ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন নির্বাচনে প্রতিদিনই আচরণবিধি লংঘনের ঘটনা ঘটছে। এখন পর্যন্ত আনুষ্ঠানিকভাবে দুই রিটানিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে অন্তত ৪৩টি অভিযোগ জমা পড়েছে। এ বিষয়ে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে (ডিএসসিসি)’র রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. আবদুল বাতেন বলেন, নির্বাচনী প্রচারণার চলবে ২৮ জানুয়ারি পর্যন্ত। এখন পর্যন্ত আমরা ৩৩টি আচরণবিধি লংঘনের অভিযোগ পেয়েছি। ব্যবস্থা নিচ্ছি আমরা। বাকি দিনগুলোতে নির্বাচনী আচরণবিধি লংঘন হলে সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা গ্রহণ করবে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও আমাদের কর্মকর্তারা। সে যেই হোক, আওয়ামী লীগ বা বিএনপি বড় কথা নয়, যে আচরণবিধি লংঘন করবে আমরা তার বিরুদ্ধেই তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেব। ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন রিটানিং কার্যালয় সূত্র জানায়, এখানে ১০টি লিখিত অভিযোগ জমা পড়েছে। নির্বাহি ম্যাজিস্ট্রেটরা সংশ্লিষ্ট বিষয়গুলো খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নিচ্ছেন।
এদিকে প্রার্থীরা বলছেন, তারা নিয়ম মেনেই প্রচারণা চালাচ্ছেন। আচরণ বিধি লংঘন করছেন না। এ বিষয়ে দক্ষিণের মেয়র প্রার্থী ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস বলেছেন, জনগন স্বতস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণ করেছে। এ কারণে কিছুটা সমস্যা হচ্ছে। তবে আমি নেতা-কর্মী ও নির্বাচন পরিচালনা কমিটিকে বলে দিয়েছি, তারা যেন নির্বাচনী আচরণবিধি মেনে চলেন।
ইসির ভূমিকা নিয়ে উত্তরের মেয়র প্রার্থী তাবিথ আউয়াল বলেছেন, ইসির কাছে আমরা লিখিত অভিযোগ দিয়েছি। তারপরও কমিশন কোন ব্যবস্থা নেয়নি। আমার বিপক্ষের প্রার্থী প্রতিদিনই আচরণবিধি লংঘন করছেন। আমার কর্মীদের ভয়ভীতি দেখানো হচ্ছে।
নির্বাচন সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ইসি ব্যাবস্থা নেয়ার কথা বললেও তা যথেষ্ট নয়। তারা দেখেও না দেখার ভান করছেন।
অনামিক আলম। আর ১৫ দিন পর এসএসসি পরীক্ষা দিবেন। পুরান ঢাকার বাসিন্দা অনামিকা গত কয়েকদিন যাবৎ ঠিকমতো পড়াশোনা করতে পারছেন না। নির্বাচনী প্রচারণার কারণে ব্যাহত হচ্ছে তার নিয়মিত পড়াশোনা। তিনি সংবাদকে বলেন, দিনের বেলায় তো মাইকে প্রচারণা চলেই। রাত ১০টার পরও উচ্চ আওয়াজে সাউন্ড বক্স ও মাইকে নির্বাচনী প্রচারণা চালাচ্ছেন প্রার্থীরা। এতে করে পড়াশোনা করতে পারছি না। অথচ আর মাত্র কয়েকটা দিন বাকি পরীক্ষা। পরীক্ষার ফলাফল খারাপ হলে কি বিষয়টা তারা দেখবেন। তারা তো নির্বাচিত হতে পারলেই শেষ।
