শিশুপ্রেমী কনা

গেলো বছরের ২০ ডিসেম্বর রাজধানীর মিরপুর ডিওএইচএসের শপিং কমপ্লেক্সে যাত্রা শুরু হয়েছে কনা, নওমী, আয়েশা ও বুশরার উদ্যোগে শিশুদের জন্য খেলার এক অন্য দুনিয়া ‘প্লে জোন’। এই প্লে জোনেই সময় পেলেই ছুটে যাচ্ছেন কনা। যতোটুকু সময় পারছেন তিনি শিশুদের সময় দিচ্ছেন। হঠাৎ করে ‘প্লে জোন’ চালু করার কারণ সম্পর্কে দিলশাদ নাহার কসনা বলেন, ঢাকা শহরে বাচ্চাদের জন্য খেলার জায়গা একদমই অপ্রতুল। আমরা যখন ছোট ছিলাম আমরা মাঠে গিয়ে খেলাধুলা করতাম। কিন্তু এখন আর এই সুযোগটিও নেই। বাচ্চারা বাসায় বসে টিভি দেখে কিংবা মোবাইল দেখে। এতে বাচ্চাতের ক্ষতিও হয়। তাই বাচ্চাদের একটি নিরাপদ খেলার জায়গা দেবার লক্ষ্যেই আমরা প্লে জোন চালু করেছি। এখানে বাচ্চারা এসে নিজেদের মনের মতো খেলতে পারবে। অভিভাবকদের জন্য আমরা বসার ছোট্ট একটি জায়গা রেখেছি যেখানে বসে তারা সময় কাটাতে পারবেন আবার খাওয়া দাওয়াও করতে পারবেন। আমার বিশ্বাস এখানে এলে বাচ্চারা এতোটাই মুগ্ধ হবে যে তারা বারবার আসতে চাইবে। এরইমধ্যে অনেকেই আসা শুরু করেছেন। যারা নানানভাবে প্লে জোন সম্পর্কে জানছেন তারা সময় করে আসছেন এবং আবারো আসারও পরিকল্পনা করছেন। আমার বিশ্বাস প্লে জোন হয়ে উঠবে বাচ্চাদের প্রিয় খেলার জায়গা। কনা জানান, সাড়ে সাত হাজার স্কয়ার ফিট জুড়ে বাচ্চাদের জন্য এই প্লে জোন চালু হয়েছে। মাসের দু’দিন সমাজের সুবিধাবঞ্চিত ও স্পেশাল চাইল্ডদের জন্য প্লে জোন বিশেষ উদ্যোগ নিবে। তারা যেন এখানে এসে নিজেদের মতো সময় কাটাতে পারে সেই ব্যবস্থাও শিগগিরই চালু করা হবে। কনা আরো জানান, বাচ্চারা যেন এখানে এসে গানও শিখতে পারবে সেই উদ্যোগও নেয়া হবে দ্রুত। মূলকথা ‘প্লে জোন’ যেন বাচ্চাদের কাছে হয়ে উঠে প্রিয় আকেটি স্থান, এটাই হচ্ছে কনার লক্ষ্য। কনা কৃতজ্ঞ তার বন্ধুদের কাছে তারসঙ্গে এই ‘প্লে জোন’ এ থাকার জন্য। এদিকে স্টেজ মৌসুমে স্টেজ শো’তে সময় কাটাচ্ছেন কনা। গতকাল তিনি রাজশাহী ক্যাডেট কলেজের পুনর্মিলনীতে অংশ নিয়ে সেখানে সঙ্গীত পরিবেশন করেছেন।

শনিবার, ১৮ জানুয়ারী ২০২০ , ৪ মাঘ ১৪২৬, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪১

শিশুপ্রেমী কনা

image

গেলো বছরের ২০ ডিসেম্বর রাজধানীর মিরপুর ডিওএইচএসের শপিং কমপ্লেক্সে যাত্রা শুরু হয়েছে কনা, নওমী, আয়েশা ও বুশরার উদ্যোগে শিশুদের জন্য খেলার এক অন্য দুনিয়া ‘প্লে জোন’। এই প্লে জোনেই সময় পেলেই ছুটে যাচ্ছেন কনা। যতোটুকু সময় পারছেন তিনি শিশুদের সময় দিচ্ছেন। হঠাৎ করে ‘প্লে জোন’ চালু করার কারণ সম্পর্কে দিলশাদ নাহার কসনা বলেন, ঢাকা শহরে বাচ্চাদের জন্য খেলার জায়গা একদমই অপ্রতুল। আমরা যখন ছোট ছিলাম আমরা মাঠে গিয়ে খেলাধুলা করতাম। কিন্তু এখন আর এই সুযোগটিও নেই। বাচ্চারা বাসায় বসে টিভি দেখে কিংবা মোবাইল দেখে। এতে বাচ্চাতের ক্ষতিও হয়। তাই বাচ্চাদের একটি নিরাপদ খেলার জায়গা দেবার লক্ষ্যেই আমরা প্লে জোন চালু করেছি। এখানে বাচ্চারা এসে নিজেদের মনের মতো খেলতে পারবে। অভিভাবকদের জন্য আমরা বসার ছোট্ট একটি জায়গা রেখেছি যেখানে বসে তারা সময় কাটাতে পারবেন আবার খাওয়া দাওয়াও করতে পারবেন। আমার বিশ্বাস এখানে এলে বাচ্চারা এতোটাই মুগ্ধ হবে যে তারা বারবার আসতে চাইবে। এরইমধ্যে অনেকেই আসা শুরু করেছেন। যারা নানানভাবে প্লে জোন সম্পর্কে জানছেন তারা সময় করে আসছেন এবং আবারো আসারও পরিকল্পনা করছেন। আমার বিশ্বাস প্লে জোন হয়ে উঠবে বাচ্চাদের প্রিয় খেলার জায়গা। কনা জানান, সাড়ে সাত হাজার স্কয়ার ফিট জুড়ে বাচ্চাদের জন্য এই প্লে জোন চালু হয়েছে। মাসের দু’দিন সমাজের সুবিধাবঞ্চিত ও স্পেশাল চাইল্ডদের জন্য প্লে জোন বিশেষ উদ্যোগ নিবে। তারা যেন এখানে এসে নিজেদের মতো সময় কাটাতে পারে সেই ব্যবস্থাও শিগগিরই চালু করা হবে। কনা আরো জানান, বাচ্চারা যেন এখানে এসে গানও শিখতে পারবে সেই উদ্যোগও নেয়া হবে দ্রুত। মূলকথা ‘প্লে জোন’ যেন বাচ্চাদের কাছে হয়ে উঠে প্রিয় আকেটি স্থান, এটাই হচ্ছে কনার লক্ষ্য। কনা কৃতজ্ঞ তার বন্ধুদের কাছে তারসঙ্গে এই ‘প্লে জোন’ এ থাকার জন্য। এদিকে স্টেজ মৌসুমে স্টেজ শো’তে সময় কাটাচ্ছেন কনা। গতকাল তিনি রাজশাহী ক্যাডেট কলেজের পুনর্মিলনীতে অংশ নিয়ে সেখানে সঙ্গীত পরিবেশন করেছেন।