দিনলিপি : ২০১২

তানভীর মোকাম্মেল

জুন ১১, ২০১২

জ্যৈষ্ঠ ২৮, ১৪১৯

এশিয়াটিক সোসাইটিতে ষোলো তারিখে যে বক্তৃতাটি দেব তার বিষয়বস্তু হচ্ছে “বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের চলচ্চিত্রায়ন: সমস্যা ও সম্ভাবনা।” আজ বক্তৃতাটির একটি ছোট সারমর্ম তৈরী করলাম। ড: জামাল চেয়েছিলেন। আগামীকাল সারমর্মটি ওঁদেরকে পাঠিয়ে দেব।

অচিন্ত্য জানাল ও ষোলো তারিখে এশিয়াটিক সোসাইটিতে আমার বক্তৃতা শুনতে বৈঠাঘাটা থেকে ঢাকায় আসতে পারে। অচিন্ত্য এলে ভালই হয়। খুলনার লাইব্রেরীটার জন্যে যে দালানটি তৈরী করা হবে সেটার ব্যাপারে বিশদ আলাপ করা যাবে।

রিমি টেলিফোন করেছিল। বলল, পনেরো তারিখে ওঁদের তাজউদ্দীন পাঠচক্রে “নি:সঙ্গ সারথি” দেখানো হবে এবং আমি যেন ওদিন উপস্থিত থেকে শিক্ষার্থীদের জন্যে একটা আলোচনা করি। পনেরো ও ষোলো উভয় দিনই ঢাকায় থাকতে হচ্ছে। তার মানে যমুনার পারে যাওয়া বন্ধ ! আগামীকাল খন্দকারকে ফোন করে বলতে হবে যে আমার পক্ষে যমুনাতে যাওয়া সম্ভব হচ্ছে না।

বিএনপি-জোটের আজ সমাবেশ ছিল। তবে অপ্রীতিকর কোনো ঘটনা ঘটেনি এবং খালেদা জিয়া তেমন সাংঘর্ষিক কোনো কর্মসূচী দেননি। আন্দোলন যা করার ওঁরা ঈদের পরেই করবেন বলে মনে হোল।

জুন ১২, ২০১২

জ্যৈষ্ঠ ২৯, ১৪১৯

খন্দকারকে আজ জানালাম যে এই শুক্র-শনিবার আমি যমুনার পারে বেড়াতে যেতে পারছি না। বেচারা একটা দু:খ পেল। এত দিনের পুরনো বন্ধু!

এশিয়াটিক সোসাইটির উপর বক্তৃতাটির একটা সারসংক্ষেপ আজ ড: জামালকে পাঠালাম। বক্তৃতাটির জন্যে এখনও যথেষ্ট প্রস্তুতি নিতে পারিনি। আগামীকাল থেকে নেব।

আমার এডিটিং প্যানেলটি পিসি-তে এবং বেশ মান্ধাতা আমলের। অনেক দিন থেকেই ইচ্ছা ছিল ম্যাক ফরম্যাটে আধুনিক একটা এডিটিং প্যানেল কেনার। যেহেতু আমার এখানে অনেক গুরুত্বপূর্ণ সব ছবি তৈরী হয়, ফলে আমার একটা পেশাদার এডিটিং প্যানেল থাকা উচিৎ। রাকিবকে আজ তাই দেখা করতে বলেছিলাম। ওর মাধ্যমেই সিঙ্গাপুর থেকে যন্ত্রপাতিগুলো আনানোর ইচ্ছা।

রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের চিত্তবাবু আমার একটা সাক্ষাৎকার ছাপবেন বলে বেশ কিছু প্রশ্ন পাঠিয়েছিলেন। আজ প্রশ্নগুলোর জবাব লিখলাম। এর আগে “হিন্দুস্তান টাইম্স” পত্রিকার জন্যেও একটা সাক্ষাৎকার লিখেছিলাম। আমি লিখিত ছাড়া সাক্ষাৎকার ছাপতে চাই না কারণ পত্র-পত্রিকাগুলি মৌখিক সাক্ষাৎকার ভুলভাল ছাপে। কিন্তু সাক্ষাৎকার লিখতেও বেশ সময় ব্যয় হয়। কী আর করা !