শুধু অনামিকাই নয়, এমন আরও কয়েকজন পরীক্ষার্থীর সঙ্গে কথা হয় সংবাদের। তাদের সবার বক্তব্যই এক। তারা বলছেন, প্রচারণার নির্বারিত সময় আছে। রাত ৮টা পর প্রচারনা চালানো নিষেধ। কিন্তু কেউ তা মানছেন না। প্রতিদিন রাত ১০-১১টা পর্যন্ত প্রচারণা চলছে। এতে করে আমরা মনোযোগ দিয়ে পড়াশোনা করতে পারছি না। এগুলো দেখার কি কেউ নেই।
আগামী মাসের ১ তারিখ থেকে শুরু হবে এসএসসি পরীক্ষা। এদিকে, নির্বাচন হবে ৩০ জানুয়ারি। নির্বাচনের দিন ঘনিয়ে আসার সঙ্গে সঙ্গে প্রচারণাও জোরেশোরে করছেন প্রার্থীরা। তবে নির্ধারিত সময়ের পরও তারা প্রচারণা চালাচ্ছেন। এছাড়া প্রচারণায় মোটশোভাযাত্রা ও যানবাহনের ব্যাবহার নিষিদ্ধ থাকলেও প্রার্থীর কর্মী-সমর্থকরা তা মানছেন না। ফলে প্রতিদিনই যানজটের ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে নগরবাসীকে।
বৃহস্পতিবার রাত ১০টা ১৫ মিনিট। গেন্ডারিয়া থানা সংলগ্ন এলাকায় একটি পিকআপ ভ্যানে বড় দুটি সাউন্ড বক্স নিয়ে প্রচারণা চলছে। ’জিতবে, এবার নৌকা, তাপস ভাইয়ের সালাম নিন, নৌকা মার্কায় ভোট দিন’। এমন থিম সং বাজছিল। বিধি অনুযায়ী রাত ৮টার পর প্রচারণা চালানো যাবে না। কিন্তু বিষয়টি দেখার কেউ নেই।
বুধবার ও বৃহস্পতিবার রাত ১১টা দিকে সদসঘাটের ভিক্টোরিয়া পার্কের সামনে উচ্চ আওয়াজে চলছিল প্রচারণা। সেখানেও মাইকে নির্বাচনে দিন ভোট দিতে সবাইকে আহ্বান জানানো হচ্ছিল। এতে পথচারীরাও বিরক্ত হচ্ছিল।
সুমন আহমেদ নামের এক চাকরিজীবী বলেন, রাতের কয়টা বাচে। এখনও এত জোরো মাইক বাজানোর কোন মানেই হয়না। এগুলো দেখার কি কেই নেই।
গতকাল দুপুর তিনটার দিকে সূত্রাপুর এলাকায় ১৫টির অধিক মোটরসাইকেল নিয়ে প্রচারণা নামেন এক কাউন্সিলর প্রার্থী। তার কর্র্মীরা রাস্তা বন্ধ করে দিয়েছেন। এ সময় সংবাদের প্রতিবেদক এক কর্মীকে বলেন, প্রচারণায় মোটরসাইকেল তো নিষেধ। ওই কর্মী পাল্টা জবাব দিয়ে বলেন, এটা নতুন আইন আমরা বানিয়েছি। আমাদের প্রচারণায় মোটরসাইকেল থাকবেই।
গতকাল দক্ষিণে নৌকার প্রার্থী ফুলবাড়িয়া এলাকায় প্রচারণা চলান। এতে গুলিস্তানের আশেপাশের এলাকায় ব্যাপক যাজটের সৃষ্টি হয়। এছাড়াও তিনি যে এলাকায় যান সেখানেই ভিড় বাড়ে এবং স্বাভাবিক যা চলাচল ব্যাহত হয়। এ বিষয়ে তাপস বলেছেন, জনগণ স্বতস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণ করেছে। এ কারনে কিছুটা সমস্যা হচ্ছে। তবে আমি নেতা-কর্মী ও নির্বাচন পরিচালনা কমিটিকে বলে দিয়েছি, তারা যেন নির্বাচনী আচরণবিধি মেনে চলেন।
