একের উদ্যোগ দশের দিশা

স্বাদু পানিতে মুক্তা চাষে সাফল্য দুই মৎস্যচাষির

বৈদেশিক মুদ্রার হাতছানি

  • প্রতি মুক্তায় ব্যয় ২৫ টাকা, আয় কমপক্ষে ৫ হাজার

নীলফামারীর ডোমারে দুই মৎস্যচাষি পুকুরে মাছ চাষের পাশাপাশি মুক্তা চাষে সফলতার এক নব দিগন্তের সুচনা করেছেন। স্বাদু পানিতে প্রাথমিকভাবে পরীক্ষামূলক ঝিনুকে মুক্তা চাষে সফল দুই মৎস্যচাষির চোখে মুখে উজ¦ল সম্ভাবনার এক নতুন আলোর বিকিরণ ঘটছে। প্রতিটি মুক্তোর পেছনে গড়ে ২৫ টাকা ব্যয় করে তারা পাচ্ছেন অন্তত পাঁচ হাজার টাকা। সম্ভাবনাময় এ খাতকে উত্তরাঞ্চলে ছড়িয়ে দিয়ে উৎসাহিত করার পাশাপাশি রাষ্ট্রীয়ভাবে বিদেশে রফতানির দ্বার উন্মেচন করা হলে আসবে বৈদেশিক মুদ্রা। এতে একদিকে যেমন দেশ হবে সমৃদ্ধ অপরদিকে বিপুলসংখ্যক জনগোষ্ঠীর ঘুচবে বেকারত্ব। ডোমারের সোনারায় হাজিপাড়ার কাশেম উদ্দীনের ছেলে জুলফিকার আলী বাবলা ৯০ শতক ও একই ইউনিয়নের জামিরবাড়ীর তমিজ উদ্দীনের ছেলে সেলিম আল মামুন বাবু ৫৭ শতক জমিতে করত মাছ চাষ। দীর্ঘদিন বাণিজ্যিকভাবে মাছ চাষে তারা এলাকায় বেশ জননন্দিত। সফল চাষি হিসেবে তাদের খ্যাতি ছড়িয়ে পড়ে আশেপাশের ইউনিয়নেও। মাছ চাষের পাশাপাশি মুক্তা চাষের বিষয়টি অনেকদিন ধরেই তাদের মাথায় ঘুরপাক খাচ্ছিল। অবশেষে তারা প্রশিক্ষণের সন্ধান পায়। গতবছর ময়মনসিংহ মৎস্য গবেষনা ইনস্টিটিউট থেকে প্রশিক্ষণ নিয়ে কোমর বেধে নেমে পড়েন কাজে। এক বছরের মাথায় গত জুনে ঝিনুক থেকে মুক্তা আহরণ শুরু করেন দুই উদ্যোক্তা। প্রতি শতক জলাশয়ে ৬০ থেকে ৭০টি ঝিনুকে মুক্তা উৎপাদনে সফল হয়েছেন। প্রতিটি দেশি ঝিনুকে একটি করে মুক্তা উৎপাদন হয়েছে। মুক্তা চাষে প্রয়োজন ঝিনুক অপারেশন কিটবক্স, দুই ধরনের নেট বক্স ও ইমেজ তৈরির জন্য কিছু যন্ত্রপাতি।

তারা জানায়, সাধারণত ১৮ থেকে ২০ মাস বয়সে অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে নির্দিষ্ট ইমেজটি ঝিনুকের পেটে স্থাপন করে দুই থেকে আড়াই ফুট পানির নিচে ডুবিয়ে রাখতে হয়। এভাবে ঝিনুক ২১ থেকে ২৮ দিন পানিতে ডুবিয়ে রাখার পর উন্মুক্ত করা হয় পুকুরে। মাত্র আট থেকে ১০ মাসেই স্থাপিত ইমেজটি মুক্তায় পরিণত হয়। সবশেষে পুকুর থেকে ঝিনুক তুলে আহরণ করা হয় মুক্তা। ঝিনুক সংগ্রহ থেকে প্রতিটি মুক্তা আহরণ পর্যন্ত ব্যয় হয় মাত্র ২০-২৫ টাকা। প্রতিটি প্রমাণ সাইজের মুক্তা বাজার দাম অন্তত পাঁচ হাজার টাকা। আন্তর্জাতিক মান সম্পন্ন এসব মুক্তার দেশ-বিদেশে রয়েছে ব্যাপক চাহিদা। দেশের চাহিদা মিটিয়ে বিদেশে রফতানি করতে মুক্তা চাষে ব্যাপক প্রস্তুতি নেয়ার কথা জানালেন তারা।

