ইউক্রেনের প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগ

ইউক্রেনের প্রধানমন্ত্রী অলিস্কি হনচারুক পদত্যাগের ঘোষণা দিয়েছেন। দেশটির প্রেসিডেন্ট ভলদিমির জেলোনস্কির কাছে গতকাল পদত্যাগপত্র জমা দেন তিনি। তবে ওলেকসি কী কারণে পদত্যাগ করেছেন তাৎক্ষণিকভাবে তা জানা যায়নি। ফাঁস হওয়া ওই অডিওতে দেয়া বক্তব্য সম্পর্কে স্বীকার বা অস্বীকার কোনটাই করেননি। প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কিও এ নিয়ে প্রকাশ্যে কোন মন্তব্য করেননি।

ধারণা করা হচ্ছে, গত মাসে একটি অডিও ক্লিপ ফাঁস হওয়ার ঘটনায় প্রেসিডেন্টের সঙ্গে বিরোধের জের ধরে পদত্যাগ করলেন তিনি। গত মাসে দেশটির কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর বৈঠকের একটি অডিও টেপ অনলাইনে ফাঁস হয়। সেখানে দেশের অর্থনৈতিক দুর্দশার জন্য প্রেসিডেন্ট ভলদিমির জেলোনস্কিকে দায়ী করে প্রধানমন্ত্রী ওলেকসিকে বক্তব্য রাখতে দেখা যায়। এছাড়াও ব্যক্তিগতভাবেও ওলেকসি মনে করেন, প্রেসিডেন্ট জেলোনস্কি ইউক্রেনের মুদ্রার মান কমে যাওয়া সম্পর্কে তেমন কিছু জানেন না বলেই ব্যবস্থা নিতে পারছেন না। তার অভিমত, মুদ্রাস্ফিতির কারণে দেশের রপ্তানি খাতে ধস নেমেছে এবং কর আয় অনেক কমে গেছে।

এদিকে প্রেসিডেন্টের কার্যালয় থেকে তার পদত্যাগপত্র জমা দেয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলা হয়েছে, প্রেসিডেন্ট তার পদত্যাগের বিষয়টি বিবেচনা করে দেখছেন। এদিকে প্রেসিডেন্ট জোলোনস্কিও কাছে পদত্যাগপত্র জমা দেয়ার পর এক ফেসবুক পোস্টে ওলেকসি বলেন, ‘আমি প্রেসিডেন্টকে সম্মান করি। আমি তার কাছে পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছি। আশা করছি তিনি এটি পার্লামেন্ট তুলে ধরবেন।’

শনিবার, ১৮ জানুয়ারী ২০২০ , ৪ মাঘ ১৪২৬, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪১

ইউক্রেনের প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগ

সংবাদ ডেস্ক |

image

ইউক্রেনের প্রধানমন্ত্রী অলিস্কি হনচারুক পদত্যাগের ঘোষণা দিয়েছেন। দেশটির প্রেসিডেন্ট ভলদিমির জেলোনস্কির কাছে গতকাল পদত্যাগপত্র জমা দেন তিনি। তবে ওলেকসি কী কারণে পদত্যাগ করেছেন তাৎক্ষণিকভাবে তা জানা যায়নি। ফাঁস হওয়া ওই অডিওতে দেয়া বক্তব্য সম্পর্কে স্বীকার বা অস্বীকার কোনটাই করেননি। প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কিও এ নিয়ে প্রকাশ্যে কোন মন্তব্য করেননি।

ধারণা করা হচ্ছে, গত মাসে একটি অডিও ক্লিপ ফাঁস হওয়ার ঘটনায় প্রেসিডেন্টের সঙ্গে বিরোধের জের ধরে পদত্যাগ করলেন তিনি। গত মাসে দেশটির কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর বৈঠকের একটি অডিও টেপ অনলাইনে ফাঁস হয়। সেখানে দেশের অর্থনৈতিক দুর্দশার জন্য প্রেসিডেন্ট ভলদিমির জেলোনস্কিকে দায়ী করে প্রধানমন্ত্রী ওলেকসিকে বক্তব্য রাখতে দেখা যায়। এছাড়াও ব্যক্তিগতভাবেও ওলেকসি মনে করেন, প্রেসিডেন্ট জেলোনস্কি ইউক্রেনের মুদ্রার মান কমে যাওয়া সম্পর্কে তেমন কিছু জানেন না বলেই ব্যবস্থা নিতে পারছেন না। তার অভিমত, মুদ্রাস্ফিতির কারণে দেশের রপ্তানি খাতে ধস নেমেছে এবং কর আয় অনেক কমে গেছে।

এদিকে প্রেসিডেন্টের কার্যালয় থেকে তার পদত্যাগপত্র জমা দেয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলা হয়েছে, প্রেসিডেন্ট তার পদত্যাগের বিষয়টি বিবেচনা করে দেখছেন। এদিকে প্রেসিডেন্ট জোলোনস্কিও কাছে পদত্যাগপত্র জমা দেয়ার পর এক ফেসবুক পোস্টে ওলেকসি বলেন, ‘আমি প্রেসিডেন্টকে সম্মান করি। আমি তার কাছে পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছি। আশা করছি তিনি এটি পার্লামেন্ট তুলে ধরবেন।’