সিটি নির্বাচন বিতর্কিত করাই বিএনপির উদ্দেশ্য তথ্যমন্ত্রী

তথ্যমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পদাক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, বিএনপির উদ্দেশ্য সিটি নির্বাচন করা নয়; তাদের উদ্দেশ্য ৩০ জানুয়ারির নির্বাচনকে বিতর্কিত ও প্রশ্নবিদ্ধ করা। গতকাল দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। জোটের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য অভিনেতা সৈয়দ হাসান ইমাম সভায় সভাপতিত্ব করেন।

তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেন, গতকাল বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, তারা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন, নির্বাচন যে সুষ্ঠু হয় না সেটি দেখানোর জন্যে। অর্থাৎ তাদের উদ্দেশ্য হচ্ছে নির্বাচনকে বিতর্কিত করা। তারা যে নির্বাচনে জয়লাভ করতে পারবে না, এটি তারা এখনই অনুধাবন করতে পারছেন। তিনি সেটি খোলসাও করেছেন যে, তাদের মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে নির্বাচনকে বিতর্কিত করা। আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বিএনপির উদ্দেশে বলেন, আমি তাদের অনুরোধ জানাব, নির্বাচনকে বিতর্কিত করার জন্য নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবেন না। বরং আপনারা জনগণের কাছে যান, আপনাদের কর্মসূচি, ঢাকায় আপনারা কি করতে চান, সেটি নিয়ে জনগণের কাছে উপস্থিত হোন। জনগণকে যদি বুঝাতে সমর্থন হন তাহলে আপনাদের বরং জয় হবে, এই লক্ষ্য নিয়েই নির্বাচন করা উচিত বলে আমি মনে করি।

সৈয়দ আশরাফ বিশ্বস্ততার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করেছেন : প্রয়াত সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের একনিষ্ঠতার কথা স্মরণ করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ওয়ান-ইলেভেনে আটকের পর জননেত্রীকে মুক্ত না করা পর্যন্ত বিশ্বস্ততার সঙ্গে দলের দায়িত্ব পালনের কারণে তাকে পরে আবার দলের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব দেয়া হয়। তিনি অত্যন্ত নিষ্ঠা ও বিশ্বস্ততার সঙ্গে দলের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি সবসময় মিতভাষী, মিতভোজী ছিলেন। তার সঙ্গে আমার ঘনিষ্ঠতা হয় ২০০৭ সালে। আমি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটিতে ২০০২ সাল থেকেই আছি। তারপরও এর আগে তার সঙ্গে এত ঘনিষ্ঠতা আমার ছিল না।

আরও খবর
ময়মনসিংহের আলোচিত সমালোচিত ঘটনা
১১৮ জনকে পিপিএম ও বিপিএম পদক দেয়া হচ্ছে
বিশ্ব ইজতেমা তুরাগ তীরে ১০ জানুয়ারি শুরু স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
দেশের কোথাও আর বাঁশের সাঁকো থাকবে না পরিকল্পনামন্ত্রী
না’গঞ্জ পুলিশের একযোগে ৪৮ জনের বদলি
জাবির ১১ শিক্ষার্থী বহিষ্কার
খুবি প্রশাসন ভবনে তালা
শালিস বৈঠকে বৃদ্ধা হত্যা
নিউইয়র্কে এটিভির লোগো উন্মোচন
রোহিঙ্গা গণহত্যার ওপর আলোকচিত্র প্রদর্শনী উদ্বোধন
বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক উৎসব শুরু আজ
‘বঙ্গবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা’র ম্যুরাল উদ্বোধন
শওকত ওসমান গত শতাব্দীর অন্যতম শ্রেষ্ঠ কথাসাহিত্যিক
নতুন বছরে কলেজ-মাদ্রাসা ৮০ দিন বন্ধ থাকবে
এক হাজতখানায় বন্দী নারী-পুরুষ
আগুনে পুড়ে মৃত্যু সাংবাদিক পুত্রের

শুক্রবার, ০৩ জানুয়ারী ২০২০ , ২০ পৌষ ১৪২৬, ৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪১

সিটি নির্বাচন বিতর্কিত করাই বিএনপির উদ্দেশ্য তথ্যমন্ত্রী

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক |

তথ্যমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পদাক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, বিএনপির উদ্দেশ্য সিটি নির্বাচন করা নয়; তাদের উদ্দেশ্য ৩০ জানুয়ারির নির্বাচনকে বিতর্কিত ও প্রশ্নবিদ্ধ করা। গতকাল দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। জোটের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য অভিনেতা সৈয়দ হাসান ইমাম সভায় সভাপতিত্ব করেন।

তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেন, গতকাল বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, তারা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন, নির্বাচন যে সুষ্ঠু হয় না সেটি দেখানোর জন্যে। অর্থাৎ তাদের উদ্দেশ্য হচ্ছে নির্বাচনকে বিতর্কিত করা। তারা যে নির্বাচনে জয়লাভ করতে পারবে না, এটি তারা এখনই অনুধাবন করতে পারছেন। তিনি সেটি খোলসাও করেছেন যে, তাদের মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে নির্বাচনকে বিতর্কিত করা। আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বিএনপির উদ্দেশে বলেন, আমি তাদের অনুরোধ জানাব, নির্বাচনকে বিতর্কিত করার জন্য নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবেন না। বরং আপনারা জনগণের কাছে যান, আপনাদের কর্মসূচি, ঢাকায় আপনারা কি করতে চান, সেটি নিয়ে জনগণের কাছে উপস্থিত হোন। জনগণকে যদি বুঝাতে সমর্থন হন তাহলে আপনাদের বরং জয় হবে, এই লক্ষ্য নিয়েই নির্বাচন করা উচিত বলে আমি মনে করি।

সৈয়দ আশরাফ বিশ্বস্ততার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করেছেন : প্রয়াত সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের একনিষ্ঠতার কথা স্মরণ করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ওয়ান-ইলেভেনে আটকের পর জননেত্রীকে মুক্ত না করা পর্যন্ত বিশ্বস্ততার সঙ্গে দলের দায়িত্ব পালনের কারণে তাকে পরে আবার দলের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব দেয়া হয়। তিনি অত্যন্ত নিষ্ঠা ও বিশ্বস্ততার সঙ্গে দলের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি সবসময় মিতভাষী, মিতভোজী ছিলেন। তার সঙ্গে আমার ঘনিষ্ঠতা হয় ২০০৭ সালে। আমি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটিতে ২০০২ সাল থেকেই আছি। তারপরও এর আগে তার সঙ্গে এত ঘনিষ্ঠতা আমার ছিল না।