চাঁপাইয়ের বরেন্দ্র অঞ্চলের মাঠজুড়ে হলুদের সমারোহ

মাঠের পর মাঠজুড়ে সরিষার আবাদ। যেদিকে তাকায় হলুদে হলুদে ভোরে গেছে সবুজ মাঠ। চাঁপাইনবাবগঞ্জের চরাঞ্চল, বরেন্দ্র অঞ্চল ও নদীর ধারে অতিরিক্ত ফসল হিসেবে সরিষার আবাদ দিনদিন জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। সামান্য পরিচর্যা আর অল্প খরচে সরিষা চাষে লাভের আশা করছেন চাষিরা।

চাষিরা বলছেন, এবার বন্যা দেরিতে এবং পানি নেমে যাওয়ার পর মাসকলাই চাষের সময় পার হওয়ায় চরাঞ্চলের বেশিরভাগ জমিতে সরিষার আবাদ করা হয়েছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে ফলন ভাল হওয়ার সম্ভাবনা দেখছেন তারা। কৃষি বিভাগ বলছে, সরিষা চাষে খরচ ও পরিশ্রম দুটোই কম হওয়ায় চাষিরা এ ফসলের দিকেই ঝুঁকেছেন।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর সূত্রে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে জেলার ৫টি উপজেলায় আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ধার্য করা হয়েছিল ১৩ হাজার ৯শ’ ৭৮ হেক্টর জমিতে। চাষ হয়েছে ১৫ হাজার ৫শ’ ৩৫ হেক্টর জমিতে।

চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলায় ৪ হাজার ৪শ’ ৮৫ হেক্টর, নাচোলে ৫ হাজার হেক্টর, গোমস্তাপুরে ২ হাজার ১শ’ ৬০ হেক্টর, শিবগঞ্জে ৩ হাজার ১শ’ ২০ হেক্টর ও ভোলাহাটে ৭শ’ ৭০ হেক্টর জমিতে চাষাবাদ হয়েছে।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বিস্তীর্ণ মাঠজুড়ে হলুদ আর হলুদ, ফুলে ফুলে ভরে উঠেছে সরিষা ক্ষেত। আমন ধান কাটার পর জমি কয়েক মাসের জন্য পরিত্যক্ত থাকে। আর সেই জমিতেই অতিরিক্ত ফসল হিসেবে সরিষা চাষ করে লাভবান হচ্ছে কৃষকরা। সামান্য পরিচর্যা আর অল্প খরচে চাষাবাদ করা যায় বলে দিনদিন জনপ্রিয়ও হয়ে উঠছে সরিষার চাষ। এ সময়ে আবহাওয়া অনুকূলে এবং রোগা-বালাই না হলে ভাল ফলনের আশা করছেন চাষিরা।

সুন্দরপুর ইউনিয়নের খড়িবোনা এলাকার সরিষা চাষি সৈবুর রহমান জানান, ১ বিঘা জমিতে সরিষা চাষ করতে খরচ হয় সর্বোচ্চ ১৫০০ টাকা। শুধুমাত্র বীজ ও আর সামান্য সার দিলেই সরিষা আবাদ করা যায়। ফলন পাওয়া যায় বিঘা প্রতি ৬ থেকে ৭ মণ, যার বাজারমূল্য মণ প্রতি ১ হাজার ৮শ’ টাকা।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর চাঁপাইনবাবগঞ্জের উপ-পরিচালক মো. মঞ্জুরুল হুদা জানান, সরিষা চাষে কৃষকরা যেভাবে আগ্রহ দেখাচ্ছে, যা ইতিবাচক। এটি কৃষি ক্ষেত্রে আরেকটি সাফল্য। চাষাবাদে খরচের পরিমাণ কম, পানি একবার দিলেই হয়। মাত্র ৭০ দিনে ফসল উৎপাদন হয়।

মঙ্গলবার, ৩১ ডিসেম্বর ২০১৯ , ১৬ পৌষ ১৪২৬, ৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪১

