নাটোরের বড়াইগ্রাম উপজেলা সদর বনপাড়া পৌর শহরে সিসি ক্যামেরা স্থাপনের ফলে কমেছে অপরাধ। সিসি ক্যামেরা স্থাপনের পর গত তিন মাসে কোন অপরাই সংঘটিত হয়নি বনপাড়ায়।
বনপাড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ ইন্সপেক্টর তৌহিদুল ইসলাম ও বড়াইগ্রাম থানা সূত্রে জানা যায়, বনপাড়া কেন্দ্রিক অপহরণ, টাকা ছিনতাই, দোকান চুরির ঘটনা নিত্যনৈমিত্তিক বিষয় হয়ে দাঁড়িয়ে ছিল। উত্তর-দক্ষিণাঞ্চলের টার্নিং পয়েন্ট বনপাড়া বাইপাস এলাকা কোনভাবেই নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হচ্ছিল না। বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সিসি ক্যামেরা থেকে ফুটেজ নিয়ে গুটি কয়েক ঘটনার রহস্য উদঘাটন করা সম্ভব হলেও অধিকাংশ অধরা থেকে যাচ্ছিল।
অবশেষে সিসি ক্যামেরাতেই ভর করতে হলো পুলিশকে। নাটোরের পুলিশ সুপারের নির্দেশে বনপাড়া বাইপাস মোড়সহ বনপাড়া শহরের গুরুত্বপূর্ণ সকল মোড়ে সিসি ক্যামেরা বসিয়ে দেয়া হয়। এরপর থেকেই কমতে শুরু করেছে অপরাধ। সিসি ক্যামেরার সফলতার কারণে আগামীতে ধীরে ধীরে উপজেলার বড় বাজার, মহাসড়ক এলাকার স্ট্যান্ডসহ গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা এলাকায় সিসি ক্যামেরার আওতার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।
বনপাড়া বাজারের ব্যবসায়ী আব্দুল কুদ্দুস মিয়াজী বলেন, গত আগস্ট মাসে বনপাড়া পাটোয়ারী ক্লিনিকে ম্যানেজার তার ক্লিনিকের সামনে থেকে, সেপ্টেম্বর মাসে ক্লিনিকে এক্সরে চালককে গোপালপুর রোডের মাথা থেকে সাদামাইক্রো বাসে তুলে নিয়ে যায় অপহরণকারীরা। পরে মুক্তিপণ দিয়ে ছাড়া পেয়েছেন তারা। আবার গড়মাটি এলাকার এক ব্যবসায়ী সোনালী ব্যাংক থেকে টাকা তুলে বাড়ি ফেরার পথে গত সেপ্টেম্বর মাসে ছিনতাইকারীরা কালো মাইক্রোবাসে তুলে টাকা ছিনিয়ে নিয়ে পথে ফেলে পালিয়ে যায়। এছাড়া বিভিন্ন দোকানের গ্রিল ভেঙ্গে, টিন কেটে চুরির ঘটনা ঘটেই যাচ্ছিল। পুলিশে অভিযোগ করেও কোন প্রতিকার হচ্ছিল না। তবে গত কিছুদিন থেকে এ ধরনের ঘটনার খবর পাওয়া যাচ্ছে না।
বনপাড়া পৌর মেয়র কেএম জাকির হোসেন বলেন, বনপাড়া পৌরশহরটা যোগাযোগ ব্যবস্থার কারনে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বনপাড়াটা দেশের উত্তর-দক্ষিণাঞ্চলের রুট পয়েন্ট। ফলে বিভিন্ন এলাকার গাড়ি চলাচলের পাশাপাশি নানান শ্রেণি পেশার মানুষের আনাগোনা বেশি। ফলে অপরাধীরাও ভিড় করে এখানে। পুলিশের সিসি ক্যামেরায় অপরাধ কমেছে। পাশাপাশি পৌরসভা থেকেও সিসি ক্যামেরা লাগানোর পরিকল্পনা রয়েছে। তাহলে অপরাধ আরও কমবে।
বড়াইগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা দিলিপ কুমার দাস বলেন, সিসি ক্যামেরায় ধরা পরার ভয়ে অপরাধীরা অনেকটা সাবধান হয়ে গেছে, ফলে কমেছে অপরাধ। বিভিন্ন ব্যাংকগুলো তাদের সামনে সিসি ক্যামেরা লাগাচ্ছে না। তাদের এবং বড় ব্যবসায়ীদের উদ্বুদ্ধ করা হচ্ছে প্রত্যেকের সামনে একটা করে ক্যামেরা দেয়ার জন্য। তানা হলে পুলিশের পক্ষে তো সকল এলাকায় ক্যামেরা লাগানো সম্ভব হবে না। তিনি বলেন, পরীক্ষা মূলকভাবে বনপাড়া পৌরসভায় সিসি ক্যামেরা লাগানো হয়েছিল। এর সফলতার কারনে উপজেলা এলাকার গোটা মহাসড়কে, মহাসড়ক সংলগ্ন বাজারে, মোড়ে সিসি ক্যামেরা বসানোর প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।
শনিবার, ১৮ জানুয়ারী ২০২০ , ৪ মাঘ ১৪২৬, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪১
