সাপ্তাহিক ছুটির দিন হওয়ায় গতকাল সকাল থেকে বাণিজ্যমেলায় ক্রেতা-দর্শনার্থীদের ভিড় বেড়েছে। মেলার আশপাশের রাস্তাগুলো লোকে লোকারণ্য। সকালে মেলার গেট খোলার পর থেকেই এমন ভিড় শুরু হয়েছে। সরেজমিনে দেখা যায়, সকাল থেকেই ক্রেতা-দর্শনার্থীরা আসতে শুরু করেছেন। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে মেলার গেটে প্রবেশের লাইনও লম্বা হচ্ছে। মানুষের ভিড়ে মেলা প্রবেশ দ্বারে পা ফেলার জায়গা নেই।
দর্শনার্থীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ছুটির দিন হওয়ায় দিনভর বাণিজ্যমেলায় ঘুরে বেড়াতে আগেভাগেই উপস্থিত হয়েছেন তারা। বিক্রয় কর্মীরা বলছেন, মেলা উপলক্ষে বিভিন্ন সামগ্রীতে রয়েছে বিশেষ ছাড়। স্টলগুলোতে গ্রাহকরা আসছেন, তারা পণ্য দেখছেন এবং অনেকেই তাদের পছন্দ মতো পণ্য কিনছেন।
রাকিব নামে মেলায় আগত এক ব্যক্তি বলেন, আমি বেভেছিলাম মেলায় পণ্যে দাম কম হবে। কিন্তু মেলায় এসে দাম বেশি মনে হচ্ছে। কয়েকটি স্টল ঘুরে ফিরে পছন্দের পণ্য কিনব। বিক্রির বিষয়ে স্টাইল কালেকশনের ম্যানেজার হাবিব বলেন, এবারের মেলায় প্রথম দিকে বিক্রির পরিমাণ খুবই কম ছিল। এখন অনেক ভালো হচ্ছে। দর্শনার্থী বেশি হলে বিক্রি বেশি হয়, এখন মেলায় দর্শনার্থীর সংখ্যা বেশি।
মেলায় দেখা যায়, মেলায় বিভিন্ন স্টলে নানা রকম উপহার ও ছাড়ে পণ্য বিক্রি চলছে। ৪০৫ টাকা মূল্যের বসুন্ধরা নুডলস পাওয়া যাচ্ছে মাত্র ৩২০ টাকায়। তা বাদেও এ প্যাকেজের সঙ্গে পাওয়া যাবে ৩টি গিফট। এর মধ্যে আছে একটি ঝুড়ি, একটি টিফিন বক্স আর একটি বাটি। মিনিস্টার ফ্রিজ কিনলে দেয়া হচ্ছে হরেক রকম উপহার, এর সঙ্গে থাকছে ভ্রমণ টিকিট। ওয়ালটন ইলেকট্রনিক্স পণ্য কিনলেও পাওয়া যাচ্ছে বিভিন্ন মাত্রার ছাড় ও উপহার। মোবাইল কোম্পানি স্যামস্যাং ছাড়ের পাশাপাশি ইন্টারনেট অফারও দিচ্ছে। কাশ্মীরী আচার দিচ্ছে ২০ শতাংশ পর্যন্ত ছাড়। বিকাশ অ্যাপে কেনাকাটায় ছাড় মিলছে ৫ থেকে ১০ শতাংশ পর্যন্ত। অন্যদিকে গৃহস্থালী পণ্যের বিভিন্ন স্টলে দেয়া হচ্ছে ১০ থেকে ৪০ শতাংশ পর্যন্ত ছাড়। ননস্টিক কড়াইসহ রান্নার নানা উপকরণ পাওয়া যাচ্ছে মাত্র ১৩০ টাকায়।
মেলায় প্রথম কয়েক দিন বিক্রিতে খরা গেলেও এখন ক্রমেই বিক্রি বাড়ছে। সপ্তাহের অন্যদিন সকাল বেলার দিকে তেমন একটা বিক্রি না হলেও দুপুরের পর থেকেই বিক্রি বেড়ে যায়। আর চ্ছুটির দিন তো সকাল থেকেই শুরু হচ্ছে বিক্রি। এখন পর্যন্ত ক্রোকারিজ পণ্যই বিক্রিতে শীর্ষে আছে বলে জানান বিক্রেতারা। এরপরই রয়েছে প্লাস্টিক সামগ্রী, পোশাক ও প্রসাধন। এসব স্টলে সবসময় ক্রেতা-দর্শনার্থীর ভিড় লেগেই আছে। এছাড়া বিক্রি বেড়েছে খাদ্যপণ্যের।
এ বছরও মেলায় রয়েছে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস সমৃদ্ধ বঙ্গবন্ধু প্যাভিলিয়ন, ই-শপ, শিশুপার্ক, রক্ত সংগ্রহ কেন্দ্র, প্রাথমিক চিকিৎসাকেন্দ্র, মা ও শিশু কেন্দ্র, ফুলের বাগান ও এটিএম বুথ। ১ জানুয়ারি শুরু হওয়া এ মেলা চলবে ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত। প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত ক্রেতা-দর্শনার্থীদের জন্য খোলা থাকবে মেলা। প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য মেলায় প্রবেশে টিকিটের মূল্য ৩০ টাকা ও অপ্রাপ্তবয়স্কদের জন্য ২০ টাকা।
এ বছর মেলায় ভারত, পাকিস্তান, চীন, মালয়েশিয়া, ইরান, থাইল্যান্ড ও যুক্তরাষ্ট্রসহ ২১টি দেশ অংশ নিচ্ছে। মেলায় রয়েছে সাধারণ, প্রিমিয়ার, সংরক্ষিত, বিদেশি, সাধারণ মিনি, সংরক্ষিত মিনি, প্রিমিয়ার মিনি, বিদেশি মিনি প্যাভেলিয়ন, সাধারণ ও প্রিমিয়ার স্টল, ফুড স্টল, রেস্তোরাঁসহ ১৩টি ক্যাটাগরিতে ৫৮০টি স্টল।
শনিবার, ১৮ জানুয়ারী ২০২০ , ৪ মাঘ ১৪২৬, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪১
অর্থনৈতিক বার্তা পরিবেশক |
সাপ্তাহিক ছুটির দিন হওয়ায় গতকাল সকাল থেকে বাণিজ্যমেলায় ক্রেতা-দর্শনার্থীদের ভিড় বেড়েছে। মেলার আশপাশের রাস্তাগুলো লোকে লোকারণ্য। সকালে মেলার গেট খোলার পর থেকেই এমন ভিড় শুরু হয়েছে। সরেজমিনে দেখা যায়, সকাল থেকেই ক্রেতা-দর্শনার্থীরা আসতে শুরু করেছেন। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে মেলার গেটে প্রবেশের লাইনও লম্বা হচ্ছে। মানুষের ভিড়ে মেলা প্রবেশ দ্বারে পা ফেলার জায়গা নেই।
দর্শনার্থীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ছুটির দিন হওয়ায় দিনভর বাণিজ্যমেলায় ঘুরে বেড়াতে আগেভাগেই উপস্থিত হয়েছেন তারা। বিক্রয় কর্মীরা বলছেন, মেলা উপলক্ষে বিভিন্ন সামগ্রীতে রয়েছে বিশেষ ছাড়। স্টলগুলোতে গ্রাহকরা আসছেন, তারা পণ্য দেখছেন এবং অনেকেই তাদের পছন্দ মতো পণ্য কিনছেন।
রাকিব নামে মেলায় আগত এক ব্যক্তি বলেন, আমি বেভেছিলাম মেলায় পণ্যে দাম কম হবে। কিন্তু মেলায় এসে দাম বেশি মনে হচ্ছে। কয়েকটি স্টল ঘুরে ফিরে পছন্দের পণ্য কিনব। বিক্রির বিষয়ে স্টাইল কালেকশনের ম্যানেজার হাবিব বলেন, এবারের মেলায় প্রথম দিকে বিক্রির পরিমাণ খুবই কম ছিল। এখন অনেক ভালো হচ্ছে। দর্শনার্থী বেশি হলে বিক্রি বেশি হয়, এখন মেলায় দর্শনার্থীর সংখ্যা বেশি।
