কসবায় যুবলীগ নেতাকে ছিনিয়ে নিতে হামলা ইউএনওসহ আহত ৫

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবায় যুবলীগ নেতাকে ছিনিয়ে নিতে ভ্রাম্যমাণ আদালতের গাড়ি বহরে হামলা হয়েছে। এতে ইউএনওসহ চার পুলিশ আহত হয়েছেন। গত রোববার বিকেল দিকে উপজেলার পশ্চিম ইউনিয়নের বিলঘর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। পুলিশ গুলি ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। আহতরা হলেন, কসবার ইউএনও মাসুদউল আলম, কসবা থানার এস.আই মো. হারুনুর রশিদ, পুলিশের নায়ের আলী আজম, কনস্টেবল মাহবুবুল, জয়রুপ। ঘটনার পর থেকে এলাকার উত্তেজনা বিরাজ করছে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাসুদউল আলম জানান, ড্রেজার দিয়ে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের ঘটনায় পাঁচজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে কসবার বিভিন্ন এলাকায় পৃথক অভিযান চালানো হয়। এ সময় কসবা পশ্চিম ইউনিয়নের বাসিন্দা আলমগীরসহ দুইজনকে আটক করা হয়। ভ্রাম্যমাণ আদালত আলমগীরকে সাজা নিয়ে থানায় নিয়ে আসতে থাকে। এ অবস্থায় বিলঘর এলাকার পৌঁছামাত্র আলমগীরকে ছাড়িয়ে নিতে হামলা হয়। কসবা পশ্চিম ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. মানিক মিয়া জানান, এ ধরনের ঘটনা তিনি শুনেছেন। তবে বিস্তারিত কিছু জানেন না। কসবা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. লোকমান হোসেন জানান, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশকে ১০ রাউন্ড গুলি ছুড়তে হয়। এ ঘটনায় পুলিশের পক্ষ থেকে থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের গ্রেফতারেরও চেষ্টা চলছে।

মঙ্গলবার, ৩১ ডিসেম্বর ২০১৯ , ১৬ পৌষ ১৪২৬, ৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪১

কসবায় যুবলীগ নেতাকে ছিনিয়ে নিতে হামলা ইউএনওসহ আহত ৫

প্রতিনিধি, ব্রাহ্মণবাড়িয়া

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবায় যুবলীগ নেতাকে ছিনিয়ে নিতে ভ্রাম্যমাণ আদালতের গাড়ি বহরে হামলা হয়েছে। এতে ইউএনওসহ চার পুলিশ আহত হয়েছেন। গত রোববার বিকেল দিকে উপজেলার পশ্চিম ইউনিয়নের বিলঘর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। পুলিশ গুলি ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। আহতরা হলেন, কসবার ইউএনও মাসুদউল আলম, কসবা থানার এস.আই মো. হারুনুর রশিদ, পুলিশের নায়ের আলী আজম, কনস্টেবল মাহবুবুল, জয়রুপ। ঘটনার পর থেকে এলাকার উত্তেজনা বিরাজ করছে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাসুদউল আলম জানান, ড্রেজার দিয়ে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের ঘটনায় পাঁচজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে কসবার বিভিন্ন এলাকায় পৃথক অভিযান চালানো হয়। এ সময় কসবা পশ্চিম ইউনিয়নের বাসিন্দা আলমগীরসহ দুইজনকে আটক করা হয়। ভ্রাম্যমাণ আদালত আলমগীরকে সাজা নিয়ে থানায় নিয়ে আসতে থাকে। এ অবস্থায় বিলঘর এলাকার পৌঁছামাত্র আলমগীরকে ছাড়িয়ে নিতে হামলা হয়। কসবা পশ্চিম ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. মানিক মিয়া জানান, এ ধরনের ঘটনা তিনি শুনেছেন। তবে বিস্তারিত কিছু জানেন না। কসবা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. লোকমান হোসেন জানান, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশকে ১০ রাউন্ড গুলি ছুড়তে হয়। এ ঘটনায় পুলিশের পক্ষ থেকে থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের গ্রেফতারেরও চেষ্টা চলছে।