বাশারের প্রতি সমর্থন অব্যাহত রাখার ঘোষণা পুতিনের

সিরিয়া পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনায় তুরস্কে মার্কিন দূত

সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের প্রতি সমর্থন অব্যাহত রাখার ঘোষণা দিয়েছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। গত রোববার দেশ দুটির মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের ৭০তম বার্ষিকী উপলক্ষে বাশারের কাছে পাঠানো এক বার্তায় তিনি নিজ দেশের এমন অবস্থানের কথা জানান। পার্স টুডে, রয়টার্স।

পুতিন বলেন, উগ্রবাদ ও সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধে সিরিয়া ও রাশিয়া পরস্পরের মিত্র হিসেবে কাজ করছে। দামেস্ক-মস্কো ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক মধ্যপ্রাচ্যসহ পুরো বিশ্বের নিরাপত্তা রক্ষায় অনুঘটকের ভূমিকা পালন করছে। তিনি বলেন, সিরিয়ার সার্বভৌমত্ব ও ভৌগোলিক অখন্ডতার প্রতি রাশিয়ার সমর্থন অব্যাহত থাকবে। দুই দেশের যৌথ প্রচেষ্টায় অচিরেই সিরিয়া থেকে ‘সন্ত্রাসীদের’ (বাশার বিরোধী বিদ্রোহী) মূলোৎপাটন হবে। এতে করে জনগণ আবার সম্পূর্ণ স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে সক্ষম হবে। এমন সময়ে পুতিন এ ঘোষণা দিলেন যখন দীর্ঘ গৃহযুদ্ধ শেষে রাশিয়ার সহায়তায় আবারও সিরিয়ার নিয়ন্ত্রণ নিতে সক্ষম হয়েছেন বাশার। দফায় দফায় বিমান হামলা চালিয়ে বাশারবিরোধী বিদ্রোহীদের তছনছ করে দিয়েছে মস্কো। প্রেসিডেন্ট বাশারের বিজয় নিশ্চিতের পর চলতি মাসেই আংশিকভাবে সিরিয়া ছাড়ার ঘোষণা দেয় লেবাননের সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহ। দলীয় সম্প্রচারমাধ্যম আল মানার টেলিভিশনে সম্প্রচারিত এক সাক্ষাৎকারে এ ঘোষণা দেন দলটির প্রধান হাসান নাসরুল্লাহ। নাসরুল্লাহ বলেন, ইতোমধ্যেই সিরিয়া থেকে বাশার বাহিনীর সমর্থনে লড়াই করা যোদ্ধার সংখ্যা কমিয়ে আনা হয়েছে। তার ভাষায়, এখনও সেখানে আমাদের উপস্থিতি রয়েছে। তবে এখন আর সেখানে উল্লেখযোগ্য সংখ্যায় থাকার প্রয়োজন নেই।

এদিকে সিরিয়া পরিস্থিতি নিয়ে বৈঠক করতে তুরস্ক সফরে রয়েছেন সিরিয়া বিষয়ক মার্কিন বিশেষ দূত জেমস জেফ্রে। রোববার মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের পক্ষ থেকে তার এ সফরের কথা নিশ্চিত করা হয়েছে। সফরে সিরিয়া বিষয়ে তুর্কি কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলবেন মার্কিন দূত। এছাড়াও নিরাপত্তা ও সন্ত্রাসবিরোধী নানা বিষয় এ বৈঠকে আলোচনা হবে। সিরিয়া বিষয়ক বিশেষ মার্কিন দূত জেমস জেফ্রে যুক্তরাষ্ট্রের আইএসবিরোধী (ইসলামপন্থি জঙ্গি সংগঠন ইসলামিক স্টেট) আন্তর্জাতিক জোটেরও বিশেষ দূত হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। গতকাল সোমবার ও আজ (মঙ্গলবার) আঙ্কারায় ঊর্ধ্বতন তুর্কি কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকে মিলিত হবেন তিনি। মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, তুরস্কের আমন্ত্রণেই এ সফরে গেছেন জেফ্রে। পশ্চিমা বিশ্ব যখন ইরাক ও সিরিয়ায় আইএসের খেলাফতের অবসান ঘোষণা করেছে, তখন জঙ্গি এ সংগঠনটি নিজেদের যুদ্ধ কৌশলে পরিবর্তন এনেছে। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক বিশ্লেষণমূলক প্রতিবেদন থেকে এমন আভাস পাওয়া গেছে। ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, ইরাক ও সিরিয়ায় নিয়ন্ত্রণ হারানোর পর আইএস যোদ্ধারা এখন গেরিলা যুদ্ধের দিকে ঝুঁকে পড়ছে।

