পাল্টা-পাল্টি অবস্থান দলীয় প্রার্থীদের

আসন্ন ঢাকার দুই সিটি নির্বাচনে নিজ দলের উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ড তুলে ধরে ভোট প্রার্থনা করছেন আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থীরা। আর ভোটাধিকার ফিরিয়ে দেয়াসহ সরকারের নানা সমালোচনা করে উন্নয়নের আশার বাণী নিয়ে ভোটারের দ্বারে দ্বারে ছুটছেন বিএনপি সমর্থিত প্রার্থীরা। নির্বাচনী প্রাচারণার আর মাত্র ১০ দিন বাকি থাকায় প্রতিটি মুহূর্তই কাজে লাগাচ্ছেন প্রার্থীরা। অলি-গলিতে থাকা ভোটারের দ্বারে দ্বারে ছুটছেন তারা। গতকাল সাপ্তাহিক ছুটির দিন হওয়ায় প্রার্থীরা একটু বেশি ব্যস্ত ছিলেন। কেননা এদিনে সাধারণ রাজধানীর বাসিন্দারা বাসাতেই থাকেন। তাই এলাকাগুলোতে ব্যাপকভাবে প্রচারণা চালিয়েছেন তারা। আলোচনায় থাকা চার মেয়র প্রার্থীই প্রচারণার অষ্টম দিনে গণসংযোগ ও পথসভা করেছেন। পাশাপাশি কাউন্সিলর প্রার্থীরাও প্রচারণা চালাচ্ছেন। এদিকে, প্রার্থীদের পোস্টারে বলতে গেলে পুরো ঢাকাই ছেয়ে গেছে।

তাপস : ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে নৌকার মেয়র প্রার্থী শেখ ফজলে নূর তাপস গতকাল ফুলবাড়িয়া এলাকা থেকে নির্বাচনী প্রচার শুরু করেন। আরমানিটোলার তারা মসজিদে জুমার নামাজ আদায় শেষে চকবাজার, লালবাগ, বংশাল ও কোতোয়ালি এলাকার বিভিন্ন স্থানে গণসংযোগ ও প্রচারণা চালান তিনি। এ সময় তিনি বলেন, আমি হয়তোবা একমাত্র মেয়র প্রার্থী, যিনি ঐতিহ্যবাহী ঢাকাকে নিয়ে চিন্তা করে সুনির্দিষ্ট উন্নয়নের রূপরেখা দিয়েছি। পাঁচটি ভাগে উন্নয়নের রূপরেখা ভাগ করেছি। প্রথমেই হলো আমাদের ঐতিহ্যের ঢাকা। এই ঢাকাকে আমরা ভালোবাসি। আমাদের ঐতিহ্যের ঢাকা, গর্বের ঢাকা। সেই গর্ব, ঐতিহ্যকে আমরা পুনরুদ্ধার করতে চাই। ঐতিহাসিক ঢাকার সংস্কৃতি, ঐতিহ্য ও স্বকীয়তাকে আমরা পুনরুজ্জীবিত করে উন্নত ঢাকা হিসেবে গড়ে তুলব। এই রুপরেখা ঢাকাবাসী স্বতঃস্ফূর্তভাবে গ্রহণ করেছেন। ৩০ জানুয়ারি নির্বাচনে মেয়র ও কাউন্সিলরদের নির্বাচিত করে জনগণ তাদের সেবক হিসেবে দায়িত্ব দেবে, এটা আমরা আশা করছি। বিজয় আমাদের সুনিশ্চিত।

ইশরাক : দক্ষিণে ধানের শীষের মেয়র প্রার্থী ইশরাক হোসেন কদমতলীর বর্ণমালা স্কুলের সামনে থেকে গতকাল তার নির্বাচনী প্রচার শুরু করেন। এদিন তিনি মুরাদপুর, পূর্ব জুরাইন, পোস্তগোলা, শ্যামপুর রোড, শ্যামপুর বাজারসহ আশেপাশের এলাকায় প্রচারণা চালান। প্রচারণার সময় তিনি বলেন, দুর্নীতি-দুঃশাসনের বিরুদ্ধে সূচিত আন্দোলনের মাধ্যমে দেশকে আবার স্বাধীন করা হবে। জনগণের মালিকানা জনগণকে ফিরিয়ে দেয়া হবে। দেশে দুর্নীতিবাজ, লুটেরাদের দুঃশাসন চলছে। গত নয় বছর যাদের অধীনে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন পরিচালিত হয়েছিল তাদের অবহেলা আর দুর্নীতির কারণে ঢাকা আজ বাসযোগ্যতা হারিয়েছে। বিশ্বের সবচেয়ে অবসবাসযোগ্য শহরের তালিকায় ঢাকা এখন এক নম্বরে রয়েছে। এছাড়া গত তিন দিন ধরে বায়ু দূষণের তালিকায়ও ঢাকার অবস্থান এক নম্বরে। সম্প্রতি নারী ও শিশুদের জন্য সব থেকে অনিরাপদ শহরের যে তালিকা করা হয়েছিল, সেখানেও ঢাকা এক নম্বরে। এ থেকে উত্তরণের জন্য এবং ঢাকাকে বাসযোগ্য হিসেবে গড়ে তোলার জন্য নির্ভয়ে ধানের শীষের প্রতীকে ভোট দিন।

