বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জের পানগুছি নদীর মোহনায় বিষখালী খালের স্লুইজ গেটটির দু’পাড় ধরে ফাটল দেখা দিয়েছে। হুমকির মুখে ঝুঁকিতে রয়েছে স্লুইজ গেটসহ খাদ্যগুদাম। গত বৃহস্পতিবার বিকেলে ৪টায় স্লুইজ গেটের দু’পাড়ে মাটিতে ফাটল ধরে। তাৎক্ষণিক পানিউন্নয়ন বোর্ড কর্তৃপক্ষ বিষয়টি নজরদারিতে নিয়ে তাদের ৫০ জন লেবার ৪ দিন ধরে রাত-দিন কাজ করছে। গত রোববার সরেজমিনে দেখা গেছে, স্লুইজ গেটের দু’পাড়ে ফাটল নিয়ন্ত্রনের জন্য জিওব্যাগের মাধ্যমে দু’পাশে বালুর ডামপিং করা হচ্ছে। ইতোমধ্যে ১ হাজার ব্যাগ দু’পাড়ে দেয়া হয়েছে এবং অতিরিক্ত জিওব্যাগ আরও মজুদ রাখা হয়েছে বলে পানি উন্নয়ন বোর্ডের স্লুইজগেটের দায়িত্বরত তত্ত্বাবধায়ক(এসও)মাহমুদুল নবি নাইম জানিয়েছেন। জানা গেছে, পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃক ২০০০ সালে ৭ বেল্টের এ স্লুইজ গেটটি নির্মাণ করা হয়। উপজেলার হোগলাবুনিয়া ও বহরবুনিয়ার ১৫টি গ্রামের ১০টি খালের পানি নিস্কাশন হয় এ স্লুইজ গেটটি থেকে। এ ঘটনায় পানি উন্নয়ন বোর্ডের খুলনা সার্কেলের চিপ ইঞ্জিনিয়ার প্রধান প্রকৌশলী মো. সিদ্দিকুর রহমান, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মো. আবুল হোসেন, ঢাকা সার্কেলের প্রকৌশলী মো. মাহফুজুর রহমানসহ একটি প্রতিনিধি দল ইতোমধ্যে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। এদিকে স্থানীয় এলাকাবাসীর দাবি নতুন করে আধুনিক টেকশই স্লুইজগেট নির্মাণের। এ সম্পর্কে হোগলাবুনিয়া চেয়ারম্যান মো. আকরামুজ্জামান জানান, র্দীঘদিন ধরে স্লুইজ গেটটি বন্ধ থাকার কারণে অতিরিক্ত পানি বৃদ্ধি ও ইতোপূর্বে কোন সংস্কার না হওয়ার কারণে ঝুঁকির মুখে স্লুইজ গেটটির আজ এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। এ বিষয়ে বাগেরহাট জেলা নির্বাহী প্রকৌশলী মো. নাহিদুজ্জামান খান জানান, মোরেলগঞ্জর স্লুইজ গেটটির দু’পাড়ে ফাটল ধরায় ইতোমধ্যে সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে সমাধানের চেষ্টায় দ্রুত কাজ করার জন্য নির্দেশ দিয়েছেন। সেক্ষত্রে দু’পাড়ে জাম্পিং করা হচ্ছে আশা করা যাচ্ছে দু’সপ্তাহের মধ্যে এ কাজ শেষ করা হবে। এ বিষয়ে মোরেলগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. কামরুজ্জামান বলেন, ঝুঁকিপূর্ণ এ স্লুইজ গেটটি জেলা প্রশাসক মো. মামুনুর রশিদ রোববার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করবেন বলে তিনি জানান।
মঙ্গলবার, ০৯ জুলাই ২০১৯ , ২৫ আষাঢ় ১৪২৫, ৫ জ্বিলকদ ১৪৪০
প্রতিনিধি, মোরেলগঞ্জ (বাগেরহাট)
বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জের পানগুছি নদীর মোহনায় বিষখালী খালের স্লুইজ গেটটির দু’পাড় ধরে ফাটল দেখা দিয়েছে। হুমকির মুখে ঝুঁকিতে রয়েছে স্লুইজ গেটসহ খাদ্যগুদাম। গত বৃহস্পতিবার বিকেলে ৪টায় স্লুইজ গেটের দু’পাড়ে মাটিতে ফাটল ধরে। তাৎক্ষণিক পানিউন্নয়ন বোর্ড কর্তৃপক্ষ বিষয়টি নজরদারিতে নিয়ে তাদের ৫০ জন লেবার ৪ দিন ধরে রাত-দিন কাজ করছে। গত রোববার সরেজমিনে দেখা গেছে, স্লুইজ গেটের দু’পাড়ে ফাটল নিয়ন্ত্রনের জন্য জিওব্যাগের মাধ্যমে দু’পাশে বালুর ডামপিং করা হচ্ছে। ইতোমধ্যে ১ হাজার ব্যাগ দু’পাড়ে দেয়া হয়েছে এবং অতিরিক্ত জিওব্যাগ আরও মজুদ রাখা হয়েছে বলে পানি উন্নয়ন বোর্ডের স্লুইজগেটের দায়িত্বরত তত্ত্বাবধায়ক(এসও)মাহমুদুল নবি নাইম জানিয়েছেন। জানা গেছে, পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃক ২০০০ সালে ৭ বেল্টের এ স্লুইজ গেটটি নির্মাণ করা হয়। উপজেলার হোগলাবুনিয়া ও বহরবুনিয়ার ১৫টি গ্রামের ১০টি খালের পানি নিস্কাশন হয় এ স্লুইজ গেটটি থেকে। এ ঘটনায় পানি উন্নয়ন বোর্ডের খুলনা সার্কেলের চিপ ইঞ্জিনিয়ার প্রধান প্রকৌশলী মো. সিদ্দিকুর রহমান, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মো. আবুল হোসেন, ঢাকা সার্কেলের প্রকৌশলী মো. মাহফুজুর রহমানসহ একটি প্রতিনিধি দল ইতোমধ্যে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। এদিকে স্থানীয় এলাকাবাসীর দাবি নতুন করে আধুনিক টেকশই স্লুইজগেট নির্মাণের। এ সম্পর্কে হোগলাবুনিয়া চেয়ারম্যান মো. আকরামুজ্জামান জানান, র্দীঘদিন ধরে স্লুইজ গেটটি বন্ধ থাকার কারণে অতিরিক্ত পানি বৃদ্ধি ও ইতোপূর্বে কোন সংস্কার না হওয়ার কারণে ঝুঁকির মুখে স্লুইজ গেটটির আজ এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। এ বিষয়ে বাগেরহাট জেলা নির্বাহী প্রকৌশলী মো. নাহিদুজ্জামান খান জানান, মোরেলগঞ্জর স্লুইজ গেটটির দু’পাড়ে ফাটল ধরায় ইতোমধ্যে সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে সমাধানের চেষ্টায় দ্রুত কাজ করার জন্য নির্দেশ দিয়েছেন। সেক্ষত্রে দু’পাড়ে জাম্পিং করা হচ্ছে আশা করা যাচ্ছে দু’সপ্তাহের মধ্যে এ কাজ শেষ করা হবে। এ বিষয়ে মোরেলগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. কামরুজ্জামান বলেন, ঝুঁকিপূর্ণ এ স্লুইজ গেটটি জেলা প্রশাসক মো. মামুনুর রশিদ রোববার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করবেন বলে তিনি জানান।