পতনেই ঘুরপাক খাচ্ছে শেয়ারবাজার

গত সপ্তাহে সূচক ও লেনদেন দুটোই কমেছে

গত সপ্তাহের ৫ কার্যদিবস লেনদেন হয়েছে শেয়ারবাজারে। এর মধ্যে ৩ কার্যদিবস উত্থানে ও ২ কার্যদিবস পতনে শেষ হয়েছে শেয়ারবাজারের লেনদেন। হ্রাস-বৃদ্ধির হিসাব শেষে দেখা গেছে, গত সপ্তাহে বৃদ্ধির চেয়ে বেশি কমেছে সূচক। সপ্তাহটিতে সূচকের সঙ্গে বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট দর এবং টাকার পরিমাণে লেনদেনও কমেছে। ঢাকা ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই ও সিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

গত সপ্তাহে ৫ কার্যদিবসে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) ১ হাজার ৩২০ কোটি ৭৩ লাখ ৭ হাজার ৯২১ টাকার লেনদেন হয়েছে যা আগের সপ্তাহ থেকে ২৫৬ কোটি ৩৯ লাখ ৮৮ হাজার ১৬৩ টাকা বা ১৬ দশমিক ২৬ শতাংশ কম। আগের সপ্তাহে লেনদেন হয়েছিল ১ হাজার ৫৭৭ কোটি ১২ লাখ ৯৬ হাজার ৮৪ টাকার।

ডিএসইতে গত সপ্তাহে গড় লেনদেন হয়েছে ২৬৪ কোটি ১৪ লাখ ৬১ হাজার ৫৮৪ টাকার। আগের সপ্তাহে গড় লেনদেন হয়েছিল ৩১৫ কোটি ৪২ লাখ ৫৯ হাজার ২১৬ টাকার। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইতে গড় লেনদেন ৫১ কোটি ২৭ লাখ ৯৭ হাজার ৬৩২ টাকা বা ১৬ দশমিক ২৬ শতাংশ কমেছে।

গত সপ্তাহে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ৪৭ পয়েন্ট বা ১ দশমিক ১৩ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ৪ হাজার ১৫০ পয়েন্টে। অপর সূচকগুলোর মধ্যে শরিয়াহ সূচক ৬ পয়েন্ট বা ০ দশমিক ৫৯ শতাংশ এবং সিএসই-৩০ সূচক ০ দশমিক ২২ পয়েন্ট বা ০ দশমিক ০২ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ৯৪০ পয়েন্ট ও ১ হাজার ৪০৬ পয়েন্টে। ডিএসইতে চালু হওয়া নতুন সূচক সিডিএসইটি ২ পয়েন্ট বেড়ে ৮৪৫ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।

গত সপ্তাহে ডিএসইতে মোট ৩৫৮টি প্রতিষ্ঠান শেয়ার ও ইউনিট লেনদেনে অংশ নিয়েছে। প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে দর বেড়েছে ৬০টি বা ১৭ শতাংশের, কমেছে ২৭৭টির বা ৭৭ শতাংশের এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ২১টির বা ৬ শতাংশের শেয়ার ও ইউনিট দর।

পিই রেশিও কমেছে : গত সপ্তাহে প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সার্বিক মূল্য আয় অনুপাত (পিই রেশিও) ১ দশমিক ৮৯ শতাংশ কমেছে। গত সপ্তাহের শুরুতে ডিএসইর পিই ছিল ১১ দশমিক ১৩ পয়েন্টে যা সপ্তাহ শেষে ১০ দশমিক ৯২ পয়েন্টে অবস্থান করছে। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে পিই রেশিও ০ দশমিক ২১ পয়েন্ট বা ১ দশমিক ৮৯ শতাংশ কমেছে।

সপ্তাহ শেষে ব্যাংক খাতের পিই রেশিও অবস্থান করছে ৭ পয়েন্টে। এছাড়া তথ্যপ্রযুক্তি খাতের ১৭ দশমিক ৭৫ পয়েন্টে, বস্ত্র খাতের ১৪ দশমিক ৫৬ পয়েন্টে, ওষুধ ও রসায়ন খাতের ১৪ দশমিক ২৮ পয়েন্টে, টেলিযোগাযোগ খাতের ৯ দশমিক ৭২ পয়েন্টে, প্রকৌশল খাতের ১৩ দশমিক ৬৭ পয়েন্টে, বীমা খাতের ১৪ দশমিক ৫৫ পয়েন্টে, বিবিধ খাতের ২০ দশমিক ২০ পয়েন্টে, খাদ্য খাতের ১২ দশমিক ২৯ পয়েন্টে, চামড়া খাতের ১৬ দশমিক ০৮ পয়েন্টে, সিমেন্ট খাতের ২৭ দশমিক ৪৭ পয়েন্টে, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের ৯ দশমিক ৩৩ পয়েন্টে, আর্থিক খাতের ৩৭৯ দশমিক ২০ পয়েন্টে, ভ্রমণ ও অবকাশ খাতের ২৮ দশমিক ৮৫ পয়েন্টে, পেপার খাতের ১৭ দশমিক ৫৭ পয়েন্টে, সেবা ও আবাসন খাতের ৯ দশমিক ০৮ পয়েন্টে, সিরামিক খাতের ২৩ দশমিক ৭২ পয়েন্টে এবং পাট খাতের পিই ২৬ দশমিক ৭০ পয়েন্টে অবস্থান করছে।

অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সপ্তাহজুড়ে ৫৫ কোটি ২৪ লাখ ৮৪ হাজার ৫৭৬ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। আগের সপ্তাহে লেনদেন হয়েছিল ৬৫ কোটি ১২ লাখ ৩৮ হাজার ১৩৫ টাকার। এ হিসাবে সপ্তাহের ব্যবধানে সিএসইতে টাকার পরিমাণে লেনদেন ৯ কোটি ৮৭ লাখ ৫৩ হাজার ৫৫৯ টাকা বা ১৫ শতাশ কমেছে। গত সপ্তাহে সিএসইর সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ১৬৮ পয়েন্ট বা ১ দশমিক ৩২ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ১২ হাজার ৬০০ পয়েন্টে।

এছাড়া সিএসসিএক্স ১০০ পয়েন্ট বা ১ দশমিক ৩০ শতাংশ এবং সিএসআই ১০ পয়েন্ট বা ১ দশমিক ২৩ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে যথাক্রমে ৭ হাজার ৬৩৪ পয়েন্ট এবং ৮০২ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। সিএসইর অপর দুই সূচকের মধ্যে সিএসই-৩০ সূচক ১০৭ পয়েন্ট বা ১ শতাংশ এবং সিএসই-৫০ সূচক ১ পয়েন্ট বা ০ দশমিক ০৯ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে যথাক্রমে ১০৮৬৬ পয়েন্ট এবং ৯২৫ পয়েন্টে। গত সপ্তাহে সিএসইতে মোট ২৯৮টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের হাত বদল হয়েছে। এর মধ্যে দর বেড়েছে ৪৭টির বা ১৫ শতাংশ, দর কমেছে ২৩১টির বা ৭৮ শতাংশ এবং দর অপরিবর্তিত রয়েছে ২০টির বা ৭ শতাংশ।

শনিবার, ১৮ জানুয়ারী ২০২০ , ৪ মাঘ ১৪২৬, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪১

পতনেই ঘুরপাক খাচ্ছে শেয়ারবাজার

গত সপ্তাহে সূচক ও লেনদেন দুটোই কমেছে

অর্থনৈতিক বার্তা পরিবেশক |

image

গত সপ্তাহের ৫ কার্যদিবস লেনদেন হয়েছে শেয়ারবাজারে। এর মধ্যে ৩ কার্যদিবস উত্থানে ও ২ কার্যদিবস পতনে শেষ হয়েছে শেয়ারবাজারের লেনদেন। হ্রাস-বৃদ্ধির হিসাব শেষে দেখা গেছে, গত সপ্তাহে বৃদ্ধির চেয়ে বেশি কমেছে সূচক। সপ্তাহটিতে সূচকের সঙ্গে বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট দর এবং টাকার পরিমাণে লেনদেনও কমেছে। ঢাকা ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই ও সিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

গত সপ্তাহে ৫ কার্যদিবসে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) ১ হাজার ৩২০ কোটি ৭৩ লাখ ৭ হাজার ৯২১ টাকার লেনদেন হয়েছে যা আগের সপ্তাহ থেকে ২৫৬ কোটি ৩৯ লাখ ৮৮ হাজার ১৬৩ টাকা বা ১৬ দশমিক ২৬ শতাংশ কম। আগের সপ্তাহে লেনদেন হয়েছিল ১ হাজার ৫৭৭ কোটি ১২ লাখ ৯৬ হাজার ৮৪ টাকার।

ডিএসইতে গত সপ্তাহে গড় লেনদেন হয়েছে ২৬৪ কোটি ১৪ লাখ ৬১ হাজার ৫৮৪ টাকার। আগের সপ্তাহে গড় লেনদেন হয়েছিল ৩১৫ কোটি ৪২ লাখ ৫৯ হাজার ২১৬ টাকার। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইতে গড় লেনদেন ৫১ কোটি ২৭ লাখ ৯৭ হাজার ৬৩২ টাকা বা ১৬ দশমিক ২৬ শতাংশ কমেছে।

গত সপ্তাহে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ৪৭ পয়েন্ট বা ১ দশমিক ১৩ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ৪ হাজার ১৫০ পয়েন্টে। অপর সূচকগুলোর মধ্যে শরিয়াহ সূচক ৬ পয়েন্ট বা ০ দশমিক ৫৯ শতাংশ এবং সিএসই-৩০ সূচক ০ দশমিক ২২ পয়েন্ট বা ০ দশমিক ০২ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ৯৪০ পয়েন্ট ও ১ হাজার ৪০৬ পয়েন্টে। ডিএসইতে চালু হওয়া নতুন সূচক সিডিএসইটি ২ পয়েন্ট বেড়ে ৮৪৫ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।