সিটি নির্বাচনে আচরণবিধি অমান্য করলে প্রার্থী বা তার সমর্থকের সর্বোচ্চ ছয় মাসের কারাদণ্ড বা পঞ্চাশ হাজার টাকা জরিমানা বা উভয়দণ্ডের বিধান রয়েছে। সেই সঙ্গে প্রার্থিতা বাতিলসহ নিবন্ধিত দলকে পঞ্চাশ হাজার টাকা পর্যন্ত জরিমানার করারও বিধান করে দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। আচরণবিধি লঙ্ঘনের দায়ে জেল-জরিমানা করার ক্ষমতা থাকলেও বেশির ভাগ ক্ষেত্রে তার প্রয়োগ দেখা যাচ্ছে না। তবে প্রার্থীদের দাবি, তারা আচরণবিধি মেনেই প্রচারণা চালাচ্ছেন।
নির্বাচনী বিধি অনুযায়ী, মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী প্রতি থানায় একটির বেশি নির্বাচনী ক্যাম্প বা অফিস স্থাপন করতে পারবেন না। আর কাউন্সিলর প্রার্থী ৩০ হাজার ভোটারের জন্য একটি ক্যাম্প এবং সর্বোচ্চ তিনটি ক্যাম্প বা অফিস ব্যবহার করতে পারবেন। প্রার্থী বা তার দল বা অন্য কোন ব্যক্তি ট্রাক, বাস, মোটরসাইকেল বা অন্য কোন যান্ত্রিক যানবাহনে করে মিছিল, মশাল মিছিল বা শোডাউন করতে পারবেন না। প্রচারণায় হেলিকপ্টার বা অন্য কোন আকাশযান ব্যবহার করা যাবে না। প্রার্থীর ছবি বা প্রতীক চিহ্ন সম্বলিত শার্ট, জ্যাকেট বা ফতোয়া ব্যবহার করা যাবে না। মসজিদ, মন্দির, গির্জা বা অন্য কোন ধর্মীয় উপাসনালয়ে নির্বাচনী প্রচারণা চালানো যাবে না। একটি ওয়ার্ডে পথসভা বা নির্বাচনী প্রচারণার কাজে একের অধিক মাইক্রোফোন বা বেশি মাত্রার শব্দের যন্ত্র ব্যবহার করা যাবে না। নির্বাচনী এলাকায় দুপুর ২টা থেকে রাত ৮টার মধ্যে মাইক মাইক ব্যবহার করা যাবে।
শনিবার, ১৮ জানুয়ারী ২০২০ , ৪ মাঘ ১৪২৬, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪১
ইমদাদুল হাসান রাতুল |
ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন নির্বাচনে প্রতিদিনই আচরণবিধি লংঘনের ঘটনা ঘটছে। এখন পর্যন্ত আনুষ্ঠানিকভাবে দুই রিটানিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে অন্তত ৪৩টি অভিযোগ জমা পড়েছে। এ বিষয়ে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে (ডিএসসিসি)’র রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. আবদুল বাতেন বলেন, নির্বাচনী প্রচারণার চলবে ২৮ জানুয়ারি পর্যন্ত। এখন পর্যন্ত আমরা ৩৩টি আচরণবিধি লংঘনের অভিযোগ পেয়েছি। ব্যবস্থা নিচ্ছি আমরা। বাকি দিনগুলোতে নির্বাচনী আচরণবিধি লংঘন হলে সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা গ্রহণ করবে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও আমাদের কর্মকর্তারা। সে যেই হোক, আওয়ামী লীগ বা বিএনপি বড় কথা নয়, যে আচরণবিধি লংঘন করবে আমরা তার বিরুদ্ধেই তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেব। ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন রিটানিং কার্যালয় সূত্র জানায়, এখানে ১০টি লিখিত অভিযোগ জমা পড়েছে। নির্বাহি ম্যাজিস্ট্রেটরা সংশ্লিষ্ট বিষয়গুলো খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নিচ্ছেন।