মেলায় দেখা যায়, মেলায় বিভিন্ন স্টলে নানা রকম উপহার ও ছাড়ে পণ্য বিক্রি চলছে। ৪০৫ টাকা মূল্যের বসুন্ধরা নুডলস পাওয়া যাচ্ছে মাত্র ৩২০ টাকায়। তা বাদেও এ প্যাকেজের সঙ্গে পাওয়া যাবে ৩টি গিফট। এর মধ্যে আছে একটি ঝুড়ি, একটি টিফিন বক্স আর একটি বাটি। মিনিস্টার ফ্রিজ কিনলে দেয়া হচ্ছে হরেক রকম উপহার, এর সঙ্গে থাকছে ভ্রমণ টিকিট। ওয়ালটন ইলেকট্রনিক্স পণ্য কিনলেও পাওয়া যাচ্ছে বিভিন্ন মাত্রার ছাড় ও উপহার। মোবাইল কোম্পানি স্যামস্যাং ছাড়ের পাশাপাশি ইন্টারনেট অফারও দিচ্ছে। কাশ্মীরী আচার দিচ্ছে ২০ শতাংশ পর্যন্ত ছাড়। বিকাশ অ্যাপে কেনাকাটায় ছাড় মিলছে ৫ থেকে ১০ শতাংশ পর্যন্ত। অন্যদিকে গৃহস্থালী পণ্যের বিভিন্ন স্টলে দেয়া হচ্ছে ১০ থেকে ৪০ শতাংশ পর্যন্ত ছাড়। ননস্টিক কড়াইসহ রান্নার নানা উপকরণ পাওয়া যাচ্ছে মাত্র ১৩০ টাকায়।
মেলায় প্রথম কয়েক দিন বিক্রিতে খরা গেলেও এখন ক্রমেই বিক্রি বাড়ছে। সপ্তাহের অন্যদিন সকাল বেলার দিকে তেমন একটা বিক্রি না হলেও দুপুরের পর থেকেই বিক্রি বেড়ে যায়। আর চ্ছুটির দিন তো সকাল থেকেই শুরু হচ্ছে বিক্রি। এখন পর্যন্ত ক্রোকারিজ পণ্যই বিক্রিতে শীর্ষে আছে বলে জানান বিক্রেতারা। এরপরই রয়েছে প্লাস্টিক সামগ্রী, পোশাক ও প্রসাধন। এসব স্টলে সবসময় ক্রেতা-দর্শনার্থীর ভিড় লেগেই আছে। এছাড়া বিক্রি বেড়েছে খাদ্যপণ্যের।
এ বছরও মেলায় রয়েছে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস সমৃদ্ধ বঙ্গবন্ধু প্যাভিলিয়ন, ই-শপ, শিশুপার্ক, রক্ত সংগ্রহ কেন্দ্র, প্রাথমিক চিকিৎসাকেন্দ্র, মা ও শিশু কেন্দ্র, ফুলের বাগান ও এটিএম বুথ। ১ জানুয়ারি শুরু হওয়া এ মেলা চলবে ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত। প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত ক্রেতা-দর্শনার্থীদের জন্য খোলা থাকবে মেলা। প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য মেলায় প্রবেশে টিকিটের মূল্য ৩০ টাকা ও অপ্রাপ্তবয়স্কদের জন্য ২০ টাকা।
এ বছর মেলায় ভারত, পাকিস্তান, চীন, মালয়েশিয়া, ইরান, থাইল্যান্ড ও যুক্তরাষ্ট্রসহ ২১টি দেশ অংশ নিচ্ছে। মেলায় রয়েছে সাধারণ, প্রিমিয়ার, সংরক্ষিত, বিদেশি, সাধারণ মিনি, সংরক্ষিত মিনি, প্রিমিয়ার মিনি, বিদেশি মিনি প্যাভেলিয়ন, সাধারণ ও প্রিমিয়ার স্টল, ফুড স্টল, রেস্তোরাঁসহ ১৩টি ক্যাটাগরিতে ৫৮০টি স্টল।