আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, নির্বাচন কমিশন যদি মনে করে নির্বাচনের তারিখ পরিবর্তন করবেন, এটা সম্পূর্ণভাবে তাদের এখতিয়ার। তারা এটি করতে পারেন। এ ব্যাপারে আওয়ামী লীগ বা আওয়ামী লীগ সরকারে কিছুই করণীয় নেই এবং আমাদের কোন আপত্তিও নেই।
গতকাল ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর রাজনৈতিক কার্যালয়ে দলের সম্পাদকমন্ডলীর সভা শেষে এক সংবাদ সম্মেলনে ওবায়দুল কাদেরের এসব কথা বলেন। বৈঠকে আওয়ামী লীগ যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল আলম হানিফ, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, বিএম মোজাম্মেল হক, মির্জা আজম, এসএম কামাল হোসেন, অ্যাডভোকেট আফজাল হোসেন, সাখাওয়াত হোসেন শফিক, কৃষি বিষয়ক সম্পাদক ফরিদুন্নাহার লাইলী, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. আবদুস সোবহান গোলাপ, সংস্কৃতি সম্পাদক অসীম কুমার উকিল, দফতর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, আওয়ামী লীগের সম্পাদকমন্ডলীর সভায় এদিন কয়েকটি বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে। এরমধ্যে পূজার দিনে ভোটগ্রহণের বিষয়টিও ছিল। একজন প্রবীণ নেতা ড. কামাল হোসেন বলেছেন, পূজার দিনে সিটি করপোরেশন নির্বাচনের তারিখ নির্ধারণ করে সরকার বড় অন্যায় করেছে। আমি বলতে চাই, তারিখ কিন্তু আমরা নির্ধারণ করি নাই। নির্বাচন কমিশন একটি সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান, এ বিষয়টির এখতিয়ার তাদেরই। কবে শিডিউল, কবে তারিখ- এটা নির্বাচন কমিশনই দেখবে। এখানে সরকারের কিছু নেই। কাজেই সরকার এখানে অন্যায় করেছে- এ কথার যৌক্তিকতা খুঁজে পাওয়া যায় না।
আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, পূজার কারণে আজকে যে বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে, যে সমস্যার উদ্ভব হয়েছে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের দ্বিতীয় ধর্মীয় উৎসব এই দিন। আমরা মনে করি তাদের সঙ্গে আলাপ আলোচনা করে নির্বাচন কমিশন সম্মানজনক, গ্রহণযোগ্য, যৌক্তিক, বাস্তবসম্মত একটা সমাধান খুঁজে নেবে, এটাই আমরা আশা করি।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ইভিএম পদ্ধতি নিয়ে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর যে মন্তব্য করেছেন তা বিভ্রান্তিকর। তিনি নিজেও ইভিএম পদ্ধতিতে এমপি নির্বাচিত হয়েছিলেন বগুড়া সদর আসন থেকে। সর্বশেষ ইভিএমে বগুড়া জেলার দুপচাঁচিয়া পৌরসভা যে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে তাতে বিএনপির প্রার্থী বিপুল ভোটে জয়লাভ করেছেন।
শনিবার, ১৮ জানুয়ারী ২০২০ , ৪ মাঘ ১৪২৬, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪১
নিজস্ব বার্তা পরিবেশক |
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, নির্বাচন কমিশন যদি মনে করে নির্বাচনের তারিখ পরিবর্তন করবেন, এটা সম্পূর্ণভাবে তাদের এখতিয়ার। তারা এটি করতে পারেন। এ ব্যাপারে আওয়ামী লীগ বা আওয়ামী লীগ সরকারে কিছুই করণীয় নেই এবং আমাদের কোন আপত্তিও নেই।
গতকাল ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর রাজনৈতিক কার্যালয়ে দলের সম্পাদকমন্ডলীর সভা শেষে এক সংবাদ সম্মেলনে ওবায়দুল কাদেরের এসব কথা বলেন। বৈঠকে আওয়ামী লীগ যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল আলম হানিফ, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, বিএম মোজাম্মেল হক, মির্জা আজম, এসএম কামাল হোসেন, অ্যাডভোকেট আফজাল হোসেন, সাখাওয়াত হোসেন শফিক, কৃষি বিষয়ক সম্পাদক ফরিদুন্নাহার লাইলী, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. আবদুস সোবহান গোলাপ, সংস্কৃতি সম্পাদক অসীম কুমার উকিল, দফতর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, আওয়ামী লীগের সম্পাদকমন্ডলীর সভায় এদিন কয়েকটি বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে। এরমধ্যে পূজার দিনে ভোটগ্রহণের বিষয়টিও ছিল। একজন প্রবীণ নেতা ড. কামাল হোসেন বলেছেন, পূজার দিনে সিটি করপোরেশন নির্বাচনের তারিখ নির্ধারণ করে সরকার বড় অন্যায় করেছে। আমি বলতে চাই, তারিখ কিন্তু আমরা নির্ধারণ করি নাই। নির্বাচন কমিশন একটি সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান, এ বিষয়টির এখতিয়ার তাদেরই। কবে শিডিউল, কবে তারিখ- এটা নির্বাচন কমিশনই দেখবে। এখানে সরকারের কিছু নেই। কাজেই সরকার এখানে অন্যায় করেছে- এ কথার যৌক্তিকতা খুঁজে পাওয়া যায় না।
আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, পূজার কারণে আজকে যে বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে, যে সমস্যার উদ্ভব হয়েছে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের দ্বিতীয় ধর্মীয় উৎসব এই দিন। আমরা মনে করি তাদের সঙ্গে আলাপ আলোচনা করে নির্বাচন কমিশন সম্মানজনক, গ্রহণযোগ্য, যৌক্তিক, বাস্তবসম্মত একটা সমাধান খুঁজে নেবে, এটাই আমরা আশা করি।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ইভিএম পদ্ধতি নিয়ে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর যে মন্তব্য করেছেন তা বিভ্রান্তিকর। তিনি নিজেও ইভিএম পদ্ধতিতে এমপি নির্বাচিত হয়েছিলেন বগুড়া সদর আসন থেকে। সর্বশেষ ইভিএমে বগুড়া জেলার দুপচাঁচিয়া পৌরসভা যে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে তাতে বিএনপির প্রার্থী বিপুল ভোটে জয়লাভ করেছেন।