জুলফিকার রহমান বাবলা ও সেলিম আল মামুন বাবু জানান, এক যুগ আগে শুনেছিলাম স্বাদু পানিতে মুক্তা চাষ করা যায়। তবে কিভাবে এবং এর প্রযুক্তি কোথায় পাওয়া যায় তা জানতাম না। বিগত ’১৮ সালের জুন মাসে মাছ চাষের প্রশিক্ষণ নিতে ময়মনসিংহ বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটে যাওয়ার সুযোগ পাই। সেখানে স্বাদু পানিতে মুক্তা চাষের প্রশিক্ষণের বিষয় জানতে পেরে আমরা জুলাই মাসে তিন দিনের প্রশিক্ষণ নেই। পরে স্থানীয়ভাবে ঝিনুক ও অন্যান্য সরঞ্জাম সংগ্রহ শেষে মুক্তা চাষ শুরু করি। ৫০ হাজার ঝিনুক সংগ্রহ করে পুকুরে ছেড়ে দেই। সেখান থেকে ছয়শ’টি ঝিনুকে মুক্তা চাষে সফল হই।

তারা আরও বলেন, উত্তরাঞ্চলের স্বাদু পানিতে মুক্তা চাষের উজ্জল সম্ভাবনা রয়েছে। সরকারি পৃষ্টপোষকতায় এর ব্যাপকতা ছড়িয়ে দেয়ার সুযোগ করে দেয়া হলে ঘুচবে বেকারত্ব। উৎপাদিত মুক্তা বিদেশে রফতানি করে বৈদেশিক মুদ্রায় দেশ হবে সমৃদ্ধ। দেশ দাড়িয়ে যাবে সুদৃঢ় অর্থনৈতিক ভিত্তির ওপর। চাকরির প্রত্যাশায় হতাশাগ্রস্ত যুব সমাজ আর ছুটবে না চাকরির পেছনে।

এ বিষয়ে বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটে ঊর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ফেরদৌস সিদ্দিকী বলেন, ‘আমাদের দেশের জলবায়ু মুক্তা চাষ উপযোগী। বাংলাদেশের শীতকাল দীর্ঘস্থায়ী নয়। বছর জুড়ে উষ্ণ আবহাওয়া বিদ্যমান থাকায় তা ঝিনুক বৃদ্ধি ও মুক্তা চাষের অনুকূল। আমাদের দেশে জলাভূমিতে মাছ চাষের সঙ্গে মুক্তা চাষ সম্ভব। মুক্তা চাষ ব্যয়বহুল কিংবা কঠিন নয়। বাংলাদেশে দেরিতে হলেও ২০১২ সালের দিকে স্বাদু পানিতে মুক্তা চাষের একটি উন্নয়ন প্রকল্প হাতে নেয়া হয়। যেহেতু আমাদের দেশে প্রাকৃতিকভাবে ঝিনুক পাওয়া যায় এবং তাপমাত্রা ১০ মাস উষ্ণ থাকে সেদিক থেকে মুক্তা চাষের জন্য তা খুবই উপযোগী। আমাদের দেশেও অভিজাত শ্রেণীর লোকজন মুক্তা কিনছে। জুয়েলারি দোকানে মুক্তা বিক্রি হচ্ছে। ফার্মারদের সঙ্গে বায়ারদের যোগাযোগের চেষ্টা চলছে। সরকার এগিয়ে এলে কৃষক উপকৃত হবে, দেশ এগিয়ে যাবে এবং নতুন একটি শিল্পের বিকাশ ঘটবে।

