কেশবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রবেশ রাস্তার সংস্কারের সপ্তাহ পার না হতেই খোয়া উঠে যাচ্ছে। নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহারের কারণে এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে।
স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের প্রবেশ মুখের প্রধান গেটের সামনে পানি জমে যাওয়ায় জনগণের চলাচলে দুর্ভোগ পোহাতে হতো। এ কথা উপলব্ধি করে রাস্তা সংস্কার কাজে ১৩ লাখ ১৯ হাজার টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়। চলতি বছরের মে’র শেষের দিকে কাজ শুরু করে ২৪ জুন মধ্যে শেষ করার শর্তে কাজটি পান ঝিনাইদহের হিরাডাঙ্গার মেসার্স কনা এন্টারপ্রাইজ। ওই ঠিকাদার কাজ শুরুর প্রথম থেকেই নিম্নমানের খোয়া, সিমেন্ট ও বালুর ব্যবহার শুরুসহ পরিমাণেও কম দেয়া শুরু করেন। স্থানীয় জনগণ বাধা দিয়ে সিডিউল অনুযায়ী কাজ করার দাবি জানায়। কিন্তু ঠিকাদার এর কোন কর্ণপাত না করেই নিম্নমানের রড বুনে দীর্ঘদিন ফেলে রাখে।
এদিকে, দীর্ঘদিন রড বুনে ফেলে রাখার পর গত ২৪ জুন ওই ঠিকাদার তড়িঘড়ি করে শুধু নিম্নমানের খোয়ার সঙ্গে সিমেন্ট, বালু মিশিয়ে আরসিসি ঢালায়ের কাজ সমাপ্ত করেন। এলাকাবাসীর অভিযোগ, খোয়ার সঙ্গে পাথর কুচি না দেয়ার কারণে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের অভ্যন্তরের প্রবেশ রাস্তার স্থায়িত্ব নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে। কাজের দুর্নীতির খবর পেয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. মিজানূর রহমান তাৎক্ষণিক কার্যস্থলে গিয়ে ভালোমানের খোয়া বালু দিয়ে কাজ করার কথা বলে আসলেও যেনতেনভাবে রাতভর কাজ করে ঢালাইয়ের কাজ শেষ করা হয়। রডের নিচে কোন ব্লক না দিয়েই ঢালাই দেয়া হয়েছে। কাজ শেষ হওয়ার এক সপ্তাহ যেতে না যেতেই খোয়া উঠে যেতে শুরু করেছে।
এ ব্যাপারে স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এইচইডি) যশোর নড়াইল অঞ্চলের সহকারি প্রকৌশলী তানজিলা ফেরদৌসী বলেন, আমি ৫ গাড়ি পিকেট খারাপ পেয়েছিলাম। যা ঠিকাদারকে কর্মস্থল থেকে সরিয়ে নিতে বলি। ২৪ জুন কাজ শেষ হয়েছে। তবে তুলনামূলকভাবে কাজ ভালো হয়েছে বলে তিনি দাবি করেন।
কেশবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) তৌফিকুল ইসলাম বলেন, ওই কাজ ঠিকাদারের কাছ থেকে বুঝে নেয়ার জন্যে ৭ সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছিল। তারা কাজ দেখভাল করেছেন। এছাড়া সহকরী প্রকৌশলীও সরেজমিনে পরিদর্শন করেছেন।
রবিবার, ০৭ জুলাই ২০১৯ , ২৩ আষাঢ় ১৪২৫, ৩ জ্বিলকদ ১৪৪০
প্রতিনিধি, কেশবপুর (যশোর)
কেশবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রবেশ রাস্তার সংস্কারের সপ্তাহ পার না হতেই খোয়া উঠে যাচ্ছে। নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহারের কারণে এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে।
স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের প্রবেশ মুখের প্রধান গেটের সামনে পানি জমে যাওয়ায় জনগণের চলাচলে দুর্ভোগ পোহাতে হতো। এ কথা উপলব্ধি করে রাস্তা সংস্কার কাজে ১৩ লাখ ১৯ হাজার টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়। চলতি বছরের মে’র শেষের দিকে কাজ শুরু করে ২৪ জুন মধ্যে শেষ করার শর্তে কাজটি পান ঝিনাইদহের হিরাডাঙ্গার মেসার্স কনা এন্টারপ্রাইজ। ওই ঠিকাদার কাজ শুরুর প্রথম থেকেই নিম্নমানের খোয়া, সিমেন্ট ও বালুর ব্যবহার শুরুসহ পরিমাণেও কম দেয়া শুরু করেন। স্থানীয় জনগণ বাধা দিয়ে সিডিউল অনুযায়ী কাজ করার দাবি জানায়। কিন্তু ঠিকাদার এর কোন কর্ণপাত না করেই নিম্নমানের রড বুনে দীর্ঘদিন ফেলে রাখে।
এদিকে, দীর্ঘদিন রড বুনে ফেলে রাখার পর গত ২৪ জুন ওই ঠিকাদার তড়িঘড়ি করে শুধু নিম্নমানের খোয়ার সঙ্গে সিমেন্ট, বালু মিশিয়ে আরসিসি ঢালায়ের কাজ সমাপ্ত করেন। এলাকাবাসীর অভিযোগ, খোয়ার সঙ্গে পাথর কুচি না দেয়ার কারণে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের অভ্যন্তরের প্রবেশ রাস্তার স্থায়িত্ব নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে। কাজের দুর্নীতির খবর পেয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. মিজানূর রহমান তাৎক্ষণিক কার্যস্থলে গিয়ে ভালোমানের খোয়া বালু দিয়ে কাজ করার কথা বলে আসলেও যেনতেনভাবে রাতভর কাজ করে ঢালাইয়ের কাজ শেষ করা হয়। রডের নিচে কোন ব্লক না দিয়েই ঢালাই দেয়া হয়েছে। কাজ শেষ হওয়ার এক সপ্তাহ যেতে না যেতেই খোয়া উঠে যেতে শুরু করেছে।
এ ব্যাপারে স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এইচইডি) যশোর নড়াইল অঞ্চলের সহকারি প্রকৌশলী তানজিলা ফেরদৌসী বলেন, আমি ৫ গাড়ি পিকেট খারাপ পেয়েছিলাম। যা ঠিকাদারকে কর্মস্থল থেকে সরিয়ে নিতে বলি। ২৪ জুন কাজ শেষ হয়েছে। তবে তুলনামূলকভাবে কাজ ভালো হয়েছে বলে তিনি দাবি করেন।
কেশবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) তৌফিকুল ইসলাম বলেন, ওই কাজ ঠিকাদারের কাছ থেকে বুঝে নেয়ার জন্যে ৭ সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছিল। তারা কাজ দেখভাল করেছেন। এছাড়া সহকরী প্রকৌশলীও সরেজমিনে পরিদর্শন করেছেন।