আইপিও বন্ধ জটিলতায় ২৬ কোম্পানি

প্রাথমিক গণপ্রস্তাব (আইপিও) বন্ধ রাখায় আবেদনকৃত ২৬টি কোম্পানি কোন নিয়মে অনুমোদন পাবে তা নিয়ে এক ধরনের জটিলতা তৈরি হয়েছে। একদিকে গত কয়েক মাস ধরে আইপিও অনুমোদন বন্ধ রয়েছে। অন্যদিকে আবেদনকৃত কোম্পানিগুলোকে সংশোধিত পাবলিক ইস্যু রুলসে আবেদন করতে হবে কিনা তাও নিশ্চিত নয়। পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) থেকে এ বিষয়ে কোন নির্দেশনা দিতে পারেনি এতদিনেও। এতে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে কোম্পানিগুলোর ক্ষেত্রে। পাশাপাশি নতুন কোন আইপিওর আবেদন জমা না নেয়ায় মার্চেন্ট ব্যাংকগুলোর আইপিও প্রক্রিয়াতেও স্থবিরতা তৈরি হয়েছে। সংশ্লিষ্ট সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।

অর্থনীতিবিদদের মতে দেশের শিল্প-বাণিজ্যে দীর্ঘমেয়াদি অর্থসংস্থানের জন্য শিল্পোদ্যোক্তারা পুঁজিবাজারের মাধ্যমে পুঁজি সংগ্রহ করবে। সাময়িকভাবে আইপিও বন্ধ থাকলেও উদ্যোক্তারা পুঁজিবাজার বিমুখ হবে। আর এতে পুঁজিবাজারের সঙ্গে দেশের শিল্প-বাণিজ্যও ক্ষতিগ্রস্ত হবে।

সূত্র মতে, প্রায় তিন মাস যাবত নতুন কোন আইপিও অনুমোধন দেয়া হয়নি। গত ৩০ এপ্রিল থেকে আইপিও আবেদন গ্রহণ বন্ধ রেখেছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসি। তবে এর আগে ২৬টি কোম্পানি আইপিওর জন্য আবেদন করেছে। যেগুলো পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্তির জন্য এখনও অনুমোদন পায়নি। এর মধ্যে ৯টি কোম্পানি বুকবিল্ডিং পদ্ধতিতে এবং বাকি ১৭টি কোম্পানি স্থির মূল্য পদ্ধতিতে পুঁজিবাজারে আসতে আবেদন করেছে।

বিএসইসি সূত্রে জানা গেছে, সংশোধিত পাবলিক ইস্যু রুলস গেজেট আকারে প্রকাশ হলে কোম্পানিগুলোকে সংশোধিত নিয়মেই অনুমোদন দিতে হবে। এতে কোম্পানিগুলোকে নতুন করে আবেদন করতে হবে। তাতে কোম্পানিগুলোর আইপিও প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে আরও সময় লাগবে। তবে সংশোধিত পাবলিক ইস্যু রুলসের গেজেটে যদি কোম্পানিগুলোর আইপিও অনুমোদন পুরনো রুলসে হবে, এ সংক্রান্ত বিষয় উল্লেখ করে দিতে হবে। তাহলে অসংশোধিত পাবলিক ইস্যু রুলসে আইপিও অনুমোদন পাবে কোম্পানিগুলো।

বিএসইসির মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক মো. সাইফুর রহমান সংবাদকে বলেন, খুব শীঘ্রই গেজেট প্রকাশ হবে। এর আগে এ বিষয়ে কিছু বলা যাচ্ছে না। তবে আপাদত নতুন কোন কোম্পানির প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের (আইপিও) আবেদন গ্রহণ করা হচ্ছে না। এর আগে গত ৩০ এপ্রিল নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসি এ সিদ্ধান্ত নেয়। কারণ বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (পাবলিক ইস্যু) রুলস, ২০১৫-এর সংশোধন করার উদ্যোগ নিয়েছে। এই সংশোধন হওয়ার আগ পর্যন্ত চলতি বছরের ২৯ এপ্রিল থেকে আইপিও সংক্রান্ত নতুন কোন আবেদন গ্রহণ করা হয়নি। তবে ইতিমধ্যে যেসব কোম্পানির আইপিও আবেদন জমা পড়ে আছে সেগুলোর ক্ষেত্রে বিদ্যমান আইন অনুযায়ী বিবেচনা করা হতে পারে। অর্থাৎ আইপিওর জন্য আবেদন দাখিল করা কোম্পানিগুলোর ক্ষেত্রে আগের নিয়মেই অনুমোদন দেয়া হবে।

এ বিষয়ে এএফসি ক্যাপিটালের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মাহবুব এইচ মজুমদার সংবাদকে বলেন, আইপিও হচ্ছে একটি চলমান প্রক্রিয়া। আইপিও বন্ধ রাখা মানেই হল দেশের শিল্প-বাণিজ্যকে বাধাগ্রস্ত করা। একারণে আইপিও নিয়ে একধরনের অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংক ও পুঁজিবাজারের রেগুলেটরদের মধ্যে সমন্বয়হীনতার কারণেই এ রকম হচ্ছে। নতুন আইপিও আসলে বাজার সচল থাকে। কিছু স্বার্থান্বেষী মহলের কারণে এখন আইপিও বন্ধ আছে। পুঁজিবাজারের মূল মিশন-ভিশন না বুঝার কারণেই এসব হচ্ছে। আইপিও বন্ধ রাখার কারণে দেশের শিল্প-বাণিজ্য ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। বর্তমানে নতুন আইপিও না থাকার কারণে শেয়ারবাজারের পতন দেখা যাচ্ছে। এতে মার্চেন্ট ব্যাংকগুলোও চলতে হিমশিম খাচ্ছে। তাই যত দ্রুত সম্ভব আইপিও অনুমোদন দেয়া উচিত।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে পুঁজিবাজার বিশ্লেষক অধ্যাপক আবু আহমেদ সংবাদকে বলেন, নতুন আইন সংশোধন বাজারের জন্য ভালো হবে। তবে গেজেট তৈরি করতে সর্বোচ্চ ১৫ দিন সময় নিতে পারে। সেখানে ৩ মাস সময় অতিক্রম করার কি আছে? তারাতারি এর সমাধান হওয়া উচিত। ক্যাপিটাল মার্কেটের মূল উদ্যেশ্যই হচ্ছে দীর্ঘমেয়াদি পুঁজি সরবরাহ করা। কিন্তু আমাদের দেশে ব্যাংক দীর্ঘমেয়াদি ঋণ দিচ্ছে। ফলে পুঁজিবাজারের তুলনায় ব্যাংক থেকেই উদ্যোক্তারা পুঁজি সংগ্রহ করতে স্বাচ্ছন্দবোধ করে।

এদিকে আইপিওতে আসতে আগ্রহী কোম্পানিগুলোর মধ্যে বুকবিল্ডিং পদ্ধতিতে ডেল্টা হসপিটাল পুঁজিবাজার থেকে ৫০ কোটি টাকা তুলতে চায়। এনার্জিপ্যাক পাওয়ার জেনারেশন ১৪৯ কোটি ৮৬ টাকা তুলতে আবেদন করেছে। স্টার সিরামিকস ৬০ কোটি টাকা, বারাকা পতেঙ্গা ২২৫ কোটি টাকা, লুব-রেফ বাংলাদেশ ১৫০ কোটি টাকা, আমান টেক্স ২০০ কোটি টাকা, মীর আখতার হোসেন লিমিটেড ১২৫ কোটি টাকা, ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ ১০০ কোটি টাকা তুলবে। ইনডেক্স এগ্রো ইন্ডাস্ট্রিজ ৫০ কোটি টাকা।

আর বুক বিল্ডিংয়ে বিডিং প্রক্রিয়ায় রয়েছে ২ কোম্পানি। এডিএন টেলিকম ৫৭ কোটি টাকা এবং পপুলার ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড ৭০ কোটি টাকা উত্তোলন করতে চায়।

এছাড়াও স্থির মূল্য পদ্ধতিতে আইপিওতে আসতে আগ্রহী কোম্পানিগুলোর মধ্যে রয়েছে এক্সপ্রেস ইন্স্যুরেন্স ২৬ কোটি ৭৯ লাখ টাকা, ইলেক্ট্রো ব্যাটারি কোম্পানি সাড়ে ২২ কোটি টাকা, দেশ জেনারেল ইন্স্যুরেন্স ১৬ কোটি টাকা, ক্রিস্টাল ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি ১৬ কোটি টাকা, আল- ফারুক ব্যাগস ৩০ কোটি টাকা, বিডি পেইন্টস ২০ কোটি টাকা, ই জেনারেশন ১৫ কোটি টাকা, এসএফ টেক্সটাইল ইন্ডাস্ট্রিজ ১৮ কোটি টাকা, বনিতো অ্যাক্সেসরিজ ইন্ড্রাস্ট্রিজ ৩০ কোটি টাকা, পিইবি স্টিল অ্যালায়েন্স ১৫ কোটি টাকা, আসিয়া সি ফুড ২০ কোটি টাকা, সোনালী লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি ১৯ কোটি টাকা, বিডি থাই ফুড অ্যান্ড বিভারেজ ১৫ কোটি টাকা, এএফসি হেল্থ ১৭ কোটি টাকা, ওরিজা এগ্রো ইন্ডাস্ট্রিজ ২৫ কোটি টাকা, অ্যাসোসিয়েটেড অক্সিজেন ১৫ কোটি টাকা এবং গার্ডেনিয়া ওয়ার্স লিমিটেড ২০ কোটি টাকা তুলতে আবেন করেছে।

বুধবার, ১৭ জুলাই ২০১৯ , ৩ শ্রাবন ১৪২৫, ১৩ জিলকদ ১৪৪০

আইপিও বন্ধ জটিলতায় ২৬ কোম্পানি

এস এম জাকির হোসাইন

image

প্রাথমিক গণপ্রস্তাব (আইপিও) বন্ধ রাখায় আবেদনকৃত ২৬টি কোম্পানি কোন নিয়মে অনুমোদন পাবে তা নিয়ে এক ধরনের জটিলতা তৈরি হয়েছে। একদিকে গত কয়েক মাস ধরে আইপিও অনুমোদন বন্ধ রয়েছে। অন্যদিকে আবেদনকৃত কোম্পানিগুলোকে সংশোধিত পাবলিক ইস্যু রুলসে আবেদন করতে হবে কিনা তাও নিশ্চিত নয়। পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) থেকে এ বিষয়ে কোন নির্দেশনা দিতে পারেনি এতদিনেও। এতে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে কোম্পানিগুলোর ক্ষেত্রে। পাশাপাশি নতুন কোন আইপিওর আবেদন জমা না নেয়ায় মার্চেন্ট ব্যাংকগুলোর আইপিও প্রক্রিয়াতেও স্থবিরতা তৈরি হয়েছে। সংশ্লিষ্ট সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।

অর্থনীতিবিদদের মতে দেশের শিল্প-বাণিজ্যে দীর্ঘমেয়াদি অর্থসংস্থানের জন্য শিল্পোদ্যোক্তারা পুঁজিবাজারের মাধ্যমে পুঁজি সংগ্রহ করবে। সাময়িকভাবে আইপিও বন্ধ থাকলেও উদ্যোক্তারা পুঁজিবাজার বিমুখ হবে। আর এতে পুঁজিবাজারের সঙ্গে দেশের শিল্প-বাণিজ্যও ক্ষতিগ্রস্ত হবে।

