রংপুরের পীরগঞ্জ উপজেলার খালাশপীর দারুল হুদা ফাযিল (স্নœাতক) মাদরাসায় দুই পদে লোক নিয়োগের নামে দুর্নীতির মাধ্যমে প্রায় অর্ধকোটি টাকা হাতিয়ে নেয়ার ঘটনায় ১১৮ ব্যক্তির স্বাক্ষরিত অভিযোগের পরও গত ৩ মাসেও তদন্ত হয়নি।
রংপুরের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) বরাবরে গত ১৫ এপ্রিল ২০১৯ তারিখে অভিযোগ দাখিল করা হয়।
লিখিত অভিযোগ ও এলাকাবাসী সুত্রে জানা গেছে, উক্ত মাদরাসায় বিগত ২০০৯ সনে অধ্যক্ষ হিসেবে আব্দুল ওয়াহেদ যোগদানের পর থেকে মাদরাসাটি নিয়ম বহির্ভুতভাবে পারিচালনা করে আসছেন। এরই ধারাবাহিকতায় মাদরাসাটিতে গ্রন্থাগারিক ও অফিস সহায়ক পদে লোক নিয়োগে এলাকায় প্রচারহীন কাগজে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে নিয়োগ প্রত্যাশীদের সঙ্গে যোগসাজশ করে অধ্যক্ষ ১২ থেকে ১৪ জন প্রার্থীর কাছে প্রায় অর্ধকোটি টাকা হাতিয়ে নিয়ে নিয়োগ দিতে ব্যর্থ হয়। ফলে স্থানীয় বাসিন্দা এবং নিয়োগ প্রত্যাশী পরিবারের লোকজনরা ক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছে। গত রোববার ওই অধ্যক্ষ মাদ্রাসায় এলে নিয়োগ প্রত্যাশী ও তাদের লোকজনের হাতে লাঞ্চিত হওয়ার ঘটনা ঘটে। স্থানীয় ব্যবসায়ী মাদরাসার শুভাকাঙ্খী মোস্তাফিজুর রহমান মন্ডল মানিক ও দছিজল হক বলেন, এ নিয়োগকে কেন্দ্র করে ঘটনার সুরাহা না হলে এলাকায় বড় ধরনের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন।
এ ব্যাপারে অধ্যক্ষ আব্দুল ওয়াহেদ বলেন, নিয়োগের অর্থ নেয়ার বিষয়টি সত্য নয়। নিয়োগ যথা সময়ে হতো কিন্তু এলাকাবাসীরা নিয়োগ সংক্রান্ত অভিযোগ করায় নিয়োগ বন্ধ রয়েছে।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার আব্দুল মমিন বলেছেন, শিক্ষক নিয়োগে তারা ডিজির প্রতিনিধি পায়নি এবং নিয়োগ নিয়ে সমস্যা থাকায় নিয়োগ বন্ধ আছে।
বৃহস্পতিবার, ১১ জুলাই ২০১৯ , ২৭ আষাঢ় ১৪২৫, ৭ জ্বিলকদ ১৪৪০
প্রতিনিধি, পীরগঞ্জ (রংপুর)
রংপুরের পীরগঞ্জ উপজেলার খালাশপীর দারুল হুদা ফাযিল (স্নœাতক) মাদরাসায় দুই পদে লোক নিয়োগের নামে দুর্নীতির মাধ্যমে প্রায় অর্ধকোটি টাকা হাতিয়ে নেয়ার ঘটনায় ১১৮ ব্যক্তির স্বাক্ষরিত অভিযোগের পরও গত ৩ মাসেও তদন্ত হয়নি।
রংপুরের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) বরাবরে গত ১৫ এপ্রিল ২০১৯ তারিখে অভিযোগ দাখিল করা হয়।
লিখিত অভিযোগ ও এলাকাবাসী সুত্রে জানা গেছে, উক্ত মাদরাসায় বিগত ২০০৯ সনে অধ্যক্ষ হিসেবে আব্দুল ওয়াহেদ যোগদানের পর থেকে মাদরাসাটি নিয়ম বহির্ভুতভাবে পারিচালনা করে আসছেন। এরই ধারাবাহিকতায় মাদরাসাটিতে গ্রন্থাগারিক ও অফিস সহায়ক পদে লোক নিয়োগে এলাকায় প্রচারহীন কাগজে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে নিয়োগ প্রত্যাশীদের সঙ্গে যোগসাজশ করে অধ্যক্ষ ১২ থেকে ১৪ জন প্রার্থীর কাছে প্রায় অর্ধকোটি টাকা হাতিয়ে নিয়ে নিয়োগ দিতে ব্যর্থ হয়। ফলে স্থানীয় বাসিন্দা এবং নিয়োগ প্রত্যাশী পরিবারের লোকজনরা ক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছে। গত রোববার ওই অধ্যক্ষ মাদ্রাসায় এলে নিয়োগ প্রত্যাশী ও তাদের লোকজনের হাতে লাঞ্চিত হওয়ার ঘটনা ঘটে। স্থানীয় ব্যবসায়ী মাদরাসার শুভাকাঙ্খী মোস্তাফিজুর রহমান মন্ডল মানিক ও দছিজল হক বলেন, এ নিয়োগকে কেন্দ্র করে ঘটনার সুরাহা না হলে এলাকায় বড় ধরনের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন।
এ ব্যাপারে অধ্যক্ষ আব্দুল ওয়াহেদ বলেন, নিয়োগের অর্থ নেয়ার বিষয়টি সত্য নয়। নিয়োগ যথা সময়ে হতো কিন্তু এলাকাবাসীরা নিয়োগ সংক্রান্ত অভিযোগ করায় নিয়োগ বন্ধ রয়েছে।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার আব্দুল মমিন বলেছেন, শিক্ষক নিয়োগে তারা ডিজির প্রতিনিধি পায়নি এবং নিয়োগ নিয়ে সমস্যা থাকায় নিয়োগ বন্ধ আছে।