জুন ১৩, ২০১২

জ্যৈষ্ঠ ৩০, ১৪১৯

“জীবনঢুলী”-র চিত্রগ্রাহক হিসেবে অপু রোজারিওর কথা ভাবা হয়েছে। অপুকে আজ ফোন করে জানালাম আগামীকাল আমার সঙ্গে দেখা করার জন্যে।

উত্তম সন্ধ্যায় বাসায় এসেছিল। “জীবনঢুলী”-র বিভিন্ন চরিত্রের জন্যে সম্ভাব্য অভিনেতা-অভিনেত্রীদের মাঝে কাকে কাকে রাখা যায় এ ব্যাপারে বিশদ আলাপ হোল। দু’দিন আগে রানা ও উত্তমের সঙ্গে এ ব্যাপারে আগেও বসেছি। আগামীকাল চিত্রাকে আসতে বলেছি। চিত্রা অভিনেতা-অভিনেত্রীদের সবাইকে চেনে এবং ওর মতামত নেওয়াটা প্রয়োজনীয়।

ছয়ই জুলাই পাবলিক লাইব্রেরী মিলনায়তনে “জাপানী বধূ”-র প্রিমিয়ার শো করব এটা প্রায় নিশ্চিত। আজ জাপানী রাষ্ট্রদূতের কাছ থেকে সময়টা নিশ্চিত করা হোল। উনি ওদিন ছবিটার ডিভিডি উন্মোচন করবেন।

জুলাই মাঝে রাজশাহীতে “১৯৭১”-য়ের শো এবং ফিল্ম অ্যাপ্রিসিয়েশন কোর্সটি অনুষ্ঠিত হবে। মনিস রফিক আজ এসেছিল। ঠিক হোল পনেরো ও ষোলোই জুলাই রাজশাহীতে “১৯৭১”-য়ের শো এবং সতেরো থেকে উনিশে জুলাই ফিল্ম অ্যাপ্রিসিয়েশন কোর্স অনুষ্ঠিত হবে। ওদের ইচ্ছা একদিন রাজশাহী শহরে এবং একদিন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে “১৯৭১” ছবির প্রদর্শনী করা।

জুন ১৪, ২০১২

জ্যৈষ্ঠ ৩১, ১৪১৯

রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের চিত্তবাবুর পাঠানো সাক্ষাৎকারটির উত্তরগুলো আজ চূড়ান্ত করেছি। আগামীকাল পাঠাতে পারব।

অপু রোজারিওকে আজ বাসায় ডেকেছিলাম। ওকে বললাম যে “জীবনঢুলী”-র চিত্রগ্রহণের কাজ ওকে করতে হবে। অপু সানন্দেই রাজী। একটাই সমস্যা যে ওর বউ আর বাচ্চা এখন কানাডায় থাকে। বছরের একটা বড় সময় ওকে কানাডাতে থাকতে হয়। ওর সঙ্গে শুটিং-য়ের সম্ভাব্য সময়সূচী নিয়ে আলাপ হোল এবং “রেড” ক্যামেরায় ছবিটা শুটিং করা হবে সেটাও ঠিক হোল। ও খোঁজ নিয়ে আমাকে জানাবে যে ঢাকায় “রেড” ক্যামেরা এখন কোন্টা বেশী ভালো এবং কার কী কী লেন্স রয়েছে। উত্তম, চিত্রা ও রানাও ছিল। “জীবনঢুলী”-র শুটিং ও অন্যান্য বিষয়গুলি নিয়ে অনেক আলাপ হোল।

এশিয়াটিক সোসাইটি-র বক্তৃতাটির জন্যে কিছু প্রস্তুতি নিয়েছি। ষোলো তারিখে বক্তৃতাটি দেব। বক্তৃতাটির সঙ্গে আমি ডিভিডি-তে আমার ছবির কিছু ফুটেজ দেখাব। টিটো আজ এশিয়াটিক সোসাইটির ছোট মিলনায়তনটি দেখে এল যে ওখানে ছবির প্রদর্শনীর সুবিধাদি কী রকম আছে।

আগামীকাল অচিন্ত্য ঢাকায় আসছে। ও এলে ওর সঙ্গে বসে বৈঠাঘাটার লাইব্রেরী ঘরটার বিষয়টি চূড়ান্ত করব।

