ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠার মধ্যে থাকার ঘোষণা ঐক্যফ্রন্টের

ঐক্যফ্রন্টের নেতারা বলেছেন, ভোট ডাকাতির মাধ্যমে ক্ষমতায় আসা বর্তমান সরকারের প্রতি মানুষের ন্যূনতম সমর্থন নেই। আমরা পকেট ভরতে রাজনীতি করছি না, তবে জনগণের টাকা দেশের বাইরে চলে যাবে, এটা হতে দেব না। আমরা ততক্ষণ পর্যন্ত মাঠে থাকব যতক্ষণ পর্যন্ত জনগণের ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠা না হচ্ছে।

গতকাল জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট আয়োজিত এক প্রতিবাদে সমাবেশে এসব কথা বলেন তারা। সমাবেশে ঐক্যফ্রন্টের নেতা আ স ম আবদুর রব, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী, নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. মঈন খান, গণফোরামের নির্বাহী সভাপতি আবু সাঈদ প্রমূখ বক্তব্য রাখেন।

আ স ম আবদুর রব বলেন, চোরেরা চুরি করে ক্ষমতায় এসেছে, আবার তারা বলে বড় বড় কথা। চোরের মার বড় কথা বলা চলে না। জনগণ আর ভোট চুরিওলাদের ক্ষমতায় দেখতে চায় না। আমাদের শহর থেকে গ্রামে সর্বত্র আন্দোলন করতে হবে, প্রতিবাদ করতে হবে। চোরদের দেখলেই বলতে হবে তুই চোর। আমরা মাঠে যখন এসেছি চোর সরকারের পতন না হওয়া পর্যন্ত মাঠ ছাড়ব না।

মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, আমরা মাঠে যখন নেমেই পড়েছি, মাঠও ছাড়ছি না। গায়ের জোরে ভোট হয়েছে এই সরকারকে মানি না। আমরা কর্মসূচি দেব ফোরটোয়েন্টি সরকারের বিরুদ্ধে। আমরা বড় কর্মসূচি নিয়ে আসছি, এই সরকারকে চলে যেতেই হবে।

জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, রাস্তায় থাকলেই সরকারের পরিবর্তন হবে। খালেদা জিয়া অনেক আগেই মুক্তি পেতেন। তার অভিযোগ প্রমাণিত হয়নি। আর সাত বিচারক যদি তার রিপোর্ট পড়তেন, অবশ্যই তাকে মুক্তি দিতেন। ঢাকার দুই সিটিতে সরকারের ভোট ডাকাতির আরেকটি রূপ দেখা যাবে বলেও শঙ্কা প্রকাশ করেন তিনি।

ড. মঈন খান বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার মানুষ পিটিয়ে মেরে ফেলে আবার তারা স্বাধীনতার কথা বলে। পাকিস্তান আমলে ২২ পরিবার রাজত্ব করতো আজ ২২০০ পরিবার কোটি কোটি টাকার মালিক হয়েছে। ধনী-দরিদ্র্যের মধ্যে বড় ব্যবধান তৈরি হয়েছে। সরকারের লোকেরা জনগণের টাকা বিদেশে পাচার করে। এজন্য কী আমরা দেশ স্বাধীন করেছিলাম, আমার জনগণের টাকা লুট করবে এমন স্বাধীনতা আমরা চাইনি। আমরা এই লুটেরাদের পতন চাই, পতন করেই ঘরে ফিরব।

আবু সাঈদ বলেন, একাদশ জাতীয় নির্বাচনে ভোট ডাকাতির মাধ্যমে সর্বত্র দলীয়করণ করা হয়েছে। সব জায়গাতে তারা আধিপত্য বিস্তার করছে, লুটপাট করছে। যারা জনগণের ভোটকে চুরি করেছে সেসব চোরের হাত থেকে দেশকে উদ্ধার করবে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট। আমরা সবাই মিলে অবশ্যই এই সরকারের পতন ঘটাব।

আরও খবর
সেনাবাহিনীকে আধুনিক প্রযুক্তিসমৃদ্ধ করার কাজ করছে সরকার প্রধানমন্ত্রী
পূর্ণ প্যানেলে জয়ের ব্যাপারে আশাবাদী নীল দল
স্বাস্থ্য খাতের সিস্টেম বদলাতে হবে : স্বাস্থ্যমন্ত্রী
ঢাকা ওআইসির ইয়ুথ রাজধানী
স্বর্ণার মৃত্যুর কারণ গণধর্ষণ
ব্যয়ের নামে কোটি কোটি টাকা অনিয়মের অভিযোগ
মহাসড়কে নসিমন-করিমন বন্ধের সুপারিশ
বিজ্ঞান লেখক নাদিরা মজুমদার পেলেন অনন্যা সাহিত্য পুরস্কার ১৪২৬
ছায়ানটে দৃষ্টিনন্দন ধ্রুপদী নাচ
‘ক্ষুদে শিল্পী’ প্রতিযোগীদের পুরস্কার প্রদান
প্রধানমন্ত্রীর মুখ্যসচিব হলেন ড. কায়কাউস
প্রথম পর্যায়ের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ
চাকরিচ্যুতির প্রতিশোধ নিতে ও টাকা লুট
ফের অনশনে রাজশাহী পাটকল শ্রমিকরা
ছাদ ধসে হতাহতের ঘটনায় মামলা হয়নি তিন দিনেও
বেসিক ব্যাংকের চেয়ারম্যান-এমডি অবরুদ্ধ

সোমবার, ৩০ ডিসেম্বর ২০১৯ , ১৫ পৌষ ১৪২৬, ২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪১

ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠার মধ্যে থাকার ঘোষণা ঐক্যফ্রন্টের

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক |

ঐক্যফ্রন্টের নেতারা বলেছেন, ভোট ডাকাতির মাধ্যমে ক্ষমতায় আসা বর্তমান সরকারের প্রতি মানুষের ন্যূনতম সমর্থন নেই। আমরা পকেট ভরতে রাজনীতি করছি না, তবে জনগণের টাকা দেশের বাইরে চলে যাবে, এটা হতে দেব না। আমরা ততক্ষণ পর্যন্ত মাঠে থাকব যতক্ষণ পর্যন্ত জনগণের ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠা না হচ্ছে।

গতকাল জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট আয়োজিত এক প্রতিবাদে সমাবেশে এসব কথা বলেন তারা। সমাবেশে ঐক্যফ্রন্টের নেতা আ স ম আবদুর রব, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী, নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. মঈন খান, গণফোরামের নির্বাহী সভাপতি আবু সাঈদ প্রমূখ বক্তব্য রাখেন।

আ স ম আবদুর রব বলেন, চোরেরা চুরি করে ক্ষমতায় এসেছে, আবার তারা বলে বড় বড় কথা। চোরের মার বড় কথা বলা চলে না। জনগণ আর ভোট চুরিওলাদের ক্ষমতায় দেখতে চায় না। আমাদের শহর থেকে গ্রামে সর্বত্র আন্দোলন করতে হবে, প্রতিবাদ করতে হবে। চোরদের দেখলেই বলতে হবে তুই চোর। আমরা মাঠে যখন এসেছি চোর সরকারের পতন না হওয়া পর্যন্ত মাঠ ছাড়ব না।

মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, আমরা মাঠে যখন নেমেই পড়েছি, মাঠও ছাড়ছি না। গায়ের জোরে ভোট হয়েছে এই সরকারকে মানি না। আমরা কর্মসূচি দেব ফোরটোয়েন্টি সরকারের বিরুদ্ধে। আমরা বড় কর্মসূচি নিয়ে আসছি, এই সরকারকে চলে যেতেই হবে।

জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, রাস্তায় থাকলেই সরকারের পরিবর্তন হবে। খালেদা জিয়া অনেক আগেই মুক্তি পেতেন। তার অভিযোগ প্রমাণিত হয়নি। আর সাত বিচারক যদি তার রিপোর্ট পড়তেন, অবশ্যই তাকে মুক্তি দিতেন। ঢাকার দুই সিটিতে সরকারের ভোট ডাকাতির আরেকটি রূপ দেখা যাবে বলেও শঙ্কা প্রকাশ করেন তিনি।

ড. মঈন খান বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার মানুষ পিটিয়ে মেরে ফেলে আবার তারা স্বাধীনতার কথা বলে। পাকিস্তান আমলে ২২ পরিবার রাজত্ব করতো আজ ২২০০ পরিবার কোটি কোটি টাকার মালিক হয়েছে। ধনী-দরিদ্র্যের মধ্যে বড় ব্যবধান তৈরি হয়েছে। সরকারের লোকেরা জনগণের টাকা বিদেশে পাচার করে। এজন্য কী আমরা দেশ স্বাধীন করেছিলাম, আমার জনগণের টাকা লুট করবে এমন স্বাধীনতা আমরা চাইনি। আমরা এই লুটেরাদের পতন চাই, পতন করেই ঘরে ফিরব।

আবু সাঈদ বলেন, একাদশ জাতীয় নির্বাচনে ভোট ডাকাতির মাধ্যমে সর্বত্র দলীয়করণ করা হয়েছে। সব জায়গাতে তারা আধিপত্য বিস্তার করছে, লুটপাট করছে। যারা জনগণের ভোটকে চুরি করেছে সেসব চোরের হাত থেকে দেশকে উদ্ধার করবে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট। আমরা সবাই মিলে অবশ্যই এই সরকারের পতন ঘটাব।