বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমিতে আজ শুরু হচ্ছে বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক উৎসব উদ্বোধনী অনুষ্ঠান ও সাংস্কৃতিক উৎসব উদ্বোধন হবে বিকেল ৪টায়। উৎসবে আরও রয়েছে মঞ্চ নাটক, যাত্রাপালা এবং চিত্র প্রদর্শনী। সন্ধ্যা ৭টায় জাতীয় নাট্যশালা এক্সপেরিমেন্টাল থিয়েটার হলে মঞ্চস্থ হবে নাট্যচক্র’র নাটক ‘একা এক নারী’ এবং জাতীয় নাট্যশালা স্টুডিও থিয়েটার হলে মঞ্চস্থ হবে পদাতিক নাট্য সংসদ’র নাটক গহনযাত্রা। রাত ৮টায় ঐতিহ্যবাহী লোকনাট্য- যাত্রাপালা (ঝিনাইদহ) মঞ্চস্থ হবে উন্মুক্ত প্রাঙ্গণে। জাতীয় চিত্রশালা গ্যালারি ১ এ চলছে আলোকচিত্র প্রদর্শনী। বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি, ভোরের কাগজ এবং বাংলাদেশ প্রগতিশীল কলামিস্ট ফোরাম’র আয়োজনে প্রতিদিন প্রদর্শনীটি সকাল ১১টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত এবং শুক্রবার বেলা ৩টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত প্রদর্শনী চলবে। রুবাইয়াৎ আহমেদের রচনায় ‘গহনযাত্রা’ নাটকটি নির্দেশনা দিয়েছেন সুদীপ চক্রবর্তী। নাটকে একক অভিনয় করেন সৈয়দা শামছি আরা সায়েকা। নাটকের সংগীত পরিকল্পনা সাইম রানা, সংগীত সঞ্চালনা মেহেদী হাসান মেধা, মঞ্চ পরিকল্পনা সুদীপ চক্রবর্তী, আলোক পরিকল্পনায় আতিকুল ইসলাম জয়, দ্রব্য ও মুখোশ পরিকল্পনা ও নির্দেশনা সহযোগী সঞ্জীব কুমার দে, মঞ্চ ও মুখোশ নির্মাণ তৈমুর হান্নান, পোশাক ও রূপসজ্জা পরিকল্পনা, সৈয়দা শামছি আরা সায়েকা, পোশাক নির্মাণ প্রকাশনা, রুবাইয়াৎ আহমেদ, বিন্যাস অশেষ সাহা, মহড়া সহযোগিতায় আফরিন হুদা, শাহারুল ইসলাম ও ইশতিয়াক খান পাঠান, মঞ্চ ব্যবস্থাপনায় মমিনুল হক দীপু।
‘গহনযাত্রা’ নাটকে তুলে ধরা হয়েছে এই ভূখণ্ডের কোন এক স্থানে জন্ম নেয় উগ্রপন্থার। সেই উগ্রপন্থার অনুসারীরা বিপরীত সব মতবাদ প্রত্যাখ্যান করে শুধু একটি মতবাদকেই প্রতিষ্ঠা করতে চায়। এজন্য তারা চালায় ধ্বংসলীলা, বইয়ে দেয় রক্তগঙ্গা, হত্যা করে অগণিত মানুষ, ধর্ষিত হয় অসংখ্য নারী। ভিন্ন মতাদর্শের এক ক্ষুদ্র সম্প্রদায়ের মানুষদের তারা ধরে নিয়ে বন্দী করে রাখে। বন্দীদশা থেকে পালাতে চায় অনেকে। কিন্তু মারা পড়ে তারা। শুধু সালমা নামের একজন বেঁচে যায়। কিন্তু বেঁচে গিয়ে ফিরে আসে সালমা। খোলা প্রান্তরে পড়ে থাকা লাশগুলো সমাহিত করবে বলে। এই সময়ে সালমা নিজের অভ্যন্তরে টের পায় অপর কারও অস্তিত্ব। সেই অস্তিত্ব হয়ত তারই বর্ধিত কোন রূপ কিংবা অপর রূপে সে নিজেই অথবা অন্যকিছু। আমরা জানি না। সেই অস্তিত্ব তার সঙ্গী হয়। মৃতদের কবর দেয়ার পর সালমা খোঁজ করে তার প্রার্থিত পুরুষের। খুঁজে পায় ল্যাম্পপোস্টে ছিন্নমস্তক ঝুঁলে আছে সেই পুরুষ। সালমা উগ্রপন্থীদের হাতে ধরা পড়ে। তাকে ধর্ষণের পর আগুনে পুড়িয়ে হত্যা করা হয়। ঠিক তখন সালমা উপলব্ধি করে এ তার পরীক্ষা, যে পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হলে সে পাবে পরমের সান্নিধ্য। সালমার নিজের অন্তর্ধানের মধ্য দিয়ে মঙ্গল কামনা করে, যেন সব অনাচার আর বিভেদ লুপ্ত হয় পৃথিবী থেকে।
শুক্রবার, ০৩ জানুয়ারী ২০২০ , ২০ পৌষ ১৪২৬, ৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪১