সূত্র মতে, প্রায় তিন মাস যাবত নতুন কোন আইপিও অনুমোধন দেয়া হয়নি। গত ৩০ এপ্রিল থেকে আইপিও আবেদন গ্রহণ বন্ধ রেখেছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসি। তবে এর আগে ২৬টি কোম্পানি আইপিওর জন্য আবেদন করেছে। যেগুলো পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্তির জন্য এখনও অনুমোদন পায়নি। এর মধ্যে ৯টি কোম্পানি বুকবিল্ডিং পদ্ধতিতে এবং বাকি ১৭টি কোম্পানি স্থির মূল্য পদ্ধতিতে পুঁজিবাজারে আসতে আবেদন করেছে।

বিএসইসি সূত্রে জানা গেছে, সংশোধিত পাবলিক ইস্যু রুলস গেজেট আকারে প্রকাশ হলে কোম্পানিগুলোকে সংশোধিত নিয়মেই অনুমোদন দিতে হবে। এতে কোম্পানিগুলোকে নতুন করে আবেদন করতে হবে। তাতে কোম্পানিগুলোর আইপিও প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে আরও সময় লাগবে। তবে সংশোধিত পাবলিক ইস্যু রুলসের গেজেটে যদি কোম্পানিগুলোর আইপিও অনুমোদন পুরনো রুলসে হবে, এ সংক্রান্ত বিষয় উল্লেখ করে দিতে হবে। তাহলে অসংশোধিত পাবলিক ইস্যু রুলসে আইপিও অনুমোদন পাবে কোম্পানিগুলো।

বিএসইসির মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক মো. সাইফুর রহমান সংবাদকে বলেন, খুব শীঘ্রই গেজেট প্রকাশ হবে। এর আগে এ বিষয়ে কিছু বলা যাচ্ছে না। তবে আপাদত নতুন কোন কোম্পানির প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের (আইপিও) আবেদন গ্রহণ করা হচ্ছে না। এর আগে গত ৩০ এপ্রিল নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসি এ সিদ্ধান্ত নেয়। কারণ বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (পাবলিক ইস্যু) রুলস, ২০১৫-এর সংশোধন করার উদ্যোগ নিয়েছে। এই সংশোধন হওয়ার আগ পর্যন্ত চলতি বছরের ২৯ এপ্রিল থেকে আইপিও সংক্রান্ত নতুন কোন আবেদন গ্রহণ করা হয়নি। তবে ইতিমধ্যে যেসব কোম্পানির আইপিও আবেদন জমা পড়ে আছে সেগুলোর ক্ষেত্রে বিদ্যমান আইন অনুযায়ী বিবেচনা করা হতে পারে। অর্থাৎ আইপিওর জন্য আবেদন দাখিল করা কোম্পানিগুলোর ক্ষেত্রে আগের নিয়মেই অনুমোদন দেয়া হবে।

এ বিষয়ে এএফসি ক্যাপিটালের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মাহবুব এইচ মজুমদার সংবাদকে বলেন, আইপিও হচ্ছে একটি চলমান প্রক্রিয়া। আইপিও বন্ধ রাখা মানেই হল দেশের শিল্প-বাণিজ্যকে বাধাগ্রস্ত করা। একারণে আইপিও নিয়ে একধরনের অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংক ও পুঁজিবাজারের রেগুলেটরদের মধ্যে সমন্বয়হীনতার কারণেই এ রকম হচ্ছে। নতুন আইপিও আসলে বাজার সচল থাকে। কিছু স্বার্থান্বেষী মহলের কারণে এখন আইপিও বন্ধ আছে। পুঁজিবাজারের মূল মিশন-ভিশন না বুঝার কারণেই এসব হচ্ছে। আইপিও বন্ধ রাখার কারণে দেশের শিল্প-বাণিজ্য ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। বর্তমানে নতুন আইপিও না থাকার কারণে শেয়ারবাজারের পতন দেখা যাচ্ছে। এতে মার্চেন্ট ব্যাংকগুলোও চলতে হিমশিম খাচ্ছে। তাই যত দ্রুত সম্ভব আইপিও অনুমোদন দেয়া উচিত।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে পুঁজিবাজার বিশ্লেষক অধ্যাপক আবু আহমেদ সংবাদকে বলেন, নতুন আইন সংশোধন বাজারের জন্য ভালো হবে। তবে গেজেট তৈরি করতে সর্বোচ্চ ১৫ দিন সময় নিতে পারে। সেখানে ৩ মাস সময় অতিক্রম করার কি আছে? তারাতারি এর সমাধান হওয়া উচিত। ক্যাপিটাল মার্কেটের মূল উদ্যেশ্যই হচ্ছে দীর্ঘমেয়াদি পুঁজি সরবরাহ করা। কিন্তু আমাদের দেশে ব্যাংক দীর্ঘমেয়াদি ঋণ দিচ্ছে। ফলে পুঁজিবাজারের তুলনায় ব্যাংক থেকেই উদ্যোক্তারা পুঁজি সংগ্রহ করতে স্বাচ্ছন্দবোধ করে।

