শৈত্যপ্রবাহের কবলে পড়া রংপুর অঞ্চলকে আঞ্চলিক দুর্যোগপূর্ণ এলাকা ঘোষণা করলেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী এনামুর রহমান। শনিবার রংপুরের জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির জরুরি সভায় এ ঘোষণা দেয়া হয়।

মন্ত্রী বলেন সামনে আরও শৈত্যপ্রবাহ আসছে সে কারণে শীতপ্রবণ এ অঞ্চলে শীতার্ত মানুষের পার্শ্বে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আছেন আমরা আছি ফলে কোন সমস্যা হবে না।

তিনি বলেন শীত আসার আগেই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাদের আগাম প্রস্তুতি গ্রহণের কথা বলেছিলেন। আমরা তাৎক্ষণিক সভা করে ৩১ লাখ ৯০ হাজার কম্বল অক্টোবর মাসেই সারাদেশের জেলা প্রশাসকদের কাছে পৌঁছে দেয়া হয়েছে। এ ছাড়াও শিশুদের পোশাক ও ৪০ হাজার প্যাকেট শুকনো খাবার দেয়া হয়েছে। এ ছাড়াও পঞ্চগড়ের তেতুলিয়ায় তাপমাত্রা ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াসে নেমে আসায় আমরা রংপুর বিভাগের ৮ জেলায় ১০ লাখ নগদ অর্থ প্রদান করেছি স্থানীয় জেলা প্রশাসকদের। তিনি বলেন আমরা প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে এলাকাগুলো সফর করছি। তিনি আশ্বস্ত করে বলেন আমরা শীতার্ত মানুষদের জন্য যা যা প্রয়োজন তাই করব।

সাংবাদিকদের কাছে শীতের কবল থেকে রক্ষা পেতে আগুন পোহানোর ঘটনা শুনে মন্ত্রী আগুন পোহাতে গিয়ে নিহত ৬ জনের পরিবারকে আর্থিক সহায়তা প্রদান এবং বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধিক ২২ রোগীদের চিকিৎসা সহায়তার এবং অর্থ সহায়তা প্রদানের জন্য জেলা প্রশাসনকে নির্দেশ দেন।

ত্রাণ সচিব শাহ কামাল বলেছেন এখন এ অঞ্চলের ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ আছে। সে কারণে দুস্থ শীতার্ত মানুষদের জন্য রুম হিটার দেবার পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে। এ জন্য জেলা প্রশাসকদের কাছে থাকা তহবিল থেকে সরবরাহ করার কথা বলেন। তিনি বলেন এটা সারা বছরের জন্য মাত্র দু’মাসের জন্য ব্যবহার করলে শীত নিবারণে অনেক দুর্ভোগ কমবে বলে জানান তিনি।

রংপুরের জেলা প্রশাসক আসিব আহসানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় বক্তব্য রাখেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ সচিব শাহ কামাল মহাপরিচালক মো. মোহসীন সহ ঊর্র্ধ্বতন কর্মকর্তারা। সভায় রংপুরের সব উপজেলা চেয়ারম্যান , নির্বাহী কর্মকর্তারা জেলার বিভিন্ন দফতরের উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তারা সভায় অংশ নেন।