পাসের হারে বেড়েছে চট্টগ্রাম বোর্ডে

গত মঙ্গলবার প্রকাশিত পিএসসি পরীক্ষায় চট্টগ্রাম জেলায় প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষায় (পিইসি) পরীক্ষায় পাসের হার ৯৬ দশমিক ৭৯ শতাংশ ও ইবতেদায়ী সমাপনী পরীক্ষায় ৯৫ দশমিক ২০ শতাংশ। দুপুরে চট্টগ্রাম জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার শহীদুল ইসলাম বলেন, প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষায় (পিইসি) পরীক্ষার্থী ছিল ১ লাখ ৩৩ হাজার ৪২৩ জন। পরীক্ষায় পাস করেছে ১ লাখ ২৯ হাজার ১৪৩ জন শিক্ষার্থী। প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষায় (পিইসি) পরীক্ষায় পাসের হার ৯৬ দশমিক ৭৯ শতাংশ। পিইসি পরীক্ষায় চট্টগ্রাম জেলায় জিপিএ-৫ পেয়েছে ১৬ হাজার ৫৩২ জন। পিইসিতে প্রথম হয়েছে বাঁশখালী উপজেলা, দ্বিতীয় রাউজান ও তৃতীয় পটিয়া উপজেলা। তিনি আরও জানান, এবতেদায়ি সমাপনী পরীক্ষায় চট্টগ্রাম জেলায় মোট পরীক্ষার্থী ছিল ২৪ হাজার ৯২২ জন। পাস করেছে ২৩ হাজার ৭২৬ জন। এবতেদায়ি সমাপনী পরীক্ষায় ৯৫ দশমিক ২০ শতাংশ। এ বছর এবতেদায়িতে জিপিএ-৫ পেয়েছে ১ হাজার ৯৯ জন। প্রথম হয়েছে বাঁশখালী উপজেলা, দ্বিতীয় কোতোয়ালি ও তৃতীয় ডাবলমুরিং থানা।

এদিকে জেএসসি পরীক্ষায় বিষয়ভিত্তিক পাস, জিপিএ-৫ সহ প্রায় সব সূচকে ভাল ফল এলেও শতকরা হিসেবে গড় পাসের হারে পিছিয়ে আছে চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ড। দেশের ৯টি শিক্ষাবোর্ডের মধ্যে ৭টিই চট্টগ্রামকে পেছনে ফেলেছে। শুধুমাত্র ঢাকা শিক্ষাবোর্ডকে টপকাতে পেরেছে চট্টগ্রাম। গড় পাসের হারে তুলনামূলক পিছিয়ে থাকা নিয়ে হতাশা আছে চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ডের কর্মকর্তাদের মধ্যে। তারা বলেছেন, পাহাড়ের দুই জেলার পরীক্ষার্থীরা আশানুরূপ ভাল ফল না করায় পিছিয়ে গেছে চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ড।

জানা গেছে, জেএসসিতে এবার পাসের হার ৮২ দশমিক ৯৩ শতাংশ। গত দুই বছরের চেয়ে এবার পাসের হার কিছুটা বেড়েছে। ২০১৭ ও ২০১৮ সালে পাসের হার ছিল যথাক্রমে ৮১ দশমিক ১৭ ও ৮১ দশমিক ৫২ শতাংশ। এর আগের দুই বছরে পাসের হার অবশ্য এর চেয়েও ভাল ছিল। ২০১৫ ও ২০১৬ সালে পাসের হার ছিল যথাক্রমে ৮৫ দশমিক ৪৮ শতাংশ ও ৯০ দশমিক ৭৫ শতাংশ।

গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে সংবাদ সম্মেলনে জেএসসি পরীক্ষার ফলাফল তুলে ধরেন চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক নারায়ণ চন্দ্র নাথ। সার্বিক ফলাফলের মধ্যে পাসের হার সন্তোষজনক নয় উল্লেখ করে নারায়ণ চন্দ্র নাথ বলেন, এই ফলাফলে আমরা পুরোপুরি সন্তুষ্ট নয়। পুরোপুরি অসন্তুষ্টও নয়। আমাদের আরও ভাল করতে হবে। চট্টগ্রামের বিভিন্ন অঞ্চল আছে। এর মধ্যে পার্বত্য অঞ্চলের তিনটি জেলার মধ্যে রাঙ্গামাটি ও বান্দরবান থেকে সন্তোষজনক ফল আসেনি। এজন্য গড় পাসের হারে চট্টগ্রাম কিছুটা পিছিয়ে গেছে। পাহাড়ে নানা সীমাবদ্ধতা আছে। অনুন্নত, পর্যাপ্ত সুবিধাবঞ্চিত এলাকা। ভালমানের শিক্ষকেরও অভাব আছে। এখন আমাদের পাহাড়ের দিকে নজর আরও বেশি দিতে হবে।

এবার জেএসসিতে চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ডের অধীনে ১২৭৪টি স্কুলের ২ লাখ ৫ হাজার ৮৭১ জন শিক্ষার্থী অংশ নিয়েছে। এর মধ্যে ছাত্র ৯১ হাজার ৭৯ জন আর ছাত্রী ১ লাখ ১৪ হাজার ৭৯২ জন। পাসের হারে বরাবরের মতো ছাত্রীরা ভাল করেছে। ছাত্রী পাস করেছে ৮৩ দশমিক ৫ শতাংশ এবং ছাত্র পাসের হার ৮২ দশমিক ৭৯ শতাংশ। অংশ নেয়া পরীক্ষার্থীদের মধ্যে পাস করেছে ১ লাখ ৭০ হাজার ৭৩৪ জন। ফেল করেছে ৩৫ হাজার ১৩৭ জন। জিপিএ-৫ এর সংখ্যাও গতবছরের চেয়ে বেড়েছে এবং বরাবরের মতো এক্ষেত্রেও এগিয়ে আছে ছাত্রীরা। এবার জিপিএ-৫ পেয়েছে ৬ হাজার ৪১ জন। এর মধ্যে ছাত্র ২৪১৯ এবং ছাত্রী ৩৬২২ জন। ২০১৮ সালে জিপিএ-৫ পেয়েছিল ৫২৩১ জন। ছাত্র ছিল ২০৩০ জন এবং ছাত্রীর সংখ্যা ৩২০১ জন।

টেকনাফে পিইসি ও জেএসসিতে জিপিএ-৫ পেয়েছে ৩১৬

কক্সবাজারের টেকনাফে পিএসসি ও এবতেদায়ি পরীক্ষায় ২৮৬ জন জিপিএ-৫ পেয়েছে। এর মধ্যে পিএসসিতে ২৬০ জন ও এবতেদয়িতে ২৬ জন। উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মুহাম্মদ এমদাদ হোসাইন বলেন, ৩১ ডিসেম্বর মঙ্গলবার পিএসসি পরীক্ষার ফলাফলে পিএসসিতে ৩৫৮৮ জন পরীক্ষার্থী মধ্যে ৩৫৩৮ জন পাস করেছে। যার পাসের হার ৯৮.৬৪%। এতে ২৬০ জন জিপিএ-৫ পেয়েছে। এতে ৫০ জন শিক্ষাথী অকৃতকার্য হয়েছেন। এতে ৯৯টি প্রতিষ্ঠান অংশ নেয়। তৎমধ্যে ৬৩টি সরকারি ও ৩৬টি কিন্টার গার্টেন ও বেসরকারি বলে জানায়।

অপরদিকে এবতেদায়িতে ১৬৯১ জন পরীক্ষার্থী মধ্যে ১৬৫০ জন পাস করেছে। যার পাসের হার ৯৭.৬১%। এতে ২৬ জন জিপিএ-৫ পেয়েছে। এ পরীক্ষায় ৪১ জন অকৃতকার্য হয়েছে। এতে ৩৯টি এবতেদায়ি মাদ্রাসা রয়েছে।

তিনি বলেন, শিক্ষার্থীরা অনেক ভাল রেজাল্ট করেছে। যার কারনে পাসের হার আশানুরুপ হয়েছে। টেকনাফে শিক্ষার মান উন্নয়নে কাজ করা হচেছ। অনেক প্রতিষ্ঠানকে ঢেলে সাজানো হয়েছে। সব প্রতিষ্ঠানে পর্যাক্রমে কাজ করা হবে। তবে স্ব স্ব প্রতিষ্ঠান অভিভাবকদের সজাগ থাকতে হবে। শিক্ষার মান উন্নয়নে নানা উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।

কক্সবাজারের টেকনাফ জেএসসিতে ৩০ জন জিপিএ-৫ পেয়েছে। তবে জেডিসিতে কোন শিক্ষার্থী জিপিএ-৫ পায়নি। উপজেলা একাডেমিক সুপার ভাইজার নূরুল আবছার বলেন, মঙ্গলবার প্রকাশিত পরীক্ষার ফলাফলে টেকনাফে জেএসসিতে ২৫৭৮ জন পরীক্ষার্থী মধ্যে ২৪০৩ জন পাস করেছে। যার পাসের হার ৯৩.৪৭%। এতে ৩০ জন জিপিএ-৫ পেয়েছে। অকৃতকার্য হয়েছে ১৭৫ জন। জেএসসিতে ১৮টি বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা অংশ নেয়। এতে বর্ডার গার্ড পাবলিক স্কুল থেকে ৫২ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে ৯টি জিপিএসহ শতভাগ পাস করেন।

অপরদিকে মাদ্রাসা বোর্ডে জেডিসিতে ৮১৬ জন পরীক্ষার্থী মধ্যে ৭৯৯ জন পাস করেছে। যার পাসের হার ৯৮%। এতে কোন শিক্ষার্থী জিপিএ-৫ পায়নি। এ পরীক্ষায় ১৭ জন অকৃতকার্য হয়েছে। জেডিসি পরীক্ষায় ১০টি মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা অংশ নেয়। এতে শামলাপুর দারুল ইসলাম মাদ্রাসা ও হ্নীলা শাহ মজিদিয়া আলিম মাদ্রাসা শতভাগ পাস করেছেন।

তিনি আরও বলেন, জেএসসিতে শিক্ষার্থীরা রেজাল্ট আগের চেয়ে ভাল করেছে। জেডিসিতে কোন জিপিএ-৫ পায়নি। এবারে পাসের হার অনেক ভাল। মাধ্যমিক পযার্য়ে শিক্ষার মান বাড়াতে কাজ করা হবে বলে জানিয়েছেন।

বৃহস্পতিবার, ০২ জানুয়ারী ২০২০ , ১৯ পৌষ ১৪২৬, ৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪১

পাসের হারে বেড়েছে চট্টগ্রাম বোর্ডে

চট্টগ্রাম ব্যুরো

image

চট্টগ্রাম : ড. খাস্তগীর বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের দুই শিক্ষার্থীর বাঁধভাঙা উচ্ছ্বাস -সংবাদ

গত মঙ্গলবার প্রকাশিত পিএসসি পরীক্ষায় চট্টগ্রাম জেলায় প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষায় (পিইসি) পরীক্ষায় পাসের হার ৯৬ দশমিক ৭৯ শতাংশ ও ইবতেদায়ী সমাপনী পরীক্ষায় ৯৫ দশমিক ২০ শতাংশ। দুপুরে চট্টগ্রাম জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার শহীদুল ইসলাম বলেন, প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষায় (পিইসি) পরীক্ষার্থী ছিল ১ লাখ ৩৩ হাজার ৪২৩ জন। পরীক্ষায় পাস করেছে ১ লাখ ২৯ হাজার ১৪৩ জন শিক্ষার্থী। প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষায় (পিইসি) পরীক্ষায় পাসের হার ৯৬ দশমিক ৭৯ শতাংশ। পিইসি পরীক্ষায় চট্টগ্রাম জেলায় জিপিএ-৫ পেয়েছে ১৬ হাজার ৫৩২ জন। পিইসিতে প্রথম হয়েছে বাঁশখালী উপজেলা, দ্বিতীয় রাউজান ও তৃতীয় পটিয়া উপজেলা। তিনি আরও জানান, এবতেদায়ি সমাপনী পরীক্ষায় চট্টগ্রাম জেলায় মোট পরীক্ষার্থী ছিল ২৪ হাজার ৯২২ জন। পাস করেছে ২৩ হাজার ৭২৬ জন। এবতেদায়ি সমাপনী পরীক্ষায় ৯৫ দশমিক ২০ শতাংশ। এ বছর এবতেদায়িতে জিপিএ-৫ পেয়েছে ১ হাজার ৯৯ জন। প্রথম হয়েছে বাঁশখালী উপজেলা, দ্বিতীয় কোতোয়ালি ও তৃতীয় ডাবলমুরিং থানা।

এদিকে জেএসসি পরীক্ষায় বিষয়ভিত্তিক পাস, জিপিএ-৫ সহ প্রায় সব সূচকে ভাল ফল এলেও শতকরা হিসেবে গড় পাসের হারে পিছিয়ে আছে চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ড। দেশের ৯টি শিক্ষাবোর্ডের মধ্যে ৭টিই চট্টগ্রামকে পেছনে ফেলেছে। শুধুমাত্র ঢাকা শিক্ষাবোর্ডকে টপকাতে পেরেছে চট্টগ্রাম। গড় পাসের হারে তুলনামূলক পিছিয়ে থাকা নিয়ে হতাশা আছে চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ডের কর্মকর্তাদের মধ্যে। তারা বলেছেন, পাহাড়ের দুই জেলার পরীক্ষার্থীরা আশানুরূপ ভাল ফল না করায় পিছিয়ে গেছে চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ড।

জানা গেছে, জেএসসিতে এবার পাসের হার ৮২ দশমিক ৯৩ শতাংশ। গত দুই বছরের চেয়ে এবার পাসের হার কিছুটা বেড়েছে। ২০১৭ ও ২০১৮ সালে পাসের হার ছিল যথাক্রমে ৮১ দশমিক ১৭ ও ৮১ দশমিক ৫২ শতাংশ। এর আগের দুই বছরে পাসের হার অবশ্য এর চেয়েও ভাল ছিল। ২০১৫ ও ২০১৬ সালে পাসের হার ছিল যথাক্রমে ৮৫ দশমিক ৪৮ শতাংশ ও ৯০ দশমিক ৭৫ শতাংশ।

গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে সংবাদ সম্মেলনে জেএসসি পরীক্ষার ফলাফল তুলে ধরেন চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক নারায়ণ চন্দ্র নাথ। সার্বিক ফলাফলের মধ্যে পাসের হার সন্তোষজনক নয় উল্লেখ করে নারায়ণ চন্দ্র নাথ বলেন, এই ফলাফলে আমরা পুরোপুরি সন্তুষ্ট নয়। পুরোপুরি অসন্তুষ্টও নয়। আমাদের আরও ভাল করতে হবে। চট্টগ্রামের বিভিন্ন অঞ্চল আছে। এর মধ্যে পার্বত্য অঞ্চলের তিনটি জেলার মধ্যে রাঙ্গামাটি ও বান্দরবান থেকে সন্তোষজনক ফল আসেনি। এজন্য গড় পাসের হারে চট্টগ্রাম কিছুটা পিছিয়ে গেছে। পাহাড়ে নানা সীমাবদ্ধতা আছে। অনুন্নত, পর্যাপ্ত সুবিধাবঞ্চিত এলাকা। ভালমানের শিক্ষকেরও অভাব আছে। এখন আমাদের পাহাড়ের দিকে নজর আরও বেশি দিতে হবে।

এবার জেএসসিতে চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ডের অধীনে ১২৭৪টি স্কুলের ২ লাখ ৫ হাজার ৮৭১ জন শিক্ষার্থী অংশ নিয়েছে। এর মধ্যে ছাত্র ৯১ হাজার ৭৯ জন আর ছাত্রী ১ লাখ ১৪ হাজার ৭৯২ জন। পাসের হারে বরাবরের মতো ছাত্রীরা ভাল করেছে। ছাত্রী পাস করেছে ৮৩ দশমিক ৫ শতাংশ এবং ছাত্র পাসের হার ৮২ দশমিক ৭৯ শতাংশ। অংশ নেয়া পরীক্ষার্থীদের মধ্যে পাস করেছে ১ লাখ ৭০ হাজার ৭৩৪ জন। ফেল করেছে ৩৫ হাজার ১৩৭ জন। জিপিএ-৫ এর সংখ্যাও গতবছরের চেয়ে বেড়েছে এবং বরাবরের মতো এক্ষেত্রেও এগিয়ে আছে ছাত্রীরা। এবার জিপিএ-৫ পেয়েছে ৬ হাজার ৪১ জন। এর মধ্যে ছাত্র ২৪১৯ এবং ছাত্রী ৩৬২২ জন। ২০১৮ সালে জিপিএ-৫ পেয়েছিল ৫২৩১ জন। ছাত্র ছিল ২০৩০ জন এবং ছাত্রীর সংখ্যা ৩২০১ জন।

টেকনাফে পিইসি ও জেএসসিতে জিপিএ-৫ পেয়েছে ৩১৬

কক্সবাজারের টেকনাফে পিএসসি ও এবতেদায়ি পরীক্ষায় ২৮৬ জন জিপিএ-৫ পেয়েছে। এর মধ্যে পিএসসিতে ২৬০ জন ও এবতেদয়িতে ২৬ জন। উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মুহাম্মদ এমদাদ হোসাইন বলেন, ৩১ ডিসেম্বর মঙ্গলবার পিএসসি পরীক্ষার ফলাফলে পিএসসিতে ৩৫৮৮ জন পরীক্ষার্থী মধ্যে ৩৫৩৮ জন পাস করেছে। যার পাসের হার ৯৮.৬৪%। এতে ২৬০ জন জিপিএ-৫ পেয়েছে। এতে ৫০ জন শিক্ষাথী অকৃতকার্য হয়েছেন। এতে ৯৯টি প্রতিষ্ঠান অংশ নেয়। তৎমধ্যে ৬৩টি সরকারি ও ৩৬টি কিন্টার গার্টেন ও বেসরকারি বলে জানায়।

অপরদিকে এবতেদায়িতে ১৬৯১ জন পরীক্ষার্থী মধ্যে ১৬৫০ জন পাস করেছে। যার পাসের হার ৯৭.৬১%। এতে ২৬ জন জিপিএ-৫ পেয়েছে। এ পরীক্ষায় ৪১ জন অকৃতকার্য হয়েছে। এতে ৩৯টি এবতেদায়ি মাদ্রাসা রয়েছে।

তিনি বলেন, শিক্ষার্থীরা অনেক ভাল রেজাল্ট করেছে। যার কারনে পাসের হার আশানুরুপ হয়েছে। টেকনাফে শিক্ষার মান উন্নয়নে কাজ করা হচেছ। অনেক প্রতিষ্ঠানকে ঢেলে সাজানো হয়েছে। সব প্রতিষ্ঠানে পর্যাক্রমে কাজ করা হবে। তবে স্ব স্ব প্রতিষ্ঠান অভিভাবকদের সজাগ থাকতে হবে। শিক্ষার মান উন্নয়নে নানা উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।

কক্সবাজারের টেকনাফ জেএসসিতে ৩০ জন জিপিএ-৫ পেয়েছে। তবে জেডিসিতে কোন শিক্ষার্থী জিপিএ-৫ পায়নি। উপজেলা একাডেমিক সুপার ভাইজার নূরুল আবছার বলেন, মঙ্গলবার প্রকাশিত পরীক্ষার ফলাফলে টেকনাফে জেএসসিতে ২৫৭৮ জন পরীক্ষার্থী মধ্যে ২৪০৩ জন পাস করেছে। যার পাসের হার ৯৩.৪৭%। এতে ৩০ জন জিপিএ-৫ পেয়েছে। অকৃতকার্য হয়েছে ১৭৫ জন। জেএসসিতে ১৮টি বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা অংশ নেয়। এতে বর্ডার গার্ড পাবলিক স্কুল থেকে ৫২ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে ৯টি জিপিএসহ শতভাগ পাস করেন।

অপরদিকে মাদ্রাসা বোর্ডে জেডিসিতে ৮১৬ জন পরীক্ষার্থী মধ্যে ৭৯৯ জন পাস করেছে। যার পাসের হার ৯৮%। এতে কোন শিক্ষার্থী জিপিএ-৫ পায়নি। এ পরীক্ষায় ১৭ জন অকৃতকার্য হয়েছে। জেডিসি পরীক্ষায় ১০টি মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা অংশ নেয়। এতে শামলাপুর দারুল ইসলাম মাদ্রাসা ও হ্নীলা শাহ মজিদিয়া আলিম মাদ্রাসা শতভাগ পাস করেছেন।

তিনি আরও বলেন, জেএসসিতে শিক্ষার্থীরা রেজাল্ট আগের চেয়ে ভাল করেছে। জেডিসিতে কোন জিপিএ-৫ পায়নি। এবারে পাসের হার অনেক ভাল। মাধ্যমিক পযার্য়ে শিক্ষার মান বাড়াতে কাজ করা হবে বলে জানিয়েছেন।