পরমাণু নিরস্ত্রীকরণ আলোচনা

আরও আক্রমণাত্মক হওয়ার আহ্বান কিমের

উত্তর কোরিয়ার শাসক দল কমিউনিস্ট পার্টির এক নীতিনির্ধারণী সভায় আরও ইতিবাচক ও আক্রমণাত্মক নীতি গ্রহণের আহ্বান জানিয়েছেন দেশটির নেতা কিম জং উন। যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে পরমাণু নিরস্ত্রীকরণ আলোচনা বন্ধের আশঙ্কার মধ্যে দেশের পূর্ণাঙ্গ নিরাপত্তা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষার স্বার্থের কথা উল্লেখ করে এ আহ্বান জানান তিনি। কোরিয়ার রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম কেসিএনএ’র বরাতে এ তথ্য জানিয়েছে সংবাদ মাধ্যম বিবিসি।

গতকাল প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে সংবাদ মাধ্যমটি জানিয়েছে, পরমাণু নিরস্ত্রীকরণ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে কয়েক দফায় আলোচনার উদ্যোগ ভেস্তে গেছে। চলতি বছরের মধ্যে ওয়াশিংটন নতুন করে নিরস্ত্রীকরণের প্রস্তাব দিতে ব্যর্থ হলে ‘নতুন পথ’ নেয়ার হুমকি দিয়ে রেখেছে উত্তর কোরিয়া। ওই হুমকিতে হতাশ যুক্তরাষ্ট্র। ওয়াশিংটনের সঙ্গে এমন কূটনৈতিক টানাপড়েনের মধ্যে শনিবার পিয়ংইয়ংয়ে দলীয় নেতাদের কয়েক দিনের এক বৈঠক উদ্বোধন করেন কিম জং উন। উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম কেসিএনএ জানিয়েছে, রোববার ওই বৈঠকে বক্তব্য রাখেন কিম। কমিউনিস্ট রাষ্ট্র উত্তর কোরিয়ার সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী বৈঠক বলে বিবেচিত হয় দলীয় প্লানারি বৈঠকটি। যদিও পার্টির সর্বোচ্চ ক্ষমতাধর নেতা কিম জং উনের এগিয়ে দেয়া নীতিগুলোই এর মাধ্যমে অনুমোদন করিয়ে নেয়া হয় বলে ধারণা করা হয়ে থাকে। রোববার ওই বৈঠকে কিম বলেন, বর্তমান পরিস্থিতির আলোকে দেশের পূর্ণাঙ্গ নিরাপত্তা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় ইতিবাচক ও আক্রমণাত্মক পদক্ষেপ নেয়ার প্রয়োজন। তবে আক্রমণাত্মক পদক্ষেপ বলতে কী বোঝানো হয়েছে, তা নিয়ে বিস্তারিত প্রকাশ করা হয়নি। রোববার পিয়ংইয়ংয়ের শীর্ষ এ নেতার মন্তব্য প্রকাশের আগেই মার্কিন প্রেসিডেন্টের দফতর হোয়াইট হাউজের নিরাপত্তা উপদেষ্টা রবার্ট ও’ব্রায়েন বলেন, উত্তর কোরিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার জবাব দেয়ার অনেক উপায় যুক্তরাষ্ট্রের হাতে আছে। তিনি বলেন, কিম জং উন যদি সেই উদ্যোগ নেয় তাহলে আমরা মারাত্মক হতাশ হব আর সেই হতাশার প্রকাশও থাকবে।

মঙ্গলবার, ৩১ ডিসেম্বর ২০১৯ , ১৬ পৌষ ১৪২৬, ৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪১

পরমাণু নিরস্ত্রীকরণ আলোচনা

আরও আক্রমণাত্মক হওয়ার আহ্বান কিমের

সংবাদ ডেস্ক |

image

উত্তর কোরিয়ার শাসক দল কমিউনিস্ট পার্টির এক নীতিনির্ধারণী সভায় আরও ইতিবাচক ও আক্রমণাত্মক নীতি গ্রহণের আহ্বান জানিয়েছেন দেশটির নেতা কিম জং উন। যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে পরমাণু নিরস্ত্রীকরণ আলোচনা বন্ধের আশঙ্কার মধ্যে দেশের পূর্ণাঙ্গ নিরাপত্তা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষার স্বার্থের কথা উল্লেখ করে এ আহ্বান জানান তিনি। কোরিয়ার রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম কেসিএনএ’র বরাতে এ তথ্য জানিয়েছে সংবাদ মাধ্যম বিবিসি।

গতকাল প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে সংবাদ মাধ্যমটি জানিয়েছে, পরমাণু নিরস্ত্রীকরণ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে কয়েক দফায় আলোচনার উদ্যোগ ভেস্তে গেছে। চলতি বছরের মধ্যে ওয়াশিংটন নতুন করে নিরস্ত্রীকরণের প্রস্তাব দিতে ব্যর্থ হলে ‘নতুন পথ’ নেয়ার হুমকি দিয়ে রেখেছে উত্তর কোরিয়া। ওই হুমকিতে হতাশ যুক্তরাষ্ট্র। ওয়াশিংটনের সঙ্গে এমন কূটনৈতিক টানাপড়েনের মধ্যে শনিবার পিয়ংইয়ংয়ে দলীয় নেতাদের কয়েক দিনের এক বৈঠক উদ্বোধন করেন কিম জং উন। উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম কেসিএনএ জানিয়েছে, রোববার ওই বৈঠকে বক্তব্য রাখেন কিম। কমিউনিস্ট রাষ্ট্র উত্তর কোরিয়ার সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী বৈঠক বলে বিবেচিত হয় দলীয় প্লানারি বৈঠকটি। যদিও পার্টির সর্বোচ্চ ক্ষমতাধর নেতা কিম জং উনের এগিয়ে দেয়া নীতিগুলোই এর মাধ্যমে অনুমোদন করিয়ে নেয়া হয় বলে ধারণা করা হয়ে থাকে। রোববার ওই বৈঠকে কিম বলেন, বর্তমান পরিস্থিতির আলোকে দেশের পূর্ণাঙ্গ নিরাপত্তা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় ইতিবাচক ও আক্রমণাত্মক পদক্ষেপ নেয়ার প্রয়োজন। তবে আক্রমণাত্মক পদক্ষেপ বলতে কী বোঝানো হয়েছে, তা নিয়ে বিস্তারিত প্রকাশ করা হয়নি। রোববার পিয়ংইয়ংয়ের শীর্ষ এ নেতার মন্তব্য প্রকাশের আগেই মার্কিন প্রেসিডেন্টের দফতর হোয়াইট হাউজের নিরাপত্তা উপদেষ্টা রবার্ট ও’ব্রায়েন বলেন, উত্তর কোরিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার জবাব দেয়ার অনেক উপায় যুক্তরাষ্ট্রের হাতে আছে। তিনি বলেন, কিম জং উন যদি সেই উদ্যোগ নেয় তাহলে আমরা মারাত্মক হতাশ হব আর সেই হতাশার প্রকাশও থাকবে।