গাজীপুরে আদালতে একটি মাত্র হাজতখানা। সেখানে মহিলা ও পুরুষকে ঠাসাঠাসি করে রাখা হচ্ছে। গাজীপুর মেট্রোপলিটন এলাকার বিভিন্ন থানায় গ্রেফতার ও জেলা পুলিশের হাতে গ্রেফতার আসামিদেরকে ওই হাজত খানায় রাখা হয়। অনেক সময় ধারণক্ষমতার চেয়ে বেশি বন্দী হওয়ায় নানা ধরনের সমস্যা হচ্ছে।
আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সূত্র জানায়, গাজীপুর মেট্রোপলিটন আদালত ও জেলা আদালত একই স্থানে অবস্থিত। সেখানে আদালতের বিভিন্ন কাজকর্ম করার জন্য পুলিশের বসার পর্যাপ্ত ব্যবস্থা নেই। কেউ দাঁড়িয়ে কেউ বসে পেশাগত দায়িত্ব পালন করেন।
জানা গেছে, ১৯৭৮ সালে গাজীপুর মহাকুমা হওয়ার পর পুরনো ভাওয়াল রাজবাড়ীতে আদালত স্থাপন করে কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়। রয়েছে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ও। ২০১৩ সালে ১৬ জানুয়ারি গাজীপুর মেট্রোপলিটন চালু করা হয়। গাজীপুর মেট্রোপলিটন এলাকার ৮ থানা ও গাজীপুর জেলা এলাকায় থানার অপরাধ সংক্রান্ত সব মামলার কার্যক্রম এবং আসামিদেরকে এ আদালতে বিচারের ব্যবস্থা করা হয়। এছাড়াও গাজীপুর সিটি করপোরেশন এলাকায় নতুন নতুন কারখানা ও অফিস স্থাপন করা হয়েছে। গাজীপুর সিটি করপোরেশন হওয়ার পর সেখানে নতুন নতুন অফিস স্থাপন করা হয়েছে। রাজধানীর কাছাকাছি হওয়ায় গাজীপুরে নানামুখী উন্নয়ন করা হলেও আদালত ভবনগুলো এখনও পুরনো রয়ে গেছে। পুরনো জমিদার বাড়ির বিভিন্ন রুমে নানা কষ্টে অফিস ও আদালত স্থাপন ও হাজতখানা করা হয়েছে।
আদালতে কর্তব্যরত আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর একাধিক সূত্রে জানা গেছে, মাদক মামলার বহু আলামত কোর্টে রাখা আছে। জায়গার অভাবে আলামত সংরক্ষণ করা কঠিন হয়ে পড়েছে। এসব নিয়ে কোর্ট এলাকার দায়িত্ব প্রাপ্ত আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কর্মকতা ও সদস্যরা হিমসিম খাচ্ছে।
গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার আনোয়ার হোসেন মুঠোফোনে বলেন, গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের পক্ষ থেকে হাজতখানা সমস্যা নিয়ে পুলিশ হেডকোয়াটার্সের মাধ্যমে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে লিখিত জানানো হয়েছে। এছাড়াও অন্যসব বিষয় সমাধানে পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে।
আমাদের গাজীপুর প্রতিনিধি জানান, ভাওয়াল রাজবাড়িটি প্রত্নতত্ব বিভাগের অধীনে নেয়ার প্রক্রিয়া চলছে। পুরাতন ভবন আধুনিকারণ করা যাবে না। পুরাতন ভবনে হাত দেয়াও নিষেধ। তবে অন্যস্থানে নতুন করে আদালত ও জেলা প্রশাসকের ভবন করা হবে। এরপর রাজবাড়ী থেকে সব অফিস আদালত স্থানান্তর করা হতে পারে।
শুক্রবার, ০৩ জানুয়ারী ২০২০ , ২০ পৌষ ১৪২৬, ৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪১
বাকী বিল্লাহ, গাজীপুর থেকে ফিরে
গাজীপুরে আদালতে একটি মাত্র হাজতখানা। সেখানে মহিলা ও পুরুষকে ঠাসাঠাসি করে রাখা হচ্ছে। গাজীপুর মেট্রোপলিটন এলাকার বিভিন্ন থানায় গ্রেফতার ও জেলা পুলিশের হাতে গ্রেফতার আসামিদেরকে ওই হাজত খানায় রাখা হয়। অনেক সময় ধারণক্ষমতার চেয়ে বেশি বন্দী হওয়ায় নানা ধরনের সমস্যা হচ্ছে।
আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সূত্র জানায়, গাজীপুর মেট্রোপলিটন আদালত ও জেলা আদালত একই স্থানে অবস্থিত। সেখানে আদালতের বিভিন্ন কাজকর্ম করার জন্য পুলিশের বসার পর্যাপ্ত ব্যবস্থা নেই। কেউ দাঁড়িয়ে কেউ বসে পেশাগত দায়িত্ব পালন করেন।
জানা গেছে, ১৯৭৮ সালে গাজীপুর মহাকুমা হওয়ার পর পুরনো ভাওয়াল রাজবাড়ীতে আদালত স্থাপন করে কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়। রয়েছে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ও। ২০১৩ সালে ১৬ জানুয়ারি গাজীপুর মেট্রোপলিটন চালু করা হয়। গাজীপুর মেট্রোপলিটন এলাকার ৮ থানা ও গাজীপুর জেলা এলাকায় থানার অপরাধ সংক্রান্ত সব মামলার কার্যক্রম এবং আসামিদেরকে এ আদালতে বিচারের ব্যবস্থা করা হয়। এছাড়াও গাজীপুর সিটি করপোরেশন এলাকায় নতুন নতুন কারখানা ও অফিস স্থাপন করা হয়েছে। গাজীপুর সিটি করপোরেশন হওয়ার পর সেখানে নতুন নতুন অফিস স্থাপন করা হয়েছে। রাজধানীর কাছাকাছি হওয়ায় গাজীপুরে নানামুখী উন্নয়ন করা হলেও আদালত ভবনগুলো এখনও পুরনো রয়ে গেছে। পুরনো জমিদার বাড়ির বিভিন্ন রুমে নানা কষ্টে অফিস ও আদালত স্থাপন ও হাজতখানা করা হয়েছে।
আদালতে কর্তব্যরত আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর একাধিক সূত্রে জানা গেছে, মাদক মামলার বহু আলামত কোর্টে রাখা আছে। জায়গার অভাবে আলামত সংরক্ষণ করা কঠিন হয়ে পড়েছে। এসব নিয়ে কোর্ট এলাকার দায়িত্ব প্রাপ্ত আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কর্মকতা ও সদস্যরা হিমসিম খাচ্ছে।
গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার আনোয়ার হোসেন মুঠোফোনে বলেন, গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের পক্ষ থেকে হাজতখানা সমস্যা নিয়ে পুলিশ হেডকোয়াটার্সের মাধ্যমে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে লিখিত জানানো হয়েছে। এছাড়াও অন্যসব বিষয় সমাধানে পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে।
আমাদের গাজীপুর প্রতিনিধি জানান, ভাওয়াল রাজবাড়িটি প্রত্নতত্ব বিভাগের অধীনে নেয়ার প্রক্রিয়া চলছে। পুরাতন ভবন আধুনিকারণ করা যাবে না। পুরাতন ভবনে হাত দেয়াও নিষেধ। তবে অন্যস্থানে নতুন করে আদালত ও জেলা প্রশাসকের ভবন করা হবে। এরপর রাজবাড়ী থেকে সব অফিস আদালত স্থানান্তর করা হতে পারে।