নতুন বছরে মামলা জট কমাতে অন্তত ৫-৬ লাখ মামলা কমানো হবে বলে জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। গতকাল বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে সহকারী বিচারকদের বুনিয়াদি প্রশিক্ষণ কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের পর সাংবাদিকদের প্রশ্নে একথা বলেন তিনি।
বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক সাবেক বিচারপতি খন্দকার মুসা খালেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আইন সচিব মো. গোলাম সারওয়ারসহ অন্যরা বক্তব্য রাখেন।
আনিসুল হক বলেন, নতুন বছরে কম করে হলেও ৫ থেকে ৬ লাখ মামলা কমানোর পরিকল্পনা রয়েছে। এই বছর লক্ষ্য থাকবে অন্তত ৫ থেকে ৬ লাখ মামলা কমানো। আমরা সেভাবে বিচারিক প্রোগ্রাম, আদালতের লোকবল প্রস্তুতির চেষ্টা করছি। আমরা একটা সিস্টেম চালু করেছি, যেটা হচ্ছে ‘জাস্টিস অডিট’। প্রত্যেক তিন বছরে আমরা একটা হিসাব নেই। শুধু যে মামলা সেটা না। কী প্রকারে মামলা, কোন বিষয়ে বেশি মামলা হচ্ছে, সেসব বিষয়ে একটা ধারণা নিয়ে থাকি।
আনিসুল হক বলেন, বর্তমানে দেশে ৩৬ লাখ ৬০ হাজার মামলার যে কথা বলা হচ্ছে সেটার সঙ্গে কিন্তু কিছুটা পার্থক্য আছে। এটা যাই হোক, এটা মামলার জট। আমরা মামলা কমানোর যে পরিকল্পনা নিয়েছি, তা অবাস্তব না। বিকল্পবিরোধ নিষ্পত্তি আরও জোরদার করা হবে। বিকল্পবিরোধ নিষ্পত্তির বিষয়টি এখনও জনগণের কাছে তেমনভাবে পরিচিত নয়। সেই ক্ষেত্রে ফৌজদারী মামলা যেগুলো আপোসযোগ্য, সেগুলোর বিষয়ে আদালত যেন বলে দেয় কোর্টের বাইরে মিমাংসা করতে। এজন্য বিজ্ঞ বিচারকদের উদ্যোগ নিতে আহ্বান জানাচ্ছি।
সুপ্রিম কোর্টের ২০১৮ সালের বার্ষিক প্রতিবেদন অনুযায়ী উচ্চ ও অধস্তন আদালত বিচারাধীন দেওয়ানী ও ফৌজদারী মামলার সংখ্যা ৩৫ লাখ ৬৯ হাজার ৭৫০টি, যা গত বছরের ৩০ জুন পর্যন্ত তা বেড়ে হয় ৩৫ লাখ ৯৮ হাজার ২৬৩টি। এর মধ্যে সর্বোচ্চ আদালতে ২১ হাজার ৮১৩টি, উচ্চ আদালতে ৫ লাখ ৬ হাজার ৬৬৪টি এবং অধস্তন আদালতে ৩০ লাখ ৫৩ হাজার ৮৭০টি বিচারাধীন মামলার কথা বলা হয়েছে। তবে সুপ্রিম কোর্টের সর্বশেষ বার্ষিক প্রতিবেদনে উচ্চ ও অধস্তন আদালতে বিচারাধীন দেওয়ানী ও ফৌজদারী মামলার সংখ্যা বলা হয়েছে ৩৬ লাখ ৬০ হাজার।
বৃহস্পতিবার, ০২ জানুয়ারী ২০২০ , ১৯ পৌষ ১৪২৬, ৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪১
নিজস্ব বার্তা পরিবেশক |
নতুন বছরে মামলা জট কমাতে অন্তত ৫-৬ লাখ মামলা কমানো হবে বলে জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। গতকাল বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে সহকারী বিচারকদের বুনিয়াদি প্রশিক্ষণ কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের পর সাংবাদিকদের প্রশ্নে একথা বলেন তিনি।
বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক সাবেক বিচারপতি খন্দকার মুসা খালেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আইন সচিব মো. গোলাম সারওয়ারসহ অন্যরা বক্তব্য রাখেন।
আনিসুল হক বলেন, নতুন বছরে কম করে হলেও ৫ থেকে ৬ লাখ মামলা কমানোর পরিকল্পনা রয়েছে। এই বছর লক্ষ্য থাকবে অন্তত ৫ থেকে ৬ লাখ মামলা কমানো। আমরা সেভাবে বিচারিক প্রোগ্রাম, আদালতের লোকবল প্রস্তুতির চেষ্টা করছি। আমরা একটা সিস্টেম চালু করেছি, যেটা হচ্ছে ‘জাস্টিস অডিট’। প্রত্যেক তিন বছরে আমরা একটা হিসাব নেই। শুধু যে মামলা সেটা না। কী প্রকারে মামলা, কোন বিষয়ে বেশি মামলা হচ্ছে, সেসব বিষয়ে একটা ধারণা নিয়ে থাকি।
আনিসুল হক বলেন, বর্তমানে দেশে ৩৬ লাখ ৬০ হাজার মামলার যে কথা বলা হচ্ছে সেটার সঙ্গে কিন্তু কিছুটা পার্থক্য আছে। এটা যাই হোক, এটা মামলার জট। আমরা মামলা কমানোর যে পরিকল্পনা নিয়েছি, তা অবাস্তব না। বিকল্পবিরোধ নিষ্পত্তি আরও জোরদার করা হবে। বিকল্পবিরোধ নিষ্পত্তির বিষয়টি এখনও জনগণের কাছে তেমনভাবে পরিচিত নয়। সেই ক্ষেত্রে ফৌজদারী মামলা যেগুলো আপোসযোগ্য, সেগুলোর বিষয়ে আদালত যেন বলে দেয় কোর্টের বাইরে মিমাংসা করতে। এজন্য বিজ্ঞ বিচারকদের উদ্যোগ নিতে আহ্বান জানাচ্ছি।
সুপ্রিম কোর্টের ২০১৮ সালের বার্ষিক প্রতিবেদন অনুযায়ী উচ্চ ও অধস্তন আদালত বিচারাধীন দেওয়ানী ও ফৌজদারী মামলার সংখ্যা ৩৫ লাখ ৬৯ হাজার ৭৫০টি, যা গত বছরের ৩০ জুন পর্যন্ত তা বেড়ে হয় ৩৫ লাখ ৯৮ হাজার ২৬৩টি। এর মধ্যে সর্বোচ্চ আদালতে ২১ হাজার ৮১৩টি, উচ্চ আদালতে ৫ লাখ ৬ হাজার ৬৬৪টি এবং অধস্তন আদালতে ৩০ লাখ ৫৩ হাজার ৮৭০টি বিচারাধীন মামলার কথা বলা হয়েছে। তবে সুপ্রিম কোর্টের সর্বশেষ বার্ষিক প্রতিবেদনে উচ্চ ও অধস্তন আদালতে বিচারাধীন দেওয়ানী ও ফৌজদারী মামলার সংখ্যা বলা হয়েছে ৩৬ লাখ ৬০ হাজার।