গাজীপুরে কনস্টেবল পদে চাকরি পাইয়ে দেয়ার নাম করে প্রতারণার সময় দুই সহোদরকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। পুলিশ সুপারের আত্মীয় পরিচয়ে গত শুক্রবার রাতে দুই চাকরি প্রত্যাশীর কাছ থেকে টাকা হাতিয়ে নেয়ার চেষ্টাকালে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ তাদের গ্রেপ্তার করে। গত শনিবার দুপুরে নিজ কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান গাজীপুরের পুলিশ সুপার শামসুন্নাহার। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন ফরিদপুরের বোয়ালমারী থানার রাজাপুর গ্রামের সৈয়দ আলী আফজালের ছেলে সৈয়দ মাহনুর হাসান জুয়েল (৩২) ও তার বড় ভাই সৈয়দ মাহবুর হোসেন (৪৮)। তাদের কাছে গাজীপুর ছাড়াও দেশের ১১টি জেলার ১৮ জন কনস্টেবল প্রার্থীর ভর্তি পরীক্ষার প্রবেশপত্র পাওয়া গেছে। পুলিশ সুপার শামসুন্নাহার জানান, গাজীপুরে গত ২৬ জুন পুলিশ কনস্টেবল পদে প্রার্থীদের প্রাথমিক বাছাই ও পরদিন লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। ১ জুলাই পরীক্ষার ফলফল প্রকাশ করা হয়। প্রতারকচক্র যাতে প্রার্থীদের কাছ থেকে টাকা হাতিয়ে নিতে না পারে সে জন্য সাদা পোশাকে পুলিশ তৎপর ছিল। জুয়েল ও তার ভাই চাকরি পাইয়ে দেয়ার কথা বলে লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ দুই প্রার্থীর সঙ্গে মোবাইল ফোনে চুক্তি করে। ফোনের সূত্রধরে প্রথমে ঢাকার মালিবাগ থেকে সৈয়দ মাহনুর হাসান জুয়েলকে আটক করা হয়। জুয়েলের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী গাজীপুর থেকে সৈয়দ মাহবুর হোসেনকে আটক করে পুলিশ।
সোমবার, ০৮ জুলাই ২০১৯ , ২৪ আষাঢ় ১৪২৫, ৪ জ্বিলকদ ১৪৪০
প্রতিনিধি, গাজীপুর
গাজীপুরে কনস্টেবল পদে চাকরি পাইয়ে দেয়ার নাম করে প্রতারণার সময় দুই সহোদরকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। পুলিশ সুপারের আত্মীয় পরিচয়ে গত শুক্রবার রাতে দুই চাকরি প্রত্যাশীর কাছ থেকে টাকা হাতিয়ে নেয়ার চেষ্টাকালে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ তাদের গ্রেপ্তার করে। গত শনিবার দুপুরে নিজ কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান গাজীপুরের পুলিশ সুপার শামসুন্নাহার। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন ফরিদপুরের বোয়ালমারী থানার রাজাপুর গ্রামের সৈয়দ আলী আফজালের ছেলে সৈয়দ মাহনুর হাসান জুয়েল (৩২) ও তার বড় ভাই সৈয়দ মাহবুর হোসেন (৪৮)। তাদের কাছে গাজীপুর ছাড়াও দেশের ১১টি জেলার ১৮ জন কনস্টেবল প্রার্থীর ভর্তি পরীক্ষার প্রবেশপত্র পাওয়া গেছে। পুলিশ সুপার শামসুন্নাহার জানান, গাজীপুরে গত ২৬ জুন পুলিশ কনস্টেবল পদে প্রার্থীদের প্রাথমিক বাছাই ও পরদিন লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। ১ জুলাই পরীক্ষার ফলফল প্রকাশ করা হয়। প্রতারকচক্র যাতে প্রার্থীদের কাছ থেকে টাকা হাতিয়ে নিতে না পারে সে জন্য সাদা পোশাকে পুলিশ তৎপর ছিল। জুয়েল ও তার ভাই চাকরি পাইয়ে দেয়ার কথা বলে লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ দুই প্রার্থীর সঙ্গে মোবাইল ফোনে চুক্তি করে। ফোনের সূত্রধরে প্রথমে ঢাকার মালিবাগ থেকে সৈয়দ মাহনুর হাসান জুয়েলকে আটক করা হয়। জুয়েলের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী গাজীপুর থেকে সৈয়দ মাহবুর হোসেনকে আটক করে পুলিশ।