প্রতিনিধি, বড়াইগ্রাম (নাটোর)
নাটোরের বড়াইগ্রাম উপজেলা সদর বনপাড়া পৌর শহরে সিসি ক্যামেরা স্থাপনের ফলে কমেছে অপরাধ। সিসি ক্যামেরা স্থাপনের পর গত তিন মাসে কোন অপরাই সংঘটিত হয়নি বনপাড়ায়।
বনপাড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ ইন্সপেক্টর তৌহিদুল ইসলাম ও বড়াইগ্রাম থানা সূত্রে জানা যায়, বনপাড়া কেন্দ্রিক অপহরণ, টাকা ছিনতাই, দোকান চুরির ঘটনা নিত্যনৈমিত্তিক বিষয় হয়ে দাঁড়িয়ে ছিল। উত্তর-দক্ষিণাঞ্চলের টার্নিং পয়েন্ট বনপাড়া বাইপাস এলাকা কোনভাবেই নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হচ্ছিল না। বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সিসি ক্যামেরা থেকে ফুটেজ নিয়ে গুটি কয়েক ঘটনার রহস্য উদঘাটন করা সম্ভব হলেও অধিকাংশ অধরা থেকে যাচ্ছিল।
অবশেষে সিসি ক্যামেরাতেই ভর করতে হলো পুলিশকে। নাটোরের পুলিশ সুপারের নির্দেশে বনপাড়া বাইপাস মোড়সহ বনপাড়া শহরের গুরুত্বপূর্ণ সকল মোড়ে সিসি ক্যামেরা বসিয়ে দেয়া হয়। এরপর থেকেই কমতে শুরু করেছে অপরাধ। সিসি ক্যামেরার সফলতার কারণে আগামীতে ধীরে ধীরে উপজেলার বড় বাজার, মহাসড়ক এলাকার স্ট্যান্ডসহ গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা এলাকায় সিসি ক্যামেরার আওতার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।
বনপাড়া বাজারের ব্যবসায়ী আব্দুল কুদ্দুস মিয়াজী বলেন, গত আগস্ট মাসে বনপাড়া পাটোয়ারী ক্লিনিকে ম্যানেজার তার ক্লিনিকের সামনে থেকে, সেপ্টেম্বর মাসে ক্লিনিকে এক্সরে চালককে গোপালপুর রোডের মাথা থেকে সাদামাইক্রো বাসে তুলে নিয়ে যায় অপহরণকারীরা। পরে মুক্তিপণ দিয়ে ছাড়া পেয়েছেন তারা। আবার গড়মাটি এলাকার এক ব্যবসায়ী সোনালী ব্যাংক থেকে টাকা তুলে বাড়ি ফেরার পথে গত সেপ্টেম্বর মাসে ছিনতাইকারীরা কালো মাইক্রোবাসে তুলে টাকা ছিনিয়ে নিয়ে পথে ফেলে পালিয়ে যায়। এছাড়া বিভিন্ন দোকানের গ্রিল ভেঙ্গে, টিন কেটে চুরির ঘটনা ঘটেই যাচ্ছিল। পুলিশে অভিযোগ করেও কোন প্রতিকার হচ্ছিল না। তবে গত কিছুদিন থেকে এ ধরনের ঘটনার খবর পাওয়া যাচ্ছে না।
বনপাড়া পৌর মেয়র কেএম জাকির হোসেন বলেন, বনপাড়া পৌরশহরটা যোগাযোগ ব্যবস্থার কারনে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বনপাড়াটা দেশের উত্তর-দক্ষিণাঞ্চলের রুট পয়েন্ট। ফলে বিভিন্ন এলাকার গাড়ি চলাচলের পাশাপাশি নানান শ্রেণি পেশার মানুষের আনাগোনা বেশি। ফলে অপরাধীরাও ভিড় করে এখানে। পুলিশের সিসি ক্যামেরায় অপরাধ কমেছে। পাশাপাশি পৌরসভা থেকেও সিসি ক্যামেরা লাগানোর পরিকল্পনা রয়েছে। তাহলে অপরাধ আরও কমবে।
বড়াইগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা দিলিপ কুমার দাস বলেন, সিসি ক্যামেরায় ধরা পরার ভয়ে অপরাধীরা অনেকটা সাবধান হয়ে গেছে, ফলে কমেছে অপরাধ। বিভিন্ন ব্যাংকগুলো তাদের সামনে সিসি ক্যামেরা লাগাচ্ছে না। তাদের এবং বড় ব্যবসায়ীদের উদ্বুদ্ধ করা হচ্ছে প্রত্যেকের সামনে একটা করে ক্যামেরা দেয়ার জন্য। তানা হলে পুলিশের পক্ষে তো সকল এলাকায় ক্যামেরা লাগানো সম্ভব হবে না। তিনি বলেন, পরীক্ষা মূলকভাবে বনপাড়া পৌরসভায় সিসি ক্যামেরা লাগানো হয়েছিল। এর সফলতার কারনে উপজেলা এলাকার গোটা মহাসড়কে, মহাসড়ক সংলগ্ন বাজারে, মোড়ে সিসি ক্যামেরা বসানোর প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।