যশোরে এক কিশোরী গণধর্ষণের মামলা তদন্ত করতে গিয়ে একটি ‘কিশোর গ্যাং’কে শনাক্ত করেছে পুলিশ। এই গ্যাংয়ের ৮ সদস্য দু’দফায় ওই কিশোরীকে গণধর্ষণ করেছে। এর মধ্যে পুলিশ তিনজনকে আটক করেছে। আটক কিশোর গ্যাংয়ের তিন সদস্য হলো, শহরের শংকরপুর গোলপাতা মসজিদ এলাকার আবদুল কুদ্দুসের ছেলে আল আফসান পুষ্প (১৫), খড়কি দক্ষিণ হাজামপাড়ার আবদুর রশিদের ছেলে রায়হান (২০) ও সোহরাব হোসেনের ছেলে শাকিল (২০)। গতকাল দুপুরে আটককৃতদের আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। এর আগে যশোরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিএসবি) মোহাম্মদ তৌহিদুল ইসলাম সাংবাদিকদের বিষয়টি অবহিত করেন। তিনি জানান, গত ২ নভেম্বর এক কিশোরীকে (১৫) অসুস্থ অবস্থায় যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। মেয়েটি গণধর্ষণের অভিযোগ করায় ওইদিনই কোতোয়ালি থানায় মামলা দায়ের হয়। কোতোয়ালি ও ডিবি পুলিশ যৌথভাবে এই মামলার তদন্ত ও আসামিদের আটকে অভিযান শুরু করে।
পুলিশ গত ২ জানুয়ারি ভোররাতে মামলার প্রধান আসামি পুষ্পকে খুলনার সোনাডাঙ্গা থেকে গ্রেফতার করে। পরে তার দেয়া তথ্য অনুযায়ী ৩ জানুয়ারি রাতে গোপালগঞ্জ ও খড়কি এলাকা থেকে রায়হান ও শাকিলকে আটক করে।
পুলিশ প্রাথমিক তদন্তে বাদীর সাক্ষ্য ও আসামিদের জবানবন্দিতে জানতে পারে, আসামি আল আফসান পুষ্প প্রথমে ওই কিশোরীর সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে তোলে। গত ১ নভেম্বর রাত ১০টার দিকে পুষ্প মেয়েটিকে ফুসলিয়ে মোটরসাইকেলে করে খড়কি ডাক্তারবাড়ির পেছনে মেহগনি বাগানে নিয়ে যায়। সেখানে জোর করে তাকে মদ খাইয়ে পুষ্প ও তার চার বন্ধু রায়হান, শাকিল, রবিউল ও শাহদিয়া গণধর্ষণ করে। এরপর পুষ্প মেয়েটিকে তাদের দু’জনেরই বন্ধু শহরের লোন অফিসপাড়ার ভাগ্নে হৃদয়ের ভাড়াবাসায় নিয়ে যায়। সেখানে দ্বিতীয় দফায় পুষ্প, ভাগ্নে হৃদয়, ভাগ্নে মামুন, ন্যাটা মামুন তাকে ধর্ষণ করে। পরদিন ২ নভেম্বর হৃদয়, ভাগ্নে মামুন ও ন্যাটা মামুন মেয়েটিকে নিয়ে যশোর পৌরপার্কে যায়। সেখানে মেয়েটি অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিএসবি) মোহাম্মদ তৌহিদুল ইসলাম আরও জানান, এই কিশোর গ্যাংটি ফেসবুকসহ নানা কায়দায় মেয়েদের সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে তুলে তাদের ধর্ষণ করে। পাশাপাশি এরা মাদকের সঙ্গেও জড়িত। পুলিশ এই গ্যাংয়ের অন্যদের আটকের জন্যও অভিযান অব্যাহত রেখেছে। পাশাপাশি এই চক্র আরও কী কী অপরাধের সঙ্গে জড়িত তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
রবিবার, ০৫ জানুয়ারী ২০২০ , ২২ পৌষ ১৪২৬, ৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪১
