গড়াই থেকে অপরিকল্পিত বালু উত্তোলন

খোকসায় ভাঙন হুমকিতে শহর রক্ষা বাঁধ ও আশ্রয়ন প্রকল্প

গড়াই নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের ফলে খোকসায় শহর রক্ষা বাঁধ, ওসমানপুর ও হিজলাবট আশ্রয়ন প্রকল্প এলাকাসহ বেশ কয়েকটি পয়েন্টে নদী ভাঙন চরম আকার ধারন করেছে। তার পরও নদী থেকে বালু উত্তোলন বন্ধ করেনি বালু ব্যবসায়ীরা।

পদ্মা নদীর অন্যতম প্রধান শাখা গড়াই নদীর খোকসা উপজেলা সদরের ওসমানপুর খেয়াঘাট, হিজহলাবট, গণেষপুর, বনগ্রাম এলাকাসহ প্রায় ১০টি পয়েন্টে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন অব্যাহত রয়েছে। নদী থেকে অবৈধ বালু উত্তোলনের ফলে খোকসা শহর রক্ষা বাঁধের পশ্চিমাংশে ওসমানপুর আশ্রয়ন প্রকল্প এলাকায় নদী ভাঙ্গন চরমে পৌছেছে। সরকারী অর্থায়নে নির্মাণ করা এ প্রকল্পের ২০ গজের মধ্যে পৌছে গেছে নদী ভাঙন। প্রতিদিনই ১৫-২০ ফুট নদী গর্ভে বিলীন হয়ে যাচ্ছে। যে কোন মুহূর্তে নদী গর্ভে বিলীন হয়ে যেতে পারে আশ্রয়ন প্রকল্পের ৩০ ভূমিহীন পরিবারসহ অর্ধশত ভূমিহীনের মাথা গোজার শেষ আশ্রয়। হিজলাবট নীলকুঠি ঘাট ও হিজলাবট দ্বীপ চরের আশ্রয়ন প্রকল্প এলাকা, খানপুর, চাঁন্দটসহ বিভিন্ন এলাকার ফসলি জমি গড়াই নদী গর্ভে বিলিন হয়ে যাচ্ছে। নদীর বিভিন্ন পয়েন্টে ড্রেজার ও স্কেবেটর নামিয়ে প্রতিদিন শত শত ট্রাক বালি উত্তোলন করছে একটি রাজনৈতিক দলের আশ্রয়ে থাকা এ সব ব্যবসায়ীরা। ওসমানপুর ঘাট এলাকা থেকে বালু উত্তোলনের সঙ্গে জড়িত এক ব্যবসায়ী নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্বীকার করেন সবাই মিলেমিশে তারা বালু উত্তোলন করে ব্যবসা করছেন।

গত শনিবার সকালে ওসমানপুর ভূমিহীন প্রকল্প এলাকায় সরেজমি গেলে নদী ভাঙন কবলিত আশ্রয়ন প্রকল্পের ভূমিহীন মনজুরা খাতুন, কাজলী খাতুন জানায়, প্রায় ১২ বছর আগে তারা এই প্রকল্পে এসেছে। এতদিন নদী ভাঙন ছিল না। তারা অভিযোগ করেন, গত কয়েকবছর আগে থেকে শুষ্ক মৌসুমে এলাকার প্রভাবশালীরা আশ্রয়ন প্রকল্প এলাকার নদীতে স্কেবেটর নামিয়ে মাটি কাটার ফলে এ এলাকায় ভাঙন দেখা দিয়েছে। গত তিন চার সপ্তাহের মধ্যে প্রায় ২শ গজ এলাকার ফসলি জমি নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। নিজেদের থাকার ঘর ও ফসলি জমি নিয়ে শঙ্কার কথা জানাল স্কুল পড়–য়া ছাত্রী তন্নিমা খাতুন, মোছা. ঋতু খাতুন, তমা খাতুন, ছাত্র ইমরান হোসেন। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মৌসুমী জেরিন কান্তা বলেন, পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তারা পর্যবেক্ষণ করে গেছে। এখন তারা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবেন।

রবিবার, ০৫ জানুয়ারী ২০২০ , ২২ পৌষ ১৪২৬, ৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪১

