ভোগান্তি চরমে
বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জের বারইখালী ইউনিয়নের ৭ কিলোমিটার কার্পেটিং রাস্তাটির দীর্ঘদিন ধরে বেহাল দশা। পিচ উঠে গিয়ে খানাখন্দে পরিণত হয়েছে। প্রতিনিয়ত ঘটছে দুর্ঘটনা, জনদুর্ভোগ এখন চরমে। জানা গেছে, ২০১১-২০১২ অর্থবছরে এলজিডি দফতরের অর্থায়নে মোরেলগঞ্জ-মংলা দু’উপজেলার যোগাযোগের এ কার্পেটিং রাস্তাটি নির্মিত হয়। তারই অংশ হিসেবে মোরেলগঞ্জের ২০ কিলোমিটারের পাকা রাস্তা বারইখালী ও জিউধরা ইউনিয়নে। বারইখালী ইউনিয়নের স্ট্রিলবীজ সংলগ্ন হয়ে ভরাঘাটা, চৌধুরী কাচারি, তেতুঁলবাড়িয়া, নলভিটার ব্রিজ পর্যন্ত ৭ কিলোমিটার পাকা রাস্তার ২ কিলোমিটার জুড়ে বিভিন্ন স্থান থেকে পিচ উঠে খানা- খন্দে পরিণত হয়েছে। ভেঙ্গে পড়ছে মূল রাস্তা।
গত শনিবার সকালে সরেজমিনে বারইখালীর এ জনগুরুত্বপূর্ণ রাস্তাটির বেপারী বাড়ির সামনে ভরাঘাটা ব্রিজ সংলগ্ন ও চৌধুরী কাচারির স্থানগুলো পাকা রাস্তার মূল অংশ কোথাও কোথাও থেকে ভেঙ্গে পড়েছে পার্শ্ববর্তী খালে। দীর্ঘদিন ধরে পিচ উঠে খানা -খন্দ হয়েছে অনেক স্থানে। প্রতিদিনই এ রাস্তাটি থেকে যাত্রীবাহী মোটরসাইকেল, ভ্যান, বাই সাইকেল, ইজিবাইক সহ বিভিন্ন যানবাহন চলাচল করে। দুটি ইউনিয়নে যোগাযোগের বড় মাধ্যম এ রাস্তাটি বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা এ রাস্তাটি থেকে পায়ে হেঠে প্রতিনিয়ত যাতায়াত করতে হচ্ছে স্কুল কলেজে।
তেতুঁলবাড়িয়া গ্রামের নাসির উদ্দিন হাওলাদার, জলিল বয়াতি, পায়লাতলা গ্রামের শাহ আলম ফকির, আরিফ মাতুব্বর, শিশু শিক্ষার্থী জান্নাতি আক্তারসহ একাধিক পথচারীর সঙ্গে কথা হলে তারা বলেন, একটু বৃষ্টি হলেই ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করতে হয় তাদের। ইতোপূর্বে ভ্যান থেকে পরে গিয়ে দুর্ঘটনার শিকার হতে হয়েছে শিশু শিক্ষার্থী, বৃদ্ধাসহ অনেক পথচারীদের। তারা আরও বলেন, শুনেছি ৮ জুলাই রবিবার আমাদের এলাকায় বাগেরহাটের জেলা প্রশাসক মো. মামুনুর রশিদ, মহাদয় পরিদর্শনে আসবেন। এ বিষয়ে বারইখালী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শফিকুর রহমান লাল জানান, বারইখালী ইউনিয়নের রাস্তাটি সংস্কারের জন্য উপজেলা এলজিডি দপ্তরের কর্মকর্তাকে অবহিত করা হয়েছে। শীঘ্রই এ সমস্যার সমাধান হবে বলে কর্মকর্তা তাকে জানিয়েছেন। এ ব্যাপারে উপজেলা সহকারী প্রকৌশলী মো. আশিক ইয়ামিন বলেন, মোরেলগঞ্জের বারইখালী ইউনিয়নের ৭ কিলোমিটার কার্পেটিং রাস্তাটি নির্মাণের পরবর্তীতে ২ বছর পূর্বে ৫ কিলোমিটার রাস্তার একবার সংস্কার হয়েছে। পুনরায় ২ কিলোমিটার সংস্কারের জন্য এ অর্থ বছরে প্রোপজল দেয়া হয়েছে।
সোমবার, ০৮ জুলাই ২০১৯ , ২৪ আষাঢ় ১৪২৫, ৪ জ্বিলকদ ১৪৪০
