ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গায় মায়ের সম্পত্তি প্রতারণা করে লিখে নেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে আপন ছেলের বিরুদ্ধে। সম্পত্তি ফিরে পেতে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন ওই ভুক্তভোগী মা। উপজেলার গোপালপুর গ্রামের নাজমুল ইসলাম ঝিকুর বিরুদ্ধে এ প্রতারণার অভিযোগ পাওয়া গেছে। অভিযোগ করেছেন ঝিকুর ৮৫ বছর বয়সী মা হামিদা বেগম। জানা গেছে, স্বামী আজিজার রহমান মারা গেছেন বছর ৩৩ হলো। সেই থেকে তার নিজ নামে থাকা ৫৪ শতাংশ ও স্বামী থেকে পাওয়া ১০ শতাংশ মোট ৬৪ শতাংশ জমি আঁকড়ে ধরে ছিলেন হামিদা বেগম। সেই জমি থেকে বিদেশ যাওয়ার জন্য ৫ শতাংশ জমি নেয়ার কথা বলে মা ও বোনেদের অজান্তে প্রতারণা করে মায়ের ৬৪ শতাংশ ও বোনেদের ৪০ শতাংশসহ মোট ১ একর ৪ শতাংশ জমি লিখে নেন তার মেঝো ছেলে ঝিকু। ছেলের প্রতারণার শিকার হয়ে সর্বস্ব হারিয়ে এখন অন্যত্র বসবাস করছেন বৃদ্ধা মা হামিদা বেগম। জমিটুকু কেড়ে নেয়ার পর ভাত-কাপড় দেয়াতো দূরের কথা একটু মাথা গোঁজারও ঠাঁইও হয় নাই তার ছেলের সংসারে। বরং জমি ফেরত চাওয়ায় ছেলে ও পুত্রবধূর অত্যাচার ও নির্যাতন থেকেও বাদ যাননি তিনি। তিনি আরও বলেন, ঝিকু আমার সব সম্পত্তি নিয়েই ক্ষ্যান্ত হয়নি। জমি ফেরত চাওয়ায় আমাকে ঝিকু ও ঝিকুর বউ অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করে আমাকে বাড়ি থেকে বের করে দিয়েছে। পরের বাড়ির একটি ভাঙাচোরা ঘরে কোনমতে বসবাস করছি। ঝিকু আমার কোন খোঁজ-খবর নেয় না ও ভরণ-পোষণও দেয় না। আমি প্রধানমন্ত্রীর কাছে বিচার চাই।
মঙ্গলবার, ০৯ জুলাই ২০১৯ , ২৫ আষাঢ় ১৪২৫, ৫ জ্বিলকদ ১৪৪০
প্রতিনিধি, ফরিদপুর
ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গায় মায়ের সম্পত্তি প্রতারণা করে লিখে নেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে আপন ছেলের বিরুদ্ধে। সম্পত্তি ফিরে পেতে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন ওই ভুক্তভোগী মা। উপজেলার গোপালপুর গ্রামের নাজমুল ইসলাম ঝিকুর বিরুদ্ধে এ প্রতারণার অভিযোগ পাওয়া গেছে। অভিযোগ করেছেন ঝিকুর ৮৫ বছর বয়সী মা হামিদা বেগম। জানা গেছে, স্বামী আজিজার রহমান মারা গেছেন বছর ৩৩ হলো। সেই থেকে তার নিজ নামে থাকা ৫৪ শতাংশ ও স্বামী থেকে পাওয়া ১০ শতাংশ মোট ৬৪ শতাংশ জমি আঁকড়ে ধরে ছিলেন হামিদা বেগম। সেই জমি থেকে বিদেশ যাওয়ার জন্য ৫ শতাংশ জমি নেয়ার কথা বলে মা ও বোনেদের অজান্তে প্রতারণা করে মায়ের ৬৪ শতাংশ ও বোনেদের ৪০ শতাংশসহ মোট ১ একর ৪ শতাংশ জমি লিখে নেন তার মেঝো ছেলে ঝিকু। ছেলের প্রতারণার শিকার হয়ে সর্বস্ব হারিয়ে এখন অন্যত্র বসবাস করছেন বৃদ্ধা মা হামিদা বেগম। জমিটুকু কেড়ে নেয়ার পর ভাত-কাপড় দেয়াতো দূরের কথা একটু মাথা গোঁজারও ঠাঁইও হয় নাই তার ছেলের সংসারে। বরং জমি ফেরত চাওয়ায় ছেলে ও পুত্রবধূর অত্যাচার ও নির্যাতন থেকেও বাদ যাননি তিনি। তিনি আরও বলেন, ঝিকু আমার সব সম্পত্তি নিয়েই ক্ষ্যান্ত হয়নি। জমি ফেরত চাওয়ায় আমাকে ঝিকু ও ঝিকুর বউ অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করে আমাকে বাড়ি থেকে বের করে দিয়েছে। পরের বাড়ির একটি ভাঙাচোরা ঘরে কোনমতে বসবাস করছি। ঝিকু আমার কোন খোঁজ-খবর নেয় না ও ভরণ-পোষণও দেয় না। আমি প্রধানমন্ত্রীর কাছে বিচার চাই।