যশোর অফিস
যশোরে এক কিশোরী গণধর্ষণের মামলা তদন্ত করতে গিয়ে একটি ‘কিশোর গ্যাং’কে শনাক্ত করেছে পুলিশ। এই গ্যাংয়ের ৮ সদস্য দু’দফায় ওই কিশোরীকে গণধর্ষণ করেছে। এর মধ্যে পুলিশ তিনজনকে আটক করেছে। আটক কিশোর গ্যাংয়ের তিন সদস্য হলো, শহরের শংকরপুর গোলপাতা মসজিদ এলাকার আবদুল কুদ্দুসের ছেলে আল আফসান পুষ্প (১৫), খড়কি দক্ষিণ হাজামপাড়ার আবদুর রশিদের ছেলে রায়হান (২০) ও সোহরাব হোসেনের ছেলে শাকিল (২০)। গতকাল দুপুরে আটককৃতদের আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। এর আগে যশোরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিএসবি) মোহাম্মদ তৌহিদুল ইসলাম সাংবাদিকদের বিষয়টি অবহিত করেন। তিনি জানান, গত ২ নভেম্বর এক কিশোরীকে (১৫) অসুস্থ অবস্থায় যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। মেয়েটি গণধর্ষণের অভিযোগ করায় ওইদিনই কোতোয়ালি থানায় মামলা দায়ের হয়। কোতোয়ালি ও ডিবি পুলিশ যৌথভাবে এই মামলার তদন্ত ও আসামিদের আটকে অভিযান শুরু করে।
পুলিশ গত ২ জানুয়ারি ভোররাতে মামলার প্রধান আসামি পুষ্পকে খুলনার সোনাডাঙ্গা থেকে গ্রেফতার করে। পরে তার দেয়া তথ্য অনুযায়ী ৩ জানুয়ারি রাতে গোপালগঞ্জ ও খড়কি এলাকা থেকে রায়হান ও শাকিলকে আটক করে।
পুলিশ প্রাথমিক তদন্তে বাদীর সাক্ষ্য ও আসামিদের জবানবন্দিতে জানতে পারে, আসামি আল আফসান পুষ্প প্রথমে ওই কিশোরীর সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে তোলে। গত ১ নভেম্বর রাত ১০টার দিকে পুষ্প মেয়েটিকে ফুসলিয়ে মোটরসাইকেলে করে খড়কি ডাক্তারবাড়ির পেছনে মেহগনি বাগানে নিয়ে যায়। সেখানে জোর করে তাকে মদ খাইয়ে পুষ্প ও তার চার বন্ধু রায়হান, শাকিল, রবিউল ও শাহদিয়া গণধর্ষণ করে। এরপর পুষ্প মেয়েটিকে তাদের দু’জনেরই বন্ধু শহরের লোন অফিসপাড়ার ভাগ্নে হৃদয়ের ভাড়াবাসায় নিয়ে যায়। সেখানে দ্বিতীয় দফায় পুষ্প, ভাগ্নে হৃদয়, ভাগ্নে মামুন, ন্যাটা মামুন তাকে ধর্ষণ করে। পরদিন ২ নভেম্বর হৃদয়, ভাগ্নে মামুন ও ন্যাটা মামুন মেয়েটিকে নিয়ে যশোর পৌরপার্কে যায়। সেখানে মেয়েটি অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিএসবি) মোহাম্মদ তৌহিদুল ইসলাম আরও জানান, এই কিশোর গ্যাংটি ফেসবুকসহ নানা কায়দায় মেয়েদের সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে তুলে তাদের ধর্ষণ করে। পাশাপাশি এরা মাদকের সঙ্গেও জড়িত। পুলিশ এই গ্যাংয়ের অন্যদের আটকের জন্যও অভিযান অব্যাহত রেখেছে। পাশাপাশি এই চক্র আরও কী কী অপরাধের সঙ্গে জড়িত তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।