ভোগান্তি চরমে
প্রতিনিধি, মোরেলগঞ্জ (বাগেরহাট)
বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জের বারইখালী ইউনিয়নের ৭ কিলোমিটার কার্পেটিং রাস্তাটির দীর্ঘদিন ধরে বেহাল দশা। পিচ উঠে গিয়ে খানাখন্দে পরিণত হয়েছে। প্রতিনিয়ত ঘটছে দুর্ঘটনা, জনদুর্ভোগ এখন চরমে। জানা গেছে, ২০১১-২০১২ অর্থবছরে এলজিডি দফতরের অর্থায়নে মোরেলগঞ্জ-মংলা দু’উপজেলার যোগাযোগের এ কার্পেটিং রাস্তাটি নির্মিত হয়। তারই অংশ হিসেবে মোরেলগঞ্জের ২০ কিলোমিটারের পাকা রাস্তা বারইখালী ও জিউধরা ইউনিয়নে। বারইখালী ইউনিয়নের স্ট্রিলবীজ সংলগ্ন হয়ে ভরাঘাটা, চৌধুরী কাচারি, তেতুঁলবাড়িয়া, নলভিটার ব্রিজ পর্যন্ত ৭ কিলোমিটার পাকা রাস্তার ২ কিলোমিটার জুড়ে বিভিন্ন স্থান থেকে পিচ উঠে খানা- খন্দে পরিণত হয়েছে। ভেঙ্গে পড়ছে মূল রাস্তা।
গত শনিবার সকালে সরেজমিনে বারইখালীর এ জনগুরুত্বপূর্ণ রাস্তাটির বেপারী বাড়ির সামনে ভরাঘাটা ব্রিজ সংলগ্ন ও চৌধুরী কাচারির স্থানগুলো পাকা রাস্তার মূল অংশ কোথাও কোথাও থেকে ভেঙ্গে পড়েছে পার্শ্ববর্তী খালে। দীর্ঘদিন ধরে পিচ উঠে খানা -খন্দ হয়েছে অনেক স্থানে। প্রতিদিনই এ রাস্তাটি থেকে যাত্রীবাহী মোটরসাইকেল, ভ্যান, বাই সাইকেল, ইজিবাইক সহ বিভিন্ন যানবাহন চলাচল করে। দুটি ইউনিয়নে যোগাযোগের বড় মাধ্যম এ রাস্তাটি বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা এ রাস্তাটি থেকে পায়ে হেঠে প্রতিনিয়ত যাতায়াত করতে হচ্ছে স্কুল কলেজে।
তেতুঁলবাড়িয়া গ্রামের নাসির উদ্দিন হাওলাদার, জলিল বয়াতি, পায়লাতলা গ্রামের শাহ আলম ফকির, আরিফ মাতুব্বর, শিশু শিক্ষার্থী জান্নাতি আক্তারসহ একাধিক পথচারীর সঙ্গে কথা হলে তারা বলেন, একটু বৃষ্টি হলেই ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করতে হয় তাদের। ইতোপূর্বে ভ্যান থেকে পরে গিয়ে দুর্ঘটনার শিকার হতে হয়েছে শিশু শিক্ষার্থী, বৃদ্ধাসহ অনেক পথচারীদের। তারা আরও বলেন, শুনেছি ৮ জুলাই রবিবার আমাদের এলাকায় বাগেরহাটের জেলা প্রশাসক মো. মামুনুর রশিদ, মহাদয় পরিদর্শনে আসবেন। এ বিষয়ে বারইখালী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শফিকুর রহমান লাল জানান, বারইখালী ইউনিয়নের রাস্তাটি সংস্কারের জন্য উপজেলা এলজিডি দপ্তরের কর্মকর্তাকে অবহিত করা হয়েছে। শীঘ্রই এ সমস্যার সমাধান হবে বলে কর্মকর্তা তাকে জানিয়েছেন। এ ব্যাপারে উপজেলা সহকারী প্রকৌশলী মো. আশিক ইয়ামিন বলেন, মোরেলগঞ্জের বারইখালী ইউনিয়নের ৭ কিলোমিটার কার্পেটিং রাস্তাটি নির্মাণের পরবর্তীতে ২ বছর পূর্বে ৫ কিলোমিটার রাস্তার একবার সংস্কার হয়েছে। পুনরায় ২ কিলোমিটার সংস্কারের জন্য এ অর্থ বছরে প্রোপজল দেয়া হয়েছে।