এদিকে প্রার্থীরা বলছেন, তারা নিয়ম মেনেই প্রচারণা চালাচ্ছেন। আচরণ বিধি লংঘন করছেন না। এ বিষয়ে দক্ষিণের মেয়র প্রার্থী ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস বলেছেন, জনগন স্বতস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণ করেছে। এ কারণে কিছুটা সমস্যা হচ্ছে। তবে আমি নেতা-কর্মী ও নির্বাচন পরিচালনা কমিটিকে বলে দিয়েছি, তারা যেন নির্বাচনী আচরণবিধি মেনে চলেন।
ইসির ভূমিকা নিয়ে উত্তরের মেয়র প্রার্থী তাবিথ আউয়াল বলেছেন, ইসির কাছে আমরা লিখিত অভিযোগ দিয়েছি। তারপরও কমিশন কোন ব্যবস্থা নেয়নি। আমার বিপক্ষের প্রার্থী প্রতিদিনই আচরণবিধি লংঘন করছেন। আমার কর্মীদের ভয়ভীতি দেখানো হচ্ছে।
নির্বাচন সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ইসি ব্যাবস্থা নেয়ার কথা বললেও তা যথেষ্ট নয়। তারা দেখেও না দেখার ভান করছেন।
অনামিক আলম। আর ১৫ দিন পর এসএসসি পরীক্ষা দিবেন। পুরান ঢাকার বাসিন্দা অনামিকা গত কয়েকদিন যাবৎ ঠিকমতো পড়াশোনা করতে পারছেন না। নির্বাচনী প্রচারণার কারণে ব্যাহত হচ্ছে তার নিয়মিত পড়াশোনা। তিনি সংবাদকে বলেন, দিনের বেলায় তো মাইকে প্রচারণা চলেই। রাত ১০টার পরও উচ্চ আওয়াজে সাউন্ড বক্স ও মাইকে নির্বাচনী প্রচারণা চালাচ্ছেন প্রার্থীরা। এতে করে পড়াশোনা করতে পারছি না। অথচ আর মাত্র কয়েকটা দিন বাকি পরীক্ষা। পরীক্ষার ফলাফল খারাপ হলে কি বিষয়টা তারা দেখবেন। তারা তো নির্বাচিত হতে পারলেই শেষ।
শুধু অনামিকাই নয়, এমন আরও কয়েকজন পরীক্ষার্থীর সঙ্গে কথা হয় সংবাদের। তাদের সবার বক্তব্যই এক। তারা বলছেন, প্রচারণার নির্বারিত সময় আছে। রাত ৮টা পর প্রচারনা চালানো নিষেধ। কিন্তু কেউ তা মানছেন না। প্রতিদিন রাত ১০-১১টা পর্যন্ত প্রচারণা চলছে। এতে করে আমরা মনোযোগ দিয়ে পড়াশোনা করতে পারছি না। এগুলো দেখার কি কেউ নেই।
আগামী মাসের ১ তারিখ থেকে শুরু হবে এসএসসি পরীক্ষা। এদিকে, নির্বাচন হবে ৩০ জানুয়ারি। নির্বাচনের দিন ঘনিয়ে আসার সঙ্গে সঙ্গে প্রচারণাও জোরেশোরে করছেন প্রার্থীরা। তবে নির্ধারিত সময়ের পরও তারা প্রচারণা চালাচ্ছেন। এছাড়া প্রচারণায় মোটশোভাযাত্রা ও যানবাহনের ব্যাবহার নিষিদ্ধ থাকলেও প্রার্থীর কর্মী-সমর্থকরা তা মানছেন না। ফলে প্রতিদিনই যানজটের ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে নগরবাসীকে।
বৃহস্পতিবার রাত ১০টা ১৫ মিনিট। গেন্ডারিয়া থানা সংলগ্ন এলাকায় একটি পিকআপ ভ্যানে বড় দুটি সাউন্ড বক্স নিয়ে প্রচারণা চলছে। ’জিতবে, এবার নৌকা, তাপস ভাইয়ের সালাম নিন, নৌকা মার্কায় ভোট দিন’। এমন থিম সং বাজছিল। বিধি অনুযায়ী রাত ৮টার পর প্রচারণা চালানো যাবে না। কিন্তু বিষয়টি দেখার কেউ নেই।