চাঁপাইয়ের বরেন্দ্র অঞ্চলের মাঠজুড়ে হলুদের সমারোহ

জেলা বার্তা পরিবেশক, চাঁপাইনবাবগঞ্জ

মাঠের পর মাঠজুড়ে সরিষার আবাদ। যেদিকে তাকায় হলুদে হলুদে ভোরে গেছে সবুজ মাঠ। চাঁপাইনবাবগঞ্জের চরাঞ্চল, বরেন্দ্র অঞ্চল ও নদীর ধারে অতিরিক্ত ফসল হিসেবে সরিষার আবাদ দিনদিন জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। সামান্য পরিচর্যা আর অল্প খরচে সরিষা চাষে লাভের আশা করছেন চাষিরা।

চাষিরা বলছেন, এবার বন্যা দেরিতে এবং পানি নেমে যাওয়ার পর মাসকলাই চাষের সময় পার হওয়ায় চরাঞ্চলের বেশিরভাগ জমিতে সরিষার আবাদ করা হয়েছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে ফলন ভাল হওয়ার সম্ভাবনা দেখছেন তারা। কৃষি বিভাগ বলছে, সরিষা চাষে খরচ ও পরিশ্রম দুটোই কম হওয়ায় চাষিরা এ ফসলের দিকেই ঝুঁকেছেন।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর সূত্রে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে জেলার ৫টি উপজেলায় আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ধার্য করা হয়েছিল ১৩ হাজার ৯শ’ ৭৮ হেক্টর জমিতে। চাষ হয়েছে ১৫ হাজার ৫শ’ ৩৫ হেক্টর জমিতে।

চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলায় ৪ হাজার ৪শ’ ৮৫ হেক্টর, নাচোলে ৫ হাজার হেক্টর, গোমস্তাপুরে ২ হাজার ১শ’ ৬০ হেক্টর, শিবগঞ্জে ৩ হাজার ১শ’ ২০ হেক্টর ও ভোলাহাটে ৭শ’ ৭০ হেক্টর জমিতে চাষাবাদ হয়েছে।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বিস্তীর্ণ মাঠজুড়ে হলুদ আর হলুদ, ফুলে ফুলে ভরে উঠেছে সরিষা ক্ষেত। আমন ধান কাটার পর জমি কয়েক মাসের জন্য পরিত্যক্ত থাকে। আর সেই জমিতেই অতিরিক্ত ফসল হিসেবে সরিষা চাষ করে লাভবান হচ্ছে কৃষকরা। সামান্য পরিচর্যা আর অল্প খরচে চাষাবাদ করা যায় বলে দিনদিন জনপ্রিয়ও হয়ে উঠছে সরিষার চাষ। এ সময়ে আবহাওয়া অনুকূলে এবং রোগা-বালাই না হলে ভাল ফলনের আশা করছেন চাষিরা।

সুন্দরপুর ইউনিয়নের খড়িবোনা এলাকার সরিষা চাষি সৈবুর রহমান জানান, ১ বিঘা জমিতে সরিষা চাষ করতে খরচ হয় সর্বোচ্চ ১৫০০ টাকা। শুধুমাত্র বীজ ও আর সামান্য সার দিলেই সরিষা আবাদ করা যায়। ফলন পাওয়া যায় বিঘা প্রতি ৬ থেকে ৭ মণ, যার বাজারমূল্য মণ প্রতি ১ হাজার ৮শ’ টাকা।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর চাঁপাইনবাবগঞ্জের উপ-পরিচালক মো. মঞ্জুরুল হুদা জানান, সরিষা চাষে কৃষকরা যেভাবে আগ্রহ দেখাচ্ছে, যা ইতিবাচক। এটি কৃষি ক্ষেত্রে আরেকটি সাফল্য। চাষাবাদে খরচের পরিমাণ কম, পানি একবার দিলেই হয়। মাত্র ৭০ দিনে ফসল উৎপাদন হয়।