকেন। এই যাত্রীদের সিংহভাগ আসেন ঢাকা থেকে। বেনাপোল থেকে পরিবহন সংকট, দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া ফেরিঘাটে যানজটের কারণে যাত্রীরা নানামুখী হয়রানির শিকার হন। রেল চালু হওয়ায় ওই হয়রানি লাঘব হবে।

রেলমন্ত্রী বলেন, রেলটিতে ১০টি বগি থাকবে। তবে এ রেলের নাম এখনও নির্ধারণ হয়নি। প্রাথমিকভাবে বেনাপোল এক্সপ্রেস, বন্দর এক্সপ্রেস ও ইছামতি এক্সপ্রেস- এ ৩টি নাম পছন্দ করা হয়েছে। তিনি বলেন, ১০টি বগির ভেতর দুটি ক্যাবিন, দুটি এসি চেয়ার ও বাকিগুলো চেয়ার থাকবে। ক্যাবিনের ভাড়া প্রাথমিকভাবে ১ হাজার ২০০, এসি চেয়ারের ১ হাজার ও নন-এসি চেয়ারের হবে ৫০০ টাকা। এ সার্ভিসটি যশোর ও ঈশ্বরদী স্টপেজে থামবে। এক কথায় ননস্টপ হিসেবে এ রেলটি চলবে।

রেলমন্ত্রী বেনাপোলে এলে তাকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান শার্শা উপেজলা চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ সভাপতি সিরাজুল হক মঞ্জু, সাধারণ সম্পাদক আলহাজ নুরুজ্জামান, বেনাপোল পৌরসভার মেয়র আশরাফুল আলম লিটন, বেনাপোল সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশন সভাপতি আলহাজ মফিজুর রহমান সজন, ভারত-বাংলাদেশ ল্যান্ডপোর্ট চেম্বার অব কমার্সের বন্দর সাব-কমিটির চেয়ারম্যান আলহাজ মতিয়ার রহমান, বেনাপোল প্রেস ক্লাব সভাপতি আলহাজ মহসিন মিলন, সাধারণ সম্পাদক রাশেদুর রহমান রাশু, উপজেলা ছাত্রলীগ সভাপতি আবদুর রহিম সরদার, স্বেচ্ছাসেবক লীগ সভাপতি জুলফিকার আলী মন্টু প্রমুখ।

বেনাপোল থেকে ফিরে রেলমন্ত্রী যশোর রেলস্টেশনও পরিদর্শন করেন।

বৃহস্পতিবার, ০৪ জুলাই ২০১৯ , ২০ আষাঢ় ১৪২৫, ৩০ শাওয়াল ১৪৪০

ঢাকা-বেনাপোল

২৫ জুলাই থেকে সরাসরি ট্রেন চলাচল শুরু

রেলমন্ত্রী

দেবুল কুমার দাস, বেনাপোল

বেনাপোল-ঢাকা সরাসরি ট্রেন চলাচল ২৫ জুলাই থেকে চালু হচ্ছে বলে জানালেন রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন। বুধবার বিকালে বেনাপোল রেলস্টেশন পরিদর্শন শেষে তিনি সাংবাদিকদের এ কথা জানান। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঢাকা থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ট্রেন চলাচলের উদ্বোধন করবেন বলেও তিনি জানান।

ঢাকার সঙ্গে রেল যোগাযোগ চালু হলে ব্যবসা-বাণিজ্যের পাশাপাশি পাসপোর্ট যাত্রী যাতায়াতের ব্যাপক সুবিধা হবে। প্রতিদিন দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে ভারতে ছয় হাজার থেকে সাত হাজার পাসপোর্টযাত্রী যাতায়াত করে থাকেন। এই যাত্রীদের সিংহভাগ আসেন ঢাকা থেকে। বেনাপোল থেকে পরিবহন সংকট, দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া ফেরিঘাটে যানজটের কারণে যাত্রীরা নানামুখী হয়রানির শিকার হন। রেল চালু হওয়ায় ওই হয়রানি লাঘব হবে।

রেলমন্ত্রী বলেন, রেলটিতে ১০টি বগি থাকবে। তবে এ রেলের নাম এখনও নির্ধারণ হয়নি। প্রাথমিকভাবে বেনাপোল এক্সপ্রেস, বন্দর এক্সপ্রেস ও ইছামতি এক্সপ্রেস- এ ৩টি নাম পছন্দ করা হয়েছে। তিনি বলেন, ১০টি বগির ভেতর দুটি ক্যাবিন, দুটি এসি চেয়ার ও বাকিগুলো চেয়ার থাকবে। ক্যাবিনের ভাড়া প্রাথমিকভাবে ১ হাজার ২০০, এসি চেয়ারের ১ হাজার ও নন-এসি চেয়ারের হবে ৫০০ টাকা। এ সার্ভিসটি যশোর ও ঈশ্বরদী স্টপেজে থামবে। এক কথায় ননস্টপ হিসেবে এ রেলটি চলবে।

রেলমন্ত্রী বেনাপোলে এলে তাকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান শার্শা উপেজলা চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ সভাপতি সিরাজুল হক মঞ্জু, সাধারণ সম্পাদক আলহাজ নুরুজ্জামান, বেনাপোল পৌরসভার মেয়র আশরাফুল আলম লিটন, বেনাপোল সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশন সভাপতি আলহাজ মফিজুর রহমান সজন, ভারত-বাংলাদেশ ল্যান্ডপোর্ট চেম্বার অব কমার্সের বন্দর সাব-কমিটির চেয়ারম্যান আলহাজ মতিয়ার রহমান, বেনাপোল প্রেস ক্লাব সভাপতি আলহাজ মহসিন মিলন, সাধারণ সম্পাদক রাশেদুর রহমান রাশু, উপজেলা ছাত্রলীগ সভাপতি আবদুর রহিম সরদার, স্বেচ্ছাসেবক লীগ সভাপতি জুলফিকার আলী মন্টু প্রমুখ।

বেনাপোল থেকে ফিরে রেলমন্ত্রী যশোর রেলস্টেশনও পরিদর্শন করেন।