বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় নানাবিধ সমস্যায় জর্জরিত। ঝুঁকি নিয়ে শ্রেণীকক্ষে চলছে পাঠদান। জোয়ারের পানি ভেঙ্গে শিক্ষার্থীর প্রতিনিয়ত দুর্ভোগে পড়ছেন । ছাদের পলেস্তারা খসে পড়ছে। জোয়ারের পানি ঢুকছে শ্রেণীকক্ষে। ডুবে রয়েছে টয়লেটও। জোয়ারের পনিতে ডুবে থাকা খেলার মাঠে দেখা মিলছে সাপ, কেঁচো, জোক।
জানা গেছে, বিদ্যালয়টি ১৯৫২ সালে স্থাপিত। শিক্ষার্থী রয়েছে ১০৬ জন, ৪ কক্ষ বিশিষ্ট একটি ভবন। ভবনের সিঁড়ি রুমটিও ব্যবহার করা হচ্ছে ৫ম শ্রেণীর শ্রেণীকক্ষ হিসেবে। জরাজীর্ণ ছাদ খসে খসে পড়ছে পলেস্তরা, তার মধ্যেও ঝুঁকি নিয়ে চলছে পাঠদান। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সহ ৫ শিক্ষক-শিক্ষিকা রয়েছে। প্রাক-প্রাথমিকের নেই কোন ক্লাস রুম। অথচ প্রাক-প্রাথমিকের শিক্ষার্থী সংখ্যা সবচেয়ে বেশি, শিক্ষকদের অফিস কক্ষেই চলে প্রাক-প্রাথমিকের ক্লাস। শ্রেণী কক্ষে প্রবেশের পথেই মাঠে রয়েছে হাটু পানি, অতিরিক্ত জোয়ারের পানিতে প্রতিনিয়ত শিক্ষক ছাত্র-ছাত্রীরা পানি ভেঙ্গে বিদ্যালয়ে যেতে হচ্ছে। এ বিদ্যালয়ে উপবৃত্তি পাচ্ছে শতভাগ শিক্ষার্থী। ২০১৮ সালে এ বিদ্যালয় থেকে ট্যালেন্টপুলে ২ জন ও সাধারণ বৃত্তি পেয়েছে ১ জন শিক্ষার্থী। ছাত্রছাত্রীদের টয়লেট রয়েছে ২টি তা অবার ব্যবহারে অনুপোযোগী হয়ে পড়ে রয়েছে পরিত্যক্ত অবস্থায়।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সমির প্রতাপ রায় জানান, তিনি বিদ্যালয়ে যোগদানের ৮ বছর পূর্বে তৎকালীন সংস্কারের জন্য ১ লাখ টাকা বরাদ্দ পেয়েছিলেন তখনকার প্রধান শিক্ষক। এ পর্যন্ত বিদ্যালয়ের উন্নয়ন ক্ষাতে সিøøপের বরাদ্দকৃত টাকা ছাড়া আর কোন উন্নয়ন বরাদ্দ পায়নি এ বিদ্যালয়টিতে।ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি আব্দুল আউয়াল বেপারি বলেন, তিনি সভাপতি হওয়ার পরে একবার সিøøপের টাকা থেকে বিদ্যালয়ে ফ্যান, আসবাবপত্রসহ বিভিন্ন মালামাল ক্রয় করেছেন। নিজের অর্থায়নে বিদ্যালয়ের ছোটখাটো সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করেন। তবে মাঠ ভরাট ও সাইক্লোন সেল্টারের জন্য স্থানীয় সংসদ সদস্যসহ সংশ্লিষ্ট দপ্তরে শিক্ষা কমিটিকে বরাদ্দ পাওয়ার জন্য একাধিক আবেদন করা হয়েছে।
রবিবার, ০৭ জুলাই ২০১৯ , ২৩ আষাঢ় ১৪২৫, ৩ জ্বিলকদ ১৪৪০
গনেশ পাল, মোরেলগঞ্জ (বাগেরহাট)
বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় নানাবিধ সমস্যায় জর্জরিত। ঝুঁকি নিয়ে শ্রেণীকক্ষে চলছে পাঠদান। জোয়ারের পানি ভেঙ্গে শিক্ষার্থীর প্রতিনিয়ত দুর্ভোগে পড়ছেন । ছাদের পলেস্তারা খসে পড়ছে। জোয়ারের পানি ঢুকছে শ্রেণীকক্ষে। ডুবে রয়েছে টয়লেটও। জোয়ারের পনিতে ডুবে থাকা খেলার মাঠে দেখা মিলছে সাপ, কেঁচো, জোক।
জানা গেছে, বিদ্যালয়টি ১৯৫২ সালে স্থাপিত। শিক্ষার্থী রয়েছে ১০৬ জন, ৪ কক্ষ বিশিষ্ট একটি ভবন। ভবনের সিঁড়ি রুমটিও ব্যবহার করা হচ্ছে ৫ম শ্রেণীর শ্রেণীকক্ষ হিসেবে। জরাজীর্ণ ছাদ খসে খসে পড়ছে পলেস্তরা, তার মধ্যেও ঝুঁকি নিয়ে চলছে পাঠদান। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সহ ৫ শিক্ষক-শিক্ষিকা রয়েছে। প্রাক-প্রাথমিকের নেই কোন ক্লাস রুম। অথচ প্রাক-প্রাথমিকের শিক্ষার্থী সংখ্যা সবচেয়ে বেশি, শিক্ষকদের অফিস কক্ষেই চলে প্রাক-প্রাথমিকের ক্লাস। শ্রেণী কক্ষে প্রবেশের পথেই মাঠে রয়েছে হাটু পানি, অতিরিক্ত জোয়ারের পানিতে প্রতিনিয়ত শিক্ষক ছাত্র-ছাত্রীরা পানি ভেঙ্গে বিদ্যালয়ে যেতে হচ্ছে। এ বিদ্যালয়ে উপবৃত্তি পাচ্ছে শতভাগ শিক্ষার্থী। ২০১৮ সালে এ বিদ্যালয় থেকে ট্যালেন্টপুলে ২ জন ও সাধারণ বৃত্তি পেয়েছে ১ জন শিক্ষার্থী। ছাত্রছাত্রীদের টয়লেট রয়েছে ২টি তা অবার ব্যবহারে অনুপোযোগী হয়ে পড়ে রয়েছে পরিত্যক্ত অবস্থায়।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সমির প্রতাপ রায় জানান, তিনি বিদ্যালয়ে যোগদানের ৮ বছর পূর্বে তৎকালীন সংস্কারের জন্য ১ লাখ টাকা বরাদ্দ পেয়েছিলেন তখনকার প্রধান শিক্ষক। এ পর্যন্ত বিদ্যালয়ের উন্নয়ন ক্ষাতে সিøøপের বরাদ্দকৃত টাকা ছাড়া আর কোন উন্নয়ন বরাদ্দ পায়নি এ বিদ্যালয়টিতে।ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি আব্দুল আউয়াল বেপারি বলেন, তিনি সভাপতি হওয়ার পরে একবার সিøøপের টাকা থেকে বিদ্যালয়ে ফ্যান, আসবাবপত্রসহ বিভিন্ন মালামাল ক্রয় করেছেন। নিজের অর্থায়নে বিদ্যালয়ের ছোটখাটো সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করেন। তবে মাঠ ভরাট ও সাইক্লোন সেল্টারের জন্য স্থানীয় সংসদ সদস্যসহ সংশ্লিষ্ট দপ্তরে শিক্ষা কমিটিকে বরাদ্দ পাওয়ার জন্য একাধিক আবেদন করা হয়েছে।