বুধবার ও বৃহস্পতিবার রাত ১১টা দিকে সদসঘাটের ভিক্টোরিয়া পার্কের সামনে উচ্চ আওয়াজে চলছিল প্রচারণা। সেখানেও মাইকে নির্বাচনে দিন ভোট দিতে সবাইকে আহ্বান জানানো হচ্ছিল। এতে পথচারীরাও বিরক্ত হচ্ছিল।
সুমন আহমেদ নামের এক চাকরিজীবী বলেন, রাতের কয়টা বাচে। এখনও এত জোরো মাইক বাজানোর কোন মানেই হয়না। এগুলো দেখার কি কেই নেই।
গতকাল দুপুর তিনটার দিকে সূত্রাপুর এলাকায় ১৫টির অধিক মোটরসাইকেল নিয়ে প্রচারণা নামেন এক কাউন্সিলর প্রার্থী। তার কর্র্মীরা রাস্তা বন্ধ করে দিয়েছেন। এ সময় সংবাদের প্রতিবেদক এক কর্মীকে বলেন, প্রচারণায় মোটরসাইকেল তো নিষেধ। ওই কর্মী পাল্টা জবাব দিয়ে বলেন, এটা নতুন আইন আমরা বানিয়েছি। আমাদের প্রচারণায় মোটরসাইকেল থাকবেই।
গতকাল দক্ষিণে নৌকার প্রার্থী ফুলবাড়িয়া এলাকায় প্রচারণা চলান। এতে গুলিস্তানের আশেপাশের এলাকায় ব্যাপক যাজটের সৃষ্টি হয়। এছাড়াও তিনি যে এলাকায় যান সেখানেই ভিড় বাড়ে এবং স্বাভাবিক যা চলাচল ব্যাহত হয়। এ বিষয়ে তাপস বলেছেন, জনগণ স্বতস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণ করেছে। এ কারনে কিছুটা সমস্যা হচ্ছে। তবে আমি নেতা-কর্মী ও নির্বাচন পরিচালনা কমিটিকে বলে দিয়েছি, তারা যেন নির্বাচনী আচরণবিধি মেনে চলেন।
সিটি নির্বাচনে আচরণবিধি অমান্য করলে প্রার্থী বা তার সমর্থকের সর্বোচ্চ ছয় মাসের কারাদণ্ড বা পঞ্চাশ হাজার টাকা জরিমানা বা উভয়দণ্ডের বিধান রয়েছে। সেই সঙ্গে প্রার্থিতা বাতিলসহ নিবন্ধিত দলকে পঞ্চাশ হাজার টাকা পর্যন্ত জরিমানার করারও বিধান করে দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। আচরণবিধি লঙ্ঘনের দায়ে জেল-জরিমানা করার ক্ষমতা থাকলেও বেশির ভাগ ক্ষেত্রে তার প্রয়োগ দেখা যাচ্ছে না। তবে প্রার্থীদের দাবি, তারা আচরণবিধি মেনেই প্রচারণা চালাচ্ছেন।
নির্বাচনী বিধি অনুযায়ী, মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী প্রতি থানায় একটির বেশি নির্বাচনী ক্যাম্প বা অফিস স্থাপন করতে পারবেন না। আর কাউন্সিলর প্রার্থী ৩০ হাজার ভোটারের জন্য একটি ক্যাম্প এবং সর্বোচ্চ তিনটি ক্যাম্প বা অফিস ব্যবহার করতে পারবেন। প্রার্থী বা তার দল বা অন্য কোন ব্যক্তি ট্রাক, বাস, মোটরসাইকেল বা অন্য কোন যান্ত্রিক যানবাহনে করে মিছিল, মশাল মিছিল বা শোডাউন করতে পারবেন না। প্রচারণায় হেলিকপ্টার বা অন্য কোন আকাশযান ব্যবহার করা যাবে না। প্রার্থীর ছবি বা প্রতীক চিহ্ন সম্বলিত শার্ট, জ্যাকেট বা ফতোয়া ব্যবহার করা যাবে না। মসজিদ, মন্দির, গির্জা বা অন্য কোন ধর্মীয় উপাসনালয়ে নির্বাচনী প্রচারণা চালানো যাবে না। একটি ওয়ার্ডে পথসভা বা নির্বাচনী প্রচারণার কাজে একের অধিক মাইক্রোফোন বা বেশি মাত্রার শব্দের যন্ত্র ব্যবহার করা যাবে না। নির্বাচনী এলাকায় দুপুর ২টা থেকে রাত ৮টার মধ্যে মাইক মাইক ব্যবহার করা যাবে।