কলমাকান্দা

মহাদেও নদীর বাঁধ ভেঙে শতাধিক বসতি বিলীন, হুমকিতে ৩৫০ বাড়ি

নেত্রকোনার কলমাকান্দায় নিম্নমানের কাজ হওয়ায় চিকুনটুপ এলাকায় পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) মহাদেও নদী তীর সংরক্ষণ বাঁধ ধসে পড়েছে।

টেকসই বেড়িবাঁধ না হওয়ায় এ পর্যন্ত উপজেলার সীমান্তবর্তী রংছাতী ইউনিয়নের চিকুনটুপ গ্রামের শতাধিক পরিবারের বসতঘর জমি পাহাড়ি মহাদেও নদীতে বিলীন হয়ে গেছে। এ বছরও পাহাড়ি ঢলে নদী ভাঙনের আশঙ্কা রয়েছে। বিলীন হয়ে যেতে পারে বরুয়াকোনা বাজার, বিওপি ক্যাম্প, চিকুনটুপ গ্রামে ৩৫০ পরিবার বসতঘর জমি।

গত শুক্রবার সরেজমিনে দেখা যায়, বাঁশ ও বালুর বস্তা দিয়ে দায়সাড়াভাবে কাজ করেছেন ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। এ কাজের কোন উপকার হবে না বলে জানান স্থানীয়রা। স্থানীয় ইউপি সদস্য মো. আতাউল হক গনি জানান, গেল বছর উপজেলার সীমান্তবর্তী মহাদেও নদী পাড় চিকুনটুপ এলাকায় পাহাড়ি ঢল এর আকস্মিক ক্ষয়ক্ষতি থেকে রক্ষা করার জন্য নেত্রকোনার পানি উন্নয়ন বোর্ড ২৮০ মি. (১ হাজার হাত লম্বা) একটি বাঁধ প্রায় ২৮ লাখ টাকা ব্যয়ে নির্ধারণ করে প্রকল্পের দরপত্র আহ্বান করেন। পরে নিয়োগপ্রাপ্ত ঠিকাদার প্রাক্কলন অনুযায়ী কোন কাজ করেননি বলে জানান ওই ইউপি সদস্য। তিনি আরও বলেন বাঁশ ও বালু বস্তা দিয়ে দায়সাড়াভাবে কাজ করেন। যার ফলে এ কাজের কোন উপকার আসেনি স্থানীয় বাসিন্দাদের।

চিকুনটুপের বাসিন্দা আ. রব হাওলাদার জানান, এ বছর ফেব্রুয়ারি মাসে কাজ শেষ হওয়ার দু’মাস পর পাউবো মহাদেও নদী সংরক্ষণ বাঁধ ধসে পড়ে।

এ বিষয়ে রংছাতী ইউপি চেয়ারম্যান মোছাৎ তাহেরা খাতুন তদন্তপূর্বক ঠিকাদার ও সংশ্লিষ্ট তদারকি কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনী ব্যবসা নেয়ার দাবি জানান তিনি। এ ব্যাপারে নেত্রকোনা পানি উন্নয়ন বোর্ড এর নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আখতারুজ্জামানের মুঠোফোনে জানতে চাইলে তিনি বিষয়টি এড়িয়ে বলেন আমার এসএও’র সঙ্গে কথা বলেন। এসএও’র বলেন আমি নেত্রকোনায় পানি উন্নয়ন বোর্ড অফিসে সদ্য যোগদান করেছি। এ বিষয়ে আমি এখন কিছুই বলতে বা তথ্য দিতে পারছি না। পরবর্তীতে খোঁজ নিয়ে বিস্তারিত জানাতে পারব।

এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো.জাকির হোসেন বলেন, আমার অফিসে এ কাজের কাগজ নেই। তবে সরেজমিনে গিয়ে দায়সাড়াভাবে কাজের সত্যতা পেয়েছি। ওই নদীর ভাঙন এলাকায় জরুরী ভিত্তিতে একটি স্থায়ী গাইডওয়াল নির্মাণ করার জন্য ঊধ্বর্তন কর্তৃপক্ষের কাছে প্রস্তাব পাঠানো হবে।

image

কলমাকান্দা (নেত্রকোনা) : এভাবেই ধসে পড়ছে মহাদেও নদীর তীর সংরক্ষণ বাঁধ -সংবাদ

আরও খবর
ভূমিকর্তাদের যোগসাজশে একের পর এক দখল সরকারি জমি
মঠবাড়িয়ায় রায় না মেনে জমি দখল শিক্ষকের
শ্রীবরদীতে যুবক গুলিবিদ্ধ অস্ত্রসহ গ্রেফতার ১
মাগুরায় ইজারা বিবাদ মুক্তিযোদ্ধা হাসপাতালে
নবাবগঞ্জে গৃহবধূর রহস্যজনক মৃত্যু
ভালুকায় নাতনিকে উত্ত্যক্তের প্রতিবাদ করায় নানিকে পিটিয়ে আহত
পটুয়াখালীতে হোটেল কর্মচারীর দেহ উদ্ধার
দাগনভূঞায় মাদকসহ ধৃত ১
লিবিয়ায় বিমান হামলায় মাদারীপুরের যুবক হত
কাঁঠালিয়ায় অস্ত্রসহ যুবক গ্রেফতার
প্রবেশ রাস্তা সংস্কারের এক সপ্তাহেই ওঠে যাচ্ছে খোয়া
কিশোরগঞ্জে গাঁজা গ্রেফতার দুই
মোরেলগঞ্জে পূর্ব সুতালড়ী সর. প্রা. স্কুল নানা সমস্যায় জর্জরিত
মহেশপুরে যৌতুকের দাবিতে স্ত্রীকে নির্যাতন
মিশ্র ফ-ল-দ বাগানে ফল ব্যবসা ১২ মাস
কলারোয়ায় মাছ চুরিতে বাধা : আহত দুই
সৈয়দপুরে বিদ্যুতে যুবকের মৃত্যু