আতিকুল : উত্তরে আওয়ামী লীগ মনোনীত মেয়র প্রার্থী আতিকুল ইসলাম রাজধানীর মানিকদি, কালীবাড়ি, বাউনিয়া এলাকা থেকে ৮ম দিনের প্রচারণা শুরু করেন। এদিন মাটিকাটা, লালসরাই, ভাষানটেক, বাইগারটেক, আলব্দীটেক, বারনকোট, দামালকোট ও বিআরবি কলোনি এলাকায় গণসংযোগ ও প্রচারণা চালান তিনি। এ সময় তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী আমাকে বলেছেন, যেখানে ২০ ফিট রাস্তা আছে সেটিকে অন্তত ৬০ ফিট করতে হবে। ইনশাআল্লাহ আমি দায়িত্ব নিলে আগামী ছয় মাসের মধ্যে প্রসস্ত রাস্তা হবে। সুয়ারেজ লাইন থাকবে, বাতি থাকবে। কীভাবে হবে? কারণ বিগত নয় মাস ধরে এ কাজ শুরু করেছি আমরা। সেই কাজ অব্যাহত রাখতে হলে নৌকায় ভোট দিতে হবে। কারণ নৌকার কোন ব্যাক গিয়ার নেই, ফ্রন্ট গিয়ার শুধু। আতিকুল বলেন, আপনারা নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে যদি আমাকে নির্বাচিত করেন তাহলে আমি কথা দিতে চাই, মেয়র, কাউন্সিলসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে জবাবদিহিতার আওতায় আনব। প্রতিটি ওয়ার্ডে প্রতি মাসে সবাইকে নিয়ে টাউন হল মিটিং করব। যে মিটিংয়ে কাউন্সিলরসহ এলাকার জনগণ উপস্থিত থাকবেন। এলাকার যত সমস্যা, যা সমাধান হয়নি, এলাকার উন্নয়নে আর কী কী করা বাকি আছে, কোন কাজকে আগে করতে হবে, অর্থাৎ সমস্যা চিহ্নিত এবং তার সমাধানের উদ্যোগ নেয়া হবে সেই সব টাউন হল মিটিংয়ে। যার মাধ্যেমে জনগণের কাছে আমাদের সবার জবাবদিহিতা থাকবে।

তাবিথ : উত্তরে ধানের শীষের মেয়র প্রার্থী তাবিথ আউয়াল মোহাম্মপুর বাসস্ট্যান্ড থেকে ৮ম দিনের প্রচারণা শুরু করেন। এদিন তিনি মোহাম্মদপুরসহ আশেপাশে এলাকায় প্রচারনা চালান। এ সময় তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশন (ইসি) ইচ্ছাকৃতভাবে সরস্বতী পূজার দিন, অর্থাৎ ৩০ জানুয়ারি ভোট দিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি করেছে। আমরা আদালতের আপিল বিভাগের দিকে তাকিয়ে আছি। আদালত যে সিদ্ধান্ত দেবেন সেটাই সবার মেনে নিতে হবে। নির্বাচন ঘিরে যে গণজোয়ার তৈরি হয়েছে তা ৩০ জানুয়ারি ধানের শীষকে বিজয়ের দিকে নিয়ে যাবে। আমরা আশা করি ঢাকাবাসী শান্তিপূর্ণভাবে ভোটকেন্দ্রে গিয়ে নিজেদের পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করবে।

তিনি বলেন, ঢাকা শহর এখন বসবাসের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। রাস্তাঘাট, ড্রেনেজ, স্যুয়ারেজসহ অনেক নাগরিক সুবিধা থেকে প্রতিনিয়তই বঞ্চিত হচ্ছে নগরবাসী। আমরা সব নাগরিক সুবিধা নিশ্চিত করে আধুনিক ঢাকা গড়ার প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি। প্রচারণার সময় বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আতাউর রহমান ঢালী, প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানি, যুবদলের সভাপতি সাইফুল আলম নীরব, যুবদল উত্তরের সভাপতি এসএম জাহাঙ্গীর হোসেন, মহিলা দলের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক হেলেন জেরিন খানসহ স্থানীয় বিএনপি নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

শনিবার, ১৮ জানুয়ারী ২০২০ , ৪ মাঘ ১৪২৬, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪১

