ক্ষমতায় বসতে এবার রাশিয়ার শরণাপন্ন হয়েছেন ভেনিজুয়েলার স্বঘোষিত প্রেসিডেন্ট হুয়ান গুইদো। গত মঙ্গলবার এক সাক্ষাৎকারে এ তথ্য জানিয়েছেন রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ। এদিন ল্যাভরভ বলেন, গুইদোর সহযোগীরা মস্কোর সঙ্গে যোগাযোগ করতে চাইছেন। আমরা তাদের বলেছি যে, বাইরের হস্তক্ষেপের জন্য উসকানি দিয়ে অভ্যন্তরীণ সমস্যার সমাধানের প্রচেষ্টা গ্রহণযোগ্য নয়। যুক্তরাষ্ট্রে ভেনিজুয়েলার জন্য নিয়মিত হুমকি আমরা দেখছি, সেটি অগ্রহণযোগ্য। এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে সংবাদ মাধ্যম আনাদোলু এজেন্সি।

মঙ্গলবার ল্যাভরভ আরও বলেন, ভেনিজুয়েলা পরিস্থিতি ইতিবাচক পরিবর্তনের দিকে যাচ্ছে। এর আগে চলতি মাসের শেষের দিকে রাজনৈতিক সংকটে থাকা ভেনিজুয়েলার সশস্ত্র বাহিনীকে শক্তিশালী করার ঘোষণা দেয় রাশিয়া। মস্কোয় সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে রাশিয়ার উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই রিয়াবকভ জানান, চলমান চুক্তির অধীনেই ভেনেজুয়েলার সশস্ত্র বাহিনীকে শক্তিশালী করা হবে। প্রাথমিকভাবে রাশিয়া থেকে পাঠানো সামরিক সরঞ্জাম রক্ষণাবেক্ষণ প্রাধান্য পাবে। তিনি বলেন, আমরা অবশ্যই চলমান কাঠামোর মধ্যেই ভেনিজুয়েলার সশস্ত্র বাহিনীকে শক্তিশালী করার উদ্যোগ নেবো। রুশ উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ভেনিজুয়েলার বৈধ সরকারকে উৎখাত করতে মার্কিন উদ্যোগ ব্যর্থ হয়েছে। তবে দেশটির রাজনৈতিক পক্ষগুলোর সঙ্গে রাশিয়া যোগাযোগ রাখছে। উল্লেখ্য, নির্বাচনী কারচুপির অভিযোগ আর অর্থনৈতিক সংকটের বিরুদ্ধে এ বছরের শুরুতে ভেনিজুয়েলায় বিক্ষোভ শুরু হয়। বিক্ষোভের সুযোগে গত ২৩ জানুয়ারি নিজেকে অন্তর্বর্তীকালীন প্রেসিডেন্ট ঘোষণা করেন বিরোধীদলীয় নেতা হুয়ান গুইদো। প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরোর সরকারকে অবৈধ দাবি করে নিজেকে বৈধ অন্তর্বর্তী প্রেসিডেন্ট ঘোষণা করে অভ্যুত্থানের ডাক দেন তিনি। এতে সমর্থন ঘোষণা করে যুক্তরাষ্ট্র।