আবুধাবি সাসটেইনেবিলিটি উইকে প্রধানমন্ত্রীর অংশগ্রহণ

বাসস

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ‘আবুধাবি সাসটেইনেবিলিটি উইক’ ও ‘জায়েদ সাসটেইনেবিলিটি প্রাইজ’ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছেন।

গতকাল সকাল ১১টায় আবুধাবি ন্যাশনাল এক্সিবিশন সেন্টার (এডিএনইসি)’র আইসিসি হলে আবুধাবি সাসটেইনেবিলিটি উইক (এডিএসডব্লিউ) ২০২০ আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয়েছে। আট দিনব্যাপী বিশ্বের অন্যতম বিশাল সাসটেইনেবিলিটি সমাবেশ এডিএসডব্লিউ ২০২০ অনুষ্ঠানটি বিভিন্ন দেশের নীতি নির্ধারক, শিল্প বিশেষজ্ঞ, অগ্রণী প্রযুক্তিবিদ ও পরবর্তী প্রজন্মের সাসটেইনেবিলিটি নেতাদের মিলনমেলায় পরিণত হয়েছে। ১৮ জানুয়ারি পর্যন্ত এই সাসটেইনেবিলিটি সম্মেলন চলবে।

প্রধানমন্ত্রী প্রদর্শনী কেন্দ্রে পৌঁছালে আবুধাবির যুবরাজ শেখ মোহাম্মদ বিন জায়েদ বিন সুলতান আল-নাহিয়ান তাকে স্বাগত জানান।

এ বছর পাঁচটি ক্যাটাগরিতে বিভিন্ন দেশের ১০টি সংগঠন ও প্রতিষ্ঠানকে জায়েদ সাসটেইনেবল প্রাইজ প্রদান করা হয়। অনুষ্ঠানে শেখ মোহাম্মদ বিন জায়েদ বিন সুলতান আল-নাহিয়ান ও শেখ হাসিনা ছাড়াও আরও সাতটি দেশের রাষ্ট্র ও সরকার প্রধান বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার প্রদান করেন।

বাংলাদেশ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কিরিবাতির ইউতান তারাওয়া ইয়েতা জুনিয়র সেকেন্ডারি স্কুলের প্রতিনিধির হাতে পুরস্কার তুলে দেন। স্কুলটি গ্লোবাল হাইস্কুল ক্যাটাগরিতে মর্যাদাপূর্ণ এই পুরস্কার পেয়েছে।

অনুষ্ঠানে অন্যান্য রাষ্ট্র ও সরকার প্রধানদের মধ্যে ইন্দোনেশিয়ার প্রেসিডেন্ট জোকো ইউদোদো, রুয়ান্ডার প্রেসিডেন্ট পল কাগামে, ফিজির প্রধানমন্ত্রী জোসাইয়া রোরেকে বেইনিমারামা, সার্বিয়ার প্রধানমন্ত্রী অ্যানা ব্রনাবিক, আর্মেনিয়ার প্রেসিডেন্ট আরমেন সারকিসিয়ান ও সিয়েরা লিওনের প্রেসিডেন্ট জুলিয়াস মাদা বিও অংশগ্রহণ করেন।

এ বছর একই ক্যাটাগরিতে পুরস্কারপ্রাপ্ত আরও পাঁচটি স্কুল হচ্ছে- কলম্বিয়ার এয়ার বাতাল্লা, নাইজেরিয়ার হাকিমি আলিয়ু ডে সেকেন্ডারি, মরক্কোর আল আমল জুনিয়র হাইস্কুল, ইউনাইটেড ওয়ার্ল্ড কলেজ, বসনিয়া ও হার্জেগোভিনার মোস্টার ও নেপালের ব্লুম নেপাল স্কুল।

অপর চারটি ক্যাটাগরির আওতায় সুইডেনের জিএলওবিএইচই স্বাস্থ্য ক্যাটাগরিতে, খাদ্যে ঘানার ওকুয়াফো ফাউন্ডেশন, জ্বালানিতে ফ্রান্সের ইলেক্ট্রিশিয়ানস উইদাউট বর্ডার্স এবং পানি ক্যাটাগরিতে যুক্তরাষ্ট্রের সেরেস ইম্যাজিন পুরস্কার লাভ করে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অনুষ্ঠানে অন্যান্য রাষ্ট্র ও সরকারপ্রধানদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন।