গড়াই থেকে অপরিকল্পিত বালু উত্তোলন

খোকসায় ভাঙন হুমকিতে শহর রক্ষা বাঁধ ও আশ্রয়ন প্রকল্প

সুমন কুমার মণ্ডল,খোকসা (কুষ্টিয়া) ॥

image

খোকসা (কুষ্টিয়া) : এভাবেই গড়াইয়ে বিলীন হচ্ছে ওসমানপুর আশ্রয়ন প্রকল্প Ñসংবাদ

গড়াই নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের ফলে খোকসায় শহর রক্ষা বাঁধ, ওসমানপুর ও হিজলাবট আশ্রয়ন প্রকল্প এলাকাসহ বেশ কয়েকটি পয়েন্টে নদী ভাঙন চরম আকার ধারন করেছে। তার পরও নদী থেকে বালু উত্তোলন বন্ধ করেনি বালু ব্যবসায়ীরা।

পদ্মা নদীর অন্যতম প্রধান শাখা গড়াই নদীর খোকসা উপজেলা সদরের ওসমানপুর খেয়াঘাট, হিজহলাবট, গণেষপুর, বনগ্রাম এলাকাসহ প্রায় ১০টি পয়েন্টে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন অব্যাহত রয়েছে। নদী থেকে অবৈধ বালু উত্তোলনের ফলে খোকসা শহর রক্ষা বাঁধের পশ্চিমাংশে ওসমানপুর আশ্রয়ন প্রকল্প এলাকায় নদী ভাঙ্গন চরমে পৌছেছে। সরকারী অর্থায়নে নির্মাণ করা এ প্রকল্পের ২০ গজের মধ্যে পৌছে গেছে নদী ভাঙন। প্রতিদিনই ১৫-২০ ফুট নদী গর্ভে বিলীন হয়ে যাচ্ছে। যে কোন মুহূর্তে নদী গর্ভে বিলীন হয়ে যেতে পারে আশ্রয়ন প্রকল্পের ৩০ ভূমিহীন পরিবারসহ অর্ধশত ভূমিহীনের মাথা গোজার শেষ আশ্রয়। হিজলাবট নীলকুঠি ঘাট ও হিজলাবট দ্বীপ চরের আশ্রয়ন প্রকল্প এলাকা, খানপুর, চাঁন্দটসহ বিভিন্ন এলাকার ফসলি জমি গড়াই নদী গর্ভে বিলিন হয়ে যাচ্ছে। নদীর বিভিন্ন পয়েন্টে ড্রেজার ও স্কেবেটর নামিয়ে প্রতিদিন শত শত ট্রাক বালি উত্তোলন করছে একটি রাজনৈতিক দলের আশ্রয়ে থাকা এ সব ব্যবসায়ীরা। ওসমানপুর ঘাট এলাকা থেকে বালু উত্তোলনের সঙ্গে জড়িত এক ব্যবসায়ী নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্বীকার করেন সবাই মিলেমিশে তারা বালু উত্তোলন করে ব্যবসা করছেন।

গত শনিবার সকালে ওসমানপুর ভূমিহীন প্রকল্প এলাকায় সরেজমি গেলে নদী ভাঙন কবলিত আশ্রয়ন প্রকল্পের ভূমিহীন মনজুরা খাতুন, কাজলী খাতুন জানায়, প্রায় ১২ বছর আগে তারা এই প্রকল্পে এসেছে। এতদিন নদী ভাঙন ছিল না। তারা অভিযোগ করেন, গত কয়েকবছর আগে থেকে শুষ্ক মৌসুমে এলাকার প্রভাবশালীরা আশ্রয়ন প্রকল্প এলাকার নদীতে স্কেবেটর নামিয়ে মাটি কাটার ফলে এ এলাকায় ভাঙন দেখা দিয়েছে। গত তিন চার সপ্তাহের মধ্যে প্রায় ২শ গজ এলাকার ফসলি জমি নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। নিজেদের থাকার ঘর ও ফসলি জমি নিয়ে শঙ্কার কথা জানাল স্কুল পড়–য়া ছাত্রী তন্নিমা খাতুন, মোছা. ঋতু খাতুন, তমা খাতুন, ছাত্র ইমরান হোসেন। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মৌসুমী জেরিন কান্তা বলেন, পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তারা পর্যবেক্ষণ করে গেছে। এখন তারা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবেন।