ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের গোপালগঞ্জ শহরের বেদগ্রামে হাইভোল্টেজ বিদ্যুৎ লাইনের ১৪টি খুঁটি রেখেই রাস্তা প্রশস্তকরণের কাজ চলছে। খুঁটিগুলোকে ঘিরেই সড়ক প্রশস্তকরণের খোঁড়াখুঁড়ি, ইট, বালু, খোয়া বিছানো ও রাস্তার কার্পেটিং এর কাজ করা হচ্ছে। এতে বিদ্যুতের খুঁটিগুলো ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। রাস্তার মাঝে ও পাশে থাকা এসব খুঁটি যে কোন সময় হেলে পড়তে পারে। এতে বড় ধরনের দুর্ঘটনার আশঙ্কা করছেন এলাকাবাসী। পাশাপাশি এ সড়কে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যেতে পারে। তারপরও ঝুঁকি নিয়ে প্রতিদিন যাত্রী সাধারণ ও যানবাহন এ সড়ক দিয়ে চলাচল করছে। গোপালগঞ্জ সড়ক বিভাগ জানিয়েছে, গত ১৪ ফেব্রুয়ারি সারাদেশের সড়ক-মহাসড়কে থাকা সব ধরনের খুঁটি ৬০ দিনের মধ্যে অপসারণের নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। কিন্তু গোপালগঞ্জের কোথাও খুঁটি অপসারণ করেনি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। সড়ক বিভাগ খুঁটি অপসারণের জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছেন। এতে কোন কাজ হয়নি। তাই রাস্তার ওপর বিদ্যুতের খুঁটি রেখেই সড়ক প্রশস্তকরণের কাজ চালিয়ে যাচ্ছে সড়ক বিভাগের ঠিকাদার।
সড়ক বিভাগ আরও জানিয়েছে, প্রায় ৬ কোটি ৯৪ লাখ টাকা ব্যয়ে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের গোপালগঞ্জ শহরের বেদগ্রামে চৌরাস্তা বাস্তবায়ন করছে ওয়াহিদ কনস্ট্রাকশন নামে একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। বাস চালক শাহজাহান বলেন, এখান দিয়ে জাতীয় বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইন চলে গেছে। পাশাপাশি স্থানীয় বিদ্যুৎ সরবরাহ লাইন রয়েছে। এলোমেলো অবস্থায় রাস্তার মাঝে ও এখানে সেখানে বিদ্যুতের খুঁটি রয়েছে। এগুলো না সরিয়ে রাস্তার কাজ করা হচ্ছে। এতে এ সড়কে চলাচলকারী মানুষ ও যান বাহন বিশাল ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। গোপালগঞ্জ সড়ক বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী খ. মো. শরিফুল আলম বলেন, সড়কের ওপর থেকে বৈদ্যুতিক খুঁটি সরিয়ে নিতে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ করা হয়েছে। কিন্তু তারপরও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বৈদ্যুতিক খুঁটি সরিয়ে নেয়নি। আমরা বৈদ্যুতিক খুঁটি থেকে নিরাপদ দূরত্ব বজায় রেখে রাস্তার কাজ করছি। ইতোমধ্যে ওই সড়কের প্রায় ৮০ ভাগ কাজ শেষ হয়েছে। কাজ শেষ হওয়ার আগেই বিদ্যুৎ বিভাগ খুঁটি সরিয়ে নেবে বলে আশা প্রকাশ করছি। গোপালগঞ্জ বিদ্যুৎ বিভাগের (ওজোপাডিকো) নির্বাহী প্রকৌশলী মামুন অর রশীদ এ বিষয়ে বক্তব্য দিতে রাজি হননি। এমনকি এ বিষয়ে বিভিন্ন প্রশ্ন করা হলে তিনি তার কোন উত্তর দেননি। তিনি এ নিয়ে বারবার সাংবাদিকদের এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন।
মঙ্গলবার, ০৯ জুলাই ২০১৯ , ২৫ আষাঢ় ১৪২৫, ৫ জ্বিলকদ ১৪৪০