এ বছর এডিএসডব্লিউ-এর প্রতিপাদ্য হচ্ছে ‘আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স,কম্যুনিটি অ্যান্ড ইয়ুথ’ এবং এর ৬টি প্রধান স্তম্ভ হচ্ছে- জ্বালানি ও জলবায়ু পরিবর্তন, পানি ও খাদ্য, চলাচলের ভবিষ্যৎ, মহাকাশ, স্বাস্থ্যে বায়োটেকনোলজি ও কল্যাণের জন্য প্রযুক্তি।

এডিএসডব্লিউ২০২০-এর বৈশিষ্ট্যের ৬টি স্তম্ভের জাতিসংঘ টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) ও ইউএই ভিশন২০২১ এর সঙ্গে মিল রয়েছে। গ্লোবাল সাসটেইনিবিলিটি অ্যান্ড হিউমেনিটারিয়ানিজম-এর অন্যতম অগ্রসেনানি ইউএই’র স্থপতি মরহুম শেখ জায়েদ বিন সুলতান আল নাহিয়ানের প্রতি শ্রদ্ধাপূর্ণ স্বীকৃতি হচ্ছে ২০০৮ সালে প্রতিষ্ঠিত ‘জায়েদ সাসটেইনেবিলিটি প্রাইজ’।

এই পুরস্কার সেসব প্রতিষ্ঠান ও হাইস্কুলসমূহের স্বীকৃতি দেয় ও পুরস্কৃত করে যেগুলো কার্যকরভাবে পরিচালিত, উদ্ভাবনীমূলক ও টেকসই সমাধানে প্রেরণা প্রদান করে। ৫টি ক্যাটাগরির পুরস্কার হচ্ছে- স্বাস্থ্য, খাদ্য, জ্বালানি, পানি, গ্লোবাল হাইস্কুল।

গত ১১ বছরে এই পুরস্কার ৭৬ বিজয়ীসহ ৩১ কোটি ৮০ লাখ লোককে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে প্রভাবিত করেছে এবং এটি সারাবিশ্বের মানুষকে টেকসই সমাধান ও প্রযুক্তি গ্রহণের প্রতি আকৃষ্ট করেছে।

প্রতিবছর জানুয়ারি মাসে আবুধাবি সাসটেইনেবিলিটি উইক চলাকালে এই বার্ষিক পুরস্কার প্রদানের অনুষ্ঠান হয়।

মঙ্গলবার, ১৪ জানুয়ারী ২০২০ , ৩০ পৌষ ১৪২৬, ১৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪১

আবুধাবি সাসটেইনেবিলিটি উইকে প্রধানমন্ত্রীর অংশগ্রহণ

বাসস

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ‘আবুধাবি সাসটেইনেবিলিটি উইক’ ও ‘জায়েদ সাসটেইনেবিলিটি প্রাইজ’ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছেন।

গতকাল সকাল ১১টায় আবুধাবি ন্যাশনাল এক্সিবিশন সেন্টার (এডিএনইসি)’র আইসিসি হলে আবুধাবি সাসটেইনেবিলিটি উইক (এডিএসডব্লিউ) ২০২০ আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয়েছে। আট দিনব্যাপী বিশ্বের অন্যতম বিশাল সাসটেইনেবিলিটি সমাবেশ এডিএসডব্লিউ ২০২০ অনুষ্ঠানটি বিভিন্ন দেশের নীতি নির্ধারক, শিল্প বিশেষজ্ঞ, অগ্রণী প্রযুক্তিবিদ ও পরবর্তী প্রজন্মের সাসটেইনেবিলিটি নেতাদের মিলনমেলায় পরিণত হয়েছে। ১৮ জানুয়ারি পর্যন্ত এই সাসটেইনেবিলিটি সম্মেলন চলবে।

প্রধানমন্ত্রী প্রদর্শনী কেন্দ্রে পৌঁছালে আবুধাবির যুবরাজ শেখ মোহাম্মদ বিন জায়েদ বিন সুলতান আল-নাহিয়ান তাকে স্বাগত জানান।

এ বছর পাঁচটি ক্যাটাগরিতে বিভিন্ন দেশের ১০টি সংগঠন ও প্রতিষ্ঠানকে জায়েদ সাসটেইনেবল প্রাইজ প্রদান করা হয়। অনুষ্ঠানে শেখ মোহাম্মদ বিন জায়েদ বিন সুলতান আল-নাহিয়ান ও শেখ হাসিনা ছাড়াও আরও সাতটি দেশের রাষ্ট্র ও সরকার প্রধান বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার প্রদান করেন।

