বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, গণতন্ত্র রক্ষার জন্যই আমরা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে অংশ নিচ্ছি। গণতন্ত্র রক্ষায় ও বিএনপি নেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্তি করতে ছাত্রদলের নেতৃত্বে গণঅভ্যুত্থান ঘটাতে হবে।

গতকাল শেরেবাংলা নগরে দলের জিয়াউর রহমানের মাজারে পুষ্পমাল্য অর্পণ শেষে এসব কথা বলেন তিনি। ছাত্রদলের ৪১তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে শ্রদ্ধা জানাতে যাওয়ার সময় বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমানউল্লাহ আমান, যুগ্ম-মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, হাবিব-উন-নবী খান সোহেল, প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, নির্বাহী কমিটির সদস্য নাজিমউদ্দিন আলম, ছাত্রদলের সভাপতি ফজলুর রহমান খোকন, সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন শ্যামল, সিনিয়র সহ-সভাপতি কাজী রওনাকুল ইসলাম শ্রাবণ, সাংগঠনিক সম্পাদক সাইফ মাহমুদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

মির্জা ফখরুল ইসলাম বলেন, গণতন্ত্রকে রক্ষা করার জন্য ছাত্রদল তাদের ভবিষ্যৎ কর্মপন্থাকে আরও বেগবান ও শক্তিশালী করবে। আজকে খালেদা জিয়াকে সম্পূর্ণ অন্যায়ভাবে কারাগারে আটকে রাখা হয়েছে এবং তাকে ন্যূনতম আইনগত সুযোগ দেয়া হচ্ছে না। তাকে মুক্ত করার জন্য তীব্র আন্দোলন গড়ে তুলবে ছাত্রদল। সে আন্দোলনের মধ্য দিয়ে ছাত্র জনতার যে ঐক্য সৃষ্টি হবে তা একদিকে খালেদা জিয়াকে মুক্ত করতে সক্ষম হবে, অন্যদিকে গণতন্ত্রকে মুক্ত করতে সক্ষম হবে।

বিএনপি পুরনো বছরকে কীভাবে মূল্যায়ন করছে এবং তাদের নতুন বছরের প্রত্যাশা কী- এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বিগত বছরটি ছিল গণতন্ত্র হত্যার বছর। মানুষের অধিকারকে কেড়ে নেয়ার বছর এবং ফ্যাসিবাদের জয়ের বছর। এই বছরটা যারা গণতন্ত্রের জন্য সংগ্রাম করেছেন তারা লাঞ্ছিত হয়েছেন। খালেদা জিয়ার সাজা বাড়ানো হয়েছে, হাজার হাজার নেতাকর্মীকে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করা হয়েছে।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, বর্তমান সরকার ও নির্বাচন কমিশনের অধীনে কখনই সুষ্ঠু অবাধ নিরপেক্ষ নির্বাচন হতে পারে না। এরপরও গণতান্ত্রিক উপায়ে আমরা রাজনীতি করি বলে জনগণের কাছে পৌঁছানোর জন্য এটাকে আমরা একটা পন্থা হিসেবে নিয়েছি।