এ ছাড়াও ইউরোপিয়ানসহ প্রাচ্যের দেশগুলোতে মুক্তার ব্যবহার রয়েছে। চীন, জাপান, থাইল্যান্ড, ভিয়েতনাম, ভারতেও ইমেজ মুক্তার চাহিদা রয়েছে। শুধু অলঙ্কারে নয়, চিকিৎসা শাস্ত্রেও ব্যবহৃত হচ্ছে। আয়ুর্বেদিক ওষুধ তৈরিতে ও রূপচর্চায় তা ব্যবহৃত হচ্ছে। মুক্তা চাষে প্রশিক্ষণ নিয়েছে তাদের মধ্যে আট থেকে ১০ জন সফলভাবে মুক্তা উৎপাদন করছেন। সেটির বাজার সৃষ্টির জন্য আমরা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।

image

নীলফামারী : মুক্তা পরিচর্যা করছেন উদ্যোক্তা দুই যুবক -সংবাদ

আরও খবর
কালীগঞ্জের ৮টি রেল ক্রসিংই অরক্ষিত
২০ গ্রামের মানুষের ভরসা বাঁশের সাঁকো!
মোরেলগঞ্জের ৭ কিমি. সড়কজুড়ে খানাখন্দ
গোবিন্দগঞ্জে সর. স্কুলে ভর্তি বাণিজ্য : ম্লান হচ্ছে গৌরব
সাটুরিয়ায় ছয় ডাকাত আটক
বিষয়ভিত্তিক শিক্ষার পাশাপাশি মূল্যবোধে জোর দেয়া হচ্ছে
লাকসামে রেলের ভূমি ইজারার নামে বাণিজ্য রেলকর্মীর
ফেনীতে অস্ত্রসহ ৯ মামলার আসামি ধৃত
গাজীপুরে পুলিশে চাকরির নামে প্রতারণা : ধৃত ২
সমাজতন্ত্রের দীক্ষা কোন লোভের কাছে বিসর্জন দেননি জাফর
মেধা-যোগ্যতায় চাকরি পাওয়ায় যুবককে এসপির ফুলেল শুভেচ্ছা
বালিয়াকান্দিতে দুই ধর্ষক গ্রেফতার
সান্তাহার-রহনপুর নতুন রেলপথ দাবি
ভৈরবে ভুল চিকিৎসায় রোগীর মৃত্যু : তদন্ত কমিটি গঠন
চট্টগ্রামে ৩০ স্বর্ণবার জব্দ

সোমবার, ০৮ জুলাই ২০১৯ , ২৪ আষাঢ় ১৪২৫, ৪ জ্বিলকদ ১৪৪০

একের উদ্যোগ দশের দিশা

স্বাদু পানিতে মুক্তা চাষে সাফল্য দুই মৎস্যচাষির

বৈদেশিক মুদ্রার হাতছানি

জেলা বার্তা পরিবেশক, নীলফামারী

image

নীলফামারী : মুক্তা পরিচর্যা করছেন উদ্যোক্তা দুই যুবক -সংবাদ

  • প্রতি মুক্তায় ব্যয় ২৫ টাকা, আয় কমপক্ষে ৫ হাজার

নীলফামারীর ডোমারে দুই মৎস্যচাষি পুকুরে মাছ চাষের পাশাপাশি মুক্তা চাষে সফলতার এক নব দিগন্তের সুচনা করেছেন। স্বাদু পানিতে প্রাথমিকভাবে পরীক্ষামূলক ঝিনুকে মুক্তা চাষে সফল দুই মৎস্যচাষির চোখে মুখে উজ¦ল সম্ভাবনার এক নতুন আলোর বিকিরণ ঘটছে। প্রতিটি মুক্তোর পেছনে গড়ে ২৫ টাকা ব্যয় করে তারা পাচ্ছেন অন্তত পাঁচ হাজার টাকা। সম্ভাবনাময় এ খাতকে উত্তরাঞ্চলে ছড়িয়ে দিয়ে উৎসাহিত করার পাশাপাশি রাষ্ট্রীয়ভাবে বিদেশে রফতানির দ্বার উন্মেচন করা হলে আসবে বৈদেশিক মুদ্রা। এতে একদিকে যেমন দেশ হবে সমৃদ্ধ অপরদিকে বিপুলসংখ্যক জনগোষ্ঠীর ঘুচবে বেকারত্ব। ডোমারের সোনারায় হাজিপাড়ার কাশেম উদ্দীনের ছেলে জুলফিকার আলী বাবলা ৯০ শতক ও একই ইউনিয়নের জামিরবাড়ীর তমিজ উদ্দীনের ছেলে সেলিম আল মামুন বাবু ৫৭ শতক জমিতে করত মাছ চাষ। দীর্ঘদিন বাণিজ্যিকভাবে মাছ চাষে তারা এলাকায় বেশ জননন্দিত। সফল চাষি হিসেবে তাদের খ্যাতি ছড়িয়ে পড়ে আশেপাশের ইউনিয়নেও। মাছ চাষের পাশাপাশি মুক্তা চাষের বিষয়টি অনেকদিন ধরেই তাদের মাথায় ঘুরপাক খাচ্ছিল। অবশেষে তারা প্রশিক্ষণের সন্ধান পায়। গতবছর ময়মনসিংহ মৎস্য গবেষনা ইনস্টিটিউট থেকে প্রশিক্ষণ নিয়ে কোমর বেধে নেমে পড়েন কাজে। এক বছরের মাথায় গত জুনে ঝিনুক থেকে মুক্তা আহরণ শুরু করেন দুই উদ্যোক্তা। প্রতি শতক জলাশয়ে ৬০ থেকে ৭০টি ঝিনুকে মুক্তা উৎপাদনে সফল হয়েছেন। প্রতিটি দেশি ঝিনুকে একটি করে মুক্তা উৎপাদন হয়েছে। মুক্তা চাষে প্রয়োজন ঝিনুক অপারেশন কিটবক্স, দুই ধরনের নেট বক্স ও ইমেজ তৈরির জন্য কিছু যন্ত্রপাতি।

তারা জানায়, সাধারণত ১৮ থেকে ২০ মাস বয়সে অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে নির্দিষ্ট ইমেজটি ঝিনুকের পেটে স্থাপন করে দুই থেকে আড়াই ফুট পানির নিচে ডুবিয়ে রাখতে হয়। এভাবে ঝিনুক ২১ থেকে ২৮ দিন পানিতে ডুবিয়ে রাখার পর উন্মুক্ত করা হয় পুকুরে। মাত্র আট থেকে ১০ মাসেই স্থাপিত ইমেজটি মুক্তায় পরিণত হয়। সবশেষে পুকুর থেকে ঝিনুক তুলে আহরণ করা হয় মুক্তা। ঝিনুক সংগ্রহ থেকে প্রতিটি মুক্তা আহরণ পর্যন্ত ব্যয় হয় মাত্র ২০-২৫ টাকা। প্রতিটি প্রমাণ সাইজের মুক্তা বাজার দাম অন্তত পাঁচ হাজার টাকা। আন্তর্জাতিক মান সম্পন্ন এসব মুক্তার দেশ-বিদেশে রয়েছে ব্যাপক চাহিদা। দেশের চাহিদা মিটিয়ে বিদেশে রফতানি করতে মুক্তা চাষে ব্যাপক প্রস্তুতি নেয়ার কথা জানালেন তারা।

