ফেনীতে ক্ষোভ ও নিন্দার ঝড়

ঘটনা ন্যক্কারজনক, নিরপেক্ষ তদন্ত চান সাংবাদিকরা

আলোচিত মাদ্রাসাছাত্রী নুসরাত জাহান রাফিকে পুড়িয়ে হত্যার ঘটনায় রহস্য উদ্ঘাটনে ভূমিকা রাখায় ক্ষুব্ধ হয়ে ফেনী থেকে প্রত্যাহার হওয়া এসপি জাহাঙ্গীর আলম সরকার মামলায় ফাঁসিয়ে দেন জেলায় কর্মরত সাংবাদিকদের। গতকাল শনিবার দৈনিক সংবাদের প্রথম পাতায় তথ্যবহুল এ সংবাদ প্রকাশিত হলে তোলপাড় শুরু হয়। জেলায় কর্মরত গণমাধ্যমকর্মী ছাড়াও সচেতন মহলে এ নিয়ে ক্ষোভ, অসন্তোষ ও উদ্বেগ বিরাজ করছে। তারা উল্লেখিত মামলাগুলো থেকে সাংবাদিকদের অবিলম্বে অব্যাহতি প্রদান ও সুষ্ঠু তদন্ত করে জাহাঙ্গীর সরকারের বিচার দাবি করেন।

ফেনীর প্রবীণ সাংবাদিক ও ফেনী প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি নুরুল করিম মজুমদার বলেন, এ ধরনের ঘটনা নজিরবিহীন। কর্তব্য অবহেলার দায়ে কর্মস্থল ত্যাগের আগে ওসিদের এসিআর আটকে রেখে এসপি পেশাদার সাংবাদিকদের জড়িয়ে উদ্দেশ্যমূলক চার্জশিট জমা দিয়ে যাওয়ার ঘটনা জেনে সাংবাদিক সমাজ রীতিমতো হতবাক! আমরা এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জ্ঞাপন করছি এবং সুষ্ঠু তদন্ত করে বিতর্কিত পুলিশ সুপার জাহাঙ্গীর সরকারের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানাচ্ছি।

ফেনী প্রেসক্লাব সভাপতি আসাদুজ্জামান দারা বলেন, সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে এ ধরনের উদ্দেশ্যমূলক চার্জশিট দাখিল খুবই নিন্দনীয় ঘটনা। পুলিশ-সাংবাদিক একে অপরের শত্রু নয়। কিন্তু এ ধরনের ঘটনা পুলিশ ও সাংবাদিকদের মধ্যে বৈরিতার সৃষ্টি করবে। পেশাদার সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে পুলিশের এমন বিরূপ আচরণ কাম্য নয়।

ফেনী রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি আরিফুল আমিন রিজভী বলেন, কতিপয় অতি উৎসাহী পুলিশ হয়রানি করার জন্য সাংবাদিকদের মামলায় জড়িয়ে মত প্রকাশের স্বাধীনতাকে হরণ করার চেষ্টা করেছে। এ ধরনের ঘটনা খুবই নিন্দনীয়। আমরা এ ঘটনায় তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি।

সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের ফেনী জেলা শাখার সিনিয়র সহ-সভাপতি জাহিদ হোসেন বাবলু বলেন, শুরু থেকেই নুসরাত রাফির বর্বরোচিত হত্যাকান্ডকে আত্মহত্যা বলে অপপ্রচার করেন এসপি জাহাঙ্গীর সরকার ও ওসি মোয়াজ্জেম হোসেন। কিন্তু সাংবাদিকদের নিরলস প্রচেষ্টা ও প্রধানমন্ত্রীর দৃঢ় পদক্ষেপে ঘটনার প্রকৃত রহস্য উদ্ঘাটিত হয়। শুধু তা-ই নয়, পুলিশ সদর দফতরের তদন্তেও দোষী সাব্যস্ত হওয়ায় এসপি ও ওসির বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া হয়। এ অবস্থায় ব্যক্তিগত আক্রোশবশত সাংবাদিকদের মামলায় জড়িয়ে দেয়া খুবই ন্যক্কারজনক ঘটনা। তিনি এ ঘটনার নিরপেক্ষ তদন্তের মাধ্যমে জাহাঙ্গীর সরকারের শাস্তি দাবি করেন।

রবিবার, ২৮ জুলাই ২০১৯ , ১৩ শ্রাবন ১৪২৫, ২৪ জিলকদ ১৪৪০

সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে মামলা

ফেনীতে ক্ষোভ ও নিন্দার ঝড়

ঘটনা ন্যক্কারজনক, নিরপেক্ষ তদন্ত চান সাংবাদিকরা

প্রতিনিধি, ফেনী

আলোচিত মাদ্রাসাছাত্রী নুসরাত জাহান রাফিকে পুড়িয়ে হত্যার ঘটনায় রহস্য উদ্ঘাটনে ভূমিকা রাখায় ক্ষুব্ধ হয়ে ফেনী থেকে প্রত্যাহার হওয়া এসপি জাহাঙ্গীর আলম সরকার মামলায় ফাঁসিয়ে দেন জেলায় কর্মরত সাংবাদিকদের। গতকাল শনিবার দৈনিক সংবাদের প্রথম পাতায় তথ্যবহুল এ সংবাদ প্রকাশিত হলে তোলপাড় শুরু হয়। জেলায় কর্মরত গণমাধ্যমকর্মী ছাড়াও সচেতন মহলে এ নিয়ে ক্ষোভ, অসন্তোষ ও উদ্বেগ বিরাজ করছে। তারা উল্লেখিত মামলাগুলো থেকে সাংবাদিকদের অবিলম্বে অব্যাহতি প্রদান ও সুষ্ঠু তদন্ত করে জাহাঙ্গীর সরকারের বিচার দাবি করেন।

ফেনীর প্রবীণ সাংবাদিক ও ফেনী প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি নুরুল করিম মজুমদার বলেন, এ ধরনের ঘটনা নজিরবিহীন। কর্তব্য অবহেলার দায়ে কর্মস্থল ত্যাগের আগে ওসিদের এসিআর আটকে রেখে এসপি পেশাদার সাংবাদিকদের জড়িয়ে উদ্দেশ্যমূলক চার্জশিট জমা দিয়ে যাওয়ার ঘটনা জেনে সাংবাদিক সমাজ রীতিমতো হতবাক! আমরা এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জ্ঞাপন করছি এবং সুষ্ঠু তদন্ত করে বিতর্কিত পুলিশ সুপার জাহাঙ্গীর সরকারের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানাচ্ছি।

ফেনী প্রেসক্লাব সভাপতি আসাদুজ্জামান দারা বলেন, সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে এ ধরনের উদ্দেশ্যমূলক চার্জশিট দাখিল খুবই নিন্দনীয় ঘটনা। পুলিশ-সাংবাদিক একে অপরের শত্রু নয়। কিন্তু এ ধরনের ঘটনা পুলিশ ও সাংবাদিকদের মধ্যে বৈরিতার সৃষ্টি করবে। পেশাদার সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে পুলিশের এমন বিরূপ আচরণ কাম্য নয়।

ফেনী রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি আরিফুল আমিন রিজভী বলেন, কতিপয় অতি উৎসাহী পুলিশ হয়রানি করার জন্য সাংবাদিকদের মামলায় জড়িয়ে মত প্রকাশের স্বাধীনতাকে হরণ করার চেষ্টা করেছে। এ ধরনের ঘটনা খুবই নিন্দনীয়। আমরা এ ঘটনায় তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি।

সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের ফেনী জেলা শাখার সিনিয়র সহ-সভাপতি জাহিদ হোসেন বাবলু বলেন, শুরু থেকেই নুসরাত রাফির বর্বরোচিত হত্যাকান্ডকে আত্মহত্যা বলে অপপ্রচার করেন এসপি জাহাঙ্গীর সরকার ও ওসি মোয়াজ্জেম হোসেন। কিন্তু সাংবাদিকদের নিরলস প্রচেষ্টা ও প্রধানমন্ত্রীর দৃঢ় পদক্ষেপে ঘটনার প্রকৃত রহস্য উদ্ঘাটিত হয়। শুধু তা-ই নয়, পুলিশ সদর দফতরের তদন্তেও দোষী সাব্যস্ত হওয়ায় এসপি ও ওসির বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া হয়। এ অবস্থায় ব্যক্তিগত আক্রোশবশত সাংবাদিকদের মামলায় জড়িয়ে দেয়া খুবই ন্যক্কারজনক ঘটনা। তিনি এ ঘটনার নিরপেক্ষ তদন্তের মাধ্যমে জাহাঙ্গীর সরকারের শাস্তি দাবি করেন।