মঙ্গলবার, ২৩ জুলাই ২০১৯ , ৮ শ্রাবন ১৪২৫, ১৯ জিলকদ ১৪৪০

বাশারের প্রতি সমর্থন অব্যাহত রাখার ঘোষণা পুতিনের

সিরিয়া পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনায় তুরস্কে মার্কিন দূত

সংবাদ ডেস্ক

সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের প্রতি সমর্থন অব্যাহত রাখার ঘোষণা দিয়েছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। গত রোববার দেশ দুটির মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের ৭০তম বার্ষিকী উপলক্ষে বাশারের কাছে পাঠানো এক বার্তায় তিনি নিজ দেশের এমন অবস্থানের কথা জানান। পার্স টুডে, রয়টার্স।

পুতিন বলেন, উগ্রবাদ ও সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধে সিরিয়া ও রাশিয়া পরস্পরের মিত্র হিসেবে কাজ করছে। দামেস্ক-মস্কো ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক মধ্যপ্রাচ্যসহ পুরো বিশ্বের নিরাপত্তা রক্ষায় অনুঘটকের ভূমিকা পালন করছে। তিনি বলেন, সিরিয়ার সার্বভৌমত্ব ও ভৌগোলিক অখন্ডতার প্রতি রাশিয়ার সমর্থন অব্যাহত থাকবে। দুই দেশের যৌথ প্রচেষ্টায় অচিরেই সিরিয়া থেকে ‘সন্ত্রাসীদের’ (বাশার বিরোধী বিদ্রোহী) মূলোৎপাটন হবে। এতে করে জনগণ আবার সম্পূর্ণ স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে সক্ষম হবে। এমন সময়ে পুতিন এ ঘোষণা দিলেন যখন দীর্ঘ গৃহযুদ্ধ শেষে রাশিয়ার সহায়তায় আবারও সিরিয়ার নিয়ন্ত্রণ নিতে সক্ষম হয়েছেন বাশার। দফায় দফায় বিমান হামলা চালিয়ে বাশারবিরোধী বিদ্রোহীদের তছনছ করে দিয়েছে মস্কো। প্রেসিডেন্ট বাশারের বিজয় নিশ্চিতের পর চলতি মাসেই আংশিকভাবে সিরিয়া ছাড়ার ঘোষণা দেয় লেবাননের সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহ। দলীয় সম্প্রচারমাধ্যম আল মানার টেলিভিশনে সম্প্রচারিত এক সাক্ষাৎকারে এ ঘোষণা দেন দলটির প্রধান হাসান নাসরুল্লাহ। নাসরুল্লাহ বলেন, ইতোমধ্যেই সিরিয়া থেকে বাশার বাহিনীর সমর্থনে লড়াই করা যোদ্ধার সংখ্যা কমিয়ে আনা হয়েছে। তার ভাষায়, এখনও সেখানে আমাদের উপস্থিতি রয়েছে। তবে এখন আর সেখানে উল্লেখযোগ্য সংখ্যায় থাকার প্রয়োজন নেই।

এদিকে সিরিয়া পরিস্থিতি নিয়ে বৈঠক করতে তুরস্ক সফরে রয়েছেন সিরিয়া বিষয়ক মার্কিন বিশেষ দূত জেমস জেফ্রে। রোববার মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের পক্ষ থেকে তার এ সফরের কথা নিশ্চিত করা হয়েছে। সফরে সিরিয়া বিষয়ে তুর্কি কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলবেন মার্কিন দূত। এছাড়াও নিরাপত্তা ও সন্ত্রাসবিরোধী নানা বিষয় এ বৈঠকে আলোচনা হবে। সিরিয়া বিষয়ক বিশেষ মার্কিন দূত জেমস জেফ্রে যুক্তরাষ্ট্রের আইএসবিরোধী (ইসলামপন্থি জঙ্গি সংগঠন ইসলামিক স্টেট) আন্তর্জাতিক জোটেরও বিশেষ দূত হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। গতকাল সোমবার ও আজ (মঙ্গলবার) আঙ্কারায় ঊর্ধ্বতন তুর্কি কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকে মিলিত হবেন তিনি। মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, তুরস্কের আমন্ত্রণেই এ সফরে গেছেন জেফ্রে। পশ্চিমা বিশ্ব যখন ইরাক ও সিরিয়ায় আইএসের খেলাফতের অবসান ঘোষণা করেছে, তখন জঙ্গি এ সংগঠনটি নিজেদের যুদ্ধ কৌশলে পরিবর্তন এনেছে। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক বিশ্লেষণমূলক প্রতিবেদন থেকে এমন আভাস পাওয়া গেছে। ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, ইরাক ও সিরিয়ায় নিয়ন্ত্রণ হারানোর পর আইএস যোদ্ধারা এখন গেরিলা যুদ্ধের দিকে ঝুঁকে পড়ছে।