বিশ্ববিদ্যালয়ে রাজনৈতিক কর্মকা- মেনে নেবে না মোদি সরকার

সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের বিরুদ্ধে গত মাস ধরে বিক্ষোভ চলমান থাকার প্রেক্ষিতে ভারতের মানবসম্পদ উন্নয়ন প্রতিমন্ত্রী রমেশ পখরিয়াল বলেছেন, বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে রাজনৈতিক আখড়ায় পরিণত করার চেষ্টা মেনে নেবে না নরেন্দ্র মোদির সরকার। গত রোববার তিনি এ মন্তব্য করেছেন। হাফিংটন পোস্টের ভারতীয় সংস্করণ এ তথ্য জানিয়েছে।

পখরিয়াল বলেন, নরেন্দ্র মোদির সরকার এই বিষয়টি কোনভাবেই সহ্য করবে না। রাজনৈতিক কর্মকা-ে স্বাধীনভাবে যে কেউ অংশগ্রহণ করতে পারে। কিন্তু কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়কে এর বাইরে রাখতে হবে। মোদি সরকার যখন ধারাবাহিকভাবে নাগরিকত্ব আইনের প্রতিবাদের জন্য বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের দায়ী করছে তখন ভারতীয় মন্ত্রী এ মন্তব্য করলেন। তিনিও বিক্ষোভের জন্য কংগ্রেসকে দায়ী করেছেন। তিনি বলেন, ধর্মের ভিত্তিতে দেশকে বিভক্ত করার জন্য দায়ী হলো কংগ্রেস। তারাই নাগরিকত্ব আইন নিয়ে অপপ্রচার ছড়াচ্ছে। আইনটির বিরুদ্ধে ভারতের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা রাজপথে নেমে আসেন। গত দুই সপ্তাহে দিল্লির জামিয়া মিলিয়া ইসলামিয়া বিশ্ববিদ্যালয়, আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়, জওহরলাল নেহেরু বিশ্ববিদ্যালয় ও যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ করেছেন। এছাড়া ভারতের বিভিন্ন আইআইএম ও আইআইটির শিক্ষার্থীরাও প্রতিবাদ করেছেন। বিক্ষোভ দমনে বিজেপির এমন অবস্থান গ্রহণ এই প্রথম নয়।

গত সপ্তাহে আসামের বিজেপি সরকার শিক্ষক ও সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সামাজিক যোগাযোগ-মাধ্যমে রাজনৈতিক মন্তব্য প্রকাশ না করার নির্দেশ দিয়েছে। নির্দেশ অমান্য করলে পদক্ষেপ নেওয়ার হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে। কেন্দ্র সরকার দেশটির টেলিভিশন চ্যানেলগুলোকে বিক্ষোভের খবর প্রচারের ক্ষেত্রেও নির্দেশনা দিয়েছে।

মঙ্গলবার, ৩১ ডিসেম্বর ২০১৯ , ১৬ পৌষ ১৪২৬, ৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪১

বিশ্ববিদ্যালয়ে রাজনৈতিক কর্মকা- মেনে নেবে না মোদি সরকার

সংবাদ ডেস্ক |

সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের বিরুদ্ধে গত মাস ধরে বিক্ষোভ চলমান থাকার প্রেক্ষিতে ভারতের মানবসম্পদ উন্নয়ন প্রতিমন্ত্রী রমেশ পখরিয়াল বলেছেন, বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে রাজনৈতিক আখড়ায় পরিণত করার চেষ্টা মেনে নেবে না নরেন্দ্র মোদির সরকার। গত রোববার তিনি এ মন্তব্য করেছেন। হাফিংটন পোস্টের ভারতীয় সংস্করণ এ তথ্য জানিয়েছে।

পখরিয়াল বলেন, নরেন্দ্র মোদির সরকার এই বিষয়টি কোনভাবেই সহ্য করবে না। রাজনৈতিক কর্মকা-ে স্বাধীনভাবে যে কেউ অংশগ্রহণ করতে পারে। কিন্তু কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়কে এর বাইরে রাখতে হবে। মোদি সরকার যখন ধারাবাহিকভাবে নাগরিকত্ব আইনের প্রতিবাদের জন্য বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের দায়ী করছে তখন ভারতীয় মন্ত্রী এ মন্তব্য করলেন। তিনিও বিক্ষোভের জন্য কংগ্রেসকে দায়ী করেছেন। তিনি বলেন, ধর্মের ভিত্তিতে দেশকে বিভক্ত করার জন্য দায়ী হলো কংগ্রেস। তারাই নাগরিকত্ব আইন নিয়ে অপপ্রচার ছড়াচ্ছে। আইনটির বিরুদ্ধে ভারতের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা রাজপথে নেমে আসেন। গত দুই সপ্তাহে দিল্লির জামিয়া মিলিয়া ইসলামিয়া বিশ্ববিদ্যালয়, আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়, জওহরলাল নেহেরু বিশ্ববিদ্যালয় ও যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ করেছেন। এছাড়া ভারতের বিভিন্ন আইআইএম ও আইআইটির শিক্ষার্থীরাও প্রতিবাদ করেছেন। বিক্ষোভ দমনে বিজেপির এমন অবস্থান গ্রহণ এই প্রথম নয়।

গত সপ্তাহে আসামের বিজেপি সরকার শিক্ষক ও সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সামাজিক যোগাযোগ-মাধ্যমে রাজনৈতিক মন্তব্য প্রকাশ না করার নির্দেশ দিয়েছে। নির্দেশ অমান্য করলে পদক্ষেপ নেওয়ার হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে। কেন্দ্র সরকার দেশটির টেলিভিশন চ্যানেলগুলোকে বিক্ষোভের খবর প্রচারের ক্ষেত্রেও নির্দেশনা দিয়েছে।