জুন ১৫, ২০১২

আষাঢ় ০১, ১৪১৯

রিমিদের “তাজউদ্দীন পাঠচক্র”-তে আজ “তাজউদ্দীন আহমদ: নি:সঙ্গ সারথি” ছবিটা দেখানো হোল। পরে আমাকে পাঠচক্রের সদস্য-সদস্যাদের সঙ্গে একটা প্রশ্নোত্তর পর্বে অংশ নিতে হোল। কিছু কিছু ছাত্রছাত্রীকে বেশ মেধাবী ও আন্তরিক মনে হোল। আগে “তাজউদ্দীন পাঠচক্রের” সভাগুলি বাংলাদেশ ফিল্ম ইনস্টিটিউটে অনুষ্ঠিত হোত। এখন থেকে তাজউদ্দীন সাহেবদের পুরনো বাড়ীটি ভেঙ্গে যে নতুন বাড়ীটি করা হয়েছে তার এগারো তলায় হচ্ছে। এই এগারো তলার উপর থেকে চারপাশের ঢাকা শহরের দৃশ্যাবলী খুবই ভাল লাগে দেখতে। বিশেষ করে ভাল লাগে আবাহনী মাঠটা এবং ওই মাঠের চারধারের গাছগুলি।

অচিন্ত্য ঢাকায় এসেছে আগামীকাল এশিয়াটিক সোসাইটিতে আমার বক্তৃতা শুনতে এবং ডাক্তার দেখাতে। আমার এখানেই উঠেছে।

কাল বিকেল চারটায় এশিয়াটিক সোসাইটিতে আমার বক্তৃতা। বিষয় “বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের চলচ্চিত্রায়ন: সমস্যা ও সম্ভাবনা”। প্রস্তুতি নিয়েছি। কিছু মুখে বলব। কিছুটা চলচ্চিত্র দেখিয়ে আলোচনা করব। পরে হয়তো ওঁদেরকে আলোচনাটা লিখিত আকারে দিতে হবে। বই হিসেবে ছাপার জন্যে।

আরও খবর

শুক্রবার, ০৩ জানুয়ারী ২০২০ , ২০ পৌষ ১৪২৬, ৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪১

দিনলিপি : ২০১২

তানভীর মোকাম্মেল

জুন ১১, ২০১২

জ্যৈষ্ঠ ২৮, ১৪১৯

এশিয়াটিক সোসাইটিতে ষোলো তারিখে যে বক্তৃতাটি দেব তার বিষয়বস্তু হচ্ছে “বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের চলচ্চিত্রায়ন: সমস্যা ও সম্ভাবনা।” আজ বক্তৃতাটির একটি ছোট সারমর্ম তৈরী করলাম। ড: জামাল চেয়েছিলেন। আগামীকাল সারমর্মটি ওঁদেরকে পাঠিয়ে দেব।

অচিন্ত্য জানাল ও ষোলো তারিখে এশিয়াটিক সোসাইটিতে আমার বক্তৃতা শুনতে বৈঠাঘাটা থেকে ঢাকায় আসতে পারে। অচিন্ত্য এলে ভালই হয়। খুলনার লাইব্রেরীটার জন্যে যে দালানটি তৈরী করা হবে সেটার ব্যাপারে বিশদ আলাপ করা যাবে।

রিমি টেলিফোন করেছিল। বলল, পনেরো তারিখে ওঁদের তাজউদ্দীন পাঠচক্রে “নি:সঙ্গ সারথি” দেখানো হবে এবং আমি যেন ওদিন উপস্থিত থেকে শিক্ষার্থীদের জন্যে একটা আলোচনা করি। পনেরো ও ষোলো উভয় দিনই ঢাকায় থাকতে হচ্ছে। তার মানে যমুনার পারে যাওয়া বন্ধ ! আগামীকাল খন্দকারকে ফোন করে বলতে হবে যে আমার পক্ষে যমুনাতে যাওয়া সম্ভব হচ্ছে না।

বিএনপি-জোটের আজ সমাবেশ ছিল। তবে অপ্রীতিকর কোনো ঘটনা ঘটেনি এবং খালেদা জিয়া তেমন সাংঘর্ষিক কোনো কর্মসূচী দেননি। আন্দোলন যা করার ওঁরা ঈদের পরেই করবেন বলে মনে হোল।

জুন ১২, ২০১২

জ্যৈষ্ঠ ২৯, ১৪১৯

খন্দকারকে আজ জানালাম যে এই শুক্র-শনিবার আমি যমুনার পারে বেড়াতে যেতে পারছি না। বেচারা একটা দু:খ পেল। এত দিনের পুরনো বন্ধু!

এশিয়াটিক সোসাইটির উপর বক্তৃতাটির একটা সারসংক্ষেপ আজ ড: জামালকে পাঠালাম। বক্তৃতাটির জন্যে এখনও যথেষ্ট প্রস্তুতি নিতে পারিনি। আগামীকাল থেকে নেব।

আমার এডিটিং প্যানেলটি পিসি-তে এবং বেশ মান্ধাতা আমলের। অনেক দিন থেকেই ইচ্ছা ছিল ম্যাক ফরম্যাটে আধুনিক একটা এডিটিং প্যানেল কেনার। যেহেতু আমার এখানে অনেক গুরুত্বপূর্ণ সব ছবি তৈরী হয়, ফলে আমার একটা পেশাদার এডিটিং প্যানেল থাকা উচিৎ। রাকিবকে আজ তাই দেখা করতে বলেছিলাম। ওর মাধ্যমেই সিঙ্গাপুর থেকে যন্ত্রপাতিগুলো আনানোর ইচ্ছা।

রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের চিত্তবাবু আমার একটা সাক্ষাৎকার ছাপবেন বলে বেশ কিছু প্রশ্ন পাঠিয়েছিলেন। আজ প্রশ্নগুলোর জবাব লিখলাম। এর আগে “হিন্দুস্তান টাইম্স” পত্রিকার জন্যেও একটা সাক্ষাৎকার লিখেছিলাম। আমি লিখিত ছাড়া সাক্ষাৎকার ছাপতে চাই না কারণ পত্র-পত্রিকাগুলি মৌখিক সাক্ষাৎকার ভুলভাল ছাপে। কিন্তু সাক্ষাৎকার লিখতেও বেশ সময় ব্যয় হয়। কী আর করা !

জুন ১৩, ২০১২

জ্যৈষ্ঠ ৩০, ১৪১৯

“জীবনঢুলী”-র চিত্রগ্রাহক হিসেবে অপু রোজারিওর কথা ভাবা হয়েছে। অপুকে আজ ফোন করে জানালাম আগামীকাল আমার সঙ্গে দেখা করার জন্যে।

উত্তম সন্ধ্যায় বাসায় এসেছিল। “জীবনঢুলী”-র বিভিন্ন চরিত্রের জন্যে সম্ভাব্য অভিনেতা-অভিনেত্রীদের মাঝে কাকে কাকে রাখা যায় এ ব্যাপারে বিশদ আলাপ হোল। দু’দিন আগে রানা ও উত্তমের সঙ্গে এ ব্যাপারে আগেও বসেছি। আগামীকাল চিত্রাকে আসতে বলেছি। চিত্রা অভিনেতা-অভিনেত্রীদের সবাইকে চেনে এবং ওর মতামত নেওয়াটা প্রয়োজনীয়।

ছয়ই জুলাই পাবলিক লাইব্রেরী মিলনায়তনে “জাপানী বধূ”-র প্রিমিয়ার শো করব এটা প্রায় নিশ্চিত। আজ জাপানী রাষ্ট্রদূতের কাছ থেকে সময়টা নিশ্চিত করা হোল। উনি ওদিন ছবিটার ডিভিডি উন্মোচন করবেন।

জুলাই মাঝে রাজশাহীতে “১৯৭১”-য়ের শো এবং ফিল্ম অ্যাপ্রিসিয়েশন কোর্সটি অনুষ্ঠিত হবে। মনিস রফিক আজ এসেছিল। ঠিক হোল পনেরো ও ষোলোই জুলাই রাজশাহীতে “১৯৭১”-য়ের শো এবং সতেরো থেকে উনিশে জুলাই ফিল্ম অ্যাপ্রিসিয়েশন কোর্স অনুষ্ঠিত হবে। ওদের ইচ্ছা একদিন রাজশাহী শহরে এবং একদিন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে “১৯৭১” ছবির প্রদর্শনী করা।

জুন ১৪, ২০১২

জ্যৈষ্ঠ ৩১, ১৪১৯

রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের চিত্তবাবুর পাঠানো সাক্ষাৎকারটির উত্তরগুলো আজ চূড়ান্ত করেছি। আগামীকাল পাঠাতে পারব।

অপু রোজারিওকে আজ বাসায় ডেকেছিলাম। ওকে বললাম যে “জীবনঢুলী”-র চিত্রগ্রহণের কাজ ওকে করতে হবে। অপু সানন্দেই রাজী। একটাই সমস্যা যে ওর বউ আর বাচ্চা এখন কানাডায় থাকে। বছরের একটা বড় সময় ওকে কানাডাতে থাকতে হয়। ওর সঙ্গে শুটিং-য়ের সম্ভাব্য সময়সূচী নিয়ে আলাপ হোল এবং “রেড” ক্যামেরায় ছবিটা শুটিং করা হবে সেটাও ঠিক হোল। ও খোঁজ নিয়ে আমাকে জানাবে যে ঢাকায় “রেড” ক্যামেরা এখন কোন্টা বেশী ভালো এবং কার কী কী লেন্স রয়েছে। উত্তম, চিত্রা ও রানাও ছিল। “জীবনঢুলী”-র শুটিং ও অন্যান্য বিষয়গুলি নিয়ে অনেক আলাপ হোল।

এশিয়াটিক সোসাইটি-র বক্তৃতাটির জন্যে কিছু প্রস্তুতি নিয়েছি। ষোলো তারিখে বক্তৃতাটি দেব। বক্তৃতাটির সঙ্গে আমি ডিভিডি-তে আমার ছবির কিছু ফুটেজ দেখাব। টিটো আজ এশিয়াটিক সোসাইটির ছোট মিলনায়তনটি দেখে এল যে ওখানে ছবির প্রদর্শনীর সুবিধাদি কী রকম আছে।

আগামীকাল অচিন্ত্য ঢাকায় আসছে। ও এলে ওর সঙ্গে বসে বৈঠাঘাটার লাইব্রেরী ঘরটার বিষয়টি চূড়ান্ত করব।

জুন ১৫, ২০১২

আষাঢ় ০১, ১৪১৯

রিমিদের “তাজউদ্দীন পাঠচক্র”-তে আজ “তাজউদ্দীন আহমদ: নি:সঙ্গ সারথি” ছবিটা দেখানো হোল। পরে আমাকে পাঠচক্রের সদস্য-সদস্যাদের সঙ্গে একটা প্রশ্নোত্তর পর্বে অংশ নিতে হোল। কিছু কিছু ছাত্রছাত্রীকে বেশ মেধাবী ও আন্তরিক মনে হোল। আগে “তাজউদ্দীন পাঠচক্রের” সভাগুলি বাংলাদেশ ফিল্ম ইনস্টিটিউটে অনুষ্ঠিত হোত। এখন থেকে তাজউদ্দীন সাহেবদের পুরনো বাড়ীটি ভেঙ্গে যে নতুন বাড়ীটি করা হয়েছে তার এগারো তলায় হচ্ছে। এই এগারো তলার উপর থেকে চারপাশের ঢাকা শহরের দৃশ্যাবলী খুবই ভাল লাগে দেখতে। বিশেষ করে ভাল লাগে আবাহনী মাঠটা এবং ওই মাঠের চারধারের গাছগুলি।

অচিন্ত্য ঢাকায় এসেছে আগামীকাল এশিয়াটিক সোসাইটিতে আমার বক্তৃতা শুনতে এবং ডাক্তার দেখাতে। আমার এখানেই উঠেছে।

কাল বিকেল চারটায় এশিয়াটিক সোসাইটিতে আমার বক্তৃতা। বিষয় “বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের চলচ্চিত্রায়ন: সমস্যা ও সম্ভাবনা”। প্রস্তুতি নিয়েছি। কিছু মুখে বলব। কিছুটা চলচ্চিত্র দেখিয়ে আলোচনা করব। পরে হয়তো ওঁদেরকে আলোচনাটা লিখিত আকারে দিতে হবে। বই হিসেবে ছাপার জন্যে।