রবিবার, ০৭ জুলাই ২০১৯ , ২৩ আষাঢ় ১৪২৫, ৩ জ্বিলকদ ১৪৪০

কলমাকান্দা

মহাদেও নদীর বাঁধ ভেঙে শতাধিক বসতি বিলীন, হুমকিতে ৩৫০ বাড়ি

প্রতিনিধি, কলমাকান্দা (নেত্রকোনা)

image

কলমাকান্দা (নেত্রকোনা) : এভাবেই ধসে পড়ছে মহাদেও নদীর তীর সংরক্ষণ বাঁধ -সংবাদ

নেত্রকোনার কলমাকান্দায় নিম্নমানের কাজ হওয়ায় চিকুনটুপ এলাকায় পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) মহাদেও নদী তীর সংরক্ষণ বাঁধ ধসে পড়েছে।

টেকসই বেড়িবাঁধ না হওয়ায় এ পর্যন্ত উপজেলার সীমান্তবর্তী রংছাতী ইউনিয়নের চিকুনটুপ গ্রামের শতাধিক পরিবারের বসতঘর জমি পাহাড়ি মহাদেও নদীতে বিলীন হয়ে গেছে। এ বছরও পাহাড়ি ঢলে নদী ভাঙনের আশঙ্কা রয়েছে। বিলীন হয়ে যেতে পারে বরুয়াকোনা বাজার, বিওপি ক্যাম্প, চিকুনটুপ গ্রামে ৩৫০ পরিবার বসতঘর জমি।

গত শুক্রবার সরেজমিনে দেখা যায়, বাঁশ ও বালুর বস্তা দিয়ে দায়সাড়াভাবে কাজ করেছেন ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। এ কাজের কোন উপকার হবে না বলে জানান স্থানীয়রা। স্থানীয় ইউপি সদস্য মো. আতাউল হক গনি জানান, গেল বছর উপজেলার সীমান্তবর্তী মহাদেও নদী পাড় চিকুনটুপ এলাকায় পাহাড়ি ঢল এর আকস্মিক ক্ষয়ক্ষতি থেকে রক্ষা করার জন্য নেত্রকোনার পানি উন্নয়ন বোর্ড ২৮০ মি. (১ হাজার হাত লম্বা) একটি বাঁধ প্রায় ২৮ লাখ টাকা ব্যয়ে নির্ধারণ করে প্রকল্পের দরপত্র আহ্বান করেন। পরে নিয়োগপ্রাপ্ত ঠিকাদার প্রাক্কলন অনুযায়ী কোন কাজ করেননি বলে জানান ওই ইউপি সদস্য। তিনি আরও বলেন বাঁশ ও বালু বস্তা দিয়ে দায়সাড়াভাবে কাজ করেন। যার ফলে এ কাজের কোন উপকার আসেনি স্থানীয় বাসিন্দাদের।

চিকুনটুপের বাসিন্দা আ. রব হাওলাদার জানান, এ বছর ফেব্রুয়ারি মাসে কাজ শেষ হওয়ার দু’মাস পর পাউবো মহাদেও নদী সংরক্ষণ বাঁধ ধসে পড়ে।

এ বিষয়ে রংছাতী ইউপি চেয়ারম্যান মোছাৎ তাহেরা খাতুন তদন্তপূর্বক ঠিকাদার ও সংশ্লিষ্ট তদারকি কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনী ব্যবসা নেয়ার দাবি জানান তিনি। এ ব্যাপারে নেত্রকোনা পানি উন্নয়ন বোর্ড এর নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আখতারুজ্জামানের মুঠোফোনে জানতে চাইলে তিনি বিষয়টি এড়িয়ে বলেন আমার এসএও’র সঙ্গে কথা বলেন। এসএও’র বলেন আমি নেত্রকোনায় পানি উন্নয়ন বোর্ড অফিসে সদ্য যোগদান করেছি। এ বিষয়ে আমি এখন কিছুই বলতে বা তথ্য দিতে পারছি না। পরবর্তীতে খোঁজ নিয়ে বিস্তারিত জানাতে পারব।

এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো.জাকির হোসেন বলেন, আমার অফিসে এ কাজের কাগজ নেই। তবে সরেজমিনে গিয়ে দায়সাড়াভাবে কাজের সত্যতা পেয়েছি। ওই নদীর ভাঙন এলাকায় জরুরী ভিত্তিতে একটি স্থায়ী গাইডওয়াল নির্মাণ করার জন্য ঊধ্বর্তন কর্তৃপক্ষের কাছে প্রস্তাব পাঠানো হবে।