প্রতিনিধি, গোপালগঞ্জ
ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের গোপালগঞ্জ শহরের বেদগ্রামে হাইভোল্টেজ বিদ্যুৎ লাইনের ১৪টি খুঁটি রেখেই রাস্তা প্রশস্তকরণের কাজ চলছে। খুঁটিগুলোকে ঘিরেই সড়ক প্রশস্তকরণের খোঁড়াখুঁড়ি, ইট, বালু, খোয়া বিছানো ও রাস্তার কার্পেটিং এর কাজ করা হচ্ছে। এতে বিদ্যুতের খুঁটিগুলো ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। রাস্তার মাঝে ও পাশে থাকা এসব খুঁটি যে কোন সময় হেলে পড়তে পারে। এতে বড় ধরনের দুর্ঘটনার আশঙ্কা করছেন এলাকাবাসী। পাশাপাশি এ সড়কে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যেতে পারে। তারপরও ঝুঁকি নিয়ে প্রতিদিন যাত্রী সাধারণ ও যানবাহন এ সড়ক দিয়ে চলাচল করছে। গোপালগঞ্জ সড়ক বিভাগ জানিয়েছে, গত ১৪ ফেব্রুয়ারি সারাদেশের সড়ক-মহাসড়কে থাকা সব ধরনের খুঁটি ৬০ দিনের মধ্যে অপসারণের নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। কিন্তু গোপালগঞ্জের কোথাও খুঁটি অপসারণ করেনি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। সড়ক বিভাগ খুঁটি অপসারণের জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছেন। এতে কোন কাজ হয়নি। তাই রাস্তার ওপর বিদ্যুতের খুঁটি রেখেই সড়ক প্রশস্তকরণের কাজ চালিয়ে যাচ্ছে সড়ক বিভাগের ঠিকাদার।
সড়ক বিভাগ আরও জানিয়েছে, প্রায় ৬ কোটি ৯৪ লাখ টাকা ব্যয়ে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের গোপালগঞ্জ শহরের বেদগ্রামে চৌরাস্তা বাস্তবায়ন করছে ওয়াহিদ কনস্ট্রাকশন নামে একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। বাস চালক শাহজাহান বলেন, এখান দিয়ে জাতীয় বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইন চলে গেছে। পাশাপাশি স্থানীয় বিদ্যুৎ সরবরাহ লাইন রয়েছে। এলোমেলো অবস্থায় রাস্তার মাঝে ও এখানে সেখানে বিদ্যুতের খুঁটি রয়েছে। এগুলো না সরিয়ে রাস্তার কাজ করা হচ্ছে। এতে এ সড়কে চলাচলকারী মানুষ ও যান বাহন বিশাল ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। গোপালগঞ্জ সড়ক বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী খ. মো. শরিফুল আলম বলেন, সড়কের ওপর থেকে বৈদ্যুতিক খুঁটি সরিয়ে নিতে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ করা হয়েছে। কিন্তু তারপরও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বৈদ্যুতিক খুঁটি সরিয়ে নেয়নি। আমরা বৈদ্যুতিক খুঁটি থেকে নিরাপদ দূরত্ব বজায় রেখে রাস্তার কাজ করছি। ইতোমধ্যে ওই সড়কের প্রায় ৮০ ভাগ কাজ শেষ হয়েছে। কাজ শেষ হওয়ার আগেই বিদ্যুৎ বিভাগ খুঁটি সরিয়ে নেবে বলে আশা প্রকাশ করছি। গোপালগঞ্জ বিদ্যুৎ বিভাগের (ওজোপাডিকো) নির্বাহী প্রকৌশলী মামুন অর রশীদ এ বিষয়ে বক্তব্য দিতে রাজি হননি। এমনকি এ বিষয়ে বিভিন্ন প্রশ্ন করা হলে তিনি তার কোন উত্তর দেননি। তিনি এ নিয়ে বারবার সাংবাদিকদের এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন।