লাকসামে রেলওয়ে ভূমি ইজারা এনে দেয়ার নামে এক রেলকর্মচারীর বিরুদ্ধে লক্ষাধিক টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে। অভিযুক্ত ওই রেল কর্মচারীর নাম আবুল কালাম । সে লাকসাম শহরস্থ চাঁদপুর রেলক্রসিং এলসি-১-এ গেইটে গেইটম্যান হিসেবে কর্মরত রয়েছে। অভিযোগে জানা যায়, ওই গেইটম্যান প্রায় সাত মাস আগে শহরের উত্তর লাকসাম এলাকার সুরুজ বাঙ্গালকে রেলওয়ের ভূমি ইজারা এনে দেয়ার কথা বলে দুই কিস্তিতে ১ লাখ ১৬ হাজার টাকা হাতিয়ে নেয়। দীর্ঘ দিনেও রেলের কোন জায়গা না পাওয়ায় সে ওই গেইটম্যানের কাছে টাকা ফেরত চাইলে সে নানাহ তালবাহানা শুরু করে। অভিযোগে আরও জানা যায়, তার বিরুদ্ধে অভিযোগ করলে তার কিছু হবে না বলে ওই গেইটম্যান নিজেকে রেলওয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের ঘনিষ্ট লোক পরিচয় দিয়ে আভিযোগকারীকে নানাভাবে হুমকি ধমকি দেয়। লাকসাম পৌর এলাকার জসিম উদ্দিন জানান, গেইটম্যান আবুল কালাম একই গেইটে দীর্ঘদিন কর্মরত থাকার সুবাধে স্থানীয় অপরাধ সিন্ডিকেট ও রেলের অসাধু কর্মকর্তা কর্মচারীদের যোগসাজসে ইতোপূর্বেও রেলে নিয়োগ, ভূমি ইজারা এনে দেয়াসহ নানাভাবে মানুষের থেকে হাজার হাজার টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ রয়েছে। এ বিষয়ে লাকসাম রেলওয়ে স্টেশান মাস্টার কামরুল ইসলাম জানান, তার বিরুদ্ধে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে স্থানীয় লোকদের অভিযোগ দেয়ার কথা শুনেছি। সে হিসেবে কর্তৃপক্ষ তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিবে। লাকসাম রেলওয়ের (ভূমি) কানুনগো কাউসার জানান, দীর্ঘদিন যাবত রেলওয়ের ভূমি ইজারা প্রক্রিয়া বন্ধ রয়েছে। এছাড়াও পৌর এলাকায় কোন কৃষি লাইসেন্স দেয়ার আইন নেই। তবে কেউ এ ধরনের কর্মকান্ড করে কোন ইজারার কাগজ তৈরি করলে তা সঠিক হবে না। অভিযোগের বিষয়ে গেইটম্যান আবুল কালাম জানান, রাগে ক্ষোভে সুরুজ বাঙ্গাল আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছে। এটা একটা ভুল বুঝাবুঝি।
সোমবার, ০৮ জুলাই ২০১৯ , ২৪ আষাঢ় ১৪২৫, ৪ জ্বিলকদ ১৪৪০
প্রতিনিধি, লাকসাম (কুমিল্লা)
লাকসামে রেলওয়ে ভূমি ইজারা এনে দেয়ার নামে এক রেলকর্মচারীর বিরুদ্ধে লক্ষাধিক টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে। অভিযুক্ত ওই রেল কর্মচারীর নাম আবুল কালাম । সে লাকসাম শহরস্থ চাঁদপুর রেলক্রসিং এলসি-১-এ গেইটে গেইটম্যান হিসেবে কর্মরত রয়েছে। অভিযোগে জানা যায়, ওই গেইটম্যান প্রায় সাত মাস আগে শহরের উত্তর লাকসাম এলাকার সুরুজ বাঙ্গালকে রেলওয়ের ভূমি ইজারা এনে দেয়ার কথা বলে দুই কিস্তিতে ১ লাখ ১৬ হাজার টাকা হাতিয়ে নেয়। দীর্ঘ দিনেও রেলের কোন জায়গা না পাওয়ায় সে ওই গেইটম্যানের কাছে টাকা ফেরত চাইলে সে নানাহ তালবাহানা শুরু করে। অভিযোগে আরও জানা যায়, তার বিরুদ্ধে অভিযোগ করলে তার কিছু হবে না বলে ওই গেইটম্যান নিজেকে রেলওয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের ঘনিষ্ট লোক পরিচয় দিয়ে আভিযোগকারীকে নানাভাবে হুমকি ধমকি দেয়। লাকসাম পৌর এলাকার জসিম উদ্দিন জানান, গেইটম্যান আবুল কালাম একই গেইটে দীর্ঘদিন কর্মরত থাকার সুবাধে স্থানীয় অপরাধ সিন্ডিকেট ও রেলের অসাধু কর্মকর্তা কর্মচারীদের যোগসাজসে ইতোপূর্বেও রেলে নিয়োগ, ভূমি ইজারা এনে দেয়াসহ নানাভাবে মানুষের থেকে হাজার হাজার টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ রয়েছে। এ বিষয়ে লাকসাম রেলওয়ে স্টেশান মাস্টার কামরুল ইসলাম জানান, তার বিরুদ্ধে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে স্থানীয় লোকদের অভিযোগ দেয়ার কথা শুনেছি। সে হিসেবে কর্তৃপক্ষ তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিবে। লাকসাম রেলওয়ের (ভূমি) কানুনগো কাউসার জানান, দীর্ঘদিন যাবত রেলওয়ের ভূমি ইজারা প্রক্রিয়া বন্ধ রয়েছে। এছাড়াও পৌর এলাকায় কোন কৃষি লাইসেন্স দেয়ার আইন নেই। তবে কেউ এ ধরনের কর্মকান্ড করে কোন ইজারার কাগজ তৈরি করলে তা সঠিক হবে না। অভিযোগের বিষয়ে গেইটম্যান আবুল কালাম জানান, রাগে ক্ষোভে সুরুজ বাঙ্গাল আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছে। এটা একটা ভুল বুঝাবুঝি।