প্রচারের আর ১০ দিন

পাল্টা-পাল্টি অবস্থান দলীয় প্রার্থীদের

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক |

আসন্ন ঢাকার দুই সিটি নির্বাচনে নিজ দলের উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ড তুলে ধরে ভোট প্রার্থনা করছেন আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থীরা। আর ভোটাধিকার ফিরিয়ে দেয়াসহ সরকারের নানা সমালোচনা করে উন্নয়নের আশার বাণী নিয়ে ভোটারের দ্বারে দ্বারে ছুটছেন বিএনপি সমর্থিত প্রার্থীরা। নির্বাচনী প্রাচারণার আর মাত্র ১০ দিন বাকি থাকায় প্রতিটি মুহূর্তই কাজে লাগাচ্ছেন প্রার্থীরা। অলি-গলিতে থাকা ভোটারের দ্বারে দ্বারে ছুটছেন তারা। গতকাল সাপ্তাহিক ছুটির দিন হওয়ায় প্রার্থীরা একটু বেশি ব্যস্ত ছিলেন। কেননা এদিনে সাধারণ রাজধানীর বাসিন্দারা বাসাতেই থাকেন। তাই এলাকাগুলোতে ব্যাপকভাবে প্রচারণা চালিয়েছেন তারা। আলোচনায় থাকা চার মেয়র প্রার্থীই প্রচারণার অষ্টম দিনে গণসংযোগ ও পথসভা করেছেন। পাশাপাশি কাউন্সিলর প্রার্থীরাও প্রচারণা চালাচ্ছেন। এদিকে, প্রার্থীদের পোস্টারে বলতে গেলে পুরো ঢাকাই ছেয়ে গেছে।

তাপস : ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে নৌকার মেয়র প্রার্থী শেখ ফজলে নূর তাপস গতকাল ফুলবাড়িয়া এলাকা থেকে নির্বাচনী প্রচার শুরু করেন। আরমানিটোলার তারা মসজিদে জুমার নামাজ আদায় শেষে চকবাজার, লালবাগ, বংশাল ও কোতোয়ালি এলাকার বিভিন্ন স্থানে গণসংযোগ ও প্রচারণা চালান তিনি। এ সময় তিনি বলেন, আমি হয়তোবা একমাত্র মেয়র প্রার্থী, যিনি ঐতিহ্যবাহী ঢাকাকে নিয়ে চিন্তা করে সুনির্দিষ্ট উন্নয়নের রূপরেখা দিয়েছি। পাঁচটি ভাগে উন্নয়নের রূপরেখা ভাগ করেছি। প্রথমেই হলো আমাদের ঐতিহ্যের ঢাকা। এই ঢাকাকে আমরা ভালোবাসি। আমাদের ঐতিহ্যের ঢাকা, গর্বের ঢাকা। সেই গর্ব, ঐতিহ্যকে আমরা পুনরুদ্ধার করতে চাই। ঐতিহাসিক ঢাকার সংস্কৃতি, ঐতিহ্য ও স্বকীয়তাকে আমরা পুনরুজ্জীবিত করে উন্নত ঢাকা হিসেবে গড়ে তুলব। এই রুপরেখা ঢাকাবাসী স্বতঃস্ফূর্তভাবে গ্রহণ করেছেন। ৩০ জানুয়ারি নির্বাচনে মেয়র ও কাউন্সিলরদের নির্বাচিত করে জনগণ তাদের সেবক হিসেবে দায়িত্ব দেবে, এটা আমরা আশা করছি। বিজয় আমাদের সুনিশ্চিত।

ইশরাক : দক্ষিণে ধানের শীষের মেয়র প্রার্থী ইশরাক হোসেন কদমতলীর বর্ণমালা স্কুলের সামনে থেকে গতকাল তার নির্বাচনী প্রচার শুরু করেন। এদিন তিনি মুরাদপুর, পূর্ব জুরাইন, পোস্তগোলা, শ্যামপুর রোড, শ্যামপুর বাজারসহ আশেপাশের এলাকায় প্রচারণা চালান। প্রচারণার সময় তিনি বলেন, দুর্নীতি-দুঃশাসনের বিরুদ্ধে সূচিত আন্দোলনের মাধ্যমে দেশকে আবার স্বাধীন করা হবে। জনগণের মালিকানা জনগণকে ফিরিয়ে দেয়া হবে। দেশে দুর্নীতিবাজ, লুটেরাদের দুঃশাসন চলছে। গত নয় বছর যাদের অধীনে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন পরিচালিত হয়েছিল তাদের অবহেলা আর দুর্নীতির কারণে ঢাকা আজ বাসযোগ্যতা হারিয়েছে। বিশ্বের সবচেয়ে অবসবাসযোগ্য শহরের তালিকায় ঢাকা এখন এক নম্বরে রয়েছে। এছাড়া গত তিন দিন ধরে বায়ু দূষণের তালিকায়ও ঢাকার অবস্থান এক নম্বরে। সম্প্রতি নারী ও শিশুদের জন্য সব থেকে অনিরাপদ শহরের যে তালিকা করা হয়েছিল, সেখানেও ঢাকা এক নম্বরে। এ থেকে উত্তরণের জন্য এবং ঢাকাকে বাসযোগ্য হিসেবে গড়ে তোলার জন্য নির্ভয়ে ধানের শীষের প্রতীকে ভোট দিন।

