সেলিম আল দীনের ‘পুত্র’ নাটকের মঞ্চায়ন আজ

বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির উদ্যোগে দেশের ৬৪টি জেলার উপজেলা পর্যায়ে চলছে ‘বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক উৎসব’। ২১ দিনব্যাপী আয়োজনে রয়েছে নৃত্য-গীত-কবিতা-যাত্রাপালা, পুতুল নাচসহ নানা আয়োজন। এছাড়া একাডেমি প্রাঙ্গণে প্রতিরাত ৮টায় পরিবেশিত হবে লোকনাট্য। অন্যদিকে এক্সপেরিমেন্টাল থিয়েটার হলে ঢাকা থিয়েটার এর ‘পুত্র’ এবং সমতট নাট্য দলের ‘উজান ভাইটাল কইন্যা’ নাটক মঞ্চস্থ হবে।

বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক উৎসবের পরিবেশনার মধ্যে রয়েছে সমবেত সংগীত, যন্ত্রসংগীত, ঐতিহ্যবাহী লোকজ খেলা, পালা, একক সংগীত, বাউল সংগীত, ঐতিহ্যবাহী লোকনাট্য, যাত্রা, সমবেত নৃত্য, অ্যাক্রোবেটিক, বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিশুদের পরিবেশনা, পুতুল নাট্য, একক আবৃত্তি, শিশুদের পরিবেশনা, বঙ্গবন্ধু এবং মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক সংগীত ও নৃত্য, নাটকের কোরিওগ্রাফি, বৃন্দ আবৃত্তি, ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী সম্প্রদায়ের পরিবেশনা, আঞ্চলিক ও জেলা ব্রান্ডিং বিষয়ক সংগীত ও নৃত্য এবং জেলার ঐতিহ্যবাহী ভিডিও চিত্র প্রদর্শনী।

সেলিম আল দীনের সর্বশেষ রচিত ঢাকা থিয়েটারের নাটক ‘পুত্র’ নাটকটি নির্দেশনা দিয়েছেন শিমুল ইউসুফ। পুত্র হারানো এক দম্পতির অবিশ্রান্ত বিলাপ ও স্মৃতি উপাখ্যান এ নাটক।

নাটকটির কাহিনীতে দেখা যায়, মাইট্যাল সিরাজ ও তার স্ত্রী যমুনাপারের মেয়ে আবছা। তাদের পুত্র মানিক আমগাছে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেছিল। নিয়ম অনুযায়ী ধর্মীয় কৃত্যহীন লাশ মাটিতে পুঁতে ফেলতে হয় এবং সেই আমগাছটিও কেটে ফেলতে হয়। এ ঘটনার দুই বছর পর এক প্রবল শীতের রাতে কিছুটা উষ্ণতা পেতে এ দম্পতি আমগাছটির শেকড় তুলে এনে আগুন জ্বালায়। একদিকে পুড়ে নিঃশেষ হয়ে আসতে থাকে আমগাছটির শেকড়, অন্যদিকে বাবা-মায়ের অন্তরে পুত্র হারানোর যন্ত্রণা যেন দ্বিগুণ তীব্রতায় জ্বলতে থাকে। মৃত পুত্রের জন্য উদ্বেগ, আশঙ্কা, ভীতি এবং কখনও কখনও ক্ষোভের মধ্য দিয়ে তারা জীবিত পুত্রের অপূর্ণ সব ইচ্ছা-আকাক্সক্ষার স্মরণ করতে করতে একসময় গাছের শেকড়কেও পুত্র ভাবতে শুরু করে।

এই আখ্যানে এক জটিল সমীকরণের সৃষ্টি করে। সেলিম আল দীনের সৃষ্টিশীল লেখনীর শক্তি ও নতুন নাট্যভাষার চিরচেনা মানব জীবন হয়ে ওঠে পরাবাস্তব এক অদেখা জীবন। পুত্র বিয়োগের অব্যাহতিতে জটিল এক মনস্তাত্তিক টানাপোড়নে আখ্যানের চরিত্রগুলো আধুনিক কবিতার আদলে মঞ্চে নির্মিত হতে থাকে।

‘পুত্র’ নাটকের বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করছেন এশা ইউসুফ, সামিউন জাহান দোলা, আসাদুজ্জামান আমান, মিলু চৌধুরী প্রমুখ। কোরিওগ্রাফি করেছেন এশা ইউসুফ, আলোক পরিকল্পনায় নাসিরুল হক, যন্ত্রসংগীত পরিকল্পনায় সৌজন্য অধিকারী। নাটকটির শিল্প নির্দেশনা দিয়েছেন প্রখ্যাত শিল্পী ঢালী আল মামুন।

আরও খবর
মানবাধিকার রক্ষায় সুশাসন নিশ্চিতে জনস্বার্থের মামলা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে প্রধান বিচারপতি
মেট্রোরেলের নিরাপত্তায় গঠিত হচ্ছে বিশেষ পুলিশ ইউনিট
জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে লড়াই করতে হবে মির্জা ফখরুল
বিচারের দীর্ঘসূত্রতা নারীর প্রতি সহিংসতার প্রধান কারণ
পুলিশ সপ্তাহ শুরু আজ
ঘন কুয়াশায় নৌরুট বন্ধ, যানবাহনের দীর্ঘ সারি
কালিগঙ্গা নদীর সেতু দীর্ঘদিন পর খুলে দেয়া হয়েছে
পুলিশের পদোন্নতি নিয়ে অসন্তোষ
গণধর্ষণে জড়িত কিশোর গ্যাংয়ের ৩ জন আটক
নির্বাচনকে কেন্দ্র করে চার ভাগে বিভক্ত
শীতপ্রধান রংপুর অঞ্চলকে দুর্যোগপূর্ণ এলাকা ঘোষণা
তরুণ কবি ও লেখক পুরস্কার ঘোষণা
বাংলা একাডেমিতে পৌষমেলা শুরু

রবিবার, ০৫ জানুয়ারী ২০২০ , ২২ পৌষ ১৪২৬, ৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪১

বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক উৎসব

সেলিম আল দীনের ‘পুত্র’ নাটকের মঞ্চায়ন আজ

সাংস্কৃতিক বার্তা পরিবেশক |

বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির উদ্যোগে দেশের ৬৪টি জেলার উপজেলা পর্যায়ে চলছে ‘বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক উৎসব’। ২১ দিনব্যাপী আয়োজনে রয়েছে নৃত্য-গীত-কবিতা-যাত্রাপালা, পুতুল নাচসহ নানা আয়োজন। এছাড়া একাডেমি প্রাঙ্গণে প্রতিরাত ৮টায় পরিবেশিত হবে লোকনাট্য। অন্যদিকে এক্সপেরিমেন্টাল থিয়েটার হলে ঢাকা থিয়েটার এর ‘পুত্র’ এবং সমতট নাট্য দলের ‘উজান ভাইটাল কইন্যা’ নাটক মঞ্চস্থ হবে।

বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক উৎসবের পরিবেশনার মধ্যে রয়েছে সমবেত সংগীত, যন্ত্রসংগীত, ঐতিহ্যবাহী লোকজ খেলা, পালা, একক সংগীত, বাউল সংগীত, ঐতিহ্যবাহী লোকনাট্য, যাত্রা, সমবেত নৃত্য, অ্যাক্রোবেটিক, বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিশুদের পরিবেশনা, পুতুল নাট্য, একক আবৃত্তি, শিশুদের পরিবেশনা, বঙ্গবন্ধু এবং মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক সংগীত ও নৃত্য, নাটকের কোরিওগ্রাফি, বৃন্দ আবৃত্তি, ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী সম্প্রদায়ের পরিবেশনা, আঞ্চলিক ও জেলা ব্রান্ডিং বিষয়ক সংগীত ও নৃত্য এবং জেলার ঐতিহ্যবাহী ভিডিও চিত্র প্রদর্শনী।

সেলিম আল দীনের সর্বশেষ রচিত ঢাকা থিয়েটারের নাটক ‘পুত্র’ নাটকটি নির্দেশনা দিয়েছেন শিমুল ইউসুফ। পুত্র হারানো এক দম্পতির অবিশ্রান্ত বিলাপ ও স্মৃতি উপাখ্যান এ নাটক।

নাটকটির কাহিনীতে দেখা যায়, মাইট্যাল সিরাজ ও তার স্ত্রী যমুনাপারের মেয়ে আবছা। তাদের পুত্র মানিক আমগাছে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেছিল। নিয়ম অনুযায়ী ধর্মীয় কৃত্যহীন লাশ মাটিতে পুঁতে ফেলতে হয় এবং সেই আমগাছটিও কেটে ফেলতে হয়। এ ঘটনার দুই বছর পর এক প্রবল শীতের রাতে কিছুটা উষ্ণতা পেতে এ দম্পতি আমগাছটির শেকড় তুলে এনে আগুন জ্বালায়। একদিকে পুড়ে নিঃশেষ হয়ে আসতে থাকে আমগাছটির শেকড়, অন্যদিকে বাবা-মায়ের অন্তরে পুত্র হারানোর যন্ত্রণা যেন দ্বিগুণ তীব্রতায় জ্বলতে থাকে। মৃত পুত্রের জন্য উদ্বেগ, আশঙ্কা, ভীতি এবং কখনও কখনও ক্ষোভের মধ্য দিয়ে তারা জীবিত পুত্রের অপূর্ণ সব ইচ্ছা-আকাক্সক্ষার স্মরণ করতে করতে একসময় গাছের শেকড়কেও পুত্র ভাবতে শুরু করে।

এই আখ্যানে এক জটিল সমীকরণের সৃষ্টি করে। সেলিম আল দীনের সৃষ্টিশীল লেখনীর শক্তি ও নতুন নাট্যভাষার চিরচেনা মানব জীবন হয়ে ওঠে পরাবাস্তব এক অদেখা জীবন। পুত্র বিয়োগের অব্যাহতিতে জটিল এক মনস্তাত্তিক টানাপোড়নে আখ্যানের চরিত্রগুলো আধুনিক কবিতার আদলে মঞ্চে নির্মিত হতে থাকে।

‘পুত্র’ নাটকের বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করছেন এশা ইউসুফ, সামিউন জাহান দোলা, আসাদুজ্জামান আমান, মিলু চৌধুরী প্রমুখ। কোরিওগ্রাফি করেছেন এশা ইউসুফ, আলোক পরিকল্পনায় নাসিরুল হক, যন্ত্রসংগীত পরিকল্পনায় সৌজন্য অধিকারী। নাটকটির শিল্প নির্দেশনা দিয়েছেন প্রখ্যাত শিল্পী ঢালী আল মামুন।