বাংলাদেশ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কিরিবাতির ইউতান তারাওয়া ইয়েতা জুনিয়র সেকেন্ডারি স্কুলের প্রতিনিধির হাতে পুরস্কার তুলে দেন। স্কুলটি গ্লোবাল হাইস্কুল ক্যাটাগরিতে মর্যাদাপূর্ণ এই পুরস্কার পেয়েছে।

অনুষ্ঠানে অন্যান্য রাষ্ট্র ও সরকার প্রধানদের মধ্যে ইন্দোনেশিয়ার প্রেসিডেন্ট জোকো ইউদোদো, রুয়ান্ডার প্রেসিডেন্ট পল কাগামে, ফিজির প্রধানমন্ত্রী জোসাইয়া রোরেকে বেইনিমারামা, সার্বিয়ার প্রধানমন্ত্রী অ্যানা ব্রনাবিক, আর্মেনিয়ার প্রেসিডেন্ট আরমেন সারকিসিয়ান ও সিয়েরা লিওনের প্রেসিডেন্ট জুলিয়াস মাদা বিও অংশগ্রহণ করেন।

এ বছর একই ক্যাটাগরিতে পুরস্কারপ্রাপ্ত আরও পাঁচটি স্কুল হচ্ছে- কলম্বিয়ার এয়ার বাতাল্লা, নাইজেরিয়ার হাকিমি আলিয়ু ডে সেকেন্ডারি, মরক্কোর আল আমল জুনিয়র হাইস্কুল, ইউনাইটেড ওয়ার্ল্ড কলেজ, বসনিয়া ও হার্জেগোভিনার মোস্টার ও নেপালের ব্লুম নেপাল স্কুল।

অপর চারটি ক্যাটাগরির আওতায় সুইডেনের জিএলওবিএইচই স্বাস্থ্য ক্যাটাগরিতে, খাদ্যে ঘানার ওকুয়াফো ফাউন্ডেশন, জ্বালানিতে ফ্রান্সের ইলেক্ট্রিশিয়ানস উইদাউট বর্ডার্স এবং পানি ক্যাটাগরিতে যুক্তরাষ্ট্রের সেরেস ইম্যাজিন পুরস্কার লাভ করে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অনুষ্ঠানে অন্যান্য রাষ্ট্র ও সরকারপ্রধানদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন।

এ বছর এডিএসডব্লিউ-এর প্রতিপাদ্য হচ্ছে ‘আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স,কম্যুনিটি অ্যান্ড ইয়ুথ’ এবং এর ৬টি প্রধান স্তম্ভ হচ্ছে- জ্বালানি ও জলবায়ু পরিবর্তন, পানি ও খাদ্য, চলাচলের ভবিষ্যৎ, মহাকাশ, স্বাস্থ্যে বায়োটেকনোলজি ও কল্যাণের জন্য প্রযুক্তি।

এডিএসডব্লিউ২০২০-এর বৈশিষ্ট্যের ৬টি স্তম্ভের জাতিসংঘ টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) ও ইউএই ভিশন২০২১ এর সঙ্গে মিল রয়েছে। গ্লোবাল সাসটেইনিবিলিটি অ্যান্ড হিউমেনিটারিয়ানিজম-এর অন্যতম অগ্রসেনানি ইউএই’র স্থপতি মরহুম শেখ জায়েদ বিন সুলতান আল নাহিয়ানের প্রতি শ্রদ্ধাপূর্ণ স্বীকৃতি হচ্ছে ২০০৮ সালে প্রতিষ্ঠিত ‘জায়েদ সাসটেইনেবিলিটি প্রাইজ’।

এই পুরস্কার সেসব প্রতিষ্ঠান ও হাইস্কুলসমূহের স্বীকৃতি দেয় ও পুরস্কৃত করে যেগুলো কার্যকরভাবে পরিচালিত, উদ্ভাবনীমূলক ও টেকসই সমাধানে প্রেরণা প্রদান করে। ৫টি ক্যাটাগরির পুরস্কার হচ্ছে- স্বাস্থ্য, খাদ্য, জ্বালানি, পানি, গ্লোবাল হাইস্কুল।

গত ১১ বছরে এই পুরস্কার ৭৬ বিজয়ীসহ ৩১ কোটি ৮০ লাখ লোককে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে প্রভাবিত করেছে এবং এটি সারাবিশ্বের মানুষকে টেকসই সমাধান ও প্রযুক্তি গ্রহণের প্রতি আকৃষ্ট করেছে।

প্রতিবছর জানুয়ারি মাসে আবুধাবি সাসটেইনেবিলিটি উইক চলাকালে এই বার্ষিক পুরস্কার প্রদানের অনুষ্ঠান হয়।