আতিকুল : উত্তরে আওয়ামী লীগ মনোনীত মেয়র প্রার্থী আতিকুল ইসলাম রাজধানীর মানিকদি, কালীবাড়ি, বাউনিয়া এলাকা থেকে ৮ম দিনের প্রচারণা শুরু করেন। এদিন মাটিকাটা, লালসরাই, ভাষানটেক, বাইগারটেক, আলব্দীটেক, বারনকোট, দামালকোট ও বিআরবি কলোনি এলাকায় গণসংযোগ ও প্রচারণা চালান তিনি। এ সময় তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী আমাকে বলেছেন, যেখানে ২০ ফিট রাস্তা আছে সেটিকে অন্তত ৬০ ফিট করতে হবে। ইনশাআল্লাহ আমি দায়িত্ব নিলে আগামী ছয় মাসের মধ্যে প্রসস্ত রাস্তা হবে। সুয়ারেজ লাইন থাকবে, বাতি থাকবে। কীভাবে হবে? কারণ বিগত নয় মাস ধরে এ কাজ শুরু করেছি আমরা। সেই কাজ অব্যাহত রাখতে হলে নৌকায় ভোট দিতে হবে। কারণ নৌকার কোন ব্যাক গিয়ার নেই, ফ্রন্ট গিয়ার শুধু। আতিকুল বলেন, আপনারা নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে যদি আমাকে নির্বাচিত করেন তাহলে আমি কথা দিতে চাই, মেয়র, কাউন্সিলসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে জবাবদিহিতার আওতায় আনব। প্রতিটি ওয়ার্ডে প্রতি মাসে সবাইকে নিয়ে টাউন হল মিটিং করব। যে মিটিংয়ে কাউন্সিলরসহ এলাকার জনগণ উপস্থিত থাকবেন। এলাকার যত সমস্যা, যা সমাধান হয়নি, এলাকার উন্নয়নে আর কী কী করা বাকি আছে, কোন কাজকে আগে করতে হবে, অর্থাৎ সমস্যা চিহ্নিত এবং তার সমাধানের উদ্যোগ নেয়া হবে সেই সব টাউন হল মিটিংয়ে। যার মাধ্যেমে জনগণের কাছে আমাদের সবার জবাবদিহিতা থাকবে।

তাবিথ : উত্তরে ধানের শীষের মেয়র প্রার্থী তাবিথ আউয়াল মোহাম্মপুর বাসস্ট্যান্ড থেকে ৮ম দিনের প্রচারণা শুরু করেন। এদিন তিনি মোহাম্মদপুরসহ আশেপাশে এলাকায় প্রচারনা চালান। এ সময় তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশন (ইসি) ইচ্ছাকৃতভাবে সরস্বতী পূজার দিন, অর্থাৎ ৩০ জানুয়ারি ভোট দিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি করেছে। আমরা আদালতের আপিল বিভাগের দিকে তাকিয়ে আছি। আদালত যে সিদ্ধান্ত দেবেন সেটাই সবার মেনে নিতে হবে। নির্বাচন ঘিরে যে গণজোয়ার তৈরি হয়েছে তা ৩০ জানুয়ারি ধানের শীষকে বিজয়ের দিকে নিয়ে যাবে। আমরা আশা করি ঢাকাবাসী শান্তিপূর্ণভাবে ভোটকেন্দ্রে গিয়ে নিজেদের পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করবে।

তিনি বলেন, ঢাকা শহর এখন বসবাসের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। রাস্তাঘাট, ড্রেনেজ, স্যুয়ারেজসহ অনেক নাগরিক সুবিধা থেকে প্রতিনিয়তই বঞ্চিত হচ্ছে নগরবাসী। আমরা সব নাগরিক সুবিধা নিশ্চিত করে আধুনিক ঢাকা গড়ার প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি। প্রচারণার সময় বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আতাউর রহমান ঢালী, প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানি, যুবদলের সভাপতি সাইফুল আলম নীরব, যুবদল উত্তরের সভাপতি এসএম জাহাঙ্গীর হোসেন, মহিলা দলের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক হেলেন জেরিন খানসহ স্থানীয় বিএনপি নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।