বরগুনার বেতাগীতে গার্ডার ব্রিজ নির্মাণে গুণার পরিবর্তে পাটের সুতা দিয়ে রড বাঁধা ও সিডিউল অনুসারে কাজ না করার অভিযোগ উঠেছে। এ অনিয়মের কারণে ভবিষ্যতে ব্রিজ ভেঙ্গে বড় ধরনের দুর্ঘটনার আশঙ্কা রয়েছে।
স্থানীয় সরকার ও পল্লী উন্নয়ন সমবায় মন্ত্রণালয়ের অধীনে ২০১৮ সালের জুলাই মাসে ১ কোটি ২৬ লাখ ৬৬ হাজার টাকা ব্যয়ে উপজেলার হোসনাবাদ ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের বেড়েরধন নদী সংলগ্ন ছোট খালের ওপর ১টি ব্রিজ নির্মাণে দরপত্র আহ্বান করা হয়। কাজ পান ‘বরিশালের মেসার্স মায়ের দোয়া কনস্ট্রাকশন’ নামে একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। পরে বরগুনার ‘মের্সাস জোমাদ্দার কনস্ট্রাকসন’ কাজটি টাকার বিনিময়ে চুক্তি করে বাস্তবায়ন করছে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, ব্রিজের স্ট্যান্ডিংয়ের রড বাধাঁইয়ের কাজে লোহার গুণার পরিবর্তে পাটের সুতা ব্যবহার করা হয়েছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক স্থানীয় বাসিন্দা অভিযোগ করেন, সিডিউল অনুসারে আনুপাতিক হারে রড ও সিমেন্ট দেয়া হচ্ছে না এবং মরিচা ধরা লোহা ব্যবহার করে কাজটি করা হচ্ছে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি মো. ফুয়াদ হোসেন বলেন, পাটের সুতা একদম মজবুত কম নয়। মোটা রড তাই গুণা দিয়ে বাঁধতে সমস্যা। রড সোজা করার জন্য সুতা ব্যবহার করা হয়েছে। প্রয়োজন হলে পরিবর্তন করব।
এলজিইডি বরগুনার সিনিয়র সহকারী প্রকৌশলী মো. শফিকুল ইসলাম জানান, সঠিক অনুপাতে রড ও সিমেন্ট দেয়া হয়েছে। ঢালাইয়ের সময়ে অফিসের লোকজন তদারকি করছেন। গুরুতর অনিয়মের লিখিত কোন অভিযোগ পেলে অবশ্যই ব্যবস্থা নেবো।’
এ ব্যাপারে বেতাগী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. রাজীব আহসান বলেন, এ ধরনের অভিযোগ এখনও পাইনি। তবে কাজের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট প্রকৌশলী’র সঙ্গে কথা বলে অনিয়ম হয়ে থাকলে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।
মঙ্গলবার, ০৯ জুলাই ২০১৯ , ২৫ আষাঢ় ১৪২৫, ৫ জ্বিলকদ ১৪৪০
চিত্তরঞ্জন শীল, বরগুনা
বরগুনার বেতাগীতে গার্ডার ব্রিজ নির্মাণে গুণার পরিবর্তে পাটের সুতা দিয়ে রড বাঁধা ও সিডিউল অনুসারে কাজ না করার অভিযোগ উঠেছে। এ অনিয়মের কারণে ভবিষ্যতে ব্রিজ ভেঙ্গে বড় ধরনের দুর্ঘটনার আশঙ্কা রয়েছে।
স্থানীয় সরকার ও পল্লী উন্নয়ন সমবায় মন্ত্রণালয়ের অধীনে ২০১৮ সালের জুলাই মাসে ১ কোটি ২৬ লাখ ৬৬ হাজার টাকা ব্যয়ে উপজেলার হোসনাবাদ ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের বেড়েরধন নদী সংলগ্ন ছোট খালের ওপর ১টি ব্রিজ নির্মাণে দরপত্র আহ্বান করা হয়। কাজ পান ‘বরিশালের মেসার্স মায়ের দোয়া কনস্ট্রাকশন’ নামে একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। পরে বরগুনার ‘মের্সাস জোমাদ্দার কনস্ট্রাকসন’ কাজটি টাকার বিনিময়ে চুক্তি করে বাস্তবায়ন করছে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, ব্রিজের স্ট্যান্ডিংয়ের রড বাধাঁইয়ের কাজে লোহার গুণার পরিবর্তে পাটের সুতা ব্যবহার করা হয়েছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক স্থানীয় বাসিন্দা অভিযোগ করেন, সিডিউল অনুসারে আনুপাতিক হারে রড ও সিমেন্ট দেয়া হচ্ছে না এবং মরিচা ধরা লোহা ব্যবহার করে কাজটি করা হচ্ছে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি মো. ফুয়াদ হোসেন বলেন, পাটের সুতা একদম মজবুত কম নয়। মোটা রড তাই গুণা দিয়ে বাঁধতে সমস্যা। রড সোজা করার জন্য সুতা ব্যবহার করা হয়েছে। প্রয়োজন হলে পরিবর্তন করব।
এলজিইডি বরগুনার সিনিয়র সহকারী প্রকৌশলী মো. শফিকুল ইসলাম জানান, সঠিক অনুপাতে রড ও সিমেন্ট দেয়া হয়েছে। ঢালাইয়ের সময়ে অফিসের লোকজন তদারকি করছেন। গুরুতর অনিয়মের লিখিত কোন অভিযোগ পেলে অবশ্যই ব্যবস্থা নেবো।’
এ ব্যাপারে বেতাগী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. রাজীব আহসান বলেন, এ ধরনের অভিযোগ এখনও পাইনি। তবে কাজের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট প্রকৌশলী’র সঙ্গে কথা বলে অনিয়ম হয়ে থাকলে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।