এদিকে আইপিওতে আসতে আগ্রহী কোম্পানিগুলোর মধ্যে বুকবিল্ডিং পদ্ধতিতে ডেল্টা হসপিটাল পুঁজিবাজার থেকে ৫০ কোটি টাকা তুলতে চায়। এনার্জিপ্যাক পাওয়ার জেনারেশন ১৪৯ কোটি ৮৬ টাকা তুলতে আবেদন করেছে। স্টার সিরামিকস ৬০ কোটি টাকা, বারাকা পতেঙ্গা ২২৫ কোটি টাকা, লুব-রেফ বাংলাদেশ ১৫০ কোটি টাকা, আমান টেক্স ২০০ কোটি টাকা, মীর আখতার হোসেন লিমিটেড ১২৫ কোটি টাকা, ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ ১০০ কোটি টাকা তুলবে। ইনডেক্স এগ্রো ইন্ডাস্ট্রিজ ৫০ কোটি টাকা।

আর বুক বিল্ডিংয়ে বিডিং প্রক্রিয়ায় রয়েছে ২ কোম্পানি। এডিএন টেলিকম ৫৭ কোটি টাকা এবং পপুলার ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড ৭০ কোটি টাকা উত্তোলন করতে চায়।

এছাড়াও স্থির মূল্য পদ্ধতিতে আইপিওতে আসতে আগ্রহী কোম্পানিগুলোর মধ্যে রয়েছে এক্সপ্রেস ইন্স্যুরেন্স ২৬ কোটি ৭৯ লাখ টাকা, ইলেক্ট্রো ব্যাটারি কোম্পানি সাড়ে ২২ কোটি টাকা, দেশ জেনারেল ইন্স্যুরেন্স ১৬ কোটি টাকা, ক্রিস্টাল ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি ১৬ কোটি টাকা, আল- ফারুক ব্যাগস ৩০ কোটি টাকা, বিডি পেইন্টস ২০ কোটি টাকা, ই জেনারেশন ১৫ কোটি টাকা, এসএফ টেক্সটাইল ইন্ডাস্ট্রিজ ১৮ কোটি টাকা, বনিতো অ্যাক্সেসরিজ ইন্ড্রাস্ট্রিজ ৩০ কোটি টাকা, পিইবি স্টিল অ্যালায়েন্স ১৫ কোটি টাকা, আসিয়া সি ফুড ২০ কোটি টাকা, সোনালী লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি ১৯ কোটি টাকা, বিডি থাই ফুড অ্যান্ড বিভারেজ ১৫ কোটি টাকা, এএফসি হেল্থ ১৭ কোটি টাকা, ওরিজা এগ্রো ইন্ডাস্ট্রিজ ২৫ কোটি টাকা, অ্যাসোসিয়েটেড অক্সিজেন ১৫ কোটি টাকা এবং গার্ডেনিয়া ওয়ার্স লিমিটেড ২০ কোটি টাকা তুলতে আবেন করেছে।