গত সপ্তাহে ডিএসইতে মোট ৩৫৮টি প্রতিষ্ঠান শেয়ার ও ইউনিট লেনদেনে অংশ নিয়েছে। প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে দর বেড়েছে ৬০টি বা ১৭ শতাংশের, কমেছে ২৭৭টির বা ৭৭ শতাংশের এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ২১টির বা ৬ শতাংশের শেয়ার ও ইউনিট দর।

পিই রেশিও কমেছে : গত সপ্তাহে প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সার্বিক মূল্য আয় অনুপাত (পিই রেশিও) ১ দশমিক ৮৯ শতাংশ কমেছে। গত সপ্তাহের শুরুতে ডিএসইর পিই ছিল ১১ দশমিক ১৩ পয়েন্টে যা সপ্তাহ শেষে ১০ দশমিক ৯২ পয়েন্টে অবস্থান করছে। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে পিই রেশিও ০ দশমিক ২১ পয়েন্ট বা ১ দশমিক ৮৯ শতাংশ কমেছে।

সপ্তাহ শেষে ব্যাংক খাতের পিই রেশিও অবস্থান করছে ৭ পয়েন্টে। এছাড়া তথ্যপ্রযুক্তি খাতের ১৭ দশমিক ৭৫ পয়েন্টে, বস্ত্র খাতের ১৪ দশমিক ৫৬ পয়েন্টে, ওষুধ ও রসায়ন খাতের ১৪ দশমিক ২৮ পয়েন্টে, টেলিযোগাযোগ খাতের ৯ দশমিক ৭২ পয়েন্টে, প্রকৌশল খাতের ১৩ দশমিক ৬৭ পয়েন্টে, বীমা খাতের ১৪ দশমিক ৫৫ পয়েন্টে, বিবিধ খাতের ২০ দশমিক ২০ পয়েন্টে, খাদ্য খাতের ১২ দশমিক ২৯ পয়েন্টে, চামড়া খাতের ১৬ দশমিক ০৮ পয়েন্টে, সিমেন্ট খাতের ২৭ দশমিক ৪৭ পয়েন্টে, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের ৯ দশমিক ৩৩ পয়েন্টে, আর্থিক খাতের ৩৭৯ দশমিক ২০ পয়েন্টে, ভ্রমণ ও অবকাশ খাতের ২৮ দশমিক ৮৫ পয়েন্টে, পেপার খাতের ১৭ দশমিক ৫৭ পয়েন্টে, সেবা ও আবাসন খাতের ৯ দশমিক ০৮ পয়েন্টে, সিরামিক খাতের ২৩ দশমিক ৭২ পয়েন্টে এবং পাট খাতের পিই ২৬ দশমিক ৭০ পয়েন্টে অবস্থান করছে।

অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সপ্তাহজুড়ে ৫৫ কোটি ২৪ লাখ ৮৪ হাজার ৫৭৬ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। আগের সপ্তাহে লেনদেন হয়েছিল ৬৫ কোটি ১২ লাখ ৩৮ হাজার ১৩৫ টাকার। এ হিসাবে সপ্তাহের ব্যবধানে সিএসইতে টাকার পরিমাণে লেনদেন ৯ কোটি ৮৭ লাখ ৫৩ হাজার ৫৫৯ টাকা বা ১৫ শতাশ কমেছে। গত সপ্তাহে সিএসইর সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ১৬৮ পয়েন্ট বা ১ দশমিক ৩২ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ১২ হাজার ৬০০ পয়েন্টে।

এছাড়া সিএসসিএক্স ১০০ পয়েন্ট বা ১ দশমিক ৩০ শতাংশ এবং সিএসআই ১০ পয়েন্ট বা ১ দশমিক ২৩ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে যথাক্রমে ৭ হাজার ৬৩৪ পয়েন্ট এবং ৮০২ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। সিএসইর অপর দুই সূচকের মধ্যে সিএসই-৩০ সূচক ১০৭ পয়েন্ট বা ১ শতাংশ এবং সিএসই-৫০ সূচক ১ পয়েন্ট বা ০ দশমিক ০৯ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে যথাক্রমে ১০৮৬৬ পয়েন্ট এবং ৯২৫ পয়েন্টে। গত সপ্তাহে সিএসইতে মোট ২৯৮টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের হাত বদল হয়েছে। এর মধ্যে দর বেড়েছে ৪৭টির বা ১৫ শতাংশ, দর কমেছে ২৩১টির বা ৭৮ শতাংশ এবং দর অপরিবর্তিত রয়েছে ২০টির বা ৭ শতাংশ।