কিশোরগঞ্জের ভৈরবে ভুল চিকিৎসার শিকার হয়ে জুয়েল নামে এক যুবক নিহতের ঘটনায় চার সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের টিএইচও ডা. বুলবুল আহমেদকে প্রধান করে এই তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। গত শনিবার গণমাধ্যমে প্রচারিত খবরে কিশোরগঞ্জ সিভিল সার্জন ডা. মো. হাবিবুর রহমান এই তদন্ত কমিটি গঠন করেন। কমিটিকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। ফলে গতকাল সকালে শহরের ট্রমা জেনারেল (প্রাইভেট) হাসপাতাল পরিদর্শনে আসেন কমিটির সদস্যরা। এছাড়াও এ ঘটনার পর থেকে হাসপাতালের সকল কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। তালা ঝুলছে গেইটে। অন্যদিকে ভুল চিকিৎসায় নিহতের বড় ভাই কামাল মিয়া বাদী হয়ে দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগ এনে ডা. কামরুজ্জামান আজাদকে প্রধান অভিযুক্ত করে ৪ জনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়ের করেছেন। এতে পুলিশের হাতে আটক চিকিৎসক কামরুজ্জামান আজাদকে গ্রেফতার দেখিয়ে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।
এলাকাবাসী ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, শহরের চন্ডিবের গ্রামের দক্ষিণ পাড়ার বাসিন্দা জুয়েল। গত দু’বছরের বেশি সময় আগে দুর্ঘটনায় জুয়েলের এক হাতের হাড় ভেঙে গেলে গত বৃহস্পতিবার শহরের ট্রমা জেনারেল (প্রাইভেট) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ঘণ্টা পেরিয়ে গেলেও জুয়েলের জ্ঞান ফেরেনি। এতে স্বজনদের সন্দেহ হলে ওটিতে গিয়ে জুয়েলকে মৃত অবস্থায় দেখতে পায়। পরে নিহতের খবর ছড়িয়ে পড়লে শত শত লোকজন হাসপাতালে ভিড় করে। এক পর্যায়ে উত্তেজিত জনতা হাসপাতালে হামলা ও ভাঙচুর চালায়। পরে খবর পেয়ে পুলিশ ও র্যাব ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
সোমবার, ০৮ জুলাই ২০১৯ , ২৪ আষাঢ় ১৪২৫, ৪ জ্বিলকদ ১৪৪০
প্রতিনিধি, ভৈরব
কিশোরগঞ্জের ভৈরবে ভুল চিকিৎসার শিকার হয়ে জুয়েল নামে এক যুবক নিহতের ঘটনায় চার সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের টিএইচও ডা. বুলবুল আহমেদকে প্রধান করে এই তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। গত শনিবার গণমাধ্যমে প্রচারিত খবরে কিশোরগঞ্জ সিভিল সার্জন ডা. মো. হাবিবুর রহমান এই তদন্ত কমিটি গঠন করেন। কমিটিকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। ফলে গতকাল সকালে শহরের ট্রমা জেনারেল (প্রাইভেট) হাসপাতাল পরিদর্শনে আসেন কমিটির সদস্যরা। এছাড়াও এ ঘটনার পর থেকে হাসপাতালের সকল কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। তালা ঝুলছে গেইটে। অন্যদিকে ভুল চিকিৎসায় নিহতের বড় ভাই কামাল মিয়া বাদী হয়ে দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগ এনে ডা. কামরুজ্জামান আজাদকে প্রধান অভিযুক্ত করে ৪ জনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়ের করেছেন। এতে পুলিশের হাতে আটক চিকিৎসক কামরুজ্জামান আজাদকে গ্রেফতার দেখিয়ে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।
এলাকাবাসী ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, শহরের চন্ডিবের গ্রামের দক্ষিণ পাড়ার বাসিন্দা জুয়েল। গত দু’বছরের বেশি সময় আগে দুর্ঘটনায় জুয়েলের এক হাতের হাড় ভেঙে গেলে গত বৃহস্পতিবার শহরের ট্রমা জেনারেল (প্রাইভেট) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ঘণ্টা পেরিয়ে গেলেও জুয়েলের জ্ঞান ফেরেনি। এতে স্বজনদের সন্দেহ হলে ওটিতে গিয়ে জুয়েলকে মৃত অবস্থায় দেখতে পায়। পরে নিহতের খবর ছড়িয়ে পড়লে শত শত লোকজন হাসপাতালে ভিড় করে। এক পর্যায়ে উত্তেজিত জনতা হাসপাতালে হামলা ও ভাঙচুর চালায়। পরে খবর পেয়ে পুলিশ ও র্যাব ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।