সাংস্কৃতিক বার্তা পরিবেশক |
বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমিতে আজ শুরু হচ্ছে বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক উৎসব উদ্বোধনী অনুষ্ঠান ও সাংস্কৃতিক উৎসব উদ্বোধন হবে বিকেল ৪টায়। উৎসবে আরও রয়েছে মঞ্চ নাটক, যাত্রাপালা এবং চিত্র প্রদর্শনী। সন্ধ্যা ৭টায় জাতীয় নাট্যশালা এক্সপেরিমেন্টাল থিয়েটার হলে মঞ্চস্থ হবে নাট্যচক্র’র নাটক ‘একা এক নারী’ এবং জাতীয় নাট্যশালা স্টুডিও থিয়েটার হলে মঞ্চস্থ হবে পদাতিক নাট্য সংসদ’র নাটক গহনযাত্রা। রাত ৮টায় ঐতিহ্যবাহী লোকনাট্য- যাত্রাপালা (ঝিনাইদহ) মঞ্চস্থ হবে উন্মুক্ত প্রাঙ্গণে। জাতীয় চিত্রশালা গ্যালারি ১ এ চলছে আলোকচিত্র প্রদর্শনী। বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি, ভোরের কাগজ এবং বাংলাদেশ প্রগতিশীল কলামিস্ট ফোরাম’র আয়োজনে প্রতিদিন প্রদর্শনীটি সকাল ১১টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত এবং শুক্রবার বেলা ৩টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত প্রদর্শনী চলবে। রুবাইয়াৎ আহমেদের রচনায় ‘গহনযাত্রা’ নাটকটি নির্দেশনা দিয়েছেন সুদীপ চক্রবর্তী। নাটকে একক অভিনয় করেন সৈয়দা শামছি আরা সায়েকা। নাটকের সংগীত পরিকল্পনা সাইম রানা, সংগীত সঞ্চালনা মেহেদী হাসান মেধা, মঞ্চ পরিকল্পনা সুদীপ চক্রবর্তী, আলোক পরিকল্পনায় আতিকুল ইসলাম জয়, দ্রব্য ও মুখোশ পরিকল্পনা ও নির্দেশনা সহযোগী সঞ্জীব কুমার দে, মঞ্চ ও মুখোশ নির্মাণ তৈমুর হান্নান, পোশাক ও রূপসজ্জা পরিকল্পনা, সৈয়দা শামছি আরা সায়েকা, পোশাক নির্মাণ প্রকাশনা, রুবাইয়াৎ আহমেদ, বিন্যাস অশেষ সাহা, মহড়া সহযোগিতায় আফরিন হুদা, শাহারুল ইসলাম ও ইশতিয়াক খান পাঠান, মঞ্চ ব্যবস্থাপনায় মমিনুল হক দীপু।
‘গহনযাত্রা’ নাটকে তুলে ধরা হয়েছে এই ভূখণ্ডের কোন এক স্থানে জন্ম নেয় উগ্রপন্থার। সেই উগ্রপন্থার অনুসারীরা বিপরীত সব মতবাদ প্রত্যাখ্যান করে শুধু একটি মতবাদকেই প্রতিষ্ঠা করতে চায়। এজন্য তারা চালায় ধ্বংসলীলা, বইয়ে দেয় রক্তগঙ্গা, হত্যা করে অগণিত মানুষ, ধর্ষিত হয় অসংখ্য নারী। ভিন্ন মতাদর্শের এক ক্ষুদ্র সম্প্রদায়ের মানুষদের তারা ধরে নিয়ে বন্দী করে রাখে। বন্দীদশা থেকে পালাতে চায় অনেকে। কিন্তু মারা পড়ে তারা। শুধু সালমা নামের একজন বেঁচে যায়। কিন্তু বেঁচে গিয়ে ফিরে আসে সালমা। খোলা প্রান্তরে পড়ে থাকা লাশগুলো সমাহিত করবে বলে। এই সময়ে সালমা নিজের অভ্যন্তরে টের পায় অপর কারও অস্তিত্ব। সেই অস্তিত্ব হয়ত তারই বর্ধিত কোন রূপ কিংবা অপর রূপে সে নিজেই অথবা অন্যকিছু। আমরা জানি না। সেই অস্তিত্ব তার সঙ্গী হয়। মৃতদের কবর দেয়ার পর সালমা খোঁজ করে তার প্রার্থিত পুরুষের। খুঁজে পায় ল্যাম্পপোস্টে ছিন্নমস্তক ঝুঁলে আছে সেই পুরুষ। সালমা উগ্রপন্থীদের হাতে ধরা পড়ে। তাকে ধর্ষণের পর আগুনে পুড়িয়ে হত্যা করা হয়। ঠিক তখন সালমা উপলব্ধি করে এ তার পরীক্ষা, যে পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হলে সে পাবে পরমের সান্নিধ্য। সালমার নিজের অন্তর্ধানের মধ্য দিয়ে মঙ্গল কামনা করে, যেন সব অনাচার আর বিভেদ লুপ্ত হয় পৃথিবী থেকে।