জুলফিকার রহমান বাবলা ও সেলিম আল মামুন বাবু জানান, এক যুগ আগে শুনেছিলাম স্বাদু পানিতে মুক্তা চাষ করা যায়। তবে কিভাবে এবং এর প্রযুক্তি কোথায় পাওয়া যায় তা জানতাম না। বিগত ’১৮ সালের জুন মাসে মাছ চাষের প্রশিক্ষণ নিতে ময়মনসিংহ বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটে যাওয়ার সুযোগ পাই। সেখানে স্বাদু পানিতে মুক্তা চাষের প্রশিক্ষণের বিষয় জানতে পেরে আমরা জুলাই মাসে তিন দিনের প্রশিক্ষণ নেই। পরে স্থানীয়ভাবে ঝিনুক ও অন্যান্য সরঞ্জাম সংগ্রহ শেষে মুক্তা চাষ শুরু করি। ৫০ হাজার ঝিনুক সংগ্রহ করে পুকুরে ছেড়ে দেই। সেখান থেকে ছয়শ’টি ঝিনুকে মুক্তা চাষে সফল হই।

তারা আরও বলেন, উত্তরাঞ্চলের স্বাদু পানিতে মুক্তা চাষের উজ্জল সম্ভাবনা রয়েছে। সরকারি পৃষ্টপোষকতায় এর ব্যাপকতা ছড়িয়ে দেয়ার সুযোগ করে দেয়া হলে ঘুচবে বেকারত্ব। উৎপাদিত মুক্তা বিদেশে রফতানি করে বৈদেশিক মুদ্রায় দেশ হবে সমৃদ্ধ। দেশ দাড়িয়ে যাবে সুদৃঢ় অর্থনৈতিক ভিত্তির ওপর। চাকরির প্রত্যাশায় হতাশাগ্রস্ত যুব সমাজ আর ছুটবে না চাকরির পেছনে।

এ বিষয়ে বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটে ঊর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ফেরদৌস সিদ্দিকী বলেন, ‘আমাদের দেশের জলবায়ু মুক্তা চাষ উপযোগী। বাংলাদেশের শীতকাল দীর্ঘস্থায়ী নয়। বছর জুড়ে উষ্ণ আবহাওয়া বিদ্যমান থাকায় তা ঝিনুক বৃদ্ধি ও মুক্তা চাষের অনুকূল। আমাদের দেশে জলাভূমিতে মাছ চাষের সঙ্গে মুক্তা চাষ সম্ভব। মুক্তা চাষ ব্যয়বহুল কিংবা কঠিন নয়। বাংলাদেশে দেরিতে হলেও ২০১২ সালের দিকে স্বাদু পানিতে মুক্তা চাষের একটি উন্নয়ন প্রকল্প হাতে নেয়া হয়। যেহেতু আমাদের দেশে প্রাকৃতিকভাবে ঝিনুক পাওয়া যায় এবং তাপমাত্রা ১০ মাস উষ্ণ থাকে সেদিক থেকে মুক্তা চাষের জন্য তা খুবই উপযোগী। আমাদের দেশেও অভিজাত শ্রেণীর লোকজন মুক্তা কিনছে। জুয়েলারি দোকানে মুক্তা বিক্রি হচ্ছে। ফার্মারদের সঙ্গে বায়ারদের যোগাযোগের চেষ্টা চলছে। সরকার এগিয়ে এলে কৃষক উপকৃত হবে, দেশ এগিয়ে যাবে এবং নতুন একটি শিল্পের বিকাশ ঘটবে।

এ ছাড়াও ইউরোপিয়ানসহ প্রাচ্যের দেশগুলোতে মুক্তার ব্যবহার রয়েছে। চীন, জাপান, থাইল্যান্ড, ভিয়েতনাম, ভারতেও ইমেজ মুক্তার চাহিদা রয়েছে। শুধু অলঙ্কারে নয়, চিকিৎসা শাস্ত্রেও ব্যবহৃত হচ্ছে। আয়ুর্বেদিক ওষুধ তৈরিতে ও রূপচর্চায় তা ব্যবহৃত হচ্ছে। মুক্তা চাষে প্রশিক্ষণ নিয়েছে তাদের মধ্যে আট থেকে ১০ জন সফলভাবে মুক্তা উৎপাদন করছেন। সেটির বাজার সৃষ্টির জন্য আমরা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।