জয়ী হতেই সিটি নির্বাচনে অংশ নিয়েছি ফখরুল

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, সিটি নির্বাচনে জয়ী হওয়ার জন্যই অংশ নিয়েছি। জনগণকে এক করতে পারলে বিএনপি এই নির্বাচনে জয়ী হবে। এখন মিছিলে অনেক বেশি মানুষ অংশ নিচ্ছে। এদেরকে সংহত করে আন্দোলনে নিয়ে যেতে পারলে আমরা সফল হব।

গতকাল জাতীয় প্রেসক্লাবে বাংলাদেশ সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদ আয়োজিত এক গোলটেবিল বৈঠকে এসব কথা বলেন তিনি। ‘নির্বাচনে আস্থাহীনতা, ইভিএম’র ব্যবহার : বর্তমান প্রেক্ষাপট’ শীর্ষক বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক শওকত মাহমুদ। বৈঠকে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপক মো. আখতার হোসেন। এ সময় নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্নাসহ অন্যরা বক্তব্য রাখেন।

মির্জা ফখরুল ইসলাম বলেন, ভুলত্রুটি আমাদের থাকতে পারে। আমরা চেষ্টা করে যাচ্ছি সফলতার পথে যেতে। বিশ্বে রাজনৈতিক যে পরিবর্তন এসেছে আমাদের তার সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে হবে। আমি বিশ্বাস করি আমরা সফল হব। সিটি নির্বাচনে বিএনপির পক্ষ থেকে তরুণ প্রার্থী নির্বাচন করা হয়েছে। আমরা আশা করি তারা জয়লাভ করবে। এ প্রত্যাশা নিয়েই আমরা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছি।

তিনি বলেন, বিএনপি একটি উদারপন্থী দল। এর কাছে কেউ বিপ্লব আশা করলে হবে না। এই দল তার নিজস্ব চরিত্র নিয়ে এগিয়ে যাবে। আমরা প্রতি মুহূর্তে আন্দোলেনর মধ্যে আছি। আমরা কোর্টে যাই, আলোচনা করি, নির্বাচনে যাই সবই আন্দোলনের অংশ। এই আন্দোলনগুলোকে একসঙ্গে করে আমরা বড় আন্দোলনের দিকে এগিয়ে যাব। আমাদের অভিজ্ঞতা আছে যে ২০১৪ সালের নির্বাচনের সময় এবং ২০১৫ তে আন্দোলনের মধ্য দিয়ে আমাদের যে ক্ষতি হয়েছে সেই ক্ষতি পুষিয়ে উঠতে আমাদের এখনও অনেক বেগ পেতে হচ্ছে।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, ২০১৪ সালের সংসদ নির্বাচনের অংশ নেয়নি বিএনপি। ২০১৫ সালে সংসদ নির্বাচনের দাবিতে রাজপথের আন্দোলন শুরু করেছিল তারা। টানা তিন মাসের সেই আন্দোলন ছিল কার্যত নিষ্ফল। তার মাশুল এখনো গুনতে হচ্ছে দলটিকে। বিপুলসংখ্যক নেতা-কর্মী মামলার আসামি কারাগারে যান, অনেকে আত্মগোপনে। এছাড়া আন্দোলন চলাকালে নাশকতার ঘটনা বিএনপির ভাবমূর্তি সংকটেও ফেলে।

মাহমুদুর রহমান বলেন, ইভিএম একটা গজব। মানুষ যা তৈরি করে, তা নিজের জন্যই করে। ক্ষমতাসীনেরা নিজেদের জন্য নির্বাচন কমিশনকে ইভিএম আমদানি করিয়েছে। ২০১৮ সালের ভোটের নামে যে ‘ডাকাতি’ হয়েছে তা পুনরায় করার সুযোগ নেই। তাই তারা ভিন্ন একটা পথ নিয়েছে। একটি মেশিন বের করেছে। তারা সমস্ত দায় মেশিনের ওপরে দেবে। চারদিকে শুধু নৌকার পোস্টার, ধানের শীষের কোন পোস্টার নেই বলেও জানান মান্না।

শনিবার, ১৮ জানুয়ারী ২০২০ , ৪ মাঘ ১৪২৬, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪১

জয়ী হতেই সিটি নির্বাচনে অংশ নিয়েছি ফখরুল

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক |

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, সিটি নির্বাচনে জয়ী হওয়ার জন্যই অংশ নিয়েছি। জনগণকে এক করতে পারলে বিএনপি এই নির্বাচনে জয়ী হবে। এখন মিছিলে অনেক বেশি মানুষ অংশ নিচ্ছে। এদেরকে সংহত করে আন্দোলনে নিয়ে যেতে পারলে আমরা সফল হব।

গতকাল জাতীয় প্রেসক্লাবে বাংলাদেশ সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদ আয়োজিত এক গোলটেবিল বৈঠকে এসব কথা বলেন তিনি। ‘নির্বাচনে আস্থাহীনতা, ইভিএম’র ব্যবহার : বর্তমান প্রেক্ষাপট’ শীর্ষক বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক শওকত মাহমুদ। বৈঠকে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপক মো. আখতার হোসেন। এ সময় নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্নাসহ অন্যরা বক্তব্য রাখেন।

মির্জা ফখরুল ইসলাম বলেন, ভুলত্রুটি আমাদের থাকতে পারে। আমরা চেষ্টা করে যাচ্ছি সফলতার পথে যেতে। বিশ্বে রাজনৈতিক যে পরিবর্তন এসেছে আমাদের তার সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে হবে। আমি বিশ্বাস করি আমরা সফল হব। সিটি নির্বাচনে বিএনপির পক্ষ থেকে তরুণ প্রার্থী নির্বাচন করা হয়েছে। আমরা আশা করি তারা জয়লাভ করবে। এ প্রত্যাশা নিয়েই আমরা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছি।

তিনি বলেন, বিএনপি একটি উদারপন্থী দল। এর কাছে কেউ বিপ্লব আশা করলে হবে না। এই দল তার নিজস্ব চরিত্র নিয়ে এগিয়ে যাবে। আমরা প্রতি মুহূর্তে আন্দোলেনর মধ্যে আছি। আমরা কোর্টে যাই, আলোচনা করি, নির্বাচনে যাই সবই আন্দোলনের অংশ। এই আন্দোলনগুলোকে একসঙ্গে করে আমরা বড় আন্দোলনের দিকে এগিয়ে যাব। আমাদের অভিজ্ঞতা আছে যে ২০১৪ সালের নির্বাচনের সময় এবং ২০১৫ তে আন্দোলনের মধ্য দিয়ে আমাদের যে ক্ষতি হয়েছে সেই ক্ষতি পুষিয়ে উঠতে আমাদের এখনও অনেক বেগ পেতে হচ্ছে।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, ২০১৪ সালের সংসদ নির্বাচনের অংশ নেয়নি বিএনপি। ২০১৫ সালে সংসদ নির্বাচনের দাবিতে রাজপথের আন্দোলন শুরু করেছিল তারা। টানা তিন মাসের সেই আন্দোলন ছিল কার্যত নিষ্ফল। তার মাশুল এখনো গুনতে হচ্ছে দলটিকে। বিপুলসংখ্যক নেতা-কর্মী মামলার আসামি কারাগারে যান, অনেকে আত্মগোপনে। এছাড়া আন্দোলন চলাকালে নাশকতার ঘটনা বিএনপির ভাবমূর্তি সংকটেও ফেলে।

মাহমুদুর রহমান বলেন, ইভিএম একটা গজব। মানুষ যা তৈরি করে, তা নিজের জন্যই করে। ক্ষমতাসীনেরা নিজেদের জন্য নির্বাচন কমিশনকে ইভিএম আমদানি করিয়েছে। ২০১৮ সালের ভোটের নামে যে ‘ডাকাতি’ হয়েছে তা পুনরায় করার সুযোগ নেই। তাই তারা ভিন্ন একটা পথ নিয়েছে। একটি মেশিন বের করেছে। তারা সমস্ত দায় মেশিনের ওপরে দেবে। চারদিকে শুধু নৌকার পোস্টার, ধানের শীষের কোন পোস্টার নেই বলেও জানান মান্না।