প্রথম পার্যায় সারাদেশের নদ-নদী, খাল ও প্রাকৃতিক জলাশয়ের তীরে অভিযান চালিয়ে প্রায় ৫ হাজারের অধিক অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করেছে পানি উন্নয়ন বোর্ড। এ সময় প্রায় ৫৬৬ একর জমি উদ্ধার করা হয়েছে। দ্বিতীয় পর্যায় সারাদেশের আবার উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করা হবে বলে পানি সম্পদ মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়। গতকাল পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে সারাদেশে নদ-নদী ও খালের অবৈধ দখল উচ্ছেদ অভিযানের ২য় পর্যায়ের প্রস্তুতি সভায় পানি সম্পদ সচিব কবির বিন আনোয়ার এ তথ্য জানান। সভায় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের প্রতিনিধিসহ সংশ্লিষ্ট সংস্থার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
সভায় সারাদেশের জেলা প্রশাসকগণের সঙ্গে একটি ভিডিও কনফারেন্স করা হয়। ১ম পর্যায়ে উচ্ছেদ অভিযানের সব জেলা প্রশাসনকে ধন্যবাদ জানান পানি সম্পদ সচিব। সব জেলার সঙ্গে মতবিনিময়কালে সচিব সব জেলার প্রতিক্রিয়া ও উচ্ছেদ অভিযান সংশ্লিষ্ট বিদ্যমান সমস্যা শুনেন এবং তা সমাধানে দিকনির্দেশনা প্রদান করেন। এছাড়া পানি আইন-২০১৩ দ্বারা গঠিত ৬৪ জেলার জেলা পানি সম্পদ উন্নয়ন ও ব্যবস্থাপনা কমিটি মাধ্যমে নদীভাঙ্গন কবলিত সত্যিকারের ভূমিহীনদের আশ্রয়ন ও পুনর্বাসনের ব্যবস্থা গ্রহণ করার জোড় দেন তিনি।
সভায় পানি সচিব বলেন, আমরা ৫০ ভাগের বেশি অগ্রগতি অর্জন করতে সক্ষম হয়েছি এবং এই অভিযানের পর সীমানা চিহ্নিতকরণের জন্য দ্রুত বৃক্ষরোপণ কার্যক্রম শুরু করতে চাচ্ছি। উচ্ছেদকৃত জায়গা প্রয়োজনে সামাজিক কার্যক্রমে ব্যবহারের জন্য দেয়া যেতে পারে। আমরা যেন মাসে অন্তত দুইবার অভিযান পরিচালনা করতে পারি প্রত্যেক জেলায় সেদিকে নজর রাখতে হবে। কোন পরিস্থিতিতে যদি তালিকাভুক্ত কোন স্থাপনা উচ্ছেদ থেকে বাদ পরে সেখানে তা বাদ দেয়া যাবে না। আইনের পক্ষে ও রাষ্ট্রের পক্ষে এ অভিযানে আমরা কোন বাধাই মানব না।
সোমবার, ৩০ ডিসেম্বর ২০১৯ , ১৫ পৌষ ১৪২৬, ২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪১
নিজস্ব বার্তা পরিবেশক |
প্রথম পার্যায় সারাদেশের নদ-নদী, খাল ও প্রাকৃতিক জলাশয়ের তীরে অভিযান চালিয়ে প্রায় ৫ হাজারের অধিক অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করেছে পানি উন্নয়ন বোর্ড। এ সময় প্রায় ৫৬৬ একর জমি উদ্ধার করা হয়েছে। দ্বিতীয় পর্যায় সারাদেশের আবার উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করা হবে বলে পানি সম্পদ মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়। গতকাল পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে সারাদেশে নদ-নদী ও খালের অবৈধ দখল উচ্ছেদ অভিযানের ২য় পর্যায়ের প্রস্তুতি সভায় পানি সম্পদ সচিব কবির বিন আনোয়ার এ তথ্য জানান। সভায় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের প্রতিনিধিসহ সংশ্লিষ্ট সংস্থার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
সভায় সারাদেশের জেলা প্রশাসকগণের সঙ্গে একটি ভিডিও কনফারেন্স করা হয়। ১ম পর্যায়ে উচ্ছেদ অভিযানের সব জেলা প্রশাসনকে ধন্যবাদ জানান পানি সম্পদ সচিব। সব জেলার সঙ্গে মতবিনিময়কালে সচিব সব জেলার প্রতিক্রিয়া ও উচ্ছেদ অভিযান সংশ্লিষ্ট বিদ্যমান সমস্যা শুনেন এবং তা সমাধানে দিকনির্দেশনা প্রদান করেন। এছাড়া পানি আইন-২০১৩ দ্বারা গঠিত ৬৪ জেলার জেলা পানি সম্পদ উন্নয়ন ও ব্যবস্থাপনা কমিটি মাধ্যমে নদীভাঙ্গন কবলিত সত্যিকারের ভূমিহীনদের আশ্রয়ন ও পুনর্বাসনের ব্যবস্থা গ্রহণ করার জোড় দেন তিনি।
সভায় পানি সচিব বলেন, আমরা ৫০ ভাগের বেশি অগ্রগতি অর্জন করতে সক্ষম হয়েছি এবং এই অভিযানের পর সীমানা চিহ্নিতকরণের জন্য দ্রুত বৃক্ষরোপণ কার্যক্রম শুরু করতে চাচ্ছি। উচ্ছেদকৃত জায়গা প্রয়োজনে সামাজিক কার্যক্রমে ব্যবহারের জন্য দেয়া যেতে পারে। আমরা যেন মাসে অন্তত দুইবার অভিযান পরিচালনা করতে পারি প্রত্যেক জেলায় সেদিকে নজর রাখতে হবে। কোন পরিস্থিতিতে যদি তালিকাভুক্ত কোন স্থাপনা উচ্ছেদ থেকে বাদ পরে সেখানে তা বাদ দেয়া যাবে না। আইনের পক্ষে ও রাষ্ট্রের পক্ষে এ অভিযানে আমরা কোন বাধাই মানব না।