কক্সবাজারে বেড়াতে আসা ‘এ’ লেভেলের ছাত্রী স্বর্ণা রশিদের (২২) মৃত্যুর কারণ হিসেবে অতিরিক্ত ইয়াবা সেবন বলা হলেও ইয়াবা সেবনের প্রমাণ মিলেনি বলে জানিয়েছে পুলিশ। পুলিশ বলছে, এ ছাত্রীর মৃত্যুর আগে গণধর্ষণের শিকার হয়েছে। একই সঙ্গে কিছুটা মদ পানের প্রমাণও মিলেছে। অপরদিকে এ ঘটনায় নিহতের পরিবারের পক্ষে মামলা করতে রাজি হননি পিতা। ইতোমধ্যে পুলিশ বাদী হয়ে এ ঘটনায় একটি অপমৃত্যুর মামলা দায়ের করেছে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন হাতে আসার পর পরবর্তী ব্যবস্থা নেয়া হবে।

২০ ডিসেম্বর রাতে কক্সবাজারের কলাতলীর হোটেল জামানে স্বর্ণা রশিদ নামের প্রাইভেটে ব্রিটিশ কাউন্সিলে ‘এ লেভেল’ এ ছাত্রী অসুস্থ হয়ে যায়। স্বর্ণা রশিদ রাজধানী ঢাকার কোতোয়ালী চকবাজারের ৭ নম্বর বেগম বাজার এলাকার ধর্নাঢ্য ব্যবসায়ী হারুন উর রশিদ পাপ্পুর কন্যা।

ওই সময় পুলিশ জানিয়ে ছিল, স্বর্ণা তার মামার বাড়িতে যাবার কথা বলেই বন্ধুদের সঙ্গে কক্সবাজার চলে আসেন। তার সঙ্গে বন্ধুর সংখ্যা ছিল ১০/১১ জন। ২০ ডিসেম্বর সকালে কক্সবাজার পৌঁছে হোটেল জামান নামের একটি হোটেলে তারা কক্ষ ভাড়া নেন। বিকালে সৈকত ভ্রমণ শেষেই হোটেল কক্ষে ফিরে আসে। এর পর ২০ ডিসেম্বর সন্ধ্যার পর ওই ছাত্রীকে জরুরি বিভাগে যখন আনা হয়। হাসপাতালের চিকিৎসক তাকে ভর্তি করালেও সঙ্গে থাকা বন্ধুরা ঢাকায় ফিরে যাবার কথা বলে সিটে ভর্তি না হয়ে ফিরে যান হোটেল কক্ষে। এর কিছুক্ষণ পর আবারও হাসপাতালে আনা হয় ওই ছাত্রীকে। তখন রাত আনুমানিক সাড়ে ৯টা। ডাক্তার পরীক্ষা করে দেখে ওই ছাত্রী মারা গেছে। ঘটনার পর পর সঙ্গে থাকা বন্ধুরা পালিয়ে গেলেও একজনকে আটক করে পুলিশ। তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে পুলিশের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, শুরুতে ইয়াবা সেবনের কথা বলা হলেও ইয়াবা সেবনের প্রমাণ মিলেনি। কিছুটা মদ পান করার প্রমাণ রয়েছে। তবে মৃত্যুর মূল কারণ হলো গণধর্ষণ। তিনি জানান, এ ঘটনায় নিহত ছাত্রীর পিতা মামলা করতে রাজি নন। ইতোমধ্যে এ ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে অপমৃত্যুর মামলা দায়ের করেছে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন হাতে আসার পর মামলাটি নিয়মিত হত্যা মামলাসহ সংশ্লিষ্ট ধারায় করা হবে